কারিগরি শিক্ষা(সবাইকে একবার পড়ার অনুরোধ রইল)
এখন সবাই শিক্ষা বলতে শুধু বোঝে বিদ্যালয় কিংবা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুথিগত জ্ঞানার্জন। Education শব্দটির অর্থ হচ্ছে কোন কৌশল আয়ত্ত করা। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ বিভিন্ন কলা-কৌশল রপ্ত করে টিকে থেকেছে, ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছে। আসলে শিক্ষা হচ্ছে একধরনের অভিজ্ঞতা। মানুষ তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শিক্ষা দিতে পারে। মানুষ একসময় বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করত এবং তা কাজে লাগিয়ে জীবন উন্নত করত। আর তারই ধারাবাহিকতায় আজকের শিক্ষা বা শিক্ষা ব্যাবস্থা। কিন্তু আজকাল আমরা এই পুথিগত জ্ঞান অর্জনকেই শিক্ষা বলে ধরে নেই ।
যেখানে শিক্ষা সম্পর্কেই সবার ভ্রান্ত ধারনা সেখানে কারিগরি শিক্ষা তো বিশাল ব্যাপার। তাই কারিগরি শিক্ষা সম্বন্ধে জানতে হলে আমাদের প্রথমেই জানতে হবে কারিগরি শিক্ষা কি? কারিগরি শিক্ষা হলো সেই শিক্ষা যা শিক্ষার্থীকে বাস্তব জীবনের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রত্যক্ষ জীবিকা অর্জনে সহায়তা করে।
বাংলাদেশকে সাবলম্বী করতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। কারিগরি শিক্ষাকে বাদ দিয়ে ২০২১ কেন ২১২১ সালে ও বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভবনা। বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়,
এমন অনেক দেশের মানুষ করিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু BANGLADESH এ মাত্র 4% মানুষ কারিগরী শিক্ষা পড়ে।
উপড়ের চার্টে লক্ষ্য করে দেখবেন যত স্বাবলম্বি দেশ তত বেশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। আশা করি বোঝতে পারছেন কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব কতটুকু।
আমরা দেখি যে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায় ছাত্র/ছাত্রীদের আগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত সমজ। একজন মেধামী ছাত্র কারিগরি শাখায় পড়তে চাইলে তার আগ্রহকে ভিন্ন খাতে ঠেলে দেয়া হয়। তাদের এ আচরনের যেদিন পরিবর্তন হবে সেদিনই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কেবল ডিগ্রী আর চাকুরী লাভের চিন্তা না করে দু’হাতে তুলে নিবে মেশিন টুলস। আর তখনই আড়াই কোটি বেকার যুবকের পাচঁ কোটি হাত হবে শক্তিশালী, তবেই সম্ভব হবে আমাদের সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া।
বাংলাদেশে আজ কারিগরী শিক্ষাকে অবমাননা করা হচ্ছে।Engineer দের ২য় শ্রেনী থেকে নামিয়ে ৩য় শ্রেণীতে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কি জানে না, কারিগরী শিক্ষা ছাড়া একটা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের মাত্র ৪% কারিগরি স্টুডেন্ট আছে। আর তাদেরকে যদি অবহেলা করা হয় তবে এদেশে কি কারিগরী শিক্ষা থাকবে? এ দেশ কোন দিন উন্নত হবে কি?
যেখানে সারা দুনিয়ার সকল দেশে Diploma Engineer রা ২য় শ্রেণীর সেখানে বাংলাদেশে কেন ৩য় শ্রেণীতে নামানো হবে!!?
আমি যদি বলি আমাদের দেশকে উন্নত করতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র এটা। আমাদের দেশের শৃঙ্খলা নষ্টের ষড়যন্ত্র তাহলে কী ভূল হবে?
আমার দেশের সচেতন, শিক্ষিত, নাগরিক, ফেস্বুক এক্টিভিস্ট ও ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন!!!
কোথায় কে হাসিনাকে বা খালেদাকে কী বলল তা নিয়ে ফেইসবুক ব্লগে ঝড় তুলে ফেলেন। কোন নেতা কাকে উদ্দেশ্য করে কি বলেছেন তা নিয়ে সমালোচনা চায়ের কাপে আড্ডায় ঝড় তোলেন। নাস্তিক-আস্তিক মারামারিতে দিন-রাত পথে কাজ করে যেতে পারেন। কারন আপনি সচেতন নাগরিক এটা আপনার দায়িত্ববোধ। আর আজ যখন পলিটেক্নিকের ছাত্র-ছাত্রীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করছিল তাদের সাথে থাকা তো দূরের কথা যখন তাদের শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা বর্জন আন্দোলনকালে পুলিশ হামলা করে তখন কোথায় ছিল আপনাদের দায়িত্ববোধ, কোথায় ছিল নৈতিকতা। কোথায় আপনাদের ভালমানুষি লেখনি।
না তা নিয়ে লেখলে প্রতিবাদ করলে হাইলাইট হওয়া যাবেনা খামাখাই কষ্ট লিখবেন কেনো।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সমস্যা আমাদের কি !! একবার ভেবেছেন আপনার পাশের বাসায় যখন ডাকাতি হচ্ছে তখন আপনার বাসায় ও হতে পারে।
না ভাবার দরকার নাই। এইগুলা লেখলে হাজার লাইক পড়বেনা এই গুলা লেখার দরকার নাই।
আমি সবশেষে একটা কথা বলতে চাই সরকারের প্রতি
৬ মাসের কোর্স করে টেক্নিশিয়ান হওয়া যায়। আমাদের যদি টেক্নিশিয়ানই বানাবেন তাহলে ৪ বছর কষ্ট করিয়ে এই বিশাল সিলেবাসের পড়া কেন পড়ালেন ।
আমাদের ২ দফা দাবি মেনে নেন, আর আমাদের DIPLOMA IN TECHNICIAN এ পরিবর্তন না করে DIPLOMA IN ENGINEER এর মান ফিরিয়ে দেন। ঘরে ঘরে কারিগরী শিক্ষা পৌছায়ে দিন। তবেই এ দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হবে।
যেখানে শিক্ষা সম্পর্কেই সবার ভ্রান্ত ধারনা সেখানে কারিগরি শিক্ষা তো বিশাল ব্যাপার। তাই কারিগরি শিক্ষা সম্বন্ধে জানতে হলে আমাদের প্রথমেই জানতে হবে কারিগরি শিক্ষা কি? কারিগরি শিক্ষা হলো সেই শিক্ষা যা শিক্ষার্থীকে বাস্তব জীবনের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রত্যক্ষ জীবিকা অর্জনে সহায়তা করে।
বাংলাদেশকে সাবলম্বী করতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। কারিগরি শিক্ষাকে বাদ দিয়ে ২০২১ কেন ২১২১ সালে ও বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভবনা। বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়,
- দক্ষিন কোরিয়ার 96% ,
- SINGAPUR এ 74%,
- UK তে 43%,
- INDIA তে 17%
এমন অনেক দেশের মানুষ করিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু BANGLADESH এ মাত্র 4% মানুষ কারিগরী শিক্ষা পড়ে।
উপড়ের চার্টে লক্ষ্য করে দেখবেন যত স্বাবলম্বি দেশ তত বেশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। আশা করি বোঝতে পারছেন কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব কতটুকু।
আমরা দেখি যে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায় ছাত্র/ছাত্রীদের আগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত সমজ। একজন মেধামী ছাত্র কারিগরি শাখায় পড়তে চাইলে তার আগ্রহকে ভিন্ন খাতে ঠেলে দেয়া হয়। তাদের এ আচরনের যেদিন পরিবর্তন হবে সেদিনই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কেবল ডিগ্রী আর চাকুরী লাভের চিন্তা না করে দু’হাতে তুলে নিবে মেশিন টুলস। আর তখনই আড়াই কোটি বেকার যুবকের পাচঁ কোটি হাত হবে শক্তিশালী, তবেই সম্ভব হবে আমাদের সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া।
বাংলাদেশে আজ কারিগরী শিক্ষাকে অবমাননা করা হচ্ছে।Engineer দের ২য় শ্রেনী থেকে নামিয়ে ৩য় শ্রেণীতে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কি জানে না, কারিগরী শিক্ষা ছাড়া একটা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের মাত্র ৪% কারিগরি স্টুডেন্ট আছে। আর তাদেরকে যদি অবহেলা করা হয় তবে এদেশে কি কারিগরী শিক্ষা থাকবে? এ দেশ কোন দিন উন্নত হবে কি?
যেখানে সারা দুনিয়ার সকল দেশে Diploma Engineer রা ২য় শ্রেণীর সেখানে বাংলাদেশে কেন ৩য় শ্রেণীতে নামানো হবে!!?
আমি যদি বলি আমাদের দেশকে উন্নত করতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র এটা। আমাদের দেশের শৃঙ্খলা নষ্টের ষড়যন্ত্র তাহলে কী ভূল হবে?
আমার দেশের সচেতন, শিক্ষিত, নাগরিক, ফেস্বুক এক্টিভিস্ট ও ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন!!!
কোথায় কে হাসিনাকে বা খালেদাকে কী বলল তা নিয়ে ফেইসবুক ব্লগে ঝড় তুলে ফেলেন। কোন নেতা কাকে উদ্দেশ্য করে কি বলেছেন তা নিয়ে সমালোচনা চায়ের কাপে আড্ডায় ঝড় তোলেন। নাস্তিক-আস্তিক মারামারিতে দিন-রাত পথে কাজ করে যেতে পারেন। কারন আপনি সচেতন নাগরিক এটা আপনার দায়িত্ববোধ। আর আজ যখন পলিটেক্নিকের ছাত্র-ছাত্রীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করছিল তাদের সাথে থাকা তো দূরের কথা যখন তাদের শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা বর্জন আন্দোলনকালে পুলিশ হামলা করে তখন কোথায় ছিল আপনাদের দায়িত্ববোধ, কোথায় ছিল নৈতিকতা। কোথায় আপনাদের ভালমানুষি লেখনি।
না তা নিয়ে লেখলে প্রতিবাদ করলে হাইলাইট হওয়া যাবেনা খামাখাই কষ্ট লিখবেন কেনো।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সমস্যা আমাদের কি !! একবার ভেবেছেন আপনার পাশের বাসায় যখন ডাকাতি হচ্ছে তখন আপনার বাসায় ও হতে পারে।
না ভাবার দরকার নাই। এইগুলা লেখলে হাজার লাইক পড়বেনা এই গুলা লেখার দরকার নাই।
আমি সবশেষে একটা কথা বলতে চাই সরকারের প্রতি
৬ মাসের কোর্স করে টেক্নিশিয়ান হওয়া যায়। আমাদের যদি টেক্নিশিয়ানই বানাবেন তাহলে ৪ বছর কষ্ট করিয়ে এই বিশাল সিলেবাসের পড়া কেন পড়ালেন ।
আমাদের ২ দফা দাবি মেনে নেন, আর আমাদের DIPLOMA IN TECHNICIAN এ পরিবর্তন না করে DIPLOMA IN ENGINEER এর মান ফিরিয়ে দেন। ঘরে ঘরে কারিগরী শিক্ষা পৌছায়ে দিন। তবেই এ দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইব্রাহীম রাসেল ৩০/০৯/২০১৩--ঠিক বলেছেন, যে সময় চলছে তাতে এটাই উচিত
-
Înšigniã Āvî ৩০/০৯/২০১৩আমিও কারিগরী শিক্ষার জন্য সমর্থন জানালাম
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ৩০/০৯/২০১৩একদম ঠিক। কর্মমূখী শিক্ষানীতি বহুবার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে চাপা পড়ে গেছে ষড়যন্ত্রকারীদের কূটকৌশলে যার আমাদের দেশের অগ্রগতি পছন্দ করে না। কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিতদের সম্মান সুপ্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনে আমার শতভাগ সমর্থন জানালাম। অবশ্যই এ বিষয়ে লিখব...
-
সহিদুল হক ৩০/০৯/২০১৩ঘরে ঘরে কারিগরী শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে সরকারের কাছে যুক্তি সহকারে।