www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নিয়তির কাঁটাতার

ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে দিপালী সিঁদুরের কৌটোটা হাতে নিয়ে একটু অন্যমনষ্ক হয়ে গেল। আজ কত বছর পর আবার সিঁথিতে সিঁদুর দিতে যাচ্ছে সে ! এক লহমায় অনেক কিছু মনে পরে গেলো তার, সেই প্রথম সিদুঁর দান ইত্যাদি ইত্যাদি । তবুও বাস্তব বড়ো কঠিন, বাস্তবকে মেনে নিতেই হবে, আজকে যদিও কোন আড়ম্বরতা নেই, তবুও আবার সিঁদুর পড়তে যাচ্ছে সে । এই সিঁদুরের মাহাত্ম্য যে অনেক অনেক গভীর । কেন সে আবার সিঁদুর পরবে ? এটা খুব প্রয়োজন ? হ্যাঁ, নিতান্ত প্রয়োজন না হলে সাদা কাপড় ছেড়ে আবার রঙীনের দিকে কেন হাত বাড়াবে দিপালী ! রূপের মুগ্ধতায় যে এক সময়ে সকলে মোহিত করতো সে কেন আজকে পঞ্চাশোর্ধ এক প্রৌঢ়ের সংসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে !
গল্পটার শুরু কিন্তু আজকে থেকে প্রায় বার বছর আগেই হয়ে গেছিল । নিয়তির কাঁটাতার কখন কাকে কোথায় আটকে দেয় কেউ বলতে পারে না । ভবিতব্যকে কখনো কখনো স্বচ্ছ কাঁচের মতো মনে হলেও সেই কাঁচ অতি সহজেই যে ভেঙ্গে যেতেও পারে একথা হয়তোবা আমরা ভাবতেও পারি না বা ভাবিও না । এমনি নিয়তির পরিহাসে বিপর্যস্ত এক জীবনের নায়িকা হচ্ছে দিপালী । জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি একটা পথ আঁকা থাকে বৈকি তবে এ পথের ধুলোয় ধুলোয় লেখা থাকে মানুষের অদৃশ্য অদৃষ্ট । এই সব ধুলোমেখে চলার পথে কে কোথায় কোন করতলে কখন আবদ্ধ হয়ে পরে কেউ যেমন জানেনা, তেমনি জানতো না দিপালীও । জানতো না বলেই, জীবনের এক দারুন সন্ধিক্ষণে এসে দিপালী আজ দ্বিধাগ্রস্ত । বিধাতার হস্তে সম্পুর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রিত জীবনের ভার বহন করতে করতে দিপালী আজ সংশয়াপন্ন এক ভবিষ্যতকেই বেছে নিতে বাধ্য হল । তবে চলুন শুনে আসি এই দিপালীর নিকট অতীতের কয়েকটি কথা ।
দিপালী আজ খুব খুশী । নতুন জামা পরেছে, গালে স্নু-পাউডার লাগিয়েছে, চোখে কাজল লাগিয়ে সবশেষে পায়ে আলতা দিয়েছে । ঘর থেকে বেড় হওয়ার সময় মিতুন মাসি আবার একটু সেন্ট লাগিয়ে দিয়েছে । কিন্তু সে এখনো জানে না যে কোথায় যাবে ! মিতুন মাসিদের সঙ্গে প্রায়ই বেড়াতে যায়, কখনো মেলায়, কখনো বিয়ে বাড়িতে আবার কখনো পিকনিকে । সে কোন সমইয়েই জানে না কোথায় যাচ্ছে, জানতে মানাও বটে । দিপালী হচ্ছে এ বাড়ির সবার ছোট অথচ সবচেয়ে বড় সহযোগী । সে সঙ্গে না গেলে ওদের ডাকের মাথায় হাতের কাছে থাকার মতো যে আর কেউ নেই । সব সময় হাতের কাছে পেয়ে যায় বলেই কিংবা সকলের চাহিদার ভাষা চোখের দিকে তাকালেই বুজতে পারে বলেই হয়তো চৌদ্দ বছর বয়সী এই দিপালীর এতো আদর এই বাড়িতে । না , কাগজে পত্রে কাজের মেয়ে হিসেবে এই বাড়িতে থাকে না সে । ছ’বোনের একজন এই দিপালী পিতৃগৃহে যেভাবেই দিন যাপন করছিল তাতে কিন্তু তার বিন্দু মাত্র অনুযোগ ছিল না, পিতারও ছিল না কোন অনীহা । তবে কি করে এই মিতুন মাসিদের পরিবারে আসলো দিপালী ! হ্যাঁ, মিতুন মাসি দিপালীর মায়ের আপন বোন না হলেও , মায়ের মেসতুতু বোনের ননদ সুবাদে দূর সম্পর্কের মাসি বটে এবং এই সম্পর্কের জের ধরেই একদিন দিপালীদের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিল মিতুন মাসি । হয়তো আগে থেকে জেনে শোনেই গেছেন তবুও না জানার ভান করেছিলেন খুব । কথায় কথায় একটা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আদর যত্নে পড়াশোনা করানোর আবদার জুড়েছিল মাসি । বাবা-মা ভেবে চিন্তে সব ভাই বোনেদের মধ্যে একমাত্র দিপালীর পড়াশোনার প্রতি বেশী আগ্রহ আছে বলে তাকেই পাঠালো । মিতুন মাসিদের বাড়িতে এসে অবশ্য দিন চারেকের মধ্যেই দিপালী তার স্বল্প জ্ঞানে বুজতে পেরে গেছিল যে, আসলে পড়াশোনা করানোটা শুধু বাহ্যিক প্রকাশ, কাজের মেয়ে হিসেবেই তাকে থাকতে হবে এই বাড়িতে । তবে কাজের মেয়ে হলেও, আর দশটা বাড়ির মতো মানে গল্পে শোনা কাজের মেয়েদের মতো অতটা দুঃসহ জীবন যাপন হবে না বুজতে পেরে দিপালী নিজে থেকেই এই বাড়ির বসবাসটাকে স্থায়ী করে নিয়েছিল । এভাবেই গত তিন বৎসর যাবৎ এই বাড়ির প্রতিটি সদস্যের চোখের মনি হয়ে উঠেছে, পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার পর্বটাও ঠিকঠাক ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে সে । কখনো সখনো যখন এভাবে মাসির সঙ্গে বেড়াতে যায় তখনই কেবল বাড়ির কথা বেশী মনে পরে তার । যদিও ধীরে ধীরে বাড়ির টানে হ্রাস পরতে শুরু করেছে । দিপালীও দেহে মনে বড় হচ্ছে । শুধু শরীরের পোশাক নয়, বড় হচ্ছে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গও । চোখের ভাষা পাল্টাচ্ছে । মিতুন মাসি দিপালীর এই উঠতি শরীরটা দেখে নিজের সেই সব দিনের কথা মনে করে, নিজে নিজেই হাসে । সেই সব দিনের অভিজ্ঞতার কথাও মনে পরে তার, সমাজের সঙ্গে যে একটা অদৃশ্য লড়াই চালিয়ে যেতে হয় এই সময়ে সেইটা যেমন মিতুন মাসি ভালোই জানে তেমনি দিপালীর দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন, টের পান সেই অদৃশ্য লড়াইয়ে দিপালী বেশ ভালোই সামাল দিচ্ছেন নিজেকে । যদিও মাঝে মাঝে এই মিতুন মাসিই আবার দিপালীর গায়ের আকর্ষনীয় গড়ন আর অপরূপ সৌন্দর্য দেখে চিন্তায় পরে যান, আবার না কোন ঝামেলায় পরতে হয় তাকে । মিতুন মাসি লক্ষ্য করেছে, দিপালী এবাড়ির প্রতিটি মহিলা সদস্যের যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রতিটা পূরুষের যেন প্রিয়জন । দিপালীর কথা-বার্তায় চাল –চলনে কি এক দারুন আকর্ষন কথা বললে শরীরের দোলা খাওয়া দেখে পুরুষ মানুষের প্রয়োজন নেই মহিলারাই তার প্রেমে পরে যায়, যেন আরো আরো একটু ক্ষণ তার সঙ্গে কাটাতে চায় । হাসলে গালে যে টোলটা পরে সেটা যেন একেবারে গল্পের নায়িকাদের মতো । মাসি প্রায় সময়েই ভাবে দিপালী দেখতে কার মতো হয়েছে ! তার মা-বাবা, মাসি-পিশি কাউকে তো এতটা সুন্দরী দেখা যায় নি ! সে যা হোক, এভাবেই দিনে দিনে দিপালী বেড়ে উঠছে মিতুন মাসিদের ঘরে, বড় হচ্ছে দেহে, পরিনত হচ্ছে মনে, পরিবর্তিত হচ্ছে আচরণে ।
নানান অজুহাতে স্কুল প্রায়ই বন্ধ করেন বলে, দিপালীর খুব বেশী বন্ধু বান্ধবী নেই তবে তার মিষ্টি ব্যবহার আর মেধাবী পড়াশোনার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকার মনের স্থান দখল করে আছে বৈকি । হ্যাঁ, গল্পের শুরুটা হয়েছিল যে কথা দিয়ে, দিপালী আজ খুশী, মিতুন মাসির সঙ্গে বেড়োচ্ছে, তো সেখানে যাওয়া যাক । আজকে মিতুন মাসিদের বাড়ির প্রায় সবাই এসেছে শহরে কোন এক আত্মীয় বাড়ির বিয়ের আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে । এখানে এসেও দিপালীকে সকলের ডাকের মাথায় থাকতে হয় বলে তার চলা ফেরার উচ্ছলতা আর প্রাণচঞ্চলতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই কিন্তু মুগ্ধতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন ঐ বাড়ির ছোট ছেলে হবু ইঞ্জিনিয়ার বিতনুর । এ ঘর থেকে ও ঘরে যাওয়া আসার পথে বার তিনেক ধাক্কা খাওয়ার পর ছোট্ট মেয়ে দিপালীর প্রতি লক্ষ্য যায় তার । মিষ্টি স্বভাব, দুষ্ট চাওয়া আর হরিণ চঞ্চলা চলাফেরায় বিতনু দিপালীর প্রতি এতটাই আকৃষ্ট হলেন যে, শেষ পর্যন্ত দিপালীর আদি অন্ত খোঁজ খবর নিলেন এবং মনে মনে একটা সিদ্ধান্তও নিয়ে নিলেন । আরোও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে তাকে, অপেক্ষা করলো । এই সময়ে নদীর জল অনেক গড়িয়েছে কিন্তু লক্ষ্যে স্থির রয়েছে সে, কাঠখড় যতটা পুড়াতে হয় পুড়িয়েছে, কোথাও কোথাও একটু বেশী বেশী ঘি ঢেলেছে কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত থেকে এক পা-ও নরেনি সে । দিপালীকে চোখে চোখে রেখে নাবালিকা থেকে সাবালিকা করছে, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করিয়েছে । শেষের দিকে মিতুন মাসি বিষয়টা টের পান নি তা নয় কিন্তু আর কিছুই করার ছিল না তার । প্রথম প্রথম বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, মন খারাপ করেছে, ব্যর্থ মনোরথে আবার খুশীও হয়েছে । হাতে গড়া মেয়েটার একটা সোনালী ভবিষ্যৎ ভেবে মাসি গর্বিত হতেন । এভাবেই এক সময়ে অভিভাবক কারো কারোর নিম রাজি, গড় রাজির মধ্যে দিয়েই এক সময়ে দিপালীর শুভ পরিণয় হলো, হলো সেই বিতনুর সঙ্গেই । ওরা এখন ভালোই আছে । অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দিপালী তার সহস্র গুণে শশুর বাড়ির সকলের মন জয় করে সেখানেরও মধ্যমনি হয়ে উঠেছে তবুও এক্কেবার পিত্রালয়ের মতোই দিপালী নিয়মিত যাতায়াত করে মিতুন মাসিদের বাড়ি । আদর স্নেহের খামতি নেই কোথাও, না মিতুন মাসিদের বাড়ি না তার নিজের বাবার বাড়ি ।
পরিষ্কার নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা যেমন প্রকৃতির আপন খেয়ালে হঠাৎ কালো হয়ে যায়, ধরিত্রীর বুকে যেমন নেমে আসে আচমকা মেঘের ঢল ঠিক তেমনি দিপালীর খুশির সংসার গ্রাস করে নেয় এক কালো ছায়া । মাত্র চার-পাঁচ বছরের মধ্যে দিপালীর শশুরের মৃত্যু, স্বামীর অকাল মৃত্যু আর পুরোনো এক মোকদ্দমায় বসত ভিটে ছাড়া হয়ে এখন দিপালী এক অসহায় বিধবা । একমাত্র ছেলে বলেই আজকে দিপালীর সংসারে আর দ্বিতীয় কেউ নেই । শাশুরী যদিওবা জীবিত তবে বিতনুর একমাত্র বোন স্বামীগৃহে মা’কে নিয়ে গেছেন । দিপালীর কথা ভাবার মতো আর কেউ রইল না । রূপ-গুন-দেহ-যৌবন সব কিছুতেই টৈ টুম্বুর দিপালী এখন সংসারের অতল সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে । সুখের দিনে পরিজনের অভাব ছিল না কিন্তু এই একা বিধবার পাশে দাড়ানোর মতো কেউ যেন আর রইল না । এতদিনে দিপালীর মা’ও পরলোক গত হয়ে এখন বাবার বাড়ির বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা । বাবাটা মাতাল, ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে ভিনরাজ্যে, ছোট দুটো অবিবাহিতা বোনের অসহায় সংসারের কথা এবং সংসারের উপার্জনের ইতি কথা জানে বলেই দিপালী আর সেদিকে পা বাড়াতে চায় না । হাতে রইল একমাত্র মিতুন মাসির বাড়ি । সেখানেও আর আগের মতো রমরমা কিছু নেই, মিতুন মাসির দেবর চাকরির কারনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছেন, মিতুন মাসির মেয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করেছেন কোন এক ভিনজাতির সফটওয়্যার কোম্পানীর মালিককে তাই সে ও এ বাড়ির সঙ্গে খুব বেশী যোগাযোগ রাখেন না । মিতুন মাসির বয়েস খুব বেশী না হলেও ব্রেষ্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী । সংসারে লোক নেই বটে কিন্তু টাকা পয়সার অভাব নেই তাই মিতুন মাসির বাড়িতেই ফিরে যায় দিপালী । বছর খানের সেবা যত্নের ত্রুটি করে নি দিপালী কিন্তু তবুও শেষ পর্যন্ত মিতুন মাসিকে আর বাঁচানো গেল না । এখন দিপালীর একমাত্র ভরসা মিতুন মাসির বর, যাকে মেশোমশাই বলেই ডাকতো দিপালী কিন্তু এই সময়ে এই বাড়িতে শুধুমাত্র দুটো প্রানীই বসবাস করে । একজন পঞ্চাশোর্ধ প্রতিষ্ঠিত পুরুষ আরেক জন ছাব্বিশের যৌবনা বিধবা । পাশাপশি বসবাস করতে করতে একসময় আগুন আর ঘি এর মতোই একে অপরের সঙ্গে মিশে গেছে, মিলে গেছে ; আত্মার সহাবস্থান কাছাকাছি এনে দিয়েছেন দুজনের দেহকেও, বাস্তবের চাহিদার কাছে হেরে গেছে সমাজের সমালোচনার গণ্ডি । দুটো মনের কামনা বাসনা ধীরে ধীরে সংকোচ কাটিয়ে যখন পরিণত এবং পরিণতি চায় এই সময়ে মেশোমশাই দীপালিকে খুব তাড়া দিচ্ছে স্বীকৃতি নেওয়ার জন্য । নিজের স্ত্রী যেহেতু বর্তমান নেই, একমাত্র মেয়ে বিধর্মী তাই ওয়ারিশ নিয়ে একটা ঝামেলা তো হবেই । এই শেষ সময়ে যখন পাশে পেয়েছে দিপালীকে, সে যেহেতু তার সব সমস্যার সমাধান তাই আবেগের বাইড়ে গিয়ে মিতুন মাসির বর দিপালীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চাইছে । দিপালী অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করেছে এই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়াটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত তবে যে ভবনাটা দিপালীর পিছু ছাড়ছে না সেটা হল, ভগবান এত সুন্দর একটা জীবন দিয়েও কেড়ে নিলো, এখনকার এই সুখ সইবেতো ! দিপালীর ভেতরের চাপা কান্নাটা থামবে কি ! একটা সন্তানের জননী হওয়ার ইচ্ছেটা পূরন হবে তো ! এই সমস্ত দ্বিধা, সংকোচ নিয়েই আজকে ওরা দুজন মন্দিরে যাবে, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে দুই অসমবয়সী । মিতুন মাসির বর একটা সুষ্ঠ ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের পথ নির্মাণ করবেন আর দীপালি একটা সন্তানের প্রগাঢ় ইচ্ছাপ্রদীপের সলতে পাকাতে যাচ্ছেন ।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৮/১২/২০২৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast