গল্প হলেও সত্যি - পাষণ্ড ২
সেই আগের মতোই ভোর বেলায় বাঁশ বাগানের মাথার উপরে কাকেদের চেঁচামেচি, সাহিত্যের ভাষায় কলকাকলি চলছে । আজকের ঘুমটা একটু তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে গেছে । গতরাতে স্ত্রী এর সঙ্গে ঝগড়া বলাটা সমীচীন হবে না তবে বোঝাপড়া করতে করতে অনেক রাত গড়িয়ে গেছে । হেমন্তের রাতগুলো বরাবরই আমার কাছে খুব মিষ্টি মধুর মনে হয়, ভ্যাঁপসা গরমের অসহ্য যন্ত্রণা থাকেনা আবার শীতের অলসতাও সেভাবে গ্রাস করে না । তবুও ঘুমটা ভাঙ্গল । তপনের বউ এর মুখটা বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল, তার মেয়েটার চেহারাটাতেও মলিনতার ষ্পষ্ট ছাপ । কি করতে পারি আমি ! কি করা উচিত ! এই ভাবনাগুলো আমাকে ঘুমাতে দেয় নি, দেবেও না জানি, যতদিন এই বিষয়টার কোন একটা হিল্লে হবে ততদিন আমার এ অবস্থা থাকবে, এটাই আমার চলার বা জীবনের ধাঁচ । চায়ের কাপ হাতে বাড়ান্দায় চেয়ারটা নিয়ে বসতে যাব অমনি আমার গেইটের গ্রীলের ফাঁকে দেখতে পেলাম সে দাড়িয়ে আছে ; আর কেউ নয় , তপনের বউ রত্না । আহারে ! মনটা কেঁদে উঠল আমার, সারারাত তারও ঘুম হয়নি নিশ্চই । পা বাড়িয়ে গেইট খুলতে গিয়েও থমকে দাড়িয়ে গেলাম । আমি ছাপোষা মানুষ, পারিবারিক অশান্তি একেবারেই পছন্দ করি না । গতকাল আমার স্ত্রী যেভাবে বারণ করেছে, তার পরে আগ বাড়িয়ে আমার ইচ্ছেকে চাপানো সঠিক মনে হল না । তাই দূর থেকেই চাপা গলায় তাকে বলে দিলেম, দশটার পরে অপিসে যেতে । চোখ দেখে বুজতে পারছিলাম, গাড়িভাড়া হবে না তবে এই সময়ে এর চাইতে বেশী কিছু করার মতো মানসিকতাও আমার ছিল না ।
দুপুর বেলা, কাজের ভীরে বেশী কিছু কথা বলা হয়নি, তপনকে হাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারী সহায়তায় উকিল নিযুক্ত করার একটা দরখাস্ত লিখে সেই সঙ্গে একটা হাজার টাকার নোট গোঁজে দিয়েছিলাম তাকে সঙ্গে বলেছিলাম ছাড়া পেলে যেন আমার সঙ্গে দেখা করে । তারপর মাস দেড়েক পরে একদিন দেখি তপন আমার দোকানের (দোকান-কাম-চেম্বার) সামনে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। আমার চোখে পরতেই সে তার বউকে ঠেলে দিল আমার সঙ্গে কথা বলতে । রাগ-অভিমান সংযত করে ওদের দুজনকে ডেকে কথা বলতে বলতে একসময় দেখলাম তপন হঠাত করে আমার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ল, 'দাদা আমারে মাফ কইরা দেন, কি যে অইল, আমি মদের নিশায় পইড়া মাইয়াডারে মাইরা লাইছি"। ওদিকে তপনের বউ একাধারে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে । আমি কথা বলার ভাষা হারিয়েছিলাম নাকি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম মনে নেই, তবে অনেক্ষন এই দৃশ্য আমার আশেপাশের মানুষ জন উপভোগ করেছে ।
চ ল বে ......
দুপুর বেলা, কাজের ভীরে বেশী কিছু কথা বলা হয়নি, তপনকে হাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারী সহায়তায় উকিল নিযুক্ত করার একটা দরখাস্ত লিখে সেই সঙ্গে একটা হাজার টাকার নোট গোঁজে দিয়েছিলাম তাকে সঙ্গে বলেছিলাম ছাড়া পেলে যেন আমার সঙ্গে দেখা করে । তারপর মাস দেড়েক পরে একদিন দেখি তপন আমার দোকানের (দোকান-কাম-চেম্বার) সামনে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। আমার চোখে পরতেই সে তার বউকে ঠেলে দিল আমার সঙ্গে কথা বলতে । রাগ-অভিমান সংযত করে ওদের দুজনকে ডেকে কথা বলতে বলতে একসময় দেখলাম তপন হঠাত করে আমার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ল, 'দাদা আমারে মাফ কইরা দেন, কি যে অইল, আমি মদের নিশায় পইড়া মাইয়াডারে মাইরা লাইছি"। ওদিকে তপনের বউ একাধারে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে । আমি কথা বলার ভাষা হারিয়েছিলাম নাকি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম মনে নেই, তবে অনেক্ষন এই দৃশ্য আমার আশেপাশের মানুষ জন উপভোগ করেছে ।
চ ল বে ......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরজু নাসরিন পনি ২৫/১১/২০১৯চলুক। অপেক্ষায় রইলাম।
-
নুর হোসেন ২৪/১১/২০১৯চলুক চলতেই থাকুক, অপেক্ষারত।
-
মেহেদি হাসান আবিদ ২৪/১১/২০১৯অপেক্ষা রইলো
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৪/১১/২০১৯দেখি শেষটা কী হয়।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৪/১১/২০১৯ধারাবাহিক গল্প!