গল্প হলেও সত্যি ৩
(গল্প হলেও সত্যি ২' র ধারাবাহিক)
মুনীরের শাশুড়ি নাতিকে কোলে নিয়ে বেশ যত্ন আত্তি করছিল , অমনি বক্ষদেশে সযত্নে রাখা মোবাইল ফোনটা ঝনঝনিয়ে বেজে উঠল, স্মার্ট মোবাইলের রিং টোন, বেশ সুন্দর শ্রুতি মধুর গান, " তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত্ মস্ত্ " । এক লহমায় সকলের দৃষ্টি আগত অতিথির আগত ফোনের ওপাড়ের বার্তার দিকে । এই ভীড়ের মধ্যেও হঠাৎ এক নীরবতা নেমে আসল । মুনিরের শাশুড়ি স্বভাব সুলভ ভাবেই নাতিকে মুনিরের মায়ের কাছে তোলে দিয়ে ফোন হাতে নিয়ে মোবাইলের স্ক্রীনে নামটা দেখেই চেহারার মধ্যে একটা কঠিনত্বের ছাপ আনলেন, রিসিভ করে গম্ভীর গলায় বলল, "ক' কি কইবি ?" উপস্থিত কারোর আর বুজতে বাকি নেই ওপ্রান্তে কে রয়েছে , সে কারনেই যেন উৎসুক দৃষ্টি আরো বেশী নিবিষ্ট হলো কিন্তু ততক্ষণে মুনীরের শাশুড়ি মোবাইলে হ্যা - হু করতে করতে এক পাশে চলে গেলেন । আস্তে আস্তে আরও দুরে, গলার স্বর চরিয়ে আরো দুরে যেতে থাকলেন । এখন উঠানের মানুষ আর কিছু শোনতে পায় না তবে অতি উৎসাহের কারনে দুর থেকেই মুনীরের শাশুড়ির ঠোঁট নাড়া- হাত নাড়া দেখে অনুমান করছিলেন, কেউ কেউ আবার সেই অনুমানের ধারা বিবরনীও প্রচার করছিলেন ," হেই বেডির মাইয়া অই যে ফোন দিছে ইডা আর আমডারে কয়ন লাগ্ দ না, মা-মাইয়া যুক্তি কইরা অই এই কান্ড ডা করছে, আহা রে ! আবুইদ্দা ডা খালি ট্যাঁ ট্যাঁ করতাছে "। আরেক জন এসে ঐ বিবরণীর রেশ টেনে ধরলেন ," চিন্তা কইর না মুনীরের মা, আজ কাইল ইতা অয় অই, মা'ডা বেডারে অকালে খাইছে ,কয় না - বৈতালের মুখ সুন্দর ! বালা অইছে, মুনীর আমডার বাইচা আছে ইডা অই বড় কতা "। ততক্ষণে মুনীরের শাশুড়ি জঙ্গলের গাছপালা-পশুপাখিকে সাক্ষী রেখে এক প্রস্ত চোখের জল দান করে চোখ মুছতে মুছতে ভীড়ে এসে হাটু ভেঙে বসল । এই সময়ের দৃশ্য আমার মতো মানুষের চোখ ছারা যে আর কারো দেখার কথা না সেটা আমি ভাল করেই বুজতে পারছি , কেননা আমি দেখলাম প্রতিটি মানুষের প্রতি জোড়া চোখের দৃষ্টি মুনীরের শাশুড়ির দিকে এক পলকে চেয়ে আছে ।
.........চলবে ।
মুনীরের শাশুড়ি নাতিকে কোলে নিয়ে বেশ যত্ন আত্তি করছিল , অমনি বক্ষদেশে সযত্নে রাখা মোবাইল ফোনটা ঝনঝনিয়ে বেজে উঠল, স্মার্ট মোবাইলের রিং টোন, বেশ সুন্দর শ্রুতি মধুর গান, " তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত্ মস্ত্ " । এক লহমায় সকলের দৃষ্টি আগত অতিথির আগত ফোনের ওপাড়ের বার্তার দিকে । এই ভীড়ের মধ্যেও হঠাৎ এক নীরবতা নেমে আসল । মুনিরের শাশুড়ি স্বভাব সুলভ ভাবেই নাতিকে মুনিরের মায়ের কাছে তোলে দিয়ে ফোন হাতে নিয়ে মোবাইলের স্ক্রীনে নামটা দেখেই চেহারার মধ্যে একটা কঠিনত্বের ছাপ আনলেন, রিসিভ করে গম্ভীর গলায় বলল, "ক' কি কইবি ?" উপস্থিত কারোর আর বুজতে বাকি নেই ওপ্রান্তে কে রয়েছে , সে কারনেই যেন উৎসুক দৃষ্টি আরো বেশী নিবিষ্ট হলো কিন্তু ততক্ষণে মুনীরের শাশুড়ি মোবাইলে হ্যা - হু করতে করতে এক পাশে চলে গেলেন । আস্তে আস্তে আরও দুরে, গলার স্বর চরিয়ে আরো দুরে যেতে থাকলেন । এখন উঠানের মানুষ আর কিছু শোনতে পায় না তবে অতি উৎসাহের কারনে দুর থেকেই মুনীরের শাশুড়ির ঠোঁট নাড়া- হাত নাড়া দেখে অনুমান করছিলেন, কেউ কেউ আবার সেই অনুমানের ধারা বিবরনীও প্রচার করছিলেন ," হেই বেডির মাইয়া অই যে ফোন দিছে ইডা আর আমডারে কয়ন লাগ্ দ না, মা-মাইয়া যুক্তি কইরা অই এই কান্ড ডা করছে, আহা রে ! আবুইদ্দা ডা খালি ট্যাঁ ট্যাঁ করতাছে "। আরেক জন এসে ঐ বিবরণীর রেশ টেনে ধরলেন ," চিন্তা কইর না মুনীরের মা, আজ কাইল ইতা অয় অই, মা'ডা বেডারে অকালে খাইছে ,কয় না - বৈতালের মুখ সুন্দর ! বালা অইছে, মুনীর আমডার বাইচা আছে ইডা অই বড় কতা "। ততক্ষণে মুনীরের শাশুড়ি জঙ্গলের গাছপালা-পশুপাখিকে সাক্ষী রেখে এক প্রস্ত চোখের জল দান করে চোখ মুছতে মুছতে ভীড়ে এসে হাটু ভেঙে বসল । এই সময়ের দৃশ্য আমার মতো মানুষের চোখ ছারা যে আর কারো দেখার কথা না সেটা আমি ভাল করেই বুজতে পারছি , কেননা আমি দেখলাম প্রতিটি মানুষের প্রতি জোড়া চোখের দৃষ্টি মুনীরের শাশুড়ির দিকে এক পলকে চেয়ে আছে ।
.........চলবে ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/১০/২০১৯আচ্ছা, পড়তে থাকি।
-
আব্দুল হক ০৪/১০/২০১৯সত্তি সুন্দর!
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৪/১০/২০১৯সুন্দর