www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আবৃত্তি প্রসঙ্গ

আবৃত্তি কাকে বলে ?
কবিতার ভাব, ছন্দ, তাল, লয় ও শব্দের উচ্চারণ সঠিক রেখে শ্রুতিমধুর কণ্ঠে কবিতাটি প্রকাশ করাকে আবৃত্তি বলে ।

অথবা
আবৃত্তি হলো অনুশীলনের দ্বারা প্রকাশের সম্পূর্ণতায় ও সুক্ষতায় পৌঁছানো এক শ্রুতিশিল্প ।

আবৃত্তি কেন ?
আবৃত্তি শুনে উত্তেজনায় কোষমুক্ত তলোয়ার হাতে উঠে দাড়িয়েছে মানুষ। আবৃত্তি শুনে ভয়ে চুল খাড়া হয়ে যাবে , হৃদপিন্ড ধুকধুক করবে, শ্রোতাবৃন্দ কান্নায় ভেঙ্গে পড়বেন – এসব কথা আজকের আবৃত্তির্কীর কাছে অবিশ্বাস্য হলেও প্রাচীন আবৃত্তির মজলিসে এটাই ছিল বাস্তব চিত্র। শিল্পী যদি বিষয়ে একাত্ন হয়ে ভাব প্রকাশ করেনতবে সে ভাব আপনা থেকেই শ্রোতার মনে ক্রিয়া করবে।

পবিত্র কোরআনের সুরা মুজ্জাম্মিলে আছে “ওয়া রাত্তিলিল কুরআনা তারতিলা” অর্থাৎ কোরআন তেলাওয়াত করো থেমে থেমে এবং গুরুত্ব সহকারে। এখানে তারতিল শব্দের ব্যখ্যা আবৃত্তি । সুতরাং পবিত্র কোরআনে আবৃত্তির কথা গুরুত্ব সহকারে বলা আছে ।

শ্রীজ্ঞান অতিশ দীপংকরও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদানের পাশাপাশি আবৃত্তিকে জনশিক্ষার কাজে ব্যবহার করেছেন । আবৃত্তি মানুষের বাঁচার সংগ্রামের এক ফল , আবার বেড়ে উঠার প্রক্রিয়ায় প্রভাবও ফেলে।

আবৃত্তিকলায় দরকার ‘প্রকৃতিজাত আবেগ’ ‘বিষয়’ ও ‘অর্থগত ধ্বনিপুঞ্জ’। সাধারণ ভাষাগত শব্দ ও উচ্চারণ মাত্র নয়, অথচ উচ্চারণ তত্ত্ব একাল যাবত আবৃত্তিকলায় নিয়ামক ভূমিকা রেখেছে। কিন্ত ফলপ্রসূ আবৃত্তি নির্মান করতে হলে সাধারণ ভাষাকে মুখ্য ভূমিকায় রাখা যাবেনা ;একে সাহায্যকারী উপাদান হিসেবে দেখতে হবে। মুখ্য ভূমিকায় থাকবে আবেগ তথা ভাব-অনুভূতির প্রকাশ ।
মোটকথা কবিতায় প্রতিবর্ত-ক্রিয়াজনিত সাধারণ ভাষা , কবিতার ছন্দ, শব্দ-সুর ধ্বংস করে চেতনার আলো এবং যুক্তি-প্রমাণসহ খোলা জমিনে এসে দাঁড়াতে হবে। এরপর বাস্তব জগৎ থেকে সত্য গ্রহণ করে মুক্তপ্রাণে আবৃত্তি করতে হবে।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৫৫৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৯/০৫/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • চমৎকার লিখেছেন আবৃত্তি বিষয়ে।
  • আবৃত্তিশিল্প সমৃদ্ধ হোক।
  • ফয়েজ উল্লাহ রবি ১৯/০৫/২০১৯
    শুভ কামনা রইল ।
 
Quantcast