বিজয় দিবস ও বাংলাদেশ
আজ বিজয়ের ৪৩ বছর পূর্ণ হল। এই দিনটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিনটি মনে করিয়ে দেয় - আমরা '৭১-এ বিজয় অর্জন করেছি, শত্রুমুক্ত হয়েছি।
সত্যিই কি শত্রুমুক্ত হয়েছি? হ্যা - আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি, কিন্তু আমাদের আভ্যন্তরীণ শত্রুর অভাব নেই। স্বাধীনতার বিরোধীরা এবং তাদের অনুসারীরা আজও সক্রিয়। গোটা বাংলাদেশ অপরাধে ছেয়ে গেছে আজ। খুন-ধর্ষণ-নির্যাতন এসব এখন নিত্যদিনের কথা। ইভটিজিং-ধর্ষণ এখন শুধু সামাজিক ব্যধিই নয় - মহামারী। সাম্প্রদায়িকতা, সাম্প্রদায়িক-হামলা-বিদ্বেষ এসব এখন সাধারন ব্যাপার।
ধর্ম শিক্ষা - এখন নৈতিক শিক্ষার বদলে ভিন্নধর্মীদের নিন্দা করা।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জঙ্গিবাদ, ফ্যাসিবাদ, মৌলবাদে - বাংলাদেশ এখন আর সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ নেই।
গনতন্ত্র বলতে - বাংলাদেশে আদৌ কি কিছু আছে? বাংলাদেশ আজ আমলাতন্ত্র আর পরিবারতন্ত্রের জয়-জয়কারে ছেয়ে গেছে।
ঘুষ, দুর্নীতি - এসবে আমরা আজ পটু। ঘুষ দিতে-নিতে কেউ কার্পণ্য করে না - তাই এতে তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু ঘুষ নিয়েও যে কাজ করে না - তাতেই তো সমস্যা। আর দুর্নীতি তো -এখন নীতির পর্যায়ে পরে।
এই হচ্ছে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অবস্থা - সত্যিই দুঃখজনক।
আচ্ছা - এই বাংলাদেশের স্বপ্নই কি দেখেছিল মুক্তিযোদ্ধারা ? এই কি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ ?
সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশ অনেক দূরে।
আসুন আমরা সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেই বাংলাদেশ - "চাষাদের, মজুরের, মুটেদের.........আমারই দেশ সব মানুষের "। যেই বাংলাদেশের মন্ত্রণা হবে - "বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান - আমরা সবাই বাঙালী "।
আসুন আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলি - যেখানে দুর্নীতি থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না। মানুষের পাশে মানুষ থাকবে সবসময়। কোন ধর্ষণ,হত্যা, নির্যাতন হবে না। আর কোন সামাজিক ব্যধি থাকবে না।
এ-সবই সম্ভব, যদি আমরা সবাই এক হই - একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে।
আসুন আমরা সবাই মানুষ হয়ে বাঁচি। একটা সুন্দর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে থাকি। সকল অপশক্তিকে এক হয়ে প্রতিরোধ করি। স্বাধীনতা-বিরোধীদের অস্তিত্ব গুড়িয়ে দিই।
আসুন আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি - স্বপ্নের বাংলাদেশ - একটি সুন্দর বাংলাদেশ।
সত্যিই কি শত্রুমুক্ত হয়েছি? হ্যা - আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি, কিন্তু আমাদের আভ্যন্তরীণ শত্রুর অভাব নেই। স্বাধীনতার বিরোধীরা এবং তাদের অনুসারীরা আজও সক্রিয়। গোটা বাংলাদেশ অপরাধে ছেয়ে গেছে আজ। খুন-ধর্ষণ-নির্যাতন এসব এখন নিত্যদিনের কথা। ইভটিজিং-ধর্ষণ এখন শুধু সামাজিক ব্যধিই নয় - মহামারী। সাম্প্রদায়িকতা, সাম্প্রদায়িক-হামলা-বিদ্বেষ এসব এখন সাধারন ব্যাপার।
ধর্ম শিক্ষা - এখন নৈতিক শিক্ষার বদলে ভিন্নধর্মীদের নিন্দা করা।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জঙ্গিবাদ, ফ্যাসিবাদ, মৌলবাদে - বাংলাদেশ এখন আর সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ নেই।
গনতন্ত্র বলতে - বাংলাদেশে আদৌ কি কিছু আছে? বাংলাদেশ আজ আমলাতন্ত্র আর পরিবারতন্ত্রের জয়-জয়কারে ছেয়ে গেছে।
ঘুষ, দুর্নীতি - এসবে আমরা আজ পটু। ঘুষ দিতে-নিতে কেউ কার্পণ্য করে না - তাই এতে তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু ঘুষ নিয়েও যে কাজ করে না - তাতেই তো সমস্যা। আর দুর্নীতি তো -এখন নীতির পর্যায়ে পরে।
এই হচ্ছে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অবস্থা - সত্যিই দুঃখজনক।
আচ্ছা - এই বাংলাদেশের স্বপ্নই কি দেখেছিল মুক্তিযোদ্ধারা ? এই কি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ ?
সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশ অনেক দূরে।
আসুন আমরা সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেই বাংলাদেশ - "চাষাদের, মজুরের, মুটেদের.........আমারই দেশ সব মানুষের "। যেই বাংলাদেশের মন্ত্রণা হবে - "বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান - আমরা সবাই বাঙালী "।
আসুন আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলি - যেখানে দুর্নীতি থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না। মানুষের পাশে মানুষ থাকবে সবসময়। কোন ধর্ষণ,হত্যা, নির্যাতন হবে না। আর কোন সামাজিক ব্যধি থাকবে না।
এ-সবই সম্ভব, যদি আমরা সবাই এক হই - একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে।
আসুন আমরা সবাই মানুষ হয়ে বাঁচি। একটা সুন্দর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে থাকি। সকল অপশক্তিকে এক হয়ে প্রতিরোধ করি। স্বাধীনতা-বিরোধীদের অস্তিত্ব গুড়িয়ে দিই।
আসুন আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি - স্বপ্নের বাংলাদেশ - একটি সুন্দর বাংলাদেশ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ রফিক ১৫/০১/২০১৫স্বপ্নের বাংলাদেশ বলতে কি বঝাচ্ছেন? কিভাবে গড়ে তুলবেন সুন্দর বাংলাদেশ? স্বাধীনতা বিরোধীদের অস্তিত্ব গুড়িয়ে দিতে চেয়েছেন কিন্তু আপনি কি বলতে পারবেন কারা স্বাধীনতার বিরোধী?? যুদ্ধের যারা বিরোধীতা করেছে তাদের দ্বারা বিগত চল্লিশ বছরে দেশের কতটুকু ক্ষতি হয়েছে আর যাদের দ্বারা যুদ্ধ করে দেশ অর্জিত হয়েছে তাদের দ্বারা বিগত চল্লিশ বছরে দেশের কতটুকু উপকার হয়েছে বলতে পারেন? ৭১ সালের নয় মাস যারা ধর্ষনে ব্যস্ত ছিল বিগত চল্লিশ বছরে তারা কয়টি ধর্ষন করেছে সে প্রশ্ন না করে যদি বলি চল্লিশ বছর ধরে যারা দেশটারে ধর্ষন করে চলেছে তাদের দ্বারা আর যাই হোক দেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। দেশকে গড়ে তুলতে দরকার আদর্শ। আমাদের কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশ গড়ার সে আদর্শটা কি হবে। আর সে আদর্শ বাছাই করে ঝাপিয়ে পরতে হবে দেশ গড়ার যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে। খেয়াল রাখতে হবে সে আন্দোলনে যেন কারো স্বপ্ন-চেতনা-ধর্ম কোন বাঁধা হয়ে না দাড়াতে পারে।
-
সাইফুল্লাহ আল-জাহিদ ২১/১২/২০১৪ুম
-
সাইফুল্লাহ আল-জাহিদ ১৯/১২/২০১৪হুম
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৭/১২/২০১৪সহমত পোষন করছি। সাথেই আছি সবসময়.................
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ১৭/১২/২০১৪কবির প্রত্যয়ী কথামালার সাথে সহমত -
শুভেচ্ছা রইল