অনুগল্প- বাসর কাহন
উঠে না জেগে বাসর ঘরে দীপ্ত পৌরুষ। আলো নিভে ছিল গভীর রাত। বাসর কন্যার শরীর স্বপ্ন দেখেছে, বেশ কিছু দিন যাবত। অবশেষ দিন ঘনালে এই বাসর রাত। গুমোট আঁধারে,মন শরীরে খেলার বাসনা। আঁধারে যেন ঝাঁক ঝাঁক আলো জ্বেলে উঠে। অথচ সুখস্পর্শ আজ যেন খর্ব। আষাঢ়ে ঢল নামে না। গুমোট অভিমানে, সিঁথানের উল্টো দিকে অম্লান রাত পোহালে।
বাসর কন্যার সখী গন ঘিরে, কত প্রশ্ন? নতুন জীবনে শরীরের গানগুলো শুনতে চায়। শুনতে চায় মান অভিমান, বাসর ক্রিয়া খুঁটিনাটি বিষয়দি। বির্মষ বাসর কন্যা। শুকনা ঠোঁটে বিষাদ ভরা মুখে, সখী গন সনে, চুপটি করে বসে। কেহ আঁচ করতে পারিল না যে, শরীর সম্ভোগে আঘাত প্রাপ্ত বাসর কন্যা? নাকি প্রথম সম্ভোগে শরীর সায় দেয়নি বোধ হয়। তা কি করে হয়? সখী গনের দুঃশ্চিন্তা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় বাসর কন্যার জল ছল ছল চোখ দেখে।
ঘোমটা উঠিয়ে দিদা, বলে উঠে কিরে,প্রাণেশ্বর নাতিরে তোর মনে ধরলে।
ঘিরে থাকা সখী গন, দিদা! এই তোরা কি দেখেছিস? মখমলের চাদরে নতুন দাগ লাগল কিনা?
সবাই অট্টহাসির আঁড়ালে, বিছানার চাদরে রঙের দাগ খোঁজার অতিশয় উৎসাহে । কোথাও যখন কোন দাগ! খাটের উপর নিচে নিরীক্ষণে ব্যস্ত সখী গন। নতুন চাদরে একটুও ভাঁজ পরে নাই বিন্দু মাত্র। দিদা খুব একটা অন্য মনস্ক হয়ে কি যেন ভেবে উঠে।
ঠিক আছে বৌ, হাত মুখ ধুইয়া লও এসো দুজনে নাস্তা সারবে।
দিদা জানে, নাতি তার একটু মেয়েলি স্বভাবের। ছেলে বন্ধুদের প্রতি খুব টান। মেয়ে বন্ধু নাই বলেই চলে। সবাই ভেবে ছিল হয়তো বিয়ে করালে এর বৃত্তীয় ঘটবে। ছেলেদের প্রতি উপর টানটা একটু ইতি ঘটবে। তাই নাতির বাসর ঘরের ঘটনায়, স্তম্ভিত দিদা। নানা দুঃশ্চিন্তায় পরে যায়। থাক আজ এত কিছু ভেবে লাভ নাই। বৌকে দিয়ে ওকে ফিরাতে হবে। দিদার নাতি, সুমন তরফদার। বয়স বাইশ থেকে তেইশ হবে। টগবগে যুবক। বাহির থেকে দেখলে কিছুই বুঝার উপায় নাই। স্বভাবে কোন খামতি নাই। বাবার কাপড়ের ব্যবসা ঠিকই দেখভাল করছে। বাড়ির কেই না জানলেও, দিদা টের পায়, ছেলে বন্ধুদের অপকর্মে। তখন ভেবে ছিল, যৌবনে এমন, একটু আক টু হতেই পারে। অথচ বাসর কাহনে, তাজ্জব বনে যায় দিদা।
তবু সংসার ঠিকে আছে সুমন তরফদারের। দশ বছরে তিন তিনটা সন্তানের জনক। তয় সেই ছেলেবন্ধু সখ্য বিদ্যামান। জৈবিক চাহিদার বৈশ্বিক নৈতিকতা। আঁধার ঘনালে, সমাজে এমন বিকার গ্রস্থ মানুষিকতা, অহরহ ডুবসাঁতারে মিশে থাকে নিকোষ কালো রাতের মত ।
১৪২০@ ২৯ পৌষ, শীতকাল।
বাসর কন্যার সখী গন ঘিরে, কত প্রশ্ন? নতুন জীবনে শরীরের গানগুলো শুনতে চায়। শুনতে চায় মান অভিমান, বাসর ক্রিয়া খুঁটিনাটি বিষয়দি। বির্মষ বাসর কন্যা। শুকনা ঠোঁটে বিষাদ ভরা মুখে, সখী গন সনে, চুপটি করে বসে। কেহ আঁচ করতে পারিল না যে, শরীর সম্ভোগে আঘাত প্রাপ্ত বাসর কন্যা? নাকি প্রথম সম্ভোগে শরীর সায় দেয়নি বোধ হয়। তা কি করে হয়? সখী গনের দুঃশ্চিন্তা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় বাসর কন্যার জল ছল ছল চোখ দেখে।
ঘোমটা উঠিয়ে দিদা, বলে উঠে কিরে,প্রাণেশ্বর নাতিরে তোর মনে ধরলে।
ঘিরে থাকা সখী গন, দিদা! এই তোরা কি দেখেছিস? মখমলের চাদরে নতুন দাগ লাগল কিনা?
সবাই অট্টহাসির আঁড়ালে, বিছানার চাদরে রঙের দাগ খোঁজার অতিশয় উৎসাহে । কোথাও যখন কোন দাগ! খাটের উপর নিচে নিরীক্ষণে ব্যস্ত সখী গন। নতুন চাদরে একটুও ভাঁজ পরে নাই বিন্দু মাত্র। দিদা খুব একটা অন্য মনস্ক হয়ে কি যেন ভেবে উঠে।
ঠিক আছে বৌ, হাত মুখ ধুইয়া লও এসো দুজনে নাস্তা সারবে।
দিদা জানে, নাতি তার একটু মেয়েলি স্বভাবের। ছেলে বন্ধুদের প্রতি খুব টান। মেয়ে বন্ধু নাই বলেই চলে। সবাই ভেবে ছিল হয়তো বিয়ে করালে এর বৃত্তীয় ঘটবে। ছেলেদের প্রতি উপর টানটা একটু ইতি ঘটবে। তাই নাতির বাসর ঘরের ঘটনায়, স্তম্ভিত দিদা। নানা দুঃশ্চিন্তায় পরে যায়। থাক আজ এত কিছু ভেবে লাভ নাই। বৌকে দিয়ে ওকে ফিরাতে হবে। দিদার নাতি, সুমন তরফদার। বয়স বাইশ থেকে তেইশ হবে। টগবগে যুবক। বাহির থেকে দেখলে কিছুই বুঝার উপায় নাই। স্বভাবে কোন খামতি নাই। বাবার কাপড়ের ব্যবসা ঠিকই দেখভাল করছে। বাড়ির কেই না জানলেও, দিদা টের পায়, ছেলে বন্ধুদের অপকর্মে। তখন ভেবে ছিল, যৌবনে এমন, একটু আক টু হতেই পারে। অথচ বাসর কাহনে, তাজ্জব বনে যায় দিদা।
তবু সংসার ঠিকে আছে সুমন তরফদারের। দশ বছরে তিন তিনটা সন্তানের জনক। তয় সেই ছেলেবন্ধু সখ্য বিদ্যামান। জৈবিক চাহিদার বৈশ্বিক নৈতিকতা। আঁধার ঘনালে, সমাজে এমন বিকার গ্রস্থ মানুষিকতা, অহরহ ডুবসাঁতারে মিশে থাকে নিকোষ কালো রাতের মত ।
১৪২০@ ২৯ পৌষ, শীতকাল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ২৫/০৩/২০১৪ভীন্নতর বিষয় নিয়ে এলেন গল্পকার ...।