অনুগল্প- স্বপ্নভ্রম
হটাত পানিতে ঢেল ছুঁড়ার শব্দ। আতকে উঠল মোহনা, মনে হয় স্বপ্ন দেখেছে। কি রে কি হয়েছে মোহনা? স্বপ্ন দেখেছিস। না খালামুনি কিছু না, বলে আবার ড্রইং রুমের মেঝেতে চাদর মুড়িতে ঘুমিয়ে পরে। বাড়ীর কর্তী সুমনা। অনেক ক্ষণ মোহনার মুখ ঢাকা চাদরের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার পর কি যেন ভেবে ঘুমাবার ঘরে শুয়ে পরে।
রাত বাড়তে থাকে, সাথে সাথে মোহনার আন্টি সুমনা খাটে গভীর অচেতন, স্বপ্নেরা কড়া নারে। সুমনার বিভ্রম মনের প্রেত্মা বোধ হয়; সুমনার সস্মুখে দাড়িয়ে প্রশ্ন করে।
কিরে সুমনা, কেমন তোর বুদ্ধি, তোর মেয়ে শ্রেয়ার মত মোহনা আর এই মোহনাকে তোর কাজের মেয়ে করলি?
তোর শ্রেয়ার জন্য তোর যেমন ভাবনা, মোহনার জন্য কই? ড্র্ইং রুমের কার্পেটে ঘুমায়। তোর মেয়েকে পারবি, কার্পেটে ঘুমাতে দিতে।
মোহনা কাজের মানুষ তাই না, দুমোটো খাইলেই চলে তাই না?
তোর মেয়ের কৈশর নিয়ে তোর যেমন ভাবনা, কই মোহনার জন্য তো তোর কোনই ভাবনা নাই?
মোহনার এখন বাড়ন্ত শরীর। সবাই কানাঘুসা করে, দোকানে সোদাই পাতি আনতে গেলে,গলির মোরের ছেলেপুলেরা হাসিমুখে ভাব জমাতে চায়। কই সেদিকে তোর কোন খেয়াল নাই।
অথচ তোর মেয়ে শ্রেয়ার দিকে গলির ঐ ছেলেটা তাকিয়ে ছিল বলে,ছেলেটাকে ডেকে সাত সতের শোনালি।
তুইতো একটা মেয়ে সুমনা, মেয়ে হয়ে মেয়েদের কথা ভাববি না?
আমার বুঝি একার দায় পরেছে? সুমনা বলে উঠে।
সারা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি কাজের মানুষদের সব ভাবনা বুঝি আমার। স্বপ্নঘোরে সুমনা, প্রশ্নবানে অস্থির ঘামে ভিজে যায়। রাত দ্বীপ্রহরে মেয়ে শ্রেয়ার ধাক্কায় ঘুম ভেঙ্গে যায়।
শ্রেয়াঃ মা,তুমি দুঃস্বপ্ন দেখছিলে মনে হয়।
পানি দিব, একটু পানি খাও। বিছানায় উঠে বসে সুমনা। ঢক ঢক করে একগ্লাস পানি পান করে একটু স্বস্থিবোধ করে। আর ড্রইং রুমের চাদরে মোরা মোহনার ঘুমানো কার্পেটের দিকে তাকিয়ে থাকে।
১৪২০@ ১৪ কার্তিক, হেমন্তকাল।
রাত বাড়তে থাকে, সাথে সাথে মোহনার আন্টি সুমনা খাটে গভীর অচেতন, স্বপ্নেরা কড়া নারে। সুমনার বিভ্রম মনের প্রেত্মা বোধ হয়; সুমনার সস্মুখে দাড়িয়ে প্রশ্ন করে।
কিরে সুমনা, কেমন তোর বুদ্ধি, তোর মেয়ে শ্রেয়ার মত মোহনা আর এই মোহনাকে তোর কাজের মেয়ে করলি?
তোর শ্রেয়ার জন্য তোর যেমন ভাবনা, মোহনার জন্য কই? ড্র্ইং রুমের কার্পেটে ঘুমায়। তোর মেয়েকে পারবি, কার্পেটে ঘুমাতে দিতে।
মোহনা কাজের মানুষ তাই না, দুমোটো খাইলেই চলে তাই না?
তোর মেয়ের কৈশর নিয়ে তোর যেমন ভাবনা, কই মোহনার জন্য তো তোর কোনই ভাবনা নাই?
মোহনার এখন বাড়ন্ত শরীর। সবাই কানাঘুসা করে, দোকানে সোদাই পাতি আনতে গেলে,গলির মোরের ছেলেপুলেরা হাসিমুখে ভাব জমাতে চায়। কই সেদিকে তোর কোন খেয়াল নাই।
অথচ তোর মেয়ে শ্রেয়ার দিকে গলির ঐ ছেলেটা তাকিয়ে ছিল বলে,ছেলেটাকে ডেকে সাত সতের শোনালি।
তুইতো একটা মেয়ে সুমনা, মেয়ে হয়ে মেয়েদের কথা ভাববি না?
আমার বুঝি একার দায় পরেছে? সুমনা বলে উঠে।
সারা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি কাজের মানুষদের সব ভাবনা বুঝি আমার। স্বপ্নঘোরে সুমনা, প্রশ্নবানে অস্থির ঘামে ভিজে যায়। রাত দ্বীপ্রহরে মেয়ে শ্রেয়ার ধাক্কায় ঘুম ভেঙ্গে যায়।
শ্রেয়াঃ মা,তুমি দুঃস্বপ্ন দেখছিলে মনে হয়।
পানি দিব, একটু পানি খাও। বিছানায় উঠে বসে সুমনা। ঢক ঢক করে একগ্লাস পানি পান করে একটু স্বস্থিবোধ করে। আর ড্রইং রুমের চাদরে মোরা মোহনার ঘুমানো কার্পেটের দিকে তাকিয়ে থাকে।
১৪২০@ ১৪ কার্তিক, হেমন্তকাল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ৩০/১০/২০১৩খুব ভালো একটি বিষয় তুলে এনেছেন গল্পে।ভালো লাগলো।
-
রোদের ছায়া ৩০/১০/২০১৩বেশ । গল্পের ছলে সমাজের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন । তবে নামের ক্ষেত্রে বলবো কাজের মেয়ের নাম মোহনা একটু বেমানান মনে হল । বাকি সব ঠিক আছে ।