অনুগল্প- বৃষ্টি
মাঝে মাঝে খুব একা লাগে মুহিতের। আবার পরক্ষণেই ভাবে, বাসা অফিস এই ভ্যাপসা গরমের নগর জীবন। তাই হয়তো এমন হয়। মাঝে মাঝে মুহিত, আন মনে কি যেন ভাবে। কম্পিউটারের কি প্যাডে আঙ্গুল রাখতে মন চায় না। মাউজে আগুল লাগাতে খুব বিরক্ত লাগে। লজিষ্টের কাজ,,,,,,,টেবিল এ ফাইল জমতে থাকে।
কোন কিছুতে মনবসাতে পারে না কাজে। কি হয়েছে ওড়? নিজের মনে না না প্রশ্ন আঁকি বুঁকি করে। হটাত আকাশে ফেটে বৃষ্টি পরে। অফিস জানলার গ্রীল ঠেলে,মুহিতের টেবিলে ফাইলগুলো ভেজতে থাকে। তবু জানলা আটকানোর তারা অনুভব করে না মুহিত।
স্যার, স্যার আপনার টেবিলতো ভিজে যায়! উৎকন্ঠা নিয়ে বলে উঠে
অফিস পিয়ন বাবুল।
কি রে জানলাটা বন্ধ করতে পারিস না?
বাবুল কাচুমাচু করে জানলাটা বন্ধ করে। আর স্যারের দিক করুন ভাবে তাকিয়ে থাকে, স্যারের কষ্ট অনুভব করে বলে প্রতিয়মান হয়,মুহিতের।
কিরে বাবুল কিছু বলবি? না স্যর কিছু কমু না, তয় টেবিলে কিন্ত অনেক ফাইল জমছে স্যার, বলে বাবুল রুম থেক বেড়িয়ে যায়।
আজ সারা দিন বৃষ্টি। অফিস শেষে, বাস থেকে নেমে রিকশার অপেক্ষা করতে করতে অগত্যা ভিজতে ভিজতে বাসার দিকে রওনা দেয় মুহিত। হেমন্তের বৃষ্টি, যেন আষাঢ় মাসের বৃষ্টি। মুহিতের ভালই লাগে,কাক ভেজে শরীরে, খুব অন্যরকম লাগছে। অনেক দিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না। তাই কৈশরের কত কথাই না মনে পরছে। ভিজেত ভেজতে আনমনা হয়ে চলতে থাকে মুহিত। হটাত পিছন থেকে ডাক শুনতে পায় মুহিত।
পিছন ফিরে, দ্যাখে সীমা সেই আগের অফিসের কলিগ।
এই ভাবে ভিজছ কেন? আস, আমার ছাতার নিচে।
না না থাক,সীমা তুমি যাও, আমি আজ না হয় ভিজে বাড়ী যাই।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভালই লাগছে।
কি সীমা মন খারাপ করলে?
মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজবে, দেখবে খুব ভালো লাগবে।
১৪২০@ ১২ কার্তিক, হেমন্তকাল।
কোন কিছুতে মনবসাতে পারে না কাজে। কি হয়েছে ওড়? নিজের মনে না না প্রশ্ন আঁকি বুঁকি করে। হটাত আকাশে ফেটে বৃষ্টি পরে। অফিস জানলার গ্রীল ঠেলে,মুহিতের টেবিলে ফাইলগুলো ভেজতে থাকে। তবু জানলা আটকানোর তারা অনুভব করে না মুহিত।
স্যার, স্যার আপনার টেবিলতো ভিজে যায়! উৎকন্ঠা নিয়ে বলে উঠে
অফিস পিয়ন বাবুল।
কি রে জানলাটা বন্ধ করতে পারিস না?
বাবুল কাচুমাচু করে জানলাটা বন্ধ করে। আর স্যারের দিক করুন ভাবে তাকিয়ে থাকে, স্যারের কষ্ট অনুভব করে বলে প্রতিয়মান হয়,মুহিতের।
কিরে বাবুল কিছু বলবি? না স্যর কিছু কমু না, তয় টেবিলে কিন্ত অনেক ফাইল জমছে স্যার, বলে বাবুল রুম থেক বেড়িয়ে যায়।
আজ সারা দিন বৃষ্টি। অফিস শেষে, বাস থেকে নেমে রিকশার অপেক্ষা করতে করতে অগত্যা ভিজতে ভিজতে বাসার দিকে রওনা দেয় মুহিত। হেমন্তের বৃষ্টি, যেন আষাঢ় মাসের বৃষ্টি। মুহিতের ভালই লাগে,কাক ভেজে শরীরে, খুব অন্যরকম লাগছে। অনেক দিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না। তাই কৈশরের কত কথাই না মনে পরছে। ভিজেত ভেজতে আনমনা হয়ে চলতে থাকে মুহিত। হটাত পিছন থেকে ডাক শুনতে পায় মুহিত।
পিছন ফিরে, দ্যাখে সীমা সেই আগের অফিসের কলিগ।
এই ভাবে ভিজছ কেন? আস, আমার ছাতার নিচে।
না না থাক,সীমা তুমি যাও, আমি আজ না হয় ভিজে বাড়ী যাই।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভালই লাগছে।
কি সীমা মন খারাপ করলে?
মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজবে, দেখবে খুব ভালো লাগবে।
১৪২০@ ১২ কার্তিক, হেমন্তকাল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ২৯/১০/২০১৩
-
সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্ ২৮/১০/২০১৩ছোটগল্পটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ নিন।
-
Înšigniã Āvî ২৮/১০/২০১৩jotota porlaam osadharon laaglo
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৮/১০/২০১৩গল্প কি এখানে ই শেষ করলেন নাকি আরও আছে।
দারুণ লিখেছেন...শেষটা একটু গুছিয়ে টানলে ভালো লাগতো ...তৃপ্তি অথবা অতৃপ্তি যে কোনটাই হতে পারে ...