আলো আধারের অতিথি
বৃষ্টির ফোটা গুলি শুন্যে ভাসতে ভাসতে মাটিতে আছড়ে পড়ছে ।ক্রমে প্রায় বন্ধ হয়ে আসছে ।আকাশের অবস্থা ভালো নয়।যখন তখন শুরু হয়ে যেতে পারে ভারি বর্ষন।আকাশের পূর্ব কোনটা মাঝে মাঝে আলোকিত হয়ে উঠছে । রাস্তটা প্রায় জনশুন্য ।টিম টিম করে অন্ধকারের বুক চিরে জ্বলছে সৌরবাতি গুলি
ছোট্ট দোকানের টিনের ঝাপের নীচে দুজন বসে কি যেন গল্পে মসগুল ।
লন্ঠন জ্বেলে দোকানের ভিতর ঝিমোচ্ছে দোকানি পুরানো ভাঙা রেডিওতে বাজছে তার বয়সের অনেক পুরানো একটি গান ।
গুন গুন করে গান গায়ছিল লিটন ,বেশ ভালোই লাগছিল ওর ।গান টা খুব প্রিয় একটা গান ।মন খারাপের দুপুরে রেডিওতে বাজত গানটি । অনেক অনেক বার শুনেছে ও ।
আস্তে আস্তে বৃষ্টির ফোটার পরিমান কমে আসছে ।এখনো পথঘাট আলোকিত করে চমকাচ্ছে বিদ্যুত ।পাশে বসে থাকা নেড়ি কুকুরটি গা ঝাড়া দিয়ে পালাল ।বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেল ও । লিটন বুঝতে পারছিল ওর এবার বেরোতে হবে ।রাত প্রায় নটা বাজতে চলল , বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে ।
মা হয়ত আমার জন্য বসে থেকে ঝিমোবে ।
মিলি কি করছে কে জানে?রাতের খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকবে ।
ভাবতে ভাবতে ভাঙাচোরা ইটের রাস্তায় পা বাড়ায় লিটন ।
ঘুটঘুটে অন্ধকার ,টিমটিম করে জ্বলা সৌরবাতি আর আকাশে বজ্রের চোখরাঙানি ,সব মিলে মিশে যেন এক মায়াবি পরিবেশ ,যেন আলোআধারির মাঝে পথ চলা ।
সামনের বাঁকটা পেরিয়ে ইটের রাস্তাটি বড় রাস্তার মোহনায় মিশেছে ।একটু এগিয়ে গেলে রেলবাজার ।বাজারের একেবারে শেষ মাথাটায় স্টেশন । বজ্রের ঝলকানিতে দেখে নিল ইটের রাস্তার শেষ প্রান্তটা । কানে তালা লাগিয়ে দেওয়া ঝিঝি পোকার ডাক আস্তে আস্তে একসময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল ।
'আর একটু এগোলেই স্টেশন ,ট্রেনে চেপে সোজা বাড়ি ,মনে মনে ঠিক করে নিল ও।
ফ্লেক এর ভেজা ভেজা খাম থেকে একটা স্টিক বের করে মুখে ধরে লিটন ।
দেশলায় বের করে জ্বালাতে গিয়েও জ্বলল না সেটা ।ভিজে চুপসে গেছে একদম ।
দেশলায় এর সাথে সাথে চুপসে গেছে ওর গোটা শরীর মন ।
প্রতিদিন অফিস ফেরার পথে কত উৎফুল্ল থাকে মনটা ।
সারাদিন বলদের মতো পরিশ্রম ,সন্ধায় ঘরে ফেরা । উফ কত মজা।
ভাবতেই যেন ভাল লাগে ,,,
বিদ্যুতের আলোই পিচ ঢালা রাস্তাটা রুপোলি অজগর সাপের মতো দেখায় ,যেন রাতের এই আলো আধারির মাঝে শেষ করে দিতে চায় সব কিছু ।উদরস্ত করতে চায় রাস্তার চেনা অচেনা পথিক গুলোকে ।আর ছোট্ট ছোট্ট বৃষ্টির ফোটাগুলি রাস্তার উপরে পড়ে মুক্তার মতো ঝলমল করে ।
দেখতে দেখতে অনেকটা এগিয়ে আসে লিটন ।প্যান্টের ডান পাশের পকেট টা ধীরে ধীরে আলতো কাপতে থাকে ।লিটন থমকে দাঁড়ায় , এত বজ্র বৃষ্টির মাঝেও ফোনটা অফ করা হয় নি ,খেয়াল ছিল না একদম ।
মিলি ,ফোনের পর্দায় ভেসে ওঠা নাম ।
খুব ভালবাসে ওকে মেয়েটা ,অস্থির হয়ে উঠেছে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়াতে ।
-"হ্যালো,আজ এত দেরি হল তোমার ।"
বেশ অভিমানের সুরে বলে তার সহধর্মিনি।
-"প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এখানে । তোমাকে পরে ফোন করছি।"
কলটা ডিসকানেক্ট করে দেয় লিটন ।প্যান্টের পাশ পকেটে রেখে দিল ফোন টা ।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আলো আধারির আকাশ টাকে দেখতে ইচ্ছে করে ।
একফোটা বৃষ্টির ফোটা ওকে আকাশ দেখতে দেয় না ।
'বাড়ি ফিরলে মিলি খুব ধমকাবে আজ ।বুকের মাঝে মাথাটা গুজে অভিমানি সুরে বলবে " ভিজতে গেলে কেন তুমি? কোথাও একটুখানি দাঁড়াতে পারতে তো । জ্বর আসবে তো !"
জ্বর আসলে সারারাত কোলের উপর মাথা রেখে জলপটি দেবে । সেবা করবে সারারাত ,মাথায় হাত রেখে জেগে থাকবে সারাক্ষন ।
জ্বর আসুক আজ ।
মুচকি হেসে ওঠে লিটন ।
স্বপ্নে বিভোর লিটন চমকে ওঠে, অচেনা অজানা মৃদু সুমিষ্ট এক মন কেমন করা বাঁশির সুরে.........ক্রমশ।
গল্প লেখাতে আমি একদম নতুন ।ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল,,,
মোবাইলে টাইপ ,তাই অল্প করে প্রকাশিত করছি ।দুঃখিত এই অসুবিধার জন্য ।
ছোট্ট দোকানের টিনের ঝাপের নীচে দুজন বসে কি যেন গল্পে মসগুল ।
লন্ঠন জ্বেলে দোকানের ভিতর ঝিমোচ্ছে দোকানি পুরানো ভাঙা রেডিওতে বাজছে তার বয়সের অনেক পুরানো একটি গান ।
গুন গুন করে গান গায়ছিল লিটন ,বেশ ভালোই লাগছিল ওর ।গান টা খুব প্রিয় একটা গান ।মন খারাপের দুপুরে রেডিওতে বাজত গানটি । অনেক অনেক বার শুনেছে ও ।
আস্তে আস্তে বৃষ্টির ফোটার পরিমান কমে আসছে ।এখনো পথঘাট আলোকিত করে চমকাচ্ছে বিদ্যুত ।পাশে বসে থাকা নেড়ি কুকুরটি গা ঝাড়া দিয়ে পালাল ।বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেল ও । লিটন বুঝতে পারছিল ওর এবার বেরোতে হবে ।রাত প্রায় নটা বাজতে চলল , বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে ।
মা হয়ত আমার জন্য বসে থেকে ঝিমোবে ।
মিলি কি করছে কে জানে?রাতের খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকবে ।
ভাবতে ভাবতে ভাঙাচোরা ইটের রাস্তায় পা বাড়ায় লিটন ।
ঘুটঘুটে অন্ধকার ,টিমটিম করে জ্বলা সৌরবাতি আর আকাশে বজ্রের চোখরাঙানি ,সব মিলে মিশে যেন এক মায়াবি পরিবেশ ,যেন আলোআধারির মাঝে পথ চলা ।
সামনের বাঁকটা পেরিয়ে ইটের রাস্তাটি বড় রাস্তার মোহনায় মিশেছে ।একটু এগিয়ে গেলে রেলবাজার ।বাজারের একেবারে শেষ মাথাটায় স্টেশন । বজ্রের ঝলকানিতে দেখে নিল ইটের রাস্তার শেষ প্রান্তটা । কানে তালা লাগিয়ে দেওয়া ঝিঝি পোকার ডাক আস্তে আস্তে একসময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল ।
'আর একটু এগোলেই স্টেশন ,ট্রেনে চেপে সোজা বাড়ি ,মনে মনে ঠিক করে নিল ও।
ফ্লেক এর ভেজা ভেজা খাম থেকে একটা স্টিক বের করে মুখে ধরে লিটন ।
দেশলায় বের করে জ্বালাতে গিয়েও জ্বলল না সেটা ।ভিজে চুপসে গেছে একদম ।
দেশলায় এর সাথে সাথে চুপসে গেছে ওর গোটা শরীর মন ।
প্রতিদিন অফিস ফেরার পথে কত উৎফুল্ল থাকে মনটা ।
সারাদিন বলদের মতো পরিশ্রম ,সন্ধায় ঘরে ফেরা । উফ কত মজা।
ভাবতেই যেন ভাল লাগে ,,,
বিদ্যুতের আলোই পিচ ঢালা রাস্তাটা রুপোলি অজগর সাপের মতো দেখায় ,যেন রাতের এই আলো আধারির মাঝে শেষ করে দিতে চায় সব কিছু ।উদরস্ত করতে চায় রাস্তার চেনা অচেনা পথিক গুলোকে ।আর ছোট্ট ছোট্ট বৃষ্টির ফোটাগুলি রাস্তার উপরে পড়ে মুক্তার মতো ঝলমল করে ।
দেখতে দেখতে অনেকটা এগিয়ে আসে লিটন ।প্যান্টের ডান পাশের পকেট টা ধীরে ধীরে আলতো কাপতে থাকে ।লিটন থমকে দাঁড়ায় , এত বজ্র বৃষ্টির মাঝেও ফোনটা অফ করা হয় নি ,খেয়াল ছিল না একদম ।
মিলি ,ফোনের পর্দায় ভেসে ওঠা নাম ।
খুব ভালবাসে ওকে মেয়েটা ,অস্থির হয়ে উঠেছে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়াতে ।
-"হ্যালো,আজ এত দেরি হল তোমার ।"
বেশ অভিমানের সুরে বলে তার সহধর্মিনি।
-"প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এখানে । তোমাকে পরে ফোন করছি।"
কলটা ডিসকানেক্ট করে দেয় লিটন ।প্যান্টের পাশ পকেটে রেখে দিল ফোন টা ।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আলো আধারির আকাশ টাকে দেখতে ইচ্ছে করে ।
একফোটা বৃষ্টির ফোটা ওকে আকাশ দেখতে দেয় না ।
'বাড়ি ফিরলে মিলি খুব ধমকাবে আজ ।বুকের মাঝে মাথাটা গুজে অভিমানি সুরে বলবে " ভিজতে গেলে কেন তুমি? কোথাও একটুখানি দাঁড়াতে পারতে তো । জ্বর আসবে তো !"
জ্বর আসলে সারারাত কোলের উপর মাথা রেখে জলপটি দেবে । সেবা করবে সারারাত ,মাথায় হাত রেখে জেগে থাকবে সারাক্ষন ।
জ্বর আসুক আজ ।
মুচকি হেসে ওঠে লিটন ।
স্বপ্নে বিভোর লিটন চমকে ওঠে, অচেনা অজানা মৃদু সুমিষ্ট এক মন কেমন করা বাঁশির সুরে.........ক্রমশ।
গল্প লেখাতে আমি একদম নতুন ।ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল,,,
মোবাইলে টাইপ ,তাই অল্প করে প্রকাশিত করছি ।দুঃখিত এই অসুবিধার জন্য ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।