www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

শেষ পযন্ত থেকে যাওয়াটাই শ্রেয়

শেষ পযন্ত থেকে যাওয়াটাই শ্রেয়

💖💖💖💖💖💖💖 💖💖💖💖💖💖💖💖

আমার বাসার বুয়া একবার একটা কথা বলেছিলো আমাকে, আপনি যদি আমাকে বাদ দিয়ে দেন। তাহলে আসে পাশে সবাই ভাববে নিশ্চয়ই আমিই খারাপ ।

আমার কিছুদিন পর নতুন বুয়াটাকে ও যদি বাদ দিয়ে দেন তাতেও মানুষ ভাববে হয়তো এই বুয়াটাও ভাল না!

কিন্তু তারপর আবার নতুন কোন বুয়া রেখে তাকেও যদি বাদ দেন, তাহলে কিন্তু সমস্যাটা আপনার; বুয়াদের না!

হ্যাঁ! আমি ডিভোর্সের কথা বলছি, ভালবাসা বিচ্ছেদের কথাও বলছি।

সারাজীবন মানুষের মন একটা মনের মানুষ খুঁজে। কিন্তু কোন মানুষই কারো মনের মত হয় না। এর সাথে যাচ্ছে না তো ওর সাথে যাবার ; আবার ওর সাথে যাচ্ছে না তো এর সাথে যাবে। এই ভাবনাটা প্রচন্ড রকমের ভুল। যে মানুষটাকে ভুল ভেবে চলে আসছেন তার থেকেও বড় ভুল!

সবাই কিন্তু টেনশনে সিগেরেট খায় না। মাথা ব্যাথা ছাড়াই দু'বেলা চা খেতে হয় আমার। কোন স্বাদ ও নেই, কোন উপকার ও নেই মুড়ির মধ্যে।তবুও আম্মা রোজ রোজ মুড়ি খায়।

আমার চা এক-এক দিন এক-এক রকম হয়।মাঝেমাঝে খারাপ ও হয় ; তাও ছাড়ি না। ঘরে কখনো দু,তিন দিন মুড়ি থাকে না ;তবুও আম্মা অভ্যাস বদলাতে পারে না। মৃত্যুর ঝুঁকি থাকলেও সিগারেট ছাড়া যায় না।

এইগুলো অভ্যাস! যেটা জীবনকে জীবনের শেষ অব্দি নিয়ে যায়। তাছাড়া মনের মানুষ,মনের মিল আর প্রচন্ড ভালবাসা জীবনকে জীবনের শেষ অব্দি নিয়ে যেতে পারে না।

হুমায়ুন ফরিদীর কিন্তু মনের মানুষ, মনের মিল আর প্রচন্ড ভালবাসা ছিল সুবর্না মোস্তফার জন্য!

একবার হুমায়ুন ফরিদীর আর সুবর্না মোস্তফার প্রচন্ড রকমের ঝগড়া হয়। ঝগড়া শেষে সুবর্না মোস্তফা দরজা বন্ধ করে একটা ঘরে সারারাত নিজেকে আটকিয়ে রাখেন।

পরদিন সকালে গিয়ে দেখে, যে ঘরটায় তাদের ঝগড়া হয়েছিলো ওই ঘরের মেঝে থেকে ছাদ অব্দি শুধু একটাই লিখা, "সুবর্না! আমি তোমাকে ভালবাসি"।

কিন্তু এত প্রচন্ড ভালবাসায় ও তাদের সংসারটা টিকে থাকেনি শেষ অব্দি।

ক্লাস টেনে পড়া 'গুলতেকিন' নামের এক কিশোরী হুমায়ুন আহমেদকে প্রচন্ড ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দেখলেন হুমায়ুন আহমেদ সাধারণই একজন মানুষ।
কিছুদিন পর গুলতেকিন আবিষ্কার করলেন এই মানুষটা তার মনের মত না। তারপর বিচ্ছেদের সময় গুলতেকিন বলে যান, 'তোমার শুধু লিখাটাই ভাল; আর কিছু নয়'!

এইগুলো ছাড়াও মনের মানুষ, মনের মিল, আর প্রচন্ড ভালবাসা ছিল তাহসান- মিথিলার মধ্যেও। ছিল সুজানা আর হৃদয় খানের মধ্যে, অপুর্ব আর প্রভার মধ্যেও তো ছিল।

অপুর্ব তার প্রথম বিচ্ছেদের পর মিডিয়ার বাহিরে গিয়েও গিয়েছেন একটা মনের মানুষর খুঁজে। পেয়েছিলও বটে একজন মনের মত মানুষ!
হয়তো প্রচন্ড ভালোও বেসেছিলো নাজিয়া হাসাম অদিতিকে। সেটা ও টিকে নি !
বিচ্ছেদ হয়েছে আবার ও!

আর সত্যি এইটাই, মনের মানুষ, মনের মিল আর প্রচন্ড ভালবাসা হলেই একসাথে থাকা যায় না। এই পৃথিবীতে যারাই জীবনের শেষ অব্দি একসাথে ছিল তারা শেষ পর্যন্ত কিন্তু কোন কারন ছাড়াই একসাথে ছিলো।

বিশ্বাস করুন! শেষের দিকে কোন কারনই ছিল না তাদের একসাথে থাকার। যেভাবে একটি বইয়ের শেষ কয়টি পাতা না পড়ে উঠা যায় না; একইভাবে তারাও আর উঠে আসতে পারেনি শেষের দিকে।
থেকে গিয়েছিলো শেষ অব্দি!
আর শেষ পযন্ত থেকে যাওয়াটাই শ্রেয়!
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৩৪১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/০৬/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast