দাদার বিয়ে
আমাদের আবুল দাদা, বয়স 75 এর কোঠায়। তিনটি বিয়ে করেছে, কিন্তু কোন সন্তান নেই।
তার জন্য বউদের মাঝে মাঝে মাইর কম দেয়না।
এবার আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলো।
বউরা প্রতিবাদ করে বললো, আপনি আরো 1000 টা বিয়ে করলেও সন্তান হবেনা।
কারন আপনার সে ক্ষমতা নাই।
কিন্তু দাদা মানতে নারাজ, সব দোষ বউদের।
একদিন গেরামের এক যাত্রা পালায় এক অল্প বয়সের মেয়ে দেখতে পেলো দাদা৷
খুব সুন্দর করে কোমর দুলিয়ে নেচে গেয়ে সবার মন ভরিয়ে দিলো।
দাদা ঠিক করলো এই মেয়েকেই বিয়ে করবে।
অবশেষে অনেক টাকা পয়সা দিয়ে মেয়েটাকে বিয়ে করে আনলো।
তবে বিয়ের আগে সর্ত দিলো, যদি এক বছরের ভিতর বাচ্চা না আসে পেটে, তবে তালাক দিয়ে দিবে৷
যাত্রার মেয়ে বিয়ে করায় আগের দুই বউ মনে কষ্ট আর অপমানে বাপের বাড়ি চলে গেলো।
দাদার নতুন বউ সংসার বেশ আনন্দেই কাটছে দিন৷
বিয়ের তিন মাস পরেই দাদার নতুন বউটি বাচ্চা প্রশব করলো৷
দাদাতো হেব্বি খুশী, গেরামের সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে৷
দাদার টাকা আর দাপটের সামনে কেউ কথা বলতে পারেনা৷
তবে লোকজন কানাঘুষা করতে লাগলো, বিয়ের তিন মাস পরেই কেমনে সন্তান হয়৷
এ কথা দাদার এক চামচা বলে উঠলো দাদাকে এত দিন
শুনেছি বাচ্চা হয় ১০মাসে, তিন মাসে হয় এটা কেমনে সম্ভব চাচা?
দাদা কথাটা শুনে ভাবলো আসলেইতো, আমিতো বাবা হওয়ার খুশীতে ভুলেই গিয়েছিলাম হিসাবটা।
দাদা জলদি করে বাড়ি এলো।
বউকে ডেকে বললো 10 মাসের বাচ্চা তিন মাসে হলো কেমনে?
নাকি আগেই কেলেংকারী করে এসেছো কোথাও?
দাদী বলতেছে--
আরে আপনের যে কথা
আপনে বিয়া করছেন কয় মাস হইছে?
দাদাঃ তিন মাস।
দাদীঃ এইবার কন আপনের লগে আমার বিয়া হইছে কয় মাস চলছে?
দাদাঃ তিন মাস।
দাদীঃ এহন কন, বাচ্চা কতদিন পর হইছে?।
দাদাঃ তিন মাস।
দাদীঃ এইবার মোট কয় মাস অইলো?
দাদাঃ ৯মাস।
দাদীঃ ৯/১০মাসেই বাচ্চা হয়।
এক মাস আগে হইলে সংসারে উন্নতির লক্ষন।
দাদা এইবার হিসাবটা বুঝে মহা খুশীতে নেচে বলে উঠলো, আগের বউরা কয় আমার নাকি দোষ আছে।
এহন বুঝবো দোষী ওরাই ছিলো।
কিছুদিন পর বাচ্চার ঠান্ডা লাগছে।
দাদী বললো বাজার থেকে ঔষধ নিয়া আনেন।
দাদা চলে গেলো ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো, সব থেকে ভালো ঔষধ দিবেন।
আমার বংশে প্রথম বাত্তি জ্বলছে, কোন সমস্যা যেনো না হয়।
এ ডাক্তার দাদার সমস্যা আগেই জানতো, মকবুল দাদার বাবা হওয়ার যোগ্যতা নেই।
গোপনে দাদীরা টেস্ট করিয়ে নিছে।
ডাক্তারঃ শুনলাম আপনি আবার বিয়ে করেছেন?
দাদাঃ হুম ঠিক, আর এ ঘরের আমার সন্তান আসছে৷
আগের বউরা বলতো আমার দোষ আছে, এইবার আমি প্রমাণ করছি আমার কোন দোষ নেই।
ডাক্তারঃ জ্বি তা করেছেন বেশ, এবং খুব তারাতারি প্রমাণ করেছেন।
তিন মাস পরেই।
দাদাঃ জে সবি উপরওয়ালার কৃপা।
ডাক্তারঃ আচ্ছা আপনার হাতে এটা কি?
দাদাঃ লাঠি।
ডাক্তারঃ কতদিন ধরে এটা সাথে রাখেন।
দাদাঃ তাওতো 14 বছর চলে গেছে।
ডাক্তারঃ তাহলে এটাতো এতদিন বন্দুক হয়ে গেছে আপনার স্পর্শে।
দাদাঃ কি কও ডাক্তার বুঝিনাতো।
ডাক্তারঃ আচ্ছা ধরুন, আপনি দেখলেন আপনার আখ ক্ষেতে কিছু শেয়াল আখ খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।
তখন আপনি এই লাঠি দিয়ে শিয়ালকে গুলি করলেন, এবং শেয়াল মরে গেলো।
তখন আপনার কেমন লাগবে?
দাদাঃ আমি এই বয়সে নিজের বউরেই দেখতে পাইনা ঠিকমতো, চোখে কম দেখি বলে।
আর শেয়াল দেখুম আখ ক্ষেতে।
ডাক্তারঃ মনে করেন আপনি দেখেছেন।
দাদাঃ আমি কি গাধা নাকি, লাঠি দিয়া গুলি বের হইবো, আর শেয়াল মইরা যাইবো৷
ডাক্তারঃ কিন্তু শেয়াল মরেছে, আপনি একটু ভাবেন কি করে সম্ভব?
দাদাঃ নিশ্চয়ই অন্য কেউ ছিলো আড়ালে, আর তার আসল বন্দুক ছিলো।
আর সেটা দিয়ে গুলি করেই শেয়াল মারছে।
ডাক্তারঃ ঠিক বলেছেন।
এবার লাঠি দিয়ে যখন গুলি বের হলোনা, এখন বাড়ি গিয়ে ভাবুন, তাহলে আপনি বাবা হলেন কি করে।
আবুল বুড়ো ভাবতে ভাবতে বাড়ির দিকে হাটা দিলো ঔষধ রেখে।
তার জন্য বউদের মাঝে মাঝে মাইর কম দেয়না।
এবার আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলো।
বউরা প্রতিবাদ করে বললো, আপনি আরো 1000 টা বিয়ে করলেও সন্তান হবেনা।
কারন আপনার সে ক্ষমতা নাই।
কিন্তু দাদা মানতে নারাজ, সব দোষ বউদের।
একদিন গেরামের এক যাত্রা পালায় এক অল্প বয়সের মেয়ে দেখতে পেলো দাদা৷
খুব সুন্দর করে কোমর দুলিয়ে নেচে গেয়ে সবার মন ভরিয়ে দিলো।
দাদা ঠিক করলো এই মেয়েকেই বিয়ে করবে।
অবশেষে অনেক টাকা পয়সা দিয়ে মেয়েটাকে বিয়ে করে আনলো।
তবে বিয়ের আগে সর্ত দিলো, যদি এক বছরের ভিতর বাচ্চা না আসে পেটে, তবে তালাক দিয়ে দিবে৷
যাত্রার মেয়ে বিয়ে করায় আগের দুই বউ মনে কষ্ট আর অপমানে বাপের বাড়ি চলে গেলো।
দাদার নতুন বউ সংসার বেশ আনন্দেই কাটছে দিন৷
বিয়ের তিন মাস পরেই দাদার নতুন বউটি বাচ্চা প্রশব করলো৷
দাদাতো হেব্বি খুশী, গেরামের সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে৷
দাদার টাকা আর দাপটের সামনে কেউ কথা বলতে পারেনা৷
তবে লোকজন কানাঘুষা করতে লাগলো, বিয়ের তিন মাস পরেই কেমনে সন্তান হয়৷
এ কথা দাদার এক চামচা বলে উঠলো দাদাকে এত দিন
শুনেছি বাচ্চা হয় ১০মাসে, তিন মাসে হয় এটা কেমনে সম্ভব চাচা?
দাদা কথাটা শুনে ভাবলো আসলেইতো, আমিতো বাবা হওয়ার খুশীতে ভুলেই গিয়েছিলাম হিসাবটা।
দাদা জলদি করে বাড়ি এলো।
বউকে ডেকে বললো 10 মাসের বাচ্চা তিন মাসে হলো কেমনে?
নাকি আগেই কেলেংকারী করে এসেছো কোথাও?
দাদী বলতেছে--
আরে আপনের যে কথা
আপনে বিয়া করছেন কয় মাস হইছে?
দাদাঃ তিন মাস।
দাদীঃ এইবার কন আপনের লগে আমার বিয়া হইছে কয় মাস চলছে?
দাদাঃ তিন মাস।
দাদীঃ এহন কন, বাচ্চা কতদিন পর হইছে?।
দাদাঃ তিন মাস।
দাদীঃ এইবার মোট কয় মাস অইলো?
দাদাঃ ৯মাস।
দাদীঃ ৯/১০মাসেই বাচ্চা হয়।
এক মাস আগে হইলে সংসারে উন্নতির লক্ষন।
দাদা এইবার হিসাবটা বুঝে মহা খুশীতে নেচে বলে উঠলো, আগের বউরা কয় আমার নাকি দোষ আছে।
এহন বুঝবো দোষী ওরাই ছিলো।
কিছুদিন পর বাচ্চার ঠান্ডা লাগছে।
দাদী বললো বাজার থেকে ঔষধ নিয়া আনেন।
দাদা চলে গেলো ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো, সব থেকে ভালো ঔষধ দিবেন।
আমার বংশে প্রথম বাত্তি জ্বলছে, কোন সমস্যা যেনো না হয়।
এ ডাক্তার দাদার সমস্যা আগেই জানতো, মকবুল দাদার বাবা হওয়ার যোগ্যতা নেই।
গোপনে দাদীরা টেস্ট করিয়ে নিছে।
ডাক্তারঃ শুনলাম আপনি আবার বিয়ে করেছেন?
দাদাঃ হুম ঠিক, আর এ ঘরের আমার সন্তান আসছে৷
আগের বউরা বলতো আমার দোষ আছে, এইবার আমি প্রমাণ করছি আমার কোন দোষ নেই।
ডাক্তারঃ জ্বি তা করেছেন বেশ, এবং খুব তারাতারি প্রমাণ করেছেন।
তিন মাস পরেই।
দাদাঃ জে সবি উপরওয়ালার কৃপা।
ডাক্তারঃ আচ্ছা আপনার হাতে এটা কি?
দাদাঃ লাঠি।
ডাক্তারঃ কতদিন ধরে এটা সাথে রাখেন।
দাদাঃ তাওতো 14 বছর চলে গেছে।
ডাক্তারঃ তাহলে এটাতো এতদিন বন্দুক হয়ে গেছে আপনার স্পর্শে।
দাদাঃ কি কও ডাক্তার বুঝিনাতো।
ডাক্তারঃ আচ্ছা ধরুন, আপনি দেখলেন আপনার আখ ক্ষেতে কিছু শেয়াল আখ খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।
তখন আপনি এই লাঠি দিয়ে শিয়ালকে গুলি করলেন, এবং শেয়াল মরে গেলো।
তখন আপনার কেমন লাগবে?
দাদাঃ আমি এই বয়সে নিজের বউরেই দেখতে পাইনা ঠিকমতো, চোখে কম দেখি বলে।
আর শেয়াল দেখুম আখ ক্ষেতে।
ডাক্তারঃ মনে করেন আপনি দেখেছেন।
দাদাঃ আমি কি গাধা নাকি, লাঠি দিয়া গুলি বের হইবো, আর শেয়াল মইরা যাইবো৷
ডাক্তারঃ কিন্তু শেয়াল মরেছে, আপনি একটু ভাবেন কি করে সম্ভব?
দাদাঃ নিশ্চয়ই অন্য কেউ ছিলো আড়ালে, আর তার আসল বন্দুক ছিলো।
আর সেটা দিয়ে গুলি করেই শেয়াল মারছে।
ডাক্তারঃ ঠিক বলেছেন।
এবার লাঠি দিয়ে যখন গুলি বের হলোনা, এখন বাড়ি গিয়ে ভাবুন, তাহলে আপনি বাবা হলেন কি করে।
আবুল বুড়ো ভাবতে ভাবতে বাড়ির দিকে হাটা দিলো ঔষধ রেখে।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৯/১২/২০১৯দুর্দান্ত !!!
-
শাহীন রহমান (রুদ্র) ২৯/১২/২০১৯সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৯/১২/২০১৯হাঃ হাঃ