কলেজের স্মৃতি
দেখতে দেখতে এসএসসি পরীক্ষা টা শেষ হয়ে গেল। পরীক্ষার রেজাল্ট না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। বাবা কাছে বললাম, পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে অনেক দেরি। এরই মধ্যে এ আমি কম্পিউটার এর কোচিং করতে চাই।বাবা বললেন ঠিক আছে, তোমার যদি ভাল হয় করো।আমাদের গ্রামের পাশেই বাজার সেইখানে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হই। ট্রেনিং শেষ হতে না হতেই রেজাল্ট দেওয়ার সময় চলে আসে। রাতে খাবার সেরে ঘুমাতে যাই। পরদিন সকালে, আমার বন্ধু ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে দোস্ত আজকে রেজাল্ট দিবে।ভয়ে আমার বুকটা কাপে। স্কুলে গিয়ে রেজাল্টটা নিয়ে আসলাম।ফোর পয়েন্ট 60 পেয়েছি।বাবা মাকে এসে বললাম,শুনে বাবা মা খুশি হলেন।
রেজাল্টের পর অনেকদিন ঘোরাঘুরি করা হলো। কোন কিছু ভাল লাগেনা বাবা বললেন এভাবে ঘোরাঘুরি না করে,কোন জায়গায় ভর্তি হয়ে যাও। কোথায় ভর্তি হব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। বড় ভাইদের কাছে জিজ্ঞাসা করি, কোথায় ভর্তি হলে ভালো হয়। আপনারা বলবেন কি, একেক জন, একেক জায়গায় ভর্তি হতে বলে আমাকে। কোন কিছুই ভালো লাগেনা, হঠাৎ এক বড় ভাই এসে বলল, তুমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হও। এখানে কর্ম আছে। বড় ভাইয়ের কথাটা আমার ভালো লেগে গেল।বড় ভাই বলল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি ফরম ছেড়েছে।আমি টাংগাইল গিয়ে ফর্মটা উঠিয়ে নিলাম। ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, আমি চান্স পেয়ে গেলাম নোয়াখালীতে।এখন আমাকে নোয়াখালীতে যেতে হবে।
এর আগে কোনদিন বাবা-মাকে ছেড়ে এক রাতে থাকিনি। পরদিন সকালে আমাকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে।সারারাত ঘুমাতে পারিনি শুধু চোখের পানি ঝরেছে।কেমনে থাকব বাবা-মাকে ছেড়ে, -এ গ্রামের মানুষকে ছেড়ে,মাকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না মা ও আমার সাথে কান্নাকাটি করে। বাবার সাথে চলে এলাম নোয়াখালীতে। বাবা ঘুরে ঘুরে একটা ম্যাচ ঠিক করে দিলেন।এরপর আমাকে ভর্তি করে দিলেন।
পরদিন সকালে বাবা চলে এলেন বাড়িতে। আমি একা শুধু কাঁদতে থাকি কেমনে থাকব।আমার রুমমেট একই ক্লাসে পড়ি, ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমি আমার বন্ধু দুজনে শ্রেণিকক্ষে চলে গেলাম। ক্লাস শেষে মেসে ফিরে এলাম। দুজন গল্প করে ভালোই কাটিয়ে দিলাম দিন টা। পরদিন সকালেই বড় ভাইয়েরা বাজার করার জন্য। আমাদের দুজনকে পাঠালো, কাঁচা বাজার শেষ করে। আমরা দুজন মাংস কেনার জন্য যাই। 5 কেজি মাংস দিতে বলি মাংস দাড়ি পাল্লায় উঠানোর সময় দেখি হার বেশি দিয়েছে।আমি বললাম ভাই হার বেশি গিয়েছে, মাংস দেন, মাংসের দোকানদার আমাকে চাপাটি দেখিয়ে বলে, আমার হাতে দেখছো এটা কি যা দিয়েছি তা নিয়ে চলে যা। ভয় কিছু না বলে চলে আসলাম, ভীষণ ভয় পেয়ে গেছিলাম ঐদি।
পরদিন সকালে কলেজে যাওয়ার আগে মার সাথে কথা বলি মা বললেন।কেমন আছো বাবা, আমি বললাম ভালো আছি মা। মা বললেন তোর জন্য একটা খুশির সংবাদ আছে। আমি বললাম মাকিসে সংবাদ। মা বললেন তোর দুলাভাই তোর জন্য একটা মোবাইল পাঠিয়েছে। তোর মামাকে দিয়ে পাঠিয়ে দেবো কাল।মামা আমাকে মোবাইলটা দিতে আসে। মোবাইলটা পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। কয়েকদিন পর একরাতে আমার মোবাইলটা চুরি হয়ে যায়।সকালে বড় ভাইদের কাছে বিচার দেই।অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোরকে ধরতে পারি।চোর বলে মোবাইলটা এলাকার পোলাপান কে দিয়েছি,সে মোবাইল ফিরিয়ে দিতে পারবে না।এজন্য বড় ভাইয়েরা তাকে অনেক মারধর করে। চোর মাইর খেয়ে এলাকার ছেলেদের বলে দেয়। শুনে এলাকার ছেলেরা আমাকে মারার জন্য মেসে আসে। বড় ভাইয়েরা বাঁচিয়ে দেয়। এলাকার ছেলেদের ভয়ে আমাকে রুমে আটকে রাখে। ওনারা কলেজে চলে যায়। এভাবে চলতে থাকে, অনেকদিন, একদিন আমার বন্ধুকে ওরা ধরে নিয়ে যায়। ওরা বলে তোর বন্ধুকে আমাদের কাছে না দেস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো। বন্ধু এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে। আমিও তার সাথে কান্নাকাটি করতে থাকি।বড় ভাইদের মাধ্যমে বিষয়টা কলেজের প্রিন্সিপাল কে জানাই।প্রিন্সিপাল আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে আনে।সবকিছু বুঝিয়ে বলে আমাকে টান্সফার করে দেয়। টাঙ্গাইলে টিসি নিয়ে আমি আর বাবা চলে আসি। আমাদের হোম ডিসটিক টাঙ্গাইলে ভর্তি হই।
রেজাল্টের পর অনেকদিন ঘোরাঘুরি করা হলো। কোন কিছু ভাল লাগেনা বাবা বললেন এভাবে ঘোরাঘুরি না করে,কোন জায়গায় ভর্তি হয়ে যাও। কোথায় ভর্তি হব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। বড় ভাইদের কাছে জিজ্ঞাসা করি, কোথায় ভর্তি হলে ভালো হয়। আপনারা বলবেন কি, একেক জন, একেক জায়গায় ভর্তি হতে বলে আমাকে। কোন কিছুই ভালো লাগেনা, হঠাৎ এক বড় ভাই এসে বলল, তুমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হও। এখানে কর্ম আছে। বড় ভাইয়ের কথাটা আমার ভালো লেগে গেল।বড় ভাই বলল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি ফরম ছেড়েছে।আমি টাংগাইল গিয়ে ফর্মটা উঠিয়ে নিলাম। ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, আমি চান্স পেয়ে গেলাম নোয়াখালীতে।এখন আমাকে নোয়াখালীতে যেতে হবে।
এর আগে কোনদিন বাবা-মাকে ছেড়ে এক রাতে থাকিনি। পরদিন সকালে আমাকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে।সারারাত ঘুমাতে পারিনি শুধু চোখের পানি ঝরেছে।কেমনে থাকব বাবা-মাকে ছেড়ে, -এ গ্রামের মানুষকে ছেড়ে,মাকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না মা ও আমার সাথে কান্নাকাটি করে। বাবার সাথে চলে এলাম নোয়াখালীতে। বাবা ঘুরে ঘুরে একটা ম্যাচ ঠিক করে দিলেন।এরপর আমাকে ভর্তি করে দিলেন।
পরদিন সকালে বাবা চলে এলেন বাড়িতে। আমি একা শুধু কাঁদতে থাকি কেমনে থাকব।আমার রুমমেট একই ক্লাসে পড়ি, ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমি আমার বন্ধু দুজনে শ্রেণিকক্ষে চলে গেলাম। ক্লাস শেষে মেসে ফিরে এলাম। দুজন গল্প করে ভালোই কাটিয়ে দিলাম দিন টা। পরদিন সকালেই বড় ভাইয়েরা বাজার করার জন্য। আমাদের দুজনকে পাঠালো, কাঁচা বাজার শেষ করে। আমরা দুজন মাংস কেনার জন্য যাই। 5 কেজি মাংস দিতে বলি মাংস দাড়ি পাল্লায় উঠানোর সময় দেখি হার বেশি দিয়েছে।আমি বললাম ভাই হার বেশি গিয়েছে, মাংস দেন, মাংসের দোকানদার আমাকে চাপাটি দেখিয়ে বলে, আমার হাতে দেখছো এটা কি যা দিয়েছি তা নিয়ে চলে যা। ভয় কিছু না বলে চলে আসলাম, ভীষণ ভয় পেয়ে গেছিলাম ঐদি।
পরদিন সকালে কলেজে যাওয়ার আগে মার সাথে কথা বলি মা বললেন।কেমন আছো বাবা, আমি বললাম ভালো আছি মা। মা বললেন তোর জন্য একটা খুশির সংবাদ আছে। আমি বললাম মাকিসে সংবাদ। মা বললেন তোর দুলাভাই তোর জন্য একটা মোবাইল পাঠিয়েছে। তোর মামাকে দিয়ে পাঠিয়ে দেবো কাল।মামা আমাকে মোবাইলটা দিতে আসে। মোবাইলটা পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। কয়েকদিন পর একরাতে আমার মোবাইলটা চুরি হয়ে যায়।সকালে বড় ভাইদের কাছে বিচার দেই।অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোরকে ধরতে পারি।চোর বলে মোবাইলটা এলাকার পোলাপান কে দিয়েছি,সে মোবাইল ফিরিয়ে দিতে পারবে না।এজন্য বড় ভাইয়েরা তাকে অনেক মারধর করে। চোর মাইর খেয়ে এলাকার ছেলেদের বলে দেয়। শুনে এলাকার ছেলেরা আমাকে মারার জন্য মেসে আসে। বড় ভাইয়েরা বাঁচিয়ে দেয়। এলাকার ছেলেদের ভয়ে আমাকে রুমে আটকে রাখে। ওনারা কলেজে চলে যায়। এভাবে চলতে থাকে, অনেকদিন, একদিন আমার বন্ধুকে ওরা ধরে নিয়ে যায়। ওরা বলে তোর বন্ধুকে আমাদের কাছে না দেস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো। বন্ধু এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে। আমিও তার সাথে কান্নাকাটি করতে থাকি।বড় ভাইদের মাধ্যমে বিষয়টা কলেজের প্রিন্সিপাল কে জানাই।প্রিন্সিপাল আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে আনে।সবকিছু বুঝিয়ে বলে আমাকে টান্সফার করে দেয়। টাঙ্গাইলে টিসি নিয়ে আমি আর বাবা চলে আসি। আমাদের হোম ডিসটিক টাঙ্গাইলে ভর্তি হই।
প্রতিটি মানুষের জীবনের গল্পগুলো কস্টের।
তাহলে পড়তে ভালো লাগবে।
ব্লগে স্বাগতম।