গন্তব্যহীন পথিক
সুবাস বদলে অনাহুত, বুকে জমেছে কালো ক্ষত
হয়ত কেউ হারিয়ে যাবে, হয়ত কেউ ছাড়িয়ে যাবে
সীমানা, বন্ধুর পথ মেড়ে, আর আমি দিনের আলোয়
রইব পড়ে অনাহারে, শুষ্ক ঠোঁটে ভেজা আঁধারে।
ভীত সন্ত্রস্ত কম্পন বুকে দাপায়, অসাড় দেহ
এলিয়ে পড়েছে সবুজ ঘাসের বিছানায়
এসেছিল ঝড় বিষণ্ণ মনে খুজেছিলে একটু আশা
নিঃশব্দ কোলাহলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ হুমড়ি দেয়
রক্তাক্ত স্বপনে আর হতাশায়, আঁধারে জোনাকির বাহানায়।
আরক্তি বাসনা নিয়ে চেয়েছ একটু জল
তাও পেয়েছ কেঁদে ক্ষুধার মন্ত্র বেধে।
পড়ে আছি জড়সড় ধ্বংসস্তূপের এক কোনে
জীবন্ত মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, অসহ্য যন্ত্রণা তাড়িয়ে চলছে
আমার বুকের দীর্ঘশ্বাস ওই সাগরে দুলছে
বুঝি পথ খোঁজো কূপ মেড়ে, তাই উঠেছে পাহাড় সমান বেড়ে
চোখ মেলে দেখ ধ্রুমজাল, চেয়েছ করতে তোমার মহাকাল
রক্তের কণায় জাগে অবিরত চরম হাহাকার
স্বপ্ন দেখতে সাহস জাগেনা
অবচেতন দেহ, মোড়া আধা কবর, বুঝিগো জীবনের ছলনা
তাই দিন আর বাড়েনা।
যতবার উঠেছ পারনিকো দাড়াতে
হে বিমুখ বিশ্ব তুমিও পারনি হাত বাড়াতে
ছিল কিনা বদ্দ আশা নীল আকাশের আসরে
কচি মেঘের বহরে তোমার ভাবনা ওড়ে ভাসা ভাসা
ছুতে পারোনি বলাকার ডানা
ছোঁ দিয়ে নিয়ে গেছে সাগর কিনারে
তোমার গোধূলি বিকেল বার বার দিয়েছে হানা
যুদ্ধ শেষে ফুল ছিটাতে পারোনি প্রতীক মিনারে।
লোনা জলে দেখেছ মুখ
লুটায়ে নিয়েছে ঢেউ, বুকের একটু ফোটা সুখ
দেখেছ রক্তিম আভা দাড়ায়ে কিনারে
তপ্ত বালুচরে মরুচিকা, ভাবলো না তুমি তার, ভাবলো সে কেবা
জ্বলে জ্বলে পুড়ছে সাধের সোনার দেহ
মোহনা ভরা ছলছল এ চোখ দেখল না কেহ
ঝিনুক কুড়ায়ে পারনি গাথতে রঙ্গিন মালা
হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসে দেখবে শূন্য বালিকার ডালা।
তারি হাতে মেহেদী রঙে সেজেছে রঙ্গিন স্বপন
চোখে সরল চাহনি চাতকের মত চেয়ে আছে শূন্য প্রান্তরের দিকে
লজ্জার দুরু দুরু কাঁপন, বধুর হারিয়েছে বল
মণি কোটায় জল ছলছল ডালিম তলে দাড়িয়ে ওই
পথিক তোমার সেই বালিকা কই?
ক্লান্ত দুপুর ভেবে সারা তারও চলে যাবার তাড়া
নির্দয় ভুবনে আর কে কত
পথে দেখি ওহে বাছা ছায়া কাটতে তুমি রত।
বালুচরে ওঠেনি ধনকুটি উঠেছে কুঁড়ে ঘর
পেয়েছে কি কখনো সাগরের বর
তাওতো তারা খেলে ডুবুক না বিধ্বংসী জলে তাওতো তারা খেলে
চলছ জোয়ার চিরে একা নির্জন পথে
হাজারো ক্লান্ত পথিকের সাথে সাথে
এ চলায় হারানোর নেই কিছু
কর্মহীন ক্ষুধা রাজ্যের শাসনকর্তা হয়ে ছুটছি গন্তব্যহিনের পিছু
উন্মুক্ত আকাশ আমার বাড়ি, খালি পা বিশ্ব ভ্রমন গাড়ী
চলছি মৃত্যু সুবাস নিয়ে, চন্দ্র মহলের তাঁরা পেয়ে
হাজার বছরের পর অস্তিত্বের ভরসায়।
হয়ত কেউ হারিয়ে যাবে, হয়ত কেউ ছাড়িয়ে যাবে
সীমানা, বন্ধুর পথ মেড়ে, আর আমি দিনের আলোয়
রইব পড়ে অনাহারে, শুষ্ক ঠোঁটে ভেজা আঁধারে।
ভীত সন্ত্রস্ত কম্পন বুকে দাপায়, অসাড় দেহ
এলিয়ে পড়েছে সবুজ ঘাসের বিছানায়
এসেছিল ঝড় বিষণ্ণ মনে খুজেছিলে একটু আশা
নিঃশব্দ কোলাহলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ হুমড়ি দেয়
রক্তাক্ত স্বপনে আর হতাশায়, আঁধারে জোনাকির বাহানায়।
আরক্তি বাসনা নিয়ে চেয়েছ একটু জল
তাও পেয়েছ কেঁদে ক্ষুধার মন্ত্র বেধে।
পড়ে আছি জড়সড় ধ্বংসস্তূপের এক কোনে
জীবন্ত মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, অসহ্য যন্ত্রণা তাড়িয়ে চলছে
আমার বুকের দীর্ঘশ্বাস ওই সাগরে দুলছে
বুঝি পথ খোঁজো কূপ মেড়ে, তাই উঠেছে পাহাড় সমান বেড়ে
চোখ মেলে দেখ ধ্রুমজাল, চেয়েছ করতে তোমার মহাকাল
রক্তের কণায় জাগে অবিরত চরম হাহাকার
স্বপ্ন দেখতে সাহস জাগেনা
অবচেতন দেহ, মোড়া আধা কবর, বুঝিগো জীবনের ছলনা
তাই দিন আর বাড়েনা।
যতবার উঠেছ পারনিকো দাড়াতে
হে বিমুখ বিশ্ব তুমিও পারনি হাত বাড়াতে
ছিল কিনা বদ্দ আশা নীল আকাশের আসরে
কচি মেঘের বহরে তোমার ভাবনা ওড়ে ভাসা ভাসা
ছুতে পারোনি বলাকার ডানা
ছোঁ দিয়ে নিয়ে গেছে সাগর কিনারে
তোমার গোধূলি বিকেল বার বার দিয়েছে হানা
যুদ্ধ শেষে ফুল ছিটাতে পারোনি প্রতীক মিনারে।
লোনা জলে দেখেছ মুখ
লুটায়ে নিয়েছে ঢেউ, বুকের একটু ফোটা সুখ
দেখেছ রক্তিম আভা দাড়ায়ে কিনারে
তপ্ত বালুচরে মরুচিকা, ভাবলো না তুমি তার, ভাবলো সে কেবা
জ্বলে জ্বলে পুড়ছে সাধের সোনার দেহ
মোহনা ভরা ছলছল এ চোখ দেখল না কেহ
ঝিনুক কুড়ায়ে পারনি গাথতে রঙ্গিন মালা
হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসে দেখবে শূন্য বালিকার ডালা।
তারি হাতে মেহেদী রঙে সেজেছে রঙ্গিন স্বপন
চোখে সরল চাহনি চাতকের মত চেয়ে আছে শূন্য প্রান্তরের দিকে
লজ্জার দুরু দুরু কাঁপন, বধুর হারিয়েছে বল
মণি কোটায় জল ছলছল ডালিম তলে দাড়িয়ে ওই
পথিক তোমার সেই বালিকা কই?
ক্লান্ত দুপুর ভেবে সারা তারও চলে যাবার তাড়া
নির্দয় ভুবনে আর কে কত
পথে দেখি ওহে বাছা ছায়া কাটতে তুমি রত।
বালুচরে ওঠেনি ধনকুটি উঠেছে কুঁড়ে ঘর
পেয়েছে কি কখনো সাগরের বর
তাওতো তারা খেলে ডুবুক না বিধ্বংসী জলে তাওতো তারা খেলে
চলছ জোয়ার চিরে একা নির্জন পথে
হাজারো ক্লান্ত পথিকের সাথে সাথে
এ চলায় হারানোর নেই কিছু
কর্মহীন ক্ষুধা রাজ্যের শাসনকর্তা হয়ে ছুটছি গন্তব্যহিনের পিছু
উন্মুক্ত আকাশ আমার বাড়ি, খালি পা বিশ্ব ভ্রমন গাড়ী
চলছি মৃত্যু সুবাস নিয়ে, চন্দ্র মহলের তাঁরা পেয়ে
হাজার বছরের পর অস্তিত্বের ভরসায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাঁঝের তারা ২৬/০১/২০১৮একটু বেশী বড় হয়েছে - তবু বেশ ভালো
-
আব্দুল হক ২৫/০১/২০১৮বেশ সুন্দর ,ধন্যবাদ!