বৃদ্ধ বীর
চলতে গিয়ে ঢলে পড়ি আবছা ঘুমের কোলে
আমি নিথর পথ যে দাদু দোলে
হারের খেলায় নিশ্চুপায়ে দাড়িয়ে থাকি ফাকে
হাতজোড়ে মিনতি করি সামনে পাই যাকে
ঝলসানো বুলি মুখে মানায় না এখন
কাঁদো স্বরে আর্তনাদ করি পাশে কেউ থাকেনা যখন
রক্তের উত্তাল ঢেউ শান্ত আর নির্বাক
গর্জন প্রলয়ে ছাড়া হয়নি আর হাঁক।
সেই আমি বৃদ্ধ বেজার মোর প্রাণ প্রিয়
নাজেহালে করে রাখে স্তব্দ, বাঁধনে বেধে ব্যাথার হইচই।
ক্ষীণ কণ্ঠের দ্বারে চাপা স্বর
বয়স্ক দানব দেহে করেছে ভর
ছাড়াতে পারে নাই এমন কবিরাজ
ধ্বংস ধূলায় দেহ পড়েছে ভাঁজ।
প্রতীক্ষিত ধুমকেতুর উদয় নীল গগণের গাঁয়
ধার পড়ে আছে শূন্য বাঁকে, আমারও তেমনি তাই
ক্ষান্ত কলহ ঘাটি করিছে মনের রাগে
জল বিনে শুকেছে, ফুল ঝরেছে শাঁখে
নয়া খ্যাতি করেছি জাহির, বাহির করে সন্ধান
বয়সের হেরফেরে ভাঁটার ঘাটে বাঁধে অপমান।
রঙ্গিন কালে ছিলা না অলস মতি
জীবন মামলায় সেই এখন বাদী
নত মস্তকে চলি বৃথা আস্ফালনে জ্বলি
উষ্ম তরঙ্গ বেয়ে, জ্বলে না আর বর্ণালী
মুঢ়তা আতঙ্কে গেছে ছেয়ে
থর থর কাপে হাত দুরাশার হুলে
আলোতে বয় ক্ষীণ বাত পথ হারানোর ভুলে।
অবশিষ্ট রণ সংগ্রামে ঘুণে ধরা লাঠি
হারালে হারায়, পরাণ নামের কাঠি
সেও আজ অনাশ্রিত আমি বিনে
বেহুশে হারায় ধ্যান কাঁদি তার সনে
ভারে থেমে গেছে নির্দয় লাঠির গতি
ফুড়ে আর চেতেনা আকাশ পাতাল ভেদী।
দুপা এখন বার ভূতের ডাঙ
দেহ আমার বোঝা তুল্য সাং
দুর্গতিতে পার হতাম উজানে লক্ষ কাঠা
এখন পাঁচ পরাণের দুই পরাণ
লাঠি আর ছেঁচা পানের বাটা
দুর্দম পথে বিছায় বন্য শখের ঘ্রাণ
অক্ষমের সক্ষমতা অস্ত গেছে গাঙে
বেহুদা ভরা সাঁঝে গণ্ড বাধায়ে মোর কাঠা ভাঙে।
অপয়া অনড় থাকলো অবিবেকী হাসে
বিলাপ লুটাল হরদম বজ্জাৎ গ্রাসে
না হয় পড়েছি জড়তার ফাঁদে
আমিও বীর বয়সের বিবাদে
অনুরাগে সঁপে সকল দান
আন্দোলনে কম্পেছে প্রজ্বলিত জ্ঞান।
মনে নেই দ্বন্দ্ব নেই সংশয়
কঠিন তলে হারিয়ে যাব জাগেনা ভয়
সেই আমি বীর
লাঠির ভরে যার চলা অতি ধীর।
আমি নিথর পথ যে দাদু দোলে
হারের খেলায় নিশ্চুপায়ে দাড়িয়ে থাকি ফাকে
হাতজোড়ে মিনতি করি সামনে পাই যাকে
ঝলসানো বুলি মুখে মানায় না এখন
কাঁদো স্বরে আর্তনাদ করি পাশে কেউ থাকেনা যখন
রক্তের উত্তাল ঢেউ শান্ত আর নির্বাক
গর্জন প্রলয়ে ছাড়া হয়নি আর হাঁক।
সেই আমি বৃদ্ধ বেজার মোর প্রাণ প্রিয়
নাজেহালে করে রাখে স্তব্দ, বাঁধনে বেধে ব্যাথার হইচই।
ক্ষীণ কণ্ঠের দ্বারে চাপা স্বর
বয়স্ক দানব দেহে করেছে ভর
ছাড়াতে পারে নাই এমন কবিরাজ
ধ্বংস ধূলায় দেহ পড়েছে ভাঁজ।
প্রতীক্ষিত ধুমকেতুর উদয় নীল গগণের গাঁয়
ধার পড়ে আছে শূন্য বাঁকে, আমারও তেমনি তাই
ক্ষান্ত কলহ ঘাটি করিছে মনের রাগে
জল বিনে শুকেছে, ফুল ঝরেছে শাঁখে
নয়া খ্যাতি করেছি জাহির, বাহির করে সন্ধান
বয়সের হেরফেরে ভাঁটার ঘাটে বাঁধে অপমান।
রঙ্গিন কালে ছিলা না অলস মতি
জীবন মামলায় সেই এখন বাদী
নত মস্তকে চলি বৃথা আস্ফালনে জ্বলি
উষ্ম তরঙ্গ বেয়ে, জ্বলে না আর বর্ণালী
মুঢ়তা আতঙ্কে গেছে ছেয়ে
থর থর কাপে হাত দুরাশার হুলে
আলোতে বয় ক্ষীণ বাত পথ হারানোর ভুলে।
অবশিষ্ট রণ সংগ্রামে ঘুণে ধরা লাঠি
হারালে হারায়, পরাণ নামের কাঠি
সেও আজ অনাশ্রিত আমি বিনে
বেহুশে হারায় ধ্যান কাঁদি তার সনে
ভারে থেমে গেছে নির্দয় লাঠির গতি
ফুড়ে আর চেতেনা আকাশ পাতাল ভেদী।
দুপা এখন বার ভূতের ডাঙ
দেহ আমার বোঝা তুল্য সাং
দুর্গতিতে পার হতাম উজানে লক্ষ কাঠা
এখন পাঁচ পরাণের দুই পরাণ
লাঠি আর ছেঁচা পানের বাটা
দুর্দম পথে বিছায় বন্য শখের ঘ্রাণ
অক্ষমের সক্ষমতা অস্ত গেছে গাঙে
বেহুদা ভরা সাঁঝে গণ্ড বাধায়ে মোর কাঠা ভাঙে।
অপয়া অনড় থাকলো অবিবেকী হাসে
বিলাপ লুটাল হরদম বজ্জাৎ গ্রাসে
না হয় পড়েছি জড়তার ফাঁদে
আমিও বীর বয়সের বিবাদে
অনুরাগে সঁপে সকল দান
আন্দোলনে কম্পেছে প্রজ্বলিত জ্ঞান।
মনে নেই দ্বন্দ্ব নেই সংশয়
কঠিন তলে হারিয়ে যাব জাগেনা ভয়
সেই আমি বীর
লাঠির ভরে যার চলা অতি ধীর।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তাবেরী ২২/০১/২০১৮অসাধারন।