অনন্ত শৈশব
জ্যোৎস্না রাজ রাত পোহাল মেঘের ভেলায় ভেসে
প্রভাত জোটে আঁধার ছোটে থোকনা মায়ায় হেসে
ভোরের কিরণ আসে দ্বায় ঝুন ঝুন নুপুর পায়
হিজল বনে বাহারি ফুল দোয়েল টিয়া ডেকে যায়
রক্ত করবী ঝিঙ্গে জবা হিমেল হাওয়ায় খায় দোলা
ঘর ছেড়ে মাঠের পানে পল্লী গানে মনভোলা।
আমি রাখাল হই সকাল বাঁশির সুরে উতলা
কাজল বিলে শাপলা ফুলে মনের কথা যায় বলা
ঘুঘুর বাসা ঠাসা ঠাসা পাড়ায় পাড়ায় খোজ আনা
অবাক হয়ে রই চেয়ে বাবুই পাখির জাল বোনা
মাটির হাড়ি বাসন কোসন তাল পাতার ঘর দোতলা
পুতুল বিয়ের আয়োজনে ভর দুপুরে হয় খেলা।
ইতল বিতল চিতল পাটি পাঠে মন উদাসীন
সাপুড়ের সাপের খেলা ছন্দে ছন্দে বাজায় বীণ
ঢোলক বাজায় ঢুলকি আর পালকি চলে নেচে
স্রোত ঢেলে ডাঙ্গায় উঠি জীবনখানি বেঁচে
ডাংগুলির ডাল লাগলে গায়ে কাকায় ওঠেন চেতে
মা ডেকে পায়না আমায় থাকি হই হুল্লুরে মেতে।
বেহায়া মন বুজবি তখন খাবি যখন কানমলা
বৈশাখ ঝড়ে আম কুড়ানি? ভয়ে সবে স্কুল পলা
বাঁদর খেলা বাঁদর নাচ তোরা সবে দেখবি আজ
খই ফুটিয়ে চলছে বেত ফেলে দিয়ে সকল কাজ
আমার মত চলছি আমি ঝাকি দিয়ে নড়ায় গাছ
বাবার চোখ ফাকি দিয়ে গান আসরে ফড়িং বাজ।
*****************************
সবি তেমনি আছে নাকি ধুলো পড়ে গেছে কে জানে
রাত্রি কাটে আনমনে নিরালায়
চোখ বেয়ে জল আসে ঘন মেঘের শীতল বনে
মন ভাসে না আর বাদল নায়
বন্দনা করি তোমার একটুখানি দাও আলো
হাত ধরে নিয়ে চল অতীত দুয়ার খুলে
পুষ্পের সুবাসে বেস ভালো
স্বপ্নের মালা পড়ে ছোব তোমারে যেদিন।
অধীর আকুলে গাই আগমনী গান
সাঁঝ বেলা রুদ্ধতা না থাক অম্লান
সুখ নিয়ে দোলে জানি স্বর্গের মধুর সুখ
চোখ মেলে দেখা হয়নি হাস্যজ্বল সোনার কচি মুখ
আজি কলুষিত মন আকাশে বাজে তিক্ত সুর
অন্ধ ঘর ছেড়ে পালিয়েছে পবিত্র শান্তির নূর
অভিমানে বুক কাপে দুর দুর
ভ্যাপসা দিনে ভুলে গেছি তোমার দেয়া সুর।
আজো গগণে ওঠে বুঝি লাল বর্ণের ছবি
আনন্দে হাসে ভুবন আমি আঁধারে ডুবি
আলোর ঝলক চমকিত হয় এসে আমার দ্বারে
চাঁপা ক্রন্দন নীল জ্বলে কেঁপে ক্ষেপে মরে
দিনের আমন্ত্রণে ভেড়ে অশান্ত আঁধার
শোঁশোঁ আঘাতে চড়ায় পাথার
কূল ভেসে কূল স্মৃতি ভেসে যাওয়া
ভেবে হয়রান কিছু না পাওয়া।
সাধ করে বাঁধ পাড়ে নেচে নেচে কথা
চোখ থেকে জল পড়ে ঝরে যত ব্যাথা
বিরহিণী হয়ে আমি খুজি ওদের পরে
খুজে যাই যা নাই নিত্য উপচে পড়ে
ওদেরই হাত ধরে।
ঘুম আসে কাঁধে বসে স্বপ্ন আলিঙ্গনে
যত বাঁধা যত নিষেধ গুম হয় নির্জনে।
ভীরু ভীরু কাঁপে বুক হেরে যায় যত সুখ
সবুজ আলতার মাঠ পানে
মাগো আজ যে আমার শৈশবে ফিরে যেতে মন টানে
খাঁ খাঁ রৌদ্রের ঘামে ভেজা টনক
একে যাই কর্ম দিয়ে জীবনের জনক
যে দিন দেখবে খুটি বটের তলায় পাঠশালায়
উঠবে কাঁধে শাপলার আটি রাখালি সুর বাজবে গলায়
মটরশুঁটি গম চোরা এক মুঠে
এক মালা হাজার ফুল জুটে
লুকোচুরি সন্ধান করি অদূর পল্লী মাঠে।
সব আলো নিভেছে চারিদিক হাহাকার
পাড়াগাঁয়ের স্মৃতি মনে দোল খায় বারবার
শৈশব রাজ্যে আনন্দ ঝরে মায়া ভরা গোস্বায়
এতো সম্মান আজি ঢোলক বাজি ঝোলে গলে
তবু তার তরে অবসরে ওতো কিছু নয়।
শান্তি দাও আমায় ওহে শৈশব প্রিয়তম
কচি হাতে গড়া ছনের মাটির ঘরে
অপারে পলকহীন জীবন কারবারে
নেব তোমার তরে শেষ বেলার দম।
প্রভাত জোটে আঁধার ছোটে থোকনা মায়ায় হেসে
ভোরের কিরণ আসে দ্বায় ঝুন ঝুন নুপুর পায়
হিজল বনে বাহারি ফুল দোয়েল টিয়া ডেকে যায়
রক্ত করবী ঝিঙ্গে জবা হিমেল হাওয়ায় খায় দোলা
ঘর ছেড়ে মাঠের পানে পল্লী গানে মনভোলা।
আমি রাখাল হই সকাল বাঁশির সুরে উতলা
কাজল বিলে শাপলা ফুলে মনের কথা যায় বলা
ঘুঘুর বাসা ঠাসা ঠাসা পাড়ায় পাড়ায় খোজ আনা
অবাক হয়ে রই চেয়ে বাবুই পাখির জাল বোনা
মাটির হাড়ি বাসন কোসন তাল পাতার ঘর দোতলা
পুতুল বিয়ের আয়োজনে ভর দুপুরে হয় খেলা।
ইতল বিতল চিতল পাটি পাঠে মন উদাসীন
সাপুড়ের সাপের খেলা ছন্দে ছন্দে বাজায় বীণ
ঢোলক বাজায় ঢুলকি আর পালকি চলে নেচে
স্রোত ঢেলে ডাঙ্গায় উঠি জীবনখানি বেঁচে
ডাংগুলির ডাল লাগলে গায়ে কাকায় ওঠেন চেতে
মা ডেকে পায়না আমায় থাকি হই হুল্লুরে মেতে।
বেহায়া মন বুজবি তখন খাবি যখন কানমলা
বৈশাখ ঝড়ে আম কুড়ানি? ভয়ে সবে স্কুল পলা
বাঁদর খেলা বাঁদর নাচ তোরা সবে দেখবি আজ
খই ফুটিয়ে চলছে বেত ফেলে দিয়ে সকল কাজ
আমার মত চলছি আমি ঝাকি দিয়ে নড়ায় গাছ
বাবার চোখ ফাকি দিয়ে গান আসরে ফড়িং বাজ।
*****************************
সবি তেমনি আছে নাকি ধুলো পড়ে গেছে কে জানে
রাত্রি কাটে আনমনে নিরালায়
চোখ বেয়ে জল আসে ঘন মেঘের শীতল বনে
মন ভাসে না আর বাদল নায়
বন্দনা করি তোমার একটুখানি দাও আলো
হাত ধরে নিয়ে চল অতীত দুয়ার খুলে
পুষ্পের সুবাসে বেস ভালো
স্বপ্নের মালা পড়ে ছোব তোমারে যেদিন।
অধীর আকুলে গাই আগমনী গান
সাঁঝ বেলা রুদ্ধতা না থাক অম্লান
সুখ নিয়ে দোলে জানি স্বর্গের মধুর সুখ
চোখ মেলে দেখা হয়নি হাস্যজ্বল সোনার কচি মুখ
আজি কলুষিত মন আকাশে বাজে তিক্ত সুর
অন্ধ ঘর ছেড়ে পালিয়েছে পবিত্র শান্তির নূর
অভিমানে বুক কাপে দুর দুর
ভ্যাপসা দিনে ভুলে গেছি তোমার দেয়া সুর।
আজো গগণে ওঠে বুঝি লাল বর্ণের ছবি
আনন্দে হাসে ভুবন আমি আঁধারে ডুবি
আলোর ঝলক চমকিত হয় এসে আমার দ্বারে
চাঁপা ক্রন্দন নীল জ্বলে কেঁপে ক্ষেপে মরে
দিনের আমন্ত্রণে ভেড়ে অশান্ত আঁধার
শোঁশোঁ আঘাতে চড়ায় পাথার
কূল ভেসে কূল স্মৃতি ভেসে যাওয়া
ভেবে হয়রান কিছু না পাওয়া।
সাধ করে বাঁধ পাড়ে নেচে নেচে কথা
চোখ থেকে জল পড়ে ঝরে যত ব্যাথা
বিরহিণী হয়ে আমি খুজি ওদের পরে
খুজে যাই যা নাই নিত্য উপচে পড়ে
ওদেরই হাত ধরে।
ঘুম আসে কাঁধে বসে স্বপ্ন আলিঙ্গনে
যত বাঁধা যত নিষেধ গুম হয় নির্জনে।
ভীরু ভীরু কাঁপে বুক হেরে যায় যত সুখ
সবুজ আলতার মাঠ পানে
মাগো আজ যে আমার শৈশবে ফিরে যেতে মন টানে
খাঁ খাঁ রৌদ্রের ঘামে ভেজা টনক
একে যাই কর্ম দিয়ে জীবনের জনক
যে দিন দেখবে খুটি বটের তলায় পাঠশালায়
উঠবে কাঁধে শাপলার আটি রাখালি সুর বাজবে গলায়
মটরশুঁটি গম চোরা এক মুঠে
এক মালা হাজার ফুল জুটে
লুকোচুরি সন্ধান করি অদূর পল্লী মাঠে।
সব আলো নিভেছে চারিদিক হাহাকার
পাড়াগাঁয়ের স্মৃতি মনে দোল খায় বারবার
শৈশব রাজ্যে আনন্দ ঝরে মায়া ভরা গোস্বায়
এতো সম্মান আজি ঢোলক বাজি ঝোলে গলে
তবু তার তরে অবসরে ওতো কিছু নয়।
শান্তি দাও আমায় ওহে শৈশব প্রিয়তম
কচি হাতে গড়া ছনের মাটির ঘরে
অপারে পলকহীন জীবন কারবারে
নেব তোমার তরে শেষ বেলার দম।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ২২/০১/২০১৮অবশেষে ভালমানের একটা কবিতা পড়তে পারলাম।কবিকে ধন্যবাদ।এরকম লেখাগুলোই চাই।
-
সুব্রত সামন্ত (বুবাই) ২০/০১/২০১৮সতন্ত্র