বিদায়ী আলাপ
আঁখি খুলিয়া রৌদ্র স্নানে তোমার ভাবনাগুলি গাঙচিলের ডানায় লিখিয়া দাও হে নবীন। উড়ুক তাহা বিশালতায় আপন মহিমায়। ধ্যান করিলেই জ্ঞান অর্জিত হইবে এমন নিয়ম বুঝি এখনো সৃষ্টি হয় নাই। আড়ষ্ট মনের বাসনা লয়ে চলি বটে তবে তা প্রকাশ করিবার দুরন্ত সাহস গোপনে বিদ্রোহ করিয়া ক্লান্ত হইয়া গিয়াছে। সদা ভয়ে চলি জগত সংসারের দায়িত্ব ভার বহিবার মত অত গভীর জ্ঞান সঞ্চয় করিতে পারিয়াছি কিনা। শুদ্ধতার প্রতিক হইয়া যাহারা সমাজে সদর্পে চলিতেছে তাহাদের নীরবতাকে বঞ্চনার প্রতিক রুপে প্রকাশ করিবার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। সতেজ পুষ্প ভোরের আলো ফুটিবার পূর্বেই ঝরিয়া গেলে তাহাতে বিচলিত হইবার মত মানুষ খুবই কম রহিয়াছে। গোঁড়ায় জল ঢালিয়া তাহাকে সেবা করিবার অযাচিত সময় মূল্যায়ন করি বটে কিন্তু পুরো জমিন খরার কবলে পড়িলে কাহাদের বেশী ক্ষতি হইবে তাহা ভাবিয়া দেখা উচিৎ। যাহারা নিজেই নিজেকে অবাঞ্চিত মনে করিয়া জগতের নিয়ম ভাঙিয়া আঙ্গিনার কোনায় ঘুমাইতে চাই তাহাদের মনের কথাগুলো শোনার মত অমন ক্ষ্যাপা মনের মানুষের আনাগোনা দিন দিন বাড়িয়া চলিতেছে। দৃষ্টির সীমানায় আকাশের শেষ দেখিয়া তাহারা ভাবিতেছে পথ চলার খ্যান্ত দেয়ায় শ্রেয়। ঝড়ের মাঝে তাহাদের আত্ন চিৎকার কাহারো কানে পৌঁছে না আঁধার ঘনিয়া আসে দেখিয়া দাঁড়াইয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে, বিজলীর ক্ষীণ আলোতেও যে বাকি জীবনটা নির্দ্বিধায় পার করিয়া দেয়া সম্ভব সেই বিশ্বাসের উপর কালো ছায়া পড়িয়া আত্নার স্পন্দনকে থামিয়া দেয়ার বাসনা খেলা করিতেছে ব্যাথার সমরহে। সংসারে তাহাকে আমন্ত্রন করিয়া কোলাহলের বাজার বসাইয়া কোলাহল হইতে বিতারন করিবার উদ্যেগ নিঃসংকোচে ফিরিয়ার দেয়ার অভ্যাস করিতে হইবে। পাথরের মাঝে সুপ্ত আগুন জগত ধ্বংস করিয়া দিতে পারে তাহারও বিচার বুদ্ধির পাঠের আয়োজন করা যাইতে পারে। আলোর প্রয়োজন রহিয়াছে বটে তবে তা আগুনের ফুলকি না হইয়া জ্যোৎস্না রাতের চাঁদের অমন মিষ্টি আলোয় জগতের লীলা দেখিতে বাসনা কি জাগিতে পারে না?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ১৫/০১/২০১৮nice
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৫/০১/২০১৮লেখার ধরণ সুন্দর, আরও লিখতে থাকুন।