ললিতার গল্প
স্মৃতির ভুবনে, হেটে চলি আঁধারে
জ্যোৎস্নাহীন রাতে, উদাস ভরা পথে
তুমি নেই বলে
নিস্তব্দ এলোমেলো হৃদয় গহীনে
ঝড়হীন বনে কিংবা ঘরের কোণে
ছমছম ভিরু মনে
ফিরে পাওয়ার তখনও সান্ত্বনা
স্মরে স্মরে ভাবনায় ভরে
করেছি তব বন্দনা।
স্বপ্নের নীল আকাশ জুড়ে
দৈত্য কালো ছায়ার ছবি
আড়ালে কাদে রবি
কি অদম্য আশা ছড়িয়ে
ধনুকের মত চোখে তাকিয়ে
সিক্ত ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় আঁচল
তখনই ছলছল চোখে জল এসে
ভিজে দেয় কাজল।
সেইতো হারিয়ে যাওয়ার ভিড়ে
রুপালী রাতে, শীতল প্রাতে
জোনাকির আলোয় তোমার কথায় ভাবি
ওহে অলীক মহীয়সী সেবী।
সেবার, কলঙ্ক মুছতে এসেছিলে আমাবর্ষায়
তারার সাথে মিলতে
একটুখানি দুহাত মেলে চলতে
অন্ধ মেরুর বাসিন্দা বলে
পাইনি তোমার ছায়া
চুরির কনকন সুরে
জলের ঢেউয়ে দুলল দুরের খেয়া।
তোমার চলে যাওয়ার পথে
ভাসছে ফুলের গন্ধ
ভ্রমর আজ থমকে ওঠে, দাড়ায় দুদণ্ড।
সবুজ ঘাসের গালিচায়
বিষণ্ণ মনে, নিঃস্ব ঋণে
পড়ে থাকে দৃষ্টি তীর
বলি, মায়ার পাখি
বেধে রাখি, শূন্য নীলে
বহুকাল পরে তুমি এলে
চলে যেতে হইওনা এত অধীর।
যাওয়ার বেলা নাইবা কিছু দিলে
হাত পেতে বা নাইবা কিছু নিলে
শখের নেশায় নামটি গেছো ভুলে।
তোমায় ডুবায় কেন, আমার নয়ন জলে?
স্বপ্নখানি ছিল কত অসীম
আজ শূন্যতায় বাজে রুঢ় সুর
বিদীর্ণ প্রানে বিষণ্ণ জ্বালা
নিয়ে এসেছ বিরহের মালা
চলেছ তুমি মহাকাশের পথে
আমি এখনও দাড়িয়ে
সমুদ্রের হিমেল হাওয়ার সাথে।
অবুঝ সাজি, চেয়ে আজি
ছোট পথ কত দূর
তোমায় স্মরি, ক্ষয়ে মরি-দীর্ঘশ্বাস।
ফেলে আসা সময় পথ আগলে থামায়
ছোট গল্প, ছোট কাব্য সুর
ব্যাবধান হয়নিকো ভাঙচুর।
অচেনা তুমি অচিনপুরে বাস
মেঘের পালকে চড়ে
নিস্তল দিঘীর সরবরে
এইতো ভাবি হাত বাড়ালে
চোখ মেলে যাও আড়ালে
ঘোমটা টান দেখব বলে
শুধু অধিকারটুকু নেই চাওয়ার
বুঝিগো শর্ত আছে না পাওয়ার।
পোড়া রাত্রি শেষে জানি জাগবেনা
জীবন পেয়ালা দমে দমে ফুরাবে
কলঙ্ক খেলার মাঝে কত আর কুড়াবে?
সওয়ারি হারাবে ধ্যান
বিশ্ব জগত রইবে বহমান
ভুলে ভুলে, বিদ্ধ শূলে
রক্তের আলপনা
চারিদিক ধূসর মহিমার কল্পনা।
নবরূপের ঐশ্বর্য মাঝে বড়ই নির্জনতা
আমার এ কুটির ঘরে ভাবি তারি কথা।
অপবাদ তোমায় যায়নি মুছে
চাপা গন্ধ, আগুনের তাপ
সুপ্ত জীবন মাঝে।
ওই দেখ রাত্রি শেষ হল বুঝি
শ্যামল বন্দর জাগে মিটি মিটি
নক্ষত্র মাঝে ভাসে
অমানিশা ললিতার স্মৃতি।
অনাহুত কণ্ঠস্মরে গেয়ে চল
অশ্রু গীতি
অনাগত ভবিষ্যৎ চিরে
সন্ধান কর স্মৃতির মন্দির
খুজে পাবে শুক্ততারা
ভেবে হবে দিশে হারা
নিষ্প্রাণ ক্লান্ত শ্রান্ত বন্দির।
জীবনের শেষে না হয়
আমার পাশে নিও ঠাই
ক্ষয়ে যাওয়ার ভয়ে
কখনো যদিবা হারাই।
জ্যোৎস্নাহীন রাতে, উদাস ভরা পথে
তুমি নেই বলে
নিস্তব্দ এলোমেলো হৃদয় গহীনে
ঝড়হীন বনে কিংবা ঘরের কোণে
ছমছম ভিরু মনে
ফিরে পাওয়ার তখনও সান্ত্বনা
স্মরে স্মরে ভাবনায় ভরে
করেছি তব বন্দনা।
স্বপ্নের নীল আকাশ জুড়ে
দৈত্য কালো ছায়ার ছবি
আড়ালে কাদে রবি
কি অদম্য আশা ছড়িয়ে
ধনুকের মত চোখে তাকিয়ে
সিক্ত ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় আঁচল
তখনই ছলছল চোখে জল এসে
ভিজে দেয় কাজল।
সেইতো হারিয়ে যাওয়ার ভিড়ে
রুপালী রাতে, শীতল প্রাতে
জোনাকির আলোয় তোমার কথায় ভাবি
ওহে অলীক মহীয়সী সেবী।
সেবার, কলঙ্ক মুছতে এসেছিলে আমাবর্ষায়
তারার সাথে মিলতে
একটুখানি দুহাত মেলে চলতে
অন্ধ মেরুর বাসিন্দা বলে
পাইনি তোমার ছায়া
চুরির কনকন সুরে
জলের ঢেউয়ে দুলল দুরের খেয়া।
তোমার চলে যাওয়ার পথে
ভাসছে ফুলের গন্ধ
ভ্রমর আজ থমকে ওঠে, দাড়ায় দুদণ্ড।
সবুজ ঘাসের গালিচায়
বিষণ্ণ মনে, নিঃস্ব ঋণে
পড়ে থাকে দৃষ্টি তীর
বলি, মায়ার পাখি
বেধে রাখি, শূন্য নীলে
বহুকাল পরে তুমি এলে
চলে যেতে হইওনা এত অধীর।
যাওয়ার বেলা নাইবা কিছু দিলে
হাত পেতে বা নাইবা কিছু নিলে
শখের নেশায় নামটি গেছো ভুলে।
তোমায় ডুবায় কেন, আমার নয়ন জলে?
স্বপ্নখানি ছিল কত অসীম
আজ শূন্যতায় বাজে রুঢ় সুর
বিদীর্ণ প্রানে বিষণ্ণ জ্বালা
নিয়ে এসেছ বিরহের মালা
চলেছ তুমি মহাকাশের পথে
আমি এখনও দাড়িয়ে
সমুদ্রের হিমেল হাওয়ার সাথে।
অবুঝ সাজি, চেয়ে আজি
ছোট পথ কত দূর
তোমায় স্মরি, ক্ষয়ে মরি-দীর্ঘশ্বাস।
ফেলে আসা সময় পথ আগলে থামায়
ছোট গল্প, ছোট কাব্য সুর
ব্যাবধান হয়নিকো ভাঙচুর।
অচেনা তুমি অচিনপুরে বাস
মেঘের পালকে চড়ে
নিস্তল দিঘীর সরবরে
এইতো ভাবি হাত বাড়ালে
চোখ মেলে যাও আড়ালে
ঘোমটা টান দেখব বলে
শুধু অধিকারটুকু নেই চাওয়ার
বুঝিগো শর্ত আছে না পাওয়ার।
পোড়া রাত্রি শেষে জানি জাগবেনা
জীবন পেয়ালা দমে দমে ফুরাবে
কলঙ্ক খেলার মাঝে কত আর কুড়াবে?
সওয়ারি হারাবে ধ্যান
বিশ্ব জগত রইবে বহমান
ভুলে ভুলে, বিদ্ধ শূলে
রক্তের আলপনা
চারিদিক ধূসর মহিমার কল্পনা।
নবরূপের ঐশ্বর্য মাঝে বড়ই নির্জনতা
আমার এ কুটির ঘরে ভাবি তারি কথা।
অপবাদ তোমায় যায়নি মুছে
চাপা গন্ধ, আগুনের তাপ
সুপ্ত জীবন মাঝে।
ওই দেখ রাত্রি শেষ হল বুঝি
শ্যামল বন্দর জাগে মিটি মিটি
নক্ষত্র মাঝে ভাসে
অমানিশা ললিতার স্মৃতি।
অনাহুত কণ্ঠস্মরে গেয়ে চল
অশ্রু গীতি
অনাগত ভবিষ্যৎ চিরে
সন্ধান কর স্মৃতির মন্দির
খুজে পাবে শুক্ততারা
ভেবে হবে দিশে হারা
নিষ্প্রাণ ক্লান্ত শ্রান্ত বন্দির।
জীবনের শেষে না হয়
আমার পাশে নিও ঠাই
ক্ষয়ে যাওয়ার ভয়ে
কখনো যদিবা হারাই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রনি বিশ্বাস ০২/১১/২০১৭ভালো লাগল কবিবন্ধু । অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
-
আজাদ আলী ০২/১১/২০১৭Fine
-
সোলাইমান ০২/১১/২০১৭অসাধারণ লেখনী!মোহিত প্রিয় কবি।অনেক শুভেচ্ছা।।।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০১/১১/২০১৭খুব সুন্দর লিখেছেন কবি।