টুকরো কথা -৬
টুকরো কথা -৬
========================@@@
(১) অশ্রুহীন কারবালা!
অশ্রুর সাথে গুমরানো কষ্টগুলো ঝরে পড়ে
ঝর ঝর করে
অনেকটা বাতাসের সাথে
অজস্র শুকনো পাতার মতো,
আর তাই এক পশলা বৃষ্টির শেষে
বলাকারা বাঁধে সারি
ডানা মেলে (ম্যালে) রামধনু
আকাশ হয় ঝলমলে, ঝকঝকে পরিষ্কার!
তবে -
অব্যক্ত ক্রন্দন নিশ্চয় গুমোট ও অভেদ্য!
কষ্টরা কষ্ট দিয়ে অতি সযতনে সেখানে
রচে বলে এক ‘অশ্রুহীন কারবালা!’
(২) যদি জানতে পারতাম
আত্মভোলা শালিকের মতো
দাবড়ে বেড়াতাম আমি সেই ছায়া ঘেরা বাটে!
দুরন্ত মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতাম
দামাল ক্ষেতের আঁকা-বাঁকা আইল ভেঙে!
গান গাইতাম ধড়ফড়ে গলা ছেড়ে
ভীষণ খুশিতে চেনা গোধূলির রঙ মেখে -
এই অবেলায়
নিঃসংকোচে
নির্দ্বিধায়
যদি জানতে পারতাম শুধু একবার
খুব ভালো আছো তুমি ওখানে!
অ্যালুমিনিয়ামের লম্বা কাঁটায়
রকমারি সুতো দিয়ে সযতনে বুণছো একটা
ডোরাকাটা সোয়েটার -
আমি আসবো ভেবে!
(৩) চোখের হাসি
মুখের হাসির চেয়ে চোখের হাসি
খুব বেশী ভালোবাসতাম আমি!
এহেন হাসি আঘাত করতো বলে খুব সযতনে
হৃৎপিণ্ডের গোপন প্রকোষ্ঠে!
ব্যাকুল হয়ে উঠতাম -
অবাক হয়ে দেখতাম -
ঠিক লুব্ধক তারার মতো
সঙ্গোপনে জেগে অপলক নেত্রে!
তবে সবার হাসি না -
শুধু যার হাসিতে ভেসে থাকতো
’কালের গর্ভে মিশতে না চাওয়ার
অনন্ত পিপাসায় এক অষ্ট প্রহরের আকুতি!’
(৪) এক হরবোলা
পাখির ডাক খুবই ভালোবাসতে তুমি!
নির্জনতার আড়ে বসলেই
কান খাড়া করে শুনতে পাখির গান!
খুব বিরক্ত হতাম
আবার খুশিও হতাম
শুধু তুমি ভালোবাসতে বলে!
কালের বিবর্তনে অনেক কিছুই ক্ষয়ে গেছে
লাল নীল ঘুড়ি -
ধড়ফড়ে মেঘের ভেলা -
খয়েরী ঠোঁটের সেই মাছরাঙা -
চোখেই পড়ে না আর!
তবুও কল্পনায় দেখি এক ছায়া ঘেরা পথ -
যেখানে দখিনা বাতাস নাচন তুলে
নব কিশলয়ের বুকে!
সতেজ ঘাসের ডগায় দোল খায়
ফুটফুটে অথচ ভীষণ দুষ্টু ক’টা ফড়িঙের ছানা!
আর -
পাখির কলতান নেই বলে
এক স্মৃতিসৌধের পাশে বসে ক্ষণে ক্ষণে ডাকে
কিছুটা আমারি -
না না -
হয়তো বা অন্য কেউ
অতল প্রতিক্ষার শ্বাসে সেজে ’এক হরবোলা!’
(৫) সত্যটা কি!
অনেক কথাই এই বুকে আজ আছড়ে পড়ে এসে
সত্যটা কি জানতে ঝরে জল,
তুই সখি যা দিয়েছিলি নিবিড় ছায়ায় হেসে
প্রেম তা ছিলো নাকি সবই ছল!
========================@@@
(১) অশ্রুহীন কারবালা!
অশ্রুর সাথে গুমরানো কষ্টগুলো ঝরে পড়ে
ঝর ঝর করে
অনেকটা বাতাসের সাথে
অজস্র শুকনো পাতার মতো,
আর তাই এক পশলা বৃষ্টির শেষে
বলাকারা বাঁধে সারি
ডানা মেলে (ম্যালে) রামধনু
আকাশ হয় ঝলমলে, ঝকঝকে পরিষ্কার!
তবে -
অব্যক্ত ক্রন্দন নিশ্চয় গুমোট ও অভেদ্য!
কষ্টরা কষ্ট দিয়ে অতি সযতনে সেখানে
রচে বলে এক ‘অশ্রুহীন কারবালা!’
(২) যদি জানতে পারতাম
আত্মভোলা শালিকের মতো
দাবড়ে বেড়াতাম আমি সেই ছায়া ঘেরা বাটে!
দুরন্ত মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতাম
দামাল ক্ষেতের আঁকা-বাঁকা আইল ভেঙে!
গান গাইতাম ধড়ফড়ে গলা ছেড়ে
ভীষণ খুশিতে চেনা গোধূলির রঙ মেখে -
এই অবেলায়
নিঃসংকোচে
নির্দ্বিধায়
যদি জানতে পারতাম শুধু একবার
খুব ভালো আছো তুমি ওখানে!
অ্যালুমিনিয়ামের লম্বা কাঁটায়
রকমারি সুতো দিয়ে সযতনে বুণছো একটা
ডোরাকাটা সোয়েটার -
আমি আসবো ভেবে!
(৩) চোখের হাসি
মুখের হাসির চেয়ে চোখের হাসি
খুব বেশী ভালোবাসতাম আমি!
এহেন হাসি আঘাত করতো বলে খুব সযতনে
হৃৎপিণ্ডের গোপন প্রকোষ্ঠে!
ব্যাকুল হয়ে উঠতাম -
অবাক হয়ে দেখতাম -
ঠিক লুব্ধক তারার মতো
সঙ্গোপনে জেগে অপলক নেত্রে!
তবে সবার হাসি না -
শুধু যার হাসিতে ভেসে থাকতো
’কালের গর্ভে মিশতে না চাওয়ার
অনন্ত পিপাসায় এক অষ্ট প্রহরের আকুতি!’
(৪) এক হরবোলা
পাখির ডাক খুবই ভালোবাসতে তুমি!
নির্জনতার আড়ে বসলেই
কান খাড়া করে শুনতে পাখির গান!
খুব বিরক্ত হতাম
আবার খুশিও হতাম
শুধু তুমি ভালোবাসতে বলে!
কালের বিবর্তনে অনেক কিছুই ক্ষয়ে গেছে
লাল নীল ঘুড়ি -
ধড়ফড়ে মেঘের ভেলা -
খয়েরী ঠোঁটের সেই মাছরাঙা -
চোখেই পড়ে না আর!
তবুও কল্পনায় দেখি এক ছায়া ঘেরা পথ -
যেখানে দখিনা বাতাস নাচন তুলে
নব কিশলয়ের বুকে!
সতেজ ঘাসের ডগায় দোল খায়
ফুটফুটে অথচ ভীষণ দুষ্টু ক’টা ফড়িঙের ছানা!
আর -
পাখির কলতান নেই বলে
এক স্মৃতিসৌধের পাশে বসে ক্ষণে ক্ষণে ডাকে
কিছুটা আমারি -
না না -
হয়তো বা অন্য কেউ
অতল প্রতিক্ষার শ্বাসে সেজে ’এক হরবোলা!’
(৫) সত্যটা কি!
অনেক কথাই এই বুকে আজ আছড়ে পড়ে এসে
সত্যটা কি জানতে ঝরে জল,
তুই সখি যা দিয়েছিলি নিবিড় ছায়ায় হেসে
প্রেম তা ছিলো নাকি সবই ছল!
মন্তব্যসমূহ
-
সালমান মাহফুজ ০৯/০২/২০২৩অনবদ্য অসাধারণ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৯/০২/২০২৩বেশ সুন্দর লেখা।
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৯/০২/২০২৩বেশ ভাবনাময়
-
ফয়জুল মহী ০৯/০২/২০২৩ভীষণ ভালো লাগলো চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ০৯/০২/২০২৩চমৎকার লিখেছেন। শুভ কামনা রইল।