টুকরো কথা -১৮
টুকরো কথা -১৮
==========================@@@
(১) চালাক, বোকা ও বিশ্বাসী
নিজেকে যদি বোকা ভাবতে পারো
স্বয়ংক্রিয় ভাবেই অন্যরা
তোমার কাছে হয়ে উঠবে চালাকের তুল্য।
হয়তো তাতে অনেক সমস্যার
সহজেই হয়ে যাবে সমাধান।
তবে বিশ্বাসীকে চালাক অথবা বোকা ভাবলে
তা থেকে উৎপন্ন ফল
কখনোই হবে না আপনার জন্য মঙ্গলকামী!
(২) জীবন্ত মুখচ্ছবি
মানব হিতার্থে
অতীতে আমার দ্বারা যদি
ভালো কিছু লেখা সৃজিত হয়ে থাকতো
নির্দ্বিধায় সবখানে স্বীকার করতাম -
এ কৃতিত্বের সত্তর ভাগ দাবিদার তুমি!
আজও ভালো কিছু লিখতে পারলে
হয়তো কুণ্ঠাহীনেই বলবো -
এ নিপুনতার সত্তর ভাগ স্বত্বাধিকারী নিশ্চয় তুমিই!
ভবিষ্যতে লিখতে পারলে
কি ভাববো জানি না
শুধু এইটুকু বিশ্বাস রাখি -
জীবনের সত্তর ভাগ শক্তি ও রঙ দিয়ে
সত্তর ভাগ মনন সঁপে এঁকে যাবো
সত্তর ভাগ স্পষ্ট
সত্তর বছর বয়সী
সত্তরটি কাল্পনিক অথচ জীবন্ত তোমারই মুখচ্ছবি!
তবে আশি বাই আশি সুতোয় জাগা
পৃথিবীর একমাত্র
বাংলার এই শ্যামল চিত্রপটে, অকাতরে!
(৩) অবমুক্ত’র স্বাদ
একবার যদি তোমাকে ফিরিয়ে আনতে পারতাম
শুধু একবার -
এই ছোট যমুনার হিজলতলেই গড়ে দিতাম
স্বচ্ছ একটা কুঠিবাড়ি!
দখিনা বাতাসের মৃদু কানাকানি
গাছে গাছে রকমারি ফুল-ফল
মায়াবী সুরধারী পাখির কলতান
ষোড়শী লহরির কুলু কুলু ধ্বনি
মোট কথা এতটাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বপন করতাম
যা দেখার তরে স্বর্গের বাতায়ন খুলে
অবাক দু’চোখে চেয়ে গাইতো
পিপাসিত কোন উর্বশী,
অনায়াসে ভিড় জমাতো অব্দ ভরই
নিত্য নতুন সুনয়না মেঘের দল,
কিন্তু আমি থাকতাম না পাশে -
শুধু তোমাকে বুঝানোর জন্য
বিচ্ছেদের বেদনা কতটা হয় সর্বগ্রাসী!
তবে, যদি কোনদিন ডাকতে
তৎক্ষনাৎ পৌঁছেই অতল খুশিতে রচনা করতাম
যুগান্তর ব্যাপী এক উষ্ণ আলিঙ্গন!
জানি তুমি খুব জেদি
নিশ্চয় বিশ্বাস করতাম -
তখনি আমাকে ডেকেছো
বিরহের আঘাত সইতে না পেরে
চিরদিনের জন্য যখন করেছো
’জেদ থেকে নিজেকে অবমুক্ত!’
==========================@@@
(১) চালাক, বোকা ও বিশ্বাসী
নিজেকে যদি বোকা ভাবতে পারো
স্বয়ংক্রিয় ভাবেই অন্যরা
তোমার কাছে হয়ে উঠবে চালাকের তুল্য।
হয়তো তাতে অনেক সমস্যার
সহজেই হয়ে যাবে সমাধান।
তবে বিশ্বাসীকে চালাক অথবা বোকা ভাবলে
তা থেকে উৎপন্ন ফল
কখনোই হবে না আপনার জন্য মঙ্গলকামী!
(২) জীবন্ত মুখচ্ছবি
মানব হিতার্থে
অতীতে আমার দ্বারা যদি
ভালো কিছু লেখা সৃজিত হয়ে থাকতো
নির্দ্বিধায় সবখানে স্বীকার করতাম -
এ কৃতিত্বের সত্তর ভাগ দাবিদার তুমি!
আজও ভালো কিছু লিখতে পারলে
হয়তো কুণ্ঠাহীনেই বলবো -
এ নিপুনতার সত্তর ভাগ স্বত্বাধিকারী নিশ্চয় তুমিই!
ভবিষ্যতে লিখতে পারলে
কি ভাববো জানি না
শুধু এইটুকু বিশ্বাস রাখি -
জীবনের সত্তর ভাগ শক্তি ও রঙ দিয়ে
সত্তর ভাগ মনন সঁপে এঁকে যাবো
সত্তর ভাগ স্পষ্ট
সত্তর বছর বয়সী
সত্তরটি কাল্পনিক অথচ জীবন্ত তোমারই মুখচ্ছবি!
তবে আশি বাই আশি সুতোয় জাগা
পৃথিবীর একমাত্র
বাংলার এই শ্যামল চিত্রপটে, অকাতরে!
(৩) অবমুক্ত’র স্বাদ
একবার যদি তোমাকে ফিরিয়ে আনতে পারতাম
শুধু একবার -
এই ছোট যমুনার হিজলতলেই গড়ে দিতাম
স্বচ্ছ একটা কুঠিবাড়ি!
দখিনা বাতাসের মৃদু কানাকানি
গাছে গাছে রকমারি ফুল-ফল
মায়াবী সুরধারী পাখির কলতান
ষোড়শী লহরির কুলু কুলু ধ্বনি
মোট কথা এতটাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বপন করতাম
যা দেখার তরে স্বর্গের বাতায়ন খুলে
অবাক দু’চোখে চেয়ে গাইতো
পিপাসিত কোন উর্বশী,
অনায়াসে ভিড় জমাতো অব্দ ভরই
নিত্য নতুন সুনয়না মেঘের দল,
কিন্তু আমি থাকতাম না পাশে -
শুধু তোমাকে বুঝানোর জন্য
বিচ্ছেদের বেদনা কতটা হয় সর্বগ্রাসী!
তবে, যদি কোনদিন ডাকতে
তৎক্ষনাৎ পৌঁছেই অতল খুশিতে রচনা করতাম
যুগান্তর ব্যাপী এক উষ্ণ আলিঙ্গন!
জানি তুমি খুব জেদি
নিশ্চয় বিশ্বাস করতাম -
তখনি আমাকে ডেকেছো
বিরহের আঘাত সইতে না পেরে
চিরদিনের জন্য যখন করেছো
’জেদ থেকে নিজেকে অবমুক্ত!’
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৭/০৩/২০২৩ভালো।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৭/০৩/২০২৩চমৎকার লিখেছেন।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৭/০৩/২০২৩অনবদ্য!