পৃথিবীতে সবাই সাধু
পৃথিবীতে সবাই সাধু
===============@@@
বেশ কিছু রহস্যের গল্প পড়ে
এক সময় নিজেকে গোয়েন্দা ভাবতে শুরু করলাম,
ভাববোই না বা কেন
যেথায় যাই যেখানেই বসি একই কথা –
ভাই আজ চরম শ্বাসরুদ্ধকর একটা গল্প শুনাতে হবে,
কাল অমুকের বাড়িতে অবাক এক কান্ড ঘটেছে
চলো না যদি রহস্যের কিনারা করতে পারো!
আর আমার বন্ধু মাজু
ওর নাকি দিনে অন্তত দু’টো গল্প না শুনলে ভাতই হজম হয় না পেটের।
এমনি ভাবেই সকলের খাতির যত্নে দিনগুলি গত হচ্ছিল বেশ।
শীতের এক বিকেলে –
মাজুর আব্বা ডেকে বললেন
দ্যাখো তো বাবা আমার একটা উপকার করতে পারে কি-না!
মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বললাম –
আপনার উপকারে লাগতে পারলে নিজেকে তো ধন্য মনে করতাম চাচাজান
কি করতে হবে তাই বলুন!
তিনি বললেন –
বেশ কিছু দিন থেকে নিয়মিত খেজুর গাছের রস পাচ্ছি না
মজার ব্যপার হলো – গাছে হাড়ি লাগানোই থাকে অথচ রস থাকে না
মানুষ খায়, না-কি সাপ বা বাদুর খায়
তাও ঠিক মতো বুঝা যায় না
তুমি যদি বাবা একটু খতিয়ে দেখতে !
বললাম –
বলেন কি চাচাজান!
প্রত্যেক দিন খোয়া যায়?
এমন তো হবার কথা নয়!
বলেই মাজুর চোখ রাঙানিতে থেমে গেলাম
বুঝলাম বিশাল একটা বোকামি করে ফেলেছি
গাছের রস যে 2/3 দিন অন্তর অন্তর আমরাই খাই
সে কথা স্বীকার করে নিয়েছি অকপটে
যদিও চাচাজান ধরতে পারেন নি।
কথা না বাড়িয়ে তাই বললাম –
চিন্তা করবেন না চাচাজান
নিশ্চয় একটা বিহিত করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ!
ভাবতে লাগলাম ঘটনাটা কি!
চাচাজান বলছেন প্রত্যেক দিন রস থাকে না
অথচ আমরা খাই —-
তাহলে কি ——
পূর্ণ শশী জ্যোৎস্না ঢেলে অকাতরে সাজায়ে চলেছে
নিদ্রাহারা ধরণীর বুক,
বেশ ঝকমকে একটা রজনী!
আমরা চলেছি গোপনে পুকুর পাড়ে রহস্যের সন্ধানে।
কিছু দূর থাকতেই হঠাৎ মনে হলো গাছে কি যেন নড়ছে
সাপ বা বাদুর নয়, নিশ্চয় মানুষই হবে!
টান টান উত্তেজনায় ঘেমে উঠলো শরীর
ফিস ফিস করে মাজুকে বললাম –
ভয় করিস নে, পিছু পিছু আয়!
গাছের গোড়ায় না পৌঁছতেই লোকটি অস্তিত্ব অনুভব করে ফেললো আমাদের
হয়তো বা বুঝেও ফেললো একটা অঘটন ঘটতে চলেছে আজ
আর তাই নাগালের বাহিরে থেকেই আওয়াজ দিলো
’আমি সাজু, খবরদার আঘাত করবি নে কেউ!’
তারপর নীচে নেমে আমাদেরকে চিনতে পেরেই ধমক দিয়ে বলে উঠলো –
আমি তো গাছে উঠেছি কেউ রস চুরি করেছে কি-না দেখার জন্য,
কিন্তু তোরা এখানে কি করছিস?
সাজু মাজুর আপন বড় ভাই
কথা বলতে পারলাম না
তার হাতে এক মাথায় কাপড় প্যাঁচানো একটা নল দেখে মনে মনে শুধু বললাম –
’পৃথিবীতে সবাই সাধু
কেউ প্রকৃত কেউ ভেজাইল্যা আর কেউ ছদ্মবেশী!’
===============@@@
বেশ কিছু রহস্যের গল্প পড়ে
এক সময় নিজেকে গোয়েন্দা ভাবতে শুরু করলাম,
ভাববোই না বা কেন
যেথায় যাই যেখানেই বসি একই কথা –
ভাই আজ চরম শ্বাসরুদ্ধকর একটা গল্প শুনাতে হবে,
কাল অমুকের বাড়িতে অবাক এক কান্ড ঘটেছে
চলো না যদি রহস্যের কিনারা করতে পারো!
আর আমার বন্ধু মাজু
ওর নাকি দিনে অন্তত দু’টো গল্প না শুনলে ভাতই হজম হয় না পেটের।
এমনি ভাবেই সকলের খাতির যত্নে দিনগুলি গত হচ্ছিল বেশ।
শীতের এক বিকেলে –
মাজুর আব্বা ডেকে বললেন
দ্যাখো তো বাবা আমার একটা উপকার করতে পারে কি-না!
মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বললাম –
আপনার উপকারে লাগতে পারলে নিজেকে তো ধন্য মনে করতাম চাচাজান
কি করতে হবে তাই বলুন!
তিনি বললেন –
বেশ কিছু দিন থেকে নিয়মিত খেজুর গাছের রস পাচ্ছি না
মজার ব্যপার হলো – গাছে হাড়ি লাগানোই থাকে অথচ রস থাকে না
মানুষ খায়, না-কি সাপ বা বাদুর খায়
তাও ঠিক মতো বুঝা যায় না
তুমি যদি বাবা একটু খতিয়ে দেখতে !
বললাম –
বলেন কি চাচাজান!
প্রত্যেক দিন খোয়া যায়?
এমন তো হবার কথা নয়!
বলেই মাজুর চোখ রাঙানিতে থেমে গেলাম
বুঝলাম বিশাল একটা বোকামি করে ফেলেছি
গাছের রস যে 2/3 দিন অন্তর অন্তর আমরাই খাই
সে কথা স্বীকার করে নিয়েছি অকপটে
যদিও চাচাজান ধরতে পারেন নি।
কথা না বাড়িয়ে তাই বললাম –
চিন্তা করবেন না চাচাজান
নিশ্চয় একটা বিহিত করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ!
ভাবতে লাগলাম ঘটনাটা কি!
চাচাজান বলছেন প্রত্যেক দিন রস থাকে না
অথচ আমরা খাই —-
তাহলে কি ——
পূর্ণ শশী জ্যোৎস্না ঢেলে অকাতরে সাজায়ে চলেছে
নিদ্রাহারা ধরণীর বুক,
বেশ ঝকমকে একটা রজনী!
আমরা চলেছি গোপনে পুকুর পাড়ে রহস্যের সন্ধানে।
কিছু দূর থাকতেই হঠাৎ মনে হলো গাছে কি যেন নড়ছে
সাপ বা বাদুর নয়, নিশ্চয় মানুষই হবে!
টান টান উত্তেজনায় ঘেমে উঠলো শরীর
ফিস ফিস করে মাজুকে বললাম –
ভয় করিস নে, পিছু পিছু আয়!
গাছের গোড়ায় না পৌঁছতেই লোকটি অস্তিত্ব অনুভব করে ফেললো আমাদের
হয়তো বা বুঝেও ফেললো একটা অঘটন ঘটতে চলেছে আজ
আর তাই নাগালের বাহিরে থেকেই আওয়াজ দিলো
’আমি সাজু, খবরদার আঘাত করবি নে কেউ!’
তারপর নীচে নেমে আমাদেরকে চিনতে পেরেই ধমক দিয়ে বলে উঠলো –
আমি তো গাছে উঠেছি কেউ রস চুরি করেছে কি-না দেখার জন্য,
কিন্তু তোরা এখানে কি করছিস?
সাজু মাজুর আপন বড় ভাই
কথা বলতে পারলাম না
তার হাতে এক মাথায় কাপড় প্যাঁচানো একটা নল দেখে মনে মনে শুধু বললাম –
’পৃথিবীতে সবাই সাধু
কেউ প্রকৃত কেউ ভেজাইল্যা আর কেউ ছদ্মবেশী!’
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৩/০৯/২০২২প্লট আরও বড় হলে ভাল হতো।
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৯/২০২২অসাধারণ শব্দের অনবদ্য সৃজন