মাতৃ সেবার পণ (ব্যঙ্গ)
মাতৃ সেবার পণ (ব্যঙ্গ)
বোরহানুল ইসলাম লিটন
================
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
থাকছো কোথায়? দেখি না তোমায়?
অন্ত গহিনে বহে কি দুখের ক্ষণ?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
ঘুরে সারা বাড়ি পাগলের বেশে
কখনো একেলা, বসে থাকে গাছ তলে,
দুখিনী মায়ের অনাহারী মুখে
বুক খানি তার ভাসায় অশ্রু জলে।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
বিধাতার তরে যতনে আদরে, ফিরাও এবার মন?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
সংসার সার হইলো অসার
খেয়ে বা না খেয়ে, অনাহারে কাটে দিন,
পরশিরা নিলো মুখটি ফিরিয়া
করুণায় কেহ, দেয় না দু’টাকা ঋণ।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
কাজ না করিয়া বিলাপ গুনিলে, কেমনে আসিবে ধন?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
মাতায় পড়িল বিষম অসুখে
সকলে বুঝিল, বাঁচিবার নাই আশ,
ভোলাচাঁদ ভয়ে বাহিরে বেড়ায়
ক্ষণিকের তরে বসে না মায়ের পাশ।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
থেকো না বসিয়া, ডাক্তার বিনে কেমনে বাঁচিবে প্রাণ?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
ন’দিনের জ্বরে মাতা গেলো মরে
বাতায় বসিয়া, ভোলাচাঁদ কেঁদে কয়,
এ বাড়িতে আমি কেমনে থাকিব
একেলা থাকিতে লাগে যে আমার ভয়।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
কবরে তে চলো, দোয়া বিনে তার, কেমনে মিলিবে ত্রাণ?
হৃদয়ের ক্ষেদে বলিল সে কেঁদে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
================
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
থাকছো কোথায়? দেখি না তোমায়?
অন্ত গহিনে বহে কি দুখের ক্ষণ?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
ঘুরে সারা বাড়ি পাগলের বেশে
কখনো একেলা, বসে থাকে গাছ তলে,
দুখিনী মায়ের অনাহারী মুখে
বুক খানি তার ভাসায় অশ্রু জলে।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
বিধাতার তরে যতনে আদরে, ফিরাও এবার মন?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
সংসার সার হইলো অসার
খেয়ে বা না খেয়ে, অনাহারে কাটে দিন,
পরশিরা নিলো মুখটি ফিরিয়া
করুণায় কেহ, দেয় না দু’টাকা ঋণ।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
কাজ না করিয়া বিলাপ গুনিলে, কেমনে আসিবে ধন?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
মাতায় পড়িল বিষম অসুখে
সকলে বুঝিল, বাঁচিবার নাই আশ,
ভোলাচাঁদ ভয়ে বাহিরে বেড়ায়
ক্ষণিকের তরে বসে না মায়ের পাশ।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
থেকো না বসিয়া, ডাক্তার বিনে কেমনে বাঁচিবে প্রাণ?
মুখ চেয়ে হেসে বলিল সে শেষে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
ন’দিনের জ্বরে মাতা গেলো মরে
বাতায় বসিয়া, ভোলাচাঁদ কেঁদে কয়,
এ বাড়িতে আমি কেমনে থাকিব
একেলা থাকিতে লাগে যে আমার ভয়।
কহিনু ডাকিয়া, ওহে ভোলাচাঁদ?
কবরে তে চলো, দোয়া বিনে তার, কেমনে মিলিবে ত্রাণ?
হৃদয়ের ক্ষেদে বলিল সে কেঁদে
’আমি তো নিয়েছি মাতৃ সেবার পণ’।
মন্তব্যসমূহ
-
কে এম শাহ্ রিয়ার ১৫/০৬/২০২০চমৎকার লাগলো!
-
Md. Rayhan Kazi ১৫/০৬/২০২০মাতৃসেবা নিয়ে দারুন লিখেছেন প্রিয়৷
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৫/০৬/২০২০চমৎকার।
-
ফয়জুল মহী ১৫/০৬/২০২০Excellent