প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি
প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি
আজকাল প্রতিশ্রুতির কোন মূ্ল্য নাই কারণ তা অতিব্যবহারে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে
তার মর্যাদা না দেওয়ায় তা প্রায় শিক্ষিতসমাজে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে ।আর অশিক্ষিত
সমাজ ,যাদের সংখ্যা প্রায় সত্তর শতাংশ .তারা কিছু আপাতসুখের আশায় ‘জেনেশুনে
বিষ করেছি পান’একথার মর্যাদা রাখতেই বোধহয় অহেতুক আশ্বাসে বিশ্বাস না করলেও
আপাত কিছু সুবিধাভোগে (অধিকাংশক্ষেত্রে সমর্থনের বিনিময়ে কিছু অর্থ ) মিছিলে ও
সভায় যায় ও ভোট দেয় কারণ তাদের কাছে কোনদলই যেতাদের সুখের কথা চিন্তা করেনা
এবিষয়ে কোন সন্দেহ রাখেনা ।তাই আজ প্রতি্শ্রুতি দেবার সময় তা পালনে দশরথ.কর্ণ,বা
হরিশচন্দ্র যে হৃদয়বিদারক যন্ত্রণা উপভোগ করেছিলেন তা উপলব্ধি করতেচায়না ।তাই
আজ সর্বত্র প্রতিশ্রুতি সস্তা ।ক্ষতিপূরণ যা বহুক্ষে্ত্রেই অকিঞ্চিৎকর তাও অনেক কষ্টে ধৈর্য্যসহ
আদায় করতে হয় ,তাই নিয়েৈ সন্তুষ্ট হতে হয়।তাই যে কোন দুর্ঘটনায় প্রাণগেলে মর্জিমাফিক
এক থেকে দশলক্ষ টাকা পর্যন্তদেওয়া হয়।এই ক্ষতিপুরণ দিয়ে নিষ্কৃতির পরোক্ষ প্রভাবঅতি
ভয়্ঙ্রকর মানুষকে দায়িত্বপালনে ঢিলেমি দিতে প্ররোচিত করে ।তাছাড়া ক্ষতিপুরণের মাপকাঠি
না থাকয় মর্জিমাফিক একলাখ থেকে দশলাখ হয় .।ভোট এলেই মানুষের বিশেষ প্রয়োজন কিছু
রোজগারের কথা মনে পড়ে ভূল প্রতিশ্রুতি ও ভূল পরিসংখ্যন দেওয়া হয় এবার কিছু উদাহরণ
দেওয়া যাক।২০১৪ বহু গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রে শাসকদল আসে কিন্তু।কোন প্রতিশ্রুতি
রাখেনি ।প্রধান প্রতিশ্রুতি চারটির কথা ধরা যাক ।ক)কাোটাকা উদ্ধার ও তার ফল জনগণে
বন্টন হবে,কার্য্যক্ষেত্রে আজও তা উদ্ধার হয়নি উপরন্তু নোটবন্দীর মারফৎ পুঁজিপতিদের কালোটাকা
সাদা করা হয়েছে ফলে একশকোটির উপর মূলধনসম্পন্ন পুঁজিপতির সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে (খ)প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে দুইকোটী বেকারের চাকরী (যা বেকাররা ও তাদের শুভার্থীরা
যেকারণ ভোট দিয়েছিল)কিন্তু কোন চাকুরীহয়নি উপরন্তু বেকার সংখ্যা ভয়ঙ্কর বৃদ্ধি পেয়েছে ।
আবার বহু রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাকে বেসরকারিকরণ করার ফলে ভবিষ্যৎ করমক্ষেত্রও সঙ্কুচিত ।
গ)প্রতিশ্রুতি ছিল দু্র্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও দল ।কিন্তু বস্তবে দেখা গেল প্রশাসন দুর্নীতিকে
প্রশয় দিতে দুর্নীতির সাক্ষ্যলোপ করতে প্রধানসাক্ষীদের নিধনে মদদ,যা ব্যাপমান্ড ও গোধরাকান্ডে
দেখা গেল ।আর দলে দুর্নীতিগ্রস্থদের স্থান বৃদ্ধি পেল; কয়েকটি উদাহরণ-কয়েকসহস্রকোটি টাকার
লৌহ খনির সম্পদ বেআইনীভাবে বিক্রয়ে অভিযুক্তকে দলে স্থানদিয়ে মু্য্যমন্ত্রী করা আর বাংলা
দখলের জন্য আর্থিকদুর্নীতে অভিযুক্ত মুকুল রায়.ভারতী ঘোষ (সোনাচুরি),সৌমিত্র খাঁ,অর্জুন সিংহ,
এবং অন্যান্য দুর্নীতিতে অভিযুক্ত লক্ষণ শেঠ,অনুপম হাজরা (বিশ্বভারতী কান্ড)প্রমুখ ।
ঘ)দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ –দ্রব্যমূল্যে মুদীখানা ,শিশুখাদ্য এবং জ্বালানী,বিদ্যুতআর খাদ্যদ্রব্যের
লাগামছাড়াবৃদ্ধিতে মধ্যিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে আর যে কয়জন(শতকরা প্রায় ১৮ জন ),
সরকারী সাহায্যের রেশন পাননা তাদের অবস্থা মর্মানিতক যেমন ভবঘুরে ,পরিযায়ী শ্রমিক প্রমুখ । বর্তমান কৃষি আইন ওনিত্যপ্রয়োজীয় দ্রব্যের তালিকা থেকে আলু,পিঁয়াজ ভোজ্যতেল বাদ অবস্থা
ঙ)আর্থিক সংস্কারসূত্রের কল্যাণে সল্পসঞ্চয়ে কমাগত সুদের হ্রাস পুঁজিপতিব্যতীত সকলের সংসার
চালানো দুষ্কর আর অবসপ্রাপ্ত পেনসনহীন ব্যক্তিরা ইচ্ছামৃত্যু চাইছেন ।
আসলে বর্তনান সরকার জনগণের সরকার নাহয়ে হয়েছে পুঁজিপতিদের সরকার তাই দেশে বেকারের
সংখ্যা কমছে উপরন্তু পুঁজিপতিরসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটছে ।তাই দেশবাসীকে অনুরোধ এদলকেআর নয় ৷
বিদ্রঃ—প্রতিশ্রুতির বশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি পলনের দক্ষতা এবং বর্তমান প্রতিশ্রুতি পালনে আগ্রহ
যার জন্য অর্থের সংস্থন,বিশেষ ক’রে বাজেটে ।আর প্রতিশ্রুতি জনসেবার নিরিখে হওয়া উচিত নিঃশর্ত অর্থাৎ আগে ভোট পরে কাজ নয় ।ইচ্ছা থাকলে কেন্দ্র ক্ষমতাই যেোন রাজ্যের উন্নয়নে যথেষ্ট ৷আর রাজ্যের ক্ষমতা ই আবশ্যকীয় হলে গুজরাটে একাদিক্রমে আঠার বছর ক্ষমতায় বিডেপি থাকা সত্ত্বেও সোনার গুজরাট কে্ ন হোলনা সোনার ?আর
গতবারের প্রতিশ্রুতিমত ত্রিপুরা কেন হলনা সোনার ? সুতরাং এই ভাঁওতায় এবং অর্থের বিনিময়ে ভোট দেবেন না ।
বিশ্বনাথ ব্যানার্জী ।বাগবাজার ।চন্দননগর ।হুগলী । পিন-৭১২১৩৬
আজকাল প্রতিশ্রুতির কোন মূ্ল্য নাই কারণ তা অতিব্যবহারে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে
তার মর্যাদা না দেওয়ায় তা প্রায় শিক্ষিতসমাজে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে ।আর অশিক্ষিত
সমাজ ,যাদের সংখ্যা প্রায় সত্তর শতাংশ .তারা কিছু আপাতসুখের আশায় ‘জেনেশুনে
বিষ করেছি পান’একথার মর্যাদা রাখতেই বোধহয় অহেতুক আশ্বাসে বিশ্বাস না করলেও
আপাত কিছু সুবিধাভোগে (অধিকাংশক্ষেত্রে সমর্থনের বিনিময়ে কিছু অর্থ ) মিছিলে ও
সভায় যায় ও ভোট দেয় কারণ তাদের কাছে কোনদলই যেতাদের সুখের কথা চিন্তা করেনা
এবিষয়ে কোন সন্দেহ রাখেনা ।তাই আজ প্রতি্শ্রুতি দেবার সময় তা পালনে দশরথ.কর্ণ,বা
হরিশচন্দ্র যে হৃদয়বিদারক যন্ত্রণা উপভোগ করেছিলেন তা উপলব্ধি করতেচায়না ।তাই
আজ সর্বত্র প্রতিশ্রুতি সস্তা ।ক্ষতিপূরণ যা বহুক্ষে্ত্রেই অকিঞ্চিৎকর তাও অনেক কষ্টে ধৈর্য্যসহ
আদায় করতে হয় ,তাই নিয়েৈ সন্তুষ্ট হতে হয়।তাই যে কোন দুর্ঘটনায় প্রাণগেলে মর্জিমাফিক
এক থেকে দশলক্ষ টাকা পর্যন্তদেওয়া হয়।এই ক্ষতিপুরণ দিয়ে নিষ্কৃতির পরোক্ষ প্রভাবঅতি
ভয়্ঙ্রকর মানুষকে দায়িত্বপালনে ঢিলেমি দিতে প্ররোচিত করে ।তাছাড়া ক্ষতিপুরণের মাপকাঠি
না থাকয় মর্জিমাফিক একলাখ থেকে দশলাখ হয় .।ভোট এলেই মানুষের বিশেষ প্রয়োজন কিছু
রোজগারের কথা মনে পড়ে ভূল প্রতিশ্রুতি ও ভূল পরিসংখ্যন দেওয়া হয় এবার কিছু উদাহরণ
দেওয়া যাক।২০১৪ বহু গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রে শাসকদল আসে কিন্তু।কোন প্রতিশ্রুতি
রাখেনি ।প্রধান প্রতিশ্রুতি চারটির কথা ধরা যাক ।ক)কাোটাকা উদ্ধার ও তার ফল জনগণে
বন্টন হবে,কার্য্যক্ষেত্রে আজও তা উদ্ধার হয়নি উপরন্তু নোটবন্দীর মারফৎ পুঁজিপতিদের কালোটাকা
সাদা করা হয়েছে ফলে একশকোটির উপর মূলধনসম্পন্ন পুঁজিপতির সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে (খ)প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে দুইকোটী বেকারের চাকরী (যা বেকাররা ও তাদের শুভার্থীরা
যেকারণ ভোট দিয়েছিল)কিন্তু কোন চাকুরীহয়নি উপরন্তু বেকার সংখ্যা ভয়ঙ্কর বৃদ্ধি পেয়েছে ।
আবার বহু রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাকে বেসরকারিকরণ করার ফলে ভবিষ্যৎ করমক্ষেত্রও সঙ্কুচিত ।
গ)প্রতিশ্রুতি ছিল দু্র্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও দল ।কিন্তু বস্তবে দেখা গেল প্রশাসন দুর্নীতিকে
প্রশয় দিতে দুর্নীতির সাক্ষ্যলোপ করতে প্রধানসাক্ষীদের নিধনে মদদ,যা ব্যাপমান্ড ও গোধরাকান্ডে
দেখা গেল ।আর দলে দুর্নীতিগ্রস্থদের স্থান বৃদ্ধি পেল; কয়েকটি উদাহরণ-কয়েকসহস্রকোটি টাকার
লৌহ খনির সম্পদ বেআইনীভাবে বিক্রয়ে অভিযুক্তকে দলে স্থানদিয়ে মু্য্যমন্ত্রী করা আর বাংলা
দখলের জন্য আর্থিকদুর্নীতে অভিযুক্ত মুকুল রায়.ভারতী ঘোষ (সোনাচুরি),সৌমিত্র খাঁ,অর্জুন সিংহ,
এবং অন্যান্য দুর্নীতিতে অভিযুক্ত লক্ষণ শেঠ,অনুপম হাজরা (বিশ্বভারতী কান্ড)প্রমুখ ।
ঘ)দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ –দ্রব্যমূল্যে মুদীখানা ,শিশুখাদ্য এবং জ্বালানী,বিদ্যুতআর খাদ্যদ্রব্যের
লাগামছাড়াবৃদ্ধিতে মধ্যিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে আর যে কয়জন(শতকরা প্রায় ১৮ জন ),
সরকারী সাহায্যের রেশন পাননা তাদের অবস্থা মর্মানিতক যেমন ভবঘুরে ,পরিযায়ী শ্রমিক প্রমুখ । বর্তমান কৃষি আইন ওনিত্যপ্রয়োজীয় দ্রব্যের তালিকা থেকে আলু,পিঁয়াজ ভোজ্যতেল বাদ অবস্থা
ঙ)আর্থিক সংস্কারসূত্রের কল্যাণে সল্পসঞ্চয়ে কমাগত সুদের হ্রাস পুঁজিপতিব্যতীত সকলের সংসার
চালানো দুষ্কর আর অবসপ্রাপ্ত পেনসনহীন ব্যক্তিরা ইচ্ছামৃত্যু চাইছেন ।
আসলে বর্তনান সরকার জনগণের সরকার নাহয়ে হয়েছে পুঁজিপতিদের সরকার তাই দেশে বেকারের
সংখ্যা কমছে উপরন্তু পুঁজিপতিরসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটছে ।তাই দেশবাসীকে অনুরোধ এদলকেআর নয় ৷
বিদ্রঃ—প্রতিশ্রুতির বশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি পলনের দক্ষতা এবং বর্তমান প্রতিশ্রুতি পালনে আগ্রহ
যার জন্য অর্থের সংস্থন,বিশেষ ক’রে বাজেটে ।আর প্রতিশ্রুতি জনসেবার নিরিখে হওয়া উচিত নিঃশর্ত অর্থাৎ আগে ভোট পরে কাজ নয় ।ইচ্ছা থাকলে কেন্দ্র ক্ষমতাই যেোন রাজ্যের উন্নয়নে যথেষ্ট ৷আর রাজ্যের ক্ষমতা ই আবশ্যকীয় হলে গুজরাটে একাদিক্রমে আঠার বছর ক্ষমতায় বিডেপি থাকা সত্ত্বেও সোনার গুজরাট কে্ ন হোলনা সোনার ?আর
গতবারের প্রতিশ্রুতিমত ত্রিপুরা কেন হলনা সোনার ? সুতরাং এই ভাঁওতায় এবং অর্থের বিনিময়ে ভোট দেবেন না ।
বিশ্বনাথ ব্যানার্জী ।বাগবাজার ।চন্দননগর ।হুগলী । পিন-৭১২১৩৬
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৫/০৩/২০২১বাস্তব
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৩/২০২১Good post
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৫/০৩/২০২১লাভ নেই এতো প্রতিশ্রুতির।