চিরকুট
প্রিয় কল্পনার রাজকুমারী,
বৃষ্টিস্নাত এ দিনে, তোমারই অবয়বটি সম্মুখে নিয়ে ডায়েরীর শেষ পৃষ্ঠায় লিখতে বসেছি প্রেমতত্ত্বের থিউরি জানান দিতে। জানো কি তুমি, আমার আর তোমার ভালোবাসার কাব্য রচিত হয় প্রতিনিয়ত এ ডায়েরীর পাতায় পাতায়।
-
কত কাব্যে তোমার সাথে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেটে চলি অহরহ, কত কাব্যে তোমারই রেশমী কালো চুল আর তোমারই স্নিগ্ধ মায়াভরা মুখখানার চিত্র ফুটিয়ে শূণ্যপাতা ভরাট করেছি, কত কাব্যে তোমারই হাতের চুড়ির শব্দে হৃদয় মঞ্চিলে ভালোবাসার ঘন্টা বেজেছে ,কত কাব্যে তোমারই হাতের স্পর্শে ভালোবাসার বটবৃক্ষ প্রকম্পিত হয়, কত কাব্যে তুমি আমার লিখনির শব্দ অলংকারের বাহক হিসেবে পাশে ছিলে, কত কাব্যে যখন শব্দচয়নের খরায় ভুগছিলাম তখন তোমারই চাহুনি আমায় অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো; কাব্যের শেষটুকুর ইতিটানতে।
জানো কি তুমি, তোমারই নান্দনিক সৌন্দর্যে গড়া কপালে চুম্বনে চুম্বনে সৃষ্ট ভোল্টেজ জমা করে ভালোবাসার বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম কল্পনার রাজ্যে। তুমি মুচকি হেসে লজ্জায় সেদিন মুখটা লুকিয়েছিলে।
-
বৃষ্টিস্নাত এ দিনে- নদীর পাড়ের কদমগুচ্ছের সুভাসে তোমারই ভালোবাসার সুঘ্রাণের আভাস পেয়েছি। এইতো সেদিন তুমি কল্পনার রাজ্যে এসেছিলে নদীর দ্বারে, আমি পাগল প্রেমিকের ন্যায় তোমার পিছু নিয়েছিলাম। নিস্তব্দ রজনী জ্যোৎস্না ভরা দিনে যেদিন চাঁদটি হেঁসে উঠেছিলো- সেদিন তুমি নদীর অথৈ জলে পা ভিজিয়েছিলে, তখন ইচ্ছে হয়েছিলো তোমারই খালি পায়ে নূপুর পড়িয়ে দিই; তোমারই নূপুরধ্বনি আমারই প্রেমসাগরে তোমারই অস্তিত্ব জানান দিয়ে যাবে। জ্যোৎস্নাময় রাতে ভেজা শরীরে তোমারই সুষম গঠন দেখে, স্ব মনে লুকিয়ে থাকা নেকড়ের দল তোমারই মাঝে অশুদ্ধ ভালোবাসার বীজ বোপণ করতে চেয়েছিলো!
পরোক্ষণে শুদ্ধ ভালোবাজার বীজ বোপণে তোমার সহিত মৌন সমর্থন দিয়েছিলাম।
-
জানো আজ মেঘের আকাশে অভিমানের জল গড়িয়ে পড়ছে ভূখণ্ডে। যান্ত্রিকতার এ জীবনে টিপ টিপ এ বৃষ্টি হয়তো ক্ষণিকের জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে উঁকি দিয়ে গেলো স্ব মনে, উত্তপ্ত এ মনে হয়তো এক ফোটা বৃষ্টি সরলতার প্রীতিলতা হয়ে ধরা দিয়েছিলো। জানো আজ, চায়ের কাপে এক চুমুক দিয়ে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি সেঝে রঙের যুদ্ধে হাজির হয়েছিলাম তোমাকে মোনালিসার অবয়বে ফুটিয়ে তুলবো বলে। রঙের তুলিতে এঁকেছিলাম তোমারই মায়াভরা মুখখানা, তোমারই হাসিতে রঙের যুদ্ধ হয়তো স্বার্থক হয়ে উঠেছিলো। রঙের তুলিতে আঁকা তোমারই সে ছবি হৃদয় ক্যানভাসে আজও ফ্রেমে বন্দী করে টাঙানো আছে। জানো কি তুমি- প্রতিনিয়ত তুমি আমার কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করে যাও বিভিন্ন সাজে। এইতো সেদিন ফিল্টারিং করে আমাদের ভালোবাসার শুদ্ধিকরণ করে নিয়েছিলাম সংগোপনে। হৃদয় পুঞ্জে গোলাযোগের অবসান ঘটাতে আজ হৃদয় মন্দিরে সার্কিট ব্রেকার আটকে দিলাম। ডায়েরীর পাতায় পাতায়, কল্পনা রাজ্যের সে তুমিকে আকঁড়ে ধরে আছে; কার্বনের সৃষ্ট কলমের কালিতে ফুটে উঠা শব্দচয়নে।
-
হে কল্পনার রাজকুমারী তুমি আছো তুমিই থাকবে। কোন একসময় না হয় আবারো তোমার তরে শূণ্যপাতা ভরাট করে নিবো, ভালোবাসার চিরকুট আবারো ভালোবাসার রঙ দিয়ে সাজিয়ে দিবো।
-
ইতি-
কল্পনার রাজপুত্র
বৃষ্টিস্নাত এ দিনে, তোমারই অবয়বটি সম্মুখে নিয়ে ডায়েরীর শেষ পৃষ্ঠায় লিখতে বসেছি প্রেমতত্ত্বের থিউরি জানান দিতে। জানো কি তুমি, আমার আর তোমার ভালোবাসার কাব্য রচিত হয় প্রতিনিয়ত এ ডায়েরীর পাতায় পাতায়।
-
কত কাব্যে তোমার সাথে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেটে চলি অহরহ, কত কাব্যে তোমারই রেশমী কালো চুল আর তোমারই স্নিগ্ধ মায়াভরা মুখখানার চিত্র ফুটিয়ে শূণ্যপাতা ভরাট করেছি, কত কাব্যে তোমারই হাতের চুড়ির শব্দে হৃদয় মঞ্চিলে ভালোবাসার ঘন্টা বেজেছে ,কত কাব্যে তোমারই হাতের স্পর্শে ভালোবাসার বটবৃক্ষ প্রকম্পিত হয়, কত কাব্যে তুমি আমার লিখনির শব্দ অলংকারের বাহক হিসেবে পাশে ছিলে, কত কাব্যে যখন শব্দচয়নের খরায় ভুগছিলাম তখন তোমারই চাহুনি আমায় অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো; কাব্যের শেষটুকুর ইতিটানতে।
জানো কি তুমি, তোমারই নান্দনিক সৌন্দর্যে গড়া কপালে চুম্বনে চুম্বনে সৃষ্ট ভোল্টেজ জমা করে ভালোবাসার বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম কল্পনার রাজ্যে। তুমি মুচকি হেসে লজ্জায় সেদিন মুখটা লুকিয়েছিলে।
-
বৃষ্টিস্নাত এ দিনে- নদীর পাড়ের কদমগুচ্ছের সুভাসে তোমারই ভালোবাসার সুঘ্রাণের আভাস পেয়েছি। এইতো সেদিন তুমি কল্পনার রাজ্যে এসেছিলে নদীর দ্বারে, আমি পাগল প্রেমিকের ন্যায় তোমার পিছু নিয়েছিলাম। নিস্তব্দ রজনী জ্যোৎস্না ভরা দিনে যেদিন চাঁদটি হেঁসে উঠেছিলো- সেদিন তুমি নদীর অথৈ জলে পা ভিজিয়েছিলে, তখন ইচ্ছে হয়েছিলো তোমারই খালি পায়ে নূপুর পড়িয়ে দিই; তোমারই নূপুরধ্বনি আমারই প্রেমসাগরে তোমারই অস্তিত্ব জানান দিয়ে যাবে। জ্যোৎস্নাময় রাতে ভেজা শরীরে তোমারই সুষম গঠন দেখে, স্ব মনে লুকিয়ে থাকা নেকড়ের দল তোমারই মাঝে অশুদ্ধ ভালোবাসার বীজ বোপণ করতে চেয়েছিলো!
পরোক্ষণে শুদ্ধ ভালোবাজার বীজ বোপণে তোমার সহিত মৌন সমর্থন দিয়েছিলাম।
-
জানো আজ মেঘের আকাশে অভিমানের জল গড়িয়ে পড়ছে ভূখণ্ডে। যান্ত্রিকতার এ জীবনে টিপ টিপ এ বৃষ্টি হয়তো ক্ষণিকের জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে উঁকি দিয়ে গেলো স্ব মনে, উত্তপ্ত এ মনে হয়তো এক ফোটা বৃষ্টি সরলতার প্রীতিলতা হয়ে ধরা দিয়েছিলো। জানো আজ, চায়ের কাপে এক চুমুক দিয়ে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি সেঝে রঙের যুদ্ধে হাজির হয়েছিলাম তোমাকে মোনালিসার অবয়বে ফুটিয়ে তুলবো বলে। রঙের তুলিতে এঁকেছিলাম তোমারই মায়াভরা মুখখানা, তোমারই হাসিতে রঙের যুদ্ধ হয়তো স্বার্থক হয়ে উঠেছিলো। রঙের তুলিতে আঁকা তোমারই সে ছবি হৃদয় ক্যানভাসে আজও ফ্রেমে বন্দী করে টাঙানো আছে। জানো কি তুমি- প্রতিনিয়ত তুমি আমার কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করে যাও বিভিন্ন সাজে। এইতো সেদিন ফিল্টারিং করে আমাদের ভালোবাসার শুদ্ধিকরণ করে নিয়েছিলাম সংগোপনে। হৃদয় পুঞ্জে গোলাযোগের অবসান ঘটাতে আজ হৃদয় মন্দিরে সার্কিট ব্রেকার আটকে দিলাম। ডায়েরীর পাতায় পাতায়, কল্পনা রাজ্যের সে তুমিকে আকঁড়ে ধরে আছে; কার্বনের সৃষ্ট কলমের কালিতে ফুটে উঠা শব্দচয়নে।
-
হে কল্পনার রাজকুমারী তুমি আছো তুমিই থাকবে। কোন একসময় না হয় আবারো তোমার তরে শূণ্যপাতা ভরাট করে নিবো, ভালোবাসার চিরকুট আবারো ভালোবাসার রঙ দিয়ে সাজিয়ে দিবো।
-
ইতি-
কল্পনার রাজপুত্র
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ৩১/০৩/২০১৭দারুণ পত্র সাহিত্য