www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

প্রসঙ্গ আজকালকার লেখাপড়া।

আজ দেখলাম রাত ৯টায় একদল ছাত্র-ছাত্রী একসাথে রাস্তায় বেড়িয়ে এলো। আমি তো টাসকি খেয়ে গেলাম। তবে কি নাইট স্কুল চালু হলো নাকি? জানতে পারলাম, না। নাইট স্কুল নয় বরং কোচিং সেন্টার। এখানে কোচ দেওয়া হয়। তাও আবার রাতে। আমাদের সময়ে প্রাইভেট পড়ার সুযোগ শতকরা ৫ জনের হয়েছে হয়তো তাও আবার শেষ হতো বিকালের মধ্যেই। আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কমপক্ষে ১ঘন্টা ২০ মিনিট ফুটবল, দাড়িয়াবাঁধা, গোল্লাছুট এসব গ্রামীণ খেলায় মেতে থাকতাম। সন্ধ্যা হলেই পড়তে বসা। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে পড়া। কোন হেলপার নাই। নোট, গাইড, টিউটর এসব ছিল না। বিষয়বস্তু আগা-গোড়া পড়ে তার থেকে শিক্ষা নিতে হতো। স্কুলের পড়া শিক্ষা করা, অংক করা, হাতের লেখাসহ সবকিছুই হতো শুধুই নিজের চেষ্টায়। কখনো মা-বাবা বা ভাই-বোনের সাহায্যে। আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে এ কী হয়ে গেল?

শিক্ষার্থীরা টিউটর ছাড়া যেন কিছুই ভাবতে পারছে না। গাইড, নোট এসব না থাকলে এরা অসহায় হয়ে যাচ্ছে। এই মূল্যবান সময়ে যদি টিউটরের সাহায্যে পড়ে তাহলে নিজেরা পড়বে কখন? কখন ওরা খেলাধূলা বা বিনোদনে মাতবে।

তাছাড়া জিটিভি, স্টার জলসা, অমুক-তমুকরা যত্ত মজাদার অনুষ্ঠান প্রচার করছে তা সবই শিক্ষার্থীদের পিক আওয়ারে। দিনমজুর থেকে শুরু করে ধনীক শ্রেণী সবার বাড়ীতেই আজ কমপক্ষে ২১ ইঞ্চি কালার, এল-সি-ডি, এল-ই-ডি টিভির ছড়াছড়ি। শিক্ষার্থীদের এখানেও সময় দিতে হয়। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। এদেরকে পাস করানো হচ্ছে প্রশ্ন আউট করে।
এ ধরণের শিক্ষায় নিজের পায়ে দাঁড়ানো কঠিন হবে। প্লাষ্টিকের পায়ে ভর করেও দাঁড়ানো যায় কিন্তু তা খুবই দুর্বল। কি পরিমাণ দূর্বল কেবল যিনি প্লাস্টিকের পা ব্যবহার করেন তিনিই বুঝেন।
(সংক্ষিপ্ত)
সাইফুল ইসলাম। ১২ নভেম্বর ২০১৩
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ১৫১০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/১১/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast