প্রসঙ্গ কবর পুজা
প্রসঙ্গ : মাযারে ঈমান বিধ্বংসী আচরণ
পৃথিবীর যতগুলো দেশ রয়েছে আমাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি মাযার (মজার) রয়েছে। উপমহাদেশে মাযার বেশি কিন্তু আয়তনের তুলনায় বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। শতকরা ৯০ জন মানুষ জন্মগতভাবে পৈতৃকসূত্রে মুসলমান হলেও দ্বীনের সঠিক জ্ঞান রয়েছ মাত্র ২০ জনের। বাকীরা যে যার মতো ইসলামকে অনুসরণ করে। কেউ আমল করে; না জেনেই। জানতে চাইলে বলবে বাপদাদারা এভাবে আমাল করে আসছে তাই আমরাও পড়ি। সঠিক যুক্তি, ইসলামের সঠিক বিধান তাদের সামনে ধরলে তারা তিরস্কারসহ আপনাকে ১৪ গোষ্টি উদ্ধার করবে।
ফলে কেউ নামাজ ছেড়ে দিয়ে আনন্দ লাভ করছে আবার কাউকে বন্দী করেও নামাজ ছাড়ানো যায় না। অনেকে তিরস্কার হজম করেও দাড়ি রাখছে। পক্ষান্তরে কেউ দাড়িকে অবহেলা করে বলছে এটা সুন্নাত না রাখলেও চলে। তা ছাড়া টুপির মাপ, সাইজ, পাঞ্জাবির ডিজাইন, মাপ, রকম এসব নিয়ে রয়েছে হাজারো মতভেদ। রয়েছে ভাল পীর-মাশায়েখ, আলেম উলামা। আবার মাঠে তৎপর রয়েছে ভন্ডপীর, মাযারীপীর, দরবারী পীর, ভান্ডারী (ভন্ডারী), আল্লাহকে দেখা দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী, ভন্ডপাড়াসহ নাম না জানা শতকোটি দরবারী; ভুয়া দালালী আলেম। এরা মাযারকে খুবই ভালবাসে। কারণ মাযার থেকে টাকা আসে।
আর একদল নামধারী মুসলমান রয়েছে তাদের ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকায় এরা মাযার বা কবরকে সম্মান করাকে সওয়াবের কাজ মনে করে নিজেদের ঈমান নষ্ট করে স্থায়ী জাহান্নামের তালিকায় নিজেদের নাম লিখাচ্ছে। এরা এর মধ্যেই ইসলামকে তালাশ করে। এরচে বেশি জানতে চায় না। জীবনে যত সমস্যা সব সমস্যার সমাধান এসব কবরের কাছে চায়। একশ্রেণির সুবিধাভোগী মুর্খ, জাহেলরা অর্থের লোভে কিছু নামমাত্র দাড়ি, ক্ষেত্রবিশেষে পাগলবেশী জটাধারী, ছাগলবাবা, নেংটাবাবা, কেবলাকাবা (যাদের নামের লকব দেখলে ফিট হয়ে যাই) তারা সাধু সাজে ও মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানায়।
আফসোস! মানুষ দিনে দিনে এত অজ্ঞ হচ্ছে যে তারা নেংটা, পাগলের মধ্যে ইসলামকে খুজে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যে অলৌকিক কিছু পেয়ে যাচ্ছে (সব ভূয়া)। অথচ ইসলাম হচ্ছে এমন যে, বান্দার জুতার ফিতা ছিড়ে গেলে তার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়। আজ যে মরে কবরে শুয়ে আছে সে দুনিয়া জীবনে যত্ত বড় কামিল বা আল্লার অলী হোক না কেন আজ সে তার কবরের উপর থেকে একটা মশা তাড়ানোর ক্ষমতা রাখে না। দুনিয়ায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হলো মাযারের খাদেম ও যার উপর কেয়ামতের আযাব পতিত হয়। তাই সকলকে এসব ফিতনা থেকে বেচে থাকার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ।
সূত্র: সাইফুল ইসলাম। ০৭ নভেম্বর ২০১৩ FacebF F
facebok post
পৃথিবীর যতগুলো দেশ রয়েছে আমাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি মাযার (মজার) রয়েছে। উপমহাদেশে মাযার বেশি কিন্তু আয়তনের তুলনায় বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। শতকরা ৯০ জন মানুষ জন্মগতভাবে পৈতৃকসূত্রে মুসলমান হলেও দ্বীনের সঠিক জ্ঞান রয়েছ মাত্র ২০ জনের। বাকীরা যে যার মতো ইসলামকে অনুসরণ করে। কেউ আমল করে; না জেনেই। জানতে চাইলে বলবে বাপদাদারা এভাবে আমাল করে আসছে তাই আমরাও পড়ি। সঠিক যুক্তি, ইসলামের সঠিক বিধান তাদের সামনে ধরলে তারা তিরস্কারসহ আপনাকে ১৪ গোষ্টি উদ্ধার করবে।
ফলে কেউ নামাজ ছেড়ে দিয়ে আনন্দ লাভ করছে আবার কাউকে বন্দী করেও নামাজ ছাড়ানো যায় না। অনেকে তিরস্কার হজম করেও দাড়ি রাখছে। পক্ষান্তরে কেউ দাড়িকে অবহেলা করে বলছে এটা সুন্নাত না রাখলেও চলে। তা ছাড়া টুপির মাপ, সাইজ, পাঞ্জাবির ডিজাইন, মাপ, রকম এসব নিয়ে রয়েছে হাজারো মতভেদ। রয়েছে ভাল পীর-মাশায়েখ, আলেম উলামা। আবার মাঠে তৎপর রয়েছে ভন্ডপীর, মাযারীপীর, দরবারী পীর, ভান্ডারী (ভন্ডারী), আল্লাহকে দেখা দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী, ভন্ডপাড়াসহ নাম না জানা শতকোটি দরবারী; ভুয়া দালালী আলেম। এরা মাযারকে খুবই ভালবাসে। কারণ মাযার থেকে টাকা আসে।
আর একদল নামধারী মুসলমান রয়েছে তাদের ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকায় এরা মাযার বা কবরকে সম্মান করাকে সওয়াবের কাজ মনে করে নিজেদের ঈমান নষ্ট করে স্থায়ী জাহান্নামের তালিকায় নিজেদের নাম লিখাচ্ছে। এরা এর মধ্যেই ইসলামকে তালাশ করে। এরচে বেশি জানতে চায় না। জীবনে যত সমস্যা সব সমস্যার সমাধান এসব কবরের কাছে চায়। একশ্রেণির সুবিধাভোগী মুর্খ, জাহেলরা অর্থের লোভে কিছু নামমাত্র দাড়ি, ক্ষেত্রবিশেষে পাগলবেশী জটাধারী, ছাগলবাবা, নেংটাবাবা, কেবলাকাবা (যাদের নামের লকব দেখলে ফিট হয়ে যাই) তারা সাধু সাজে ও মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানায়।
আফসোস! মানুষ দিনে দিনে এত অজ্ঞ হচ্ছে যে তারা নেংটা, পাগলের মধ্যে ইসলামকে খুজে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যে অলৌকিক কিছু পেয়ে যাচ্ছে (সব ভূয়া)। অথচ ইসলাম হচ্ছে এমন যে, বান্দার জুতার ফিতা ছিড়ে গেলে তার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়। আজ যে মরে কবরে শুয়ে আছে সে দুনিয়া জীবনে যত্ত বড় কামিল বা আল্লার অলী হোক না কেন আজ সে তার কবরের উপর থেকে একটা মশা তাড়ানোর ক্ষমতা রাখে না। দুনিয়ায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হলো মাযারের খাদেম ও যার উপর কেয়ামতের আযাব পতিত হয়। তাই সকলকে এসব ফিতনা থেকে বেচে থাকার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ।
সূত্র: সাইফুল ইসলাম। ০৭ নভেম্বর ২০১৩ FacebF F
facebok post
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সায়েম খান ০৮/১১/২০১৩আসলে যার কাছে চাইবার কথা তার কাছে না চেয়ে আমরা অনেকেই মাজারে গিয়ে ফরিয়াদ করি। চমৎকার একটি লেখা। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। সেইসাথে আমার বাড়িতে(ব্লগে) আপনার দাওয়াত রইলো।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৮/১১/২০১৩অশেষ ধন্যবাদ ভালো একটি বিষয় তুলে এনেছেন। আপনি যদি এই মাযার পূজা যে শরীয়ত বিরোধী তা কোরআন হাদীস দ্বারা বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো। আমি আপনার কাজের তারিফ করি।