কবরকে সামনে রেখে মৃত্যু ভাবনা।
প্রসঙ্গ : কবরকে সামনে রেখে মৃত্যু ভাবনা।
আমরা আমাদের জীবনকে খুবই ভালবাসি। তাই দুনিয়াবী জীবনে উৎকৃষ্ট পণ্যের ব্যবহার ও পরিপূর্ণ ভোগের মাধ্যমে শুধুই বেঁচে থাকার কামনায় মত্ত থাকি। আরাম-আয়েশ, সুখ-স্বাচ্ছন্দ, বিলাসী জীবন তালাশে রাত-দিন ব্যস্ত থাকি। যেন পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নাই। আমাদের জীবনের চাকা চলছেই।
প্রিয় বন্ধুরা, আমরা মানুষ, আমাদের মরতে হবেই। মৃত্যু থেকে রেহাই নাই। গতকাল একটি কবরের পাশে দীর্ঘক্ষণ একটানা তাকিয়ে ছিলাম। দৃষ্টি নড়েনি। নিজের মৃত্যুর কথা এমনিতে মনে পড়ে গেল। তখন দুনিয়ার সুখ-শান্তিকে বৃথা মনে হলো। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু, বান্ধব সবই যেন ভুলে গেলাম।
চিন্তা করতে থাকলাম আমি যদি এই মুহুর্তে মারা যাই তবে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ঘন্টার মধ্যে আমার আত্মীয়-স্বজনরা এমনিভাবে গর্ত করে কবর বানিয়ে কাফনের কাপড় পড়িয়ে আমাকে একা রেখে চলে যাবে। শুধু আমাকে একা থাকতে হবে। অথচ দুনিয়াতে আমি তাদের কত প্রিয় ছিলাম। আমার কত ক্ষমতা ছিল। আমার চারপাশে স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিত জন, নেতা-কর্মীদের দ্বারা বেষ্টিত ছিলাম। আমি ছিলাম সবার মধ্যমণি। আজ কেউ নেই। আমি শুধু একা অন্ধকার কবরে। কমপক্ষে ৫০ হাজার বছর এখানে কাটাতে হবে।
এই কবর প্রতিদিন মানুষকে ডাকছে হে বনী আদম! আমি সাপবিচ্ছুর ঘর, আমি পোকা-মাকড়ের ঘর, আমি অন্ধকার ঘর, তাই আমার ঘরে আসার আগে আলো নিয়ে এসো। সাপ থেকে বাচার উপকরণ নিয়ে এসো। কিন্তু আমরা সে ডাক শুনছি না। শয়তান আমাদের সে ডাক শুনতে দিচ্ছে না।
আমার বিশ্বাস বর্তমান বিশ্বের যে কেউ, যদি কবরের সামনে একাকী হাজির হয়ে নিজের মৃত্যুর কথা চিন্তা করে ও কবরের আযাবের ভয় অন্তরে ধারণ করে তাহলে কোন ওয়াজ মাহফিল ছাড়াই মানুষ এমনিতে ভাল হয়ে যাবে। হানাহানি রক্তপাত, ক্ষমতালোভ, ঠগবাজি, ক্ষমতাবাজী ছেড়ে দিবে। ক্ষমতা দিতে চাইলেও উক্ত ব্যক্তি তা নিতে চাইবে না। কারণ বতর্মান যুগে ক্ষমতায় যাওয়া মানেই জনগণের হক নষ্ট করা, নিজের স্বার্থ রক্ষা করা, অন্যের স্বার্থে কুঠারাঘাত করা, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া, ভুল বিচার করা ইত্যাদি।
আজ বাংলাদেশের একজন ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি বলতে পারবে না আমি আমার ক্ষমতায় গিয়ে কোন অন্যায় করিনি বা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি।
তাই, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যেমন শিক্ষাসফরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিভিন্ন নির্দশন দেখিয়ে যথার্থ জ্ঞান দেওয়া হয় তেমনি কোন ব্যক্তিকে সরাসরি কবরের সামনে এনে মৃত্যু ভয়ে ভীত করা ব্যতীত অন্য কোন উপায় নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিজ নিজ মৃত্যুভাবনা ভীত হয়ে যাবতীয় অন্যায় থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।
আমিন।
আমরা আমাদের জীবনকে খুবই ভালবাসি। তাই দুনিয়াবী জীবনে উৎকৃষ্ট পণ্যের ব্যবহার ও পরিপূর্ণ ভোগের মাধ্যমে শুধুই বেঁচে থাকার কামনায় মত্ত থাকি। আরাম-আয়েশ, সুখ-স্বাচ্ছন্দ, বিলাসী জীবন তালাশে রাত-দিন ব্যস্ত থাকি। যেন পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নাই। আমাদের জীবনের চাকা চলছেই।
প্রিয় বন্ধুরা, আমরা মানুষ, আমাদের মরতে হবেই। মৃত্যু থেকে রেহাই নাই। গতকাল একটি কবরের পাশে দীর্ঘক্ষণ একটানা তাকিয়ে ছিলাম। দৃষ্টি নড়েনি। নিজের মৃত্যুর কথা এমনিতে মনে পড়ে গেল। তখন দুনিয়ার সুখ-শান্তিকে বৃথা মনে হলো। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু, বান্ধব সবই যেন ভুলে গেলাম।
চিন্তা করতে থাকলাম আমি যদি এই মুহুর্তে মারা যাই তবে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ঘন্টার মধ্যে আমার আত্মীয়-স্বজনরা এমনিভাবে গর্ত করে কবর বানিয়ে কাফনের কাপড় পড়িয়ে আমাকে একা রেখে চলে যাবে। শুধু আমাকে একা থাকতে হবে। অথচ দুনিয়াতে আমি তাদের কত প্রিয় ছিলাম। আমার কত ক্ষমতা ছিল। আমার চারপাশে স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিত জন, নেতা-কর্মীদের দ্বারা বেষ্টিত ছিলাম। আমি ছিলাম সবার মধ্যমণি। আজ কেউ নেই। আমি শুধু একা অন্ধকার কবরে। কমপক্ষে ৫০ হাজার বছর এখানে কাটাতে হবে।
এই কবর প্রতিদিন মানুষকে ডাকছে হে বনী আদম! আমি সাপবিচ্ছুর ঘর, আমি পোকা-মাকড়ের ঘর, আমি অন্ধকার ঘর, তাই আমার ঘরে আসার আগে আলো নিয়ে এসো। সাপ থেকে বাচার উপকরণ নিয়ে এসো। কিন্তু আমরা সে ডাক শুনছি না। শয়তান আমাদের সে ডাক শুনতে দিচ্ছে না।
আমার বিশ্বাস বর্তমান বিশ্বের যে কেউ, যদি কবরের সামনে একাকী হাজির হয়ে নিজের মৃত্যুর কথা চিন্তা করে ও কবরের আযাবের ভয় অন্তরে ধারণ করে তাহলে কোন ওয়াজ মাহফিল ছাড়াই মানুষ এমনিতে ভাল হয়ে যাবে। হানাহানি রক্তপাত, ক্ষমতালোভ, ঠগবাজি, ক্ষমতাবাজী ছেড়ে দিবে। ক্ষমতা দিতে চাইলেও উক্ত ব্যক্তি তা নিতে চাইবে না। কারণ বতর্মান যুগে ক্ষমতায় যাওয়া মানেই জনগণের হক নষ্ট করা, নিজের স্বার্থ রক্ষা করা, অন্যের স্বার্থে কুঠারাঘাত করা, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া, ভুল বিচার করা ইত্যাদি।
আজ বাংলাদেশের একজন ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি বলতে পারবে না আমি আমার ক্ষমতায় গিয়ে কোন অন্যায় করিনি বা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি।
তাই, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যেমন শিক্ষাসফরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিভিন্ন নির্দশন দেখিয়ে যথার্থ জ্ঞান দেওয়া হয় তেমনি কোন ব্যক্তিকে সরাসরি কবরের সামনে এনে মৃত্যু ভয়ে ভীত করা ব্যতীত অন্য কোন উপায় নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিজ নিজ মৃত্যুভাবনা ভীত হয়ে যাবতীয় অন্যায় থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।
আমিন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৭/১১/২০১৩আমিন।ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন।আপনার সাথে একমত .। কিন্তু আপনার লেখা পড়লে ও মন্তব্য তেমন পরবে না।সবাই মৃত্যু থেকে পালাতে চায়।