আমাদের কী হবে (মুসলমানদের প্রতি)
আমাদের কী হবে? (মুসলমানদের প্রতি)
বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ (প্রচলিত সংখ্যা), প্রকৃত সংখ্যা আল্লাহ ই জানেন। দেশের সব মানুষ একরকম নয় এবং তা হবার কথাও নয়। কারণ সবাই একরকম শিক্ষিত নয়। সুশিক্ষিত, স্বশিক্ষিত ও ভালোর ভিতরে লুকিয়ে থাকে কিছু কুশিক্ষিত। শিক্ষাই পাপ যার সেই কুশিক্ষিত। ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবর্জিত শিক্ষার ভিতরে অসৎ সঙ্গের মাধ্যেম কুশিক্ষার প্রভাব ঢুকতে থাকে। কুশিক্ষা থেকে কুকর্ম, অসদাচরণে ডিমে তা দিয়ে এটা একসময় বৃহৎ আকার ধারণ করে। এ সত্য আজ দিবালোকের মতো স্পস্ট। ঐশী আমাদের একমাত্র উদাহরণ নয় এমন হাজারো ঐশী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। সবার খবর ঘটা করে প্রচার হয় না। অনেক পিতামাতা এমন ঐশীদের নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। এর মূলে হলো ধর্মীয় শিক্ষা, আল্লাহ ভীতি ও ধর্মীয় রীতিনীতি পরিহার করার ফল। আমাদের দেশে ধর্মীয় শিক্ষাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে ও ইসলামী মূল্যবোধ, আল্লাহভীতিকে তোয়াক্কা না করে যারা নিজেদের তথাকথিত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন এমনই কিছু লোক গণতন্ত্র গণতন্ত্র করে বাংলার আকাশ বাতাস ভারী করছেন। তারা হয়ে গেছেন বড় বড় নেতা। আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টিসহ আরো কত শত পার্টি। সবাই গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। তাদের ধারণা একমাত্র গণতন্ত্রই মানুষকে শান্তি দিতে পারে। তারা পবিত্র কুরআনকে সেকেলে ও অনুপযুক্ত মনে করে। অথচ এদের বেশিরভাগই নামধারী মুসলমানের সন্তান। এদের অনেকের নামের আগে পাছে আলহাজ্ব, সৈয়দ, রহমান, মোল্লা, উদ্দিন, হোসেন, আহমদ ইত্যাদি লকব লাগানো। পোস্টারে আল্লাহ সর্ব শক্তিমান, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ইত্যাদি জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে আল্লাহ সর্ব শক্তিমান, যে আল্লাহ বালুকণা থেকে শুরু করে ঐ কঠিন আসমান, পাহাড়-পর্বত, প্রাণীকুল সৃষ্টি করে তাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ করছেন সেই আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান আল-কুরআন সেকেলে হয়ে গেল? কুরআনের বিধান মানুষের অনুপযুক্ত হয়ে গেল? এটা কী আল্লাহর সাথে প্রহসন করা নয় কী? এই তত্ত্বের পোস্টমর্টেম করলে দেখা যাবে যে যারা আজ কুরআনকে এমন ভাবছে তারা তাদের পিতামাতার কাছ থেকেই ঠকে এসেছে। পিতামাতা তাদের এমন শিক্ষা দেয়নি যাতে পবিত্র কুরআনের অর্থ বুঝতে সক্ষম হয়। ধরা যাক আমার এমন কঠিন রোগ হয়েছে যে, চিকিৎসার জন্য অবশ্যই জাপান যেতে হবে। জাপানী ডাক্তার আমার রোগ পরীক্ষা করে জাপানী বর্ণমালা ব্যবহার করে একটি প্রেসক্রিপশন করলেন। কিন্তু আমি জাপানী ভাষা কিছুই বুঝি না। তাহলে এখন আমি কী করব? আমার চিকিৎসার প্রয়োজনে অবশ্যই জাপানী ভাষা বুঝে এমন একজনে কাছে গিয়ে ডাক্তার কী কী আদেশ ও নিষেধ করল তা আমাকে জেনে নিতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ ও নিষেধকৃত বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে। আর যদি তা না করে প্রেসক্রিপশনটি বুঝিনি বলে তুচ্ছ জ্ঞানে ফেলে দেই তাহলে আমার আর চিকিৎসা হবে না। অথচ আমরা দুনিয়ার প্রয়োজনে চিকিৎসার স্বার্থে ডাক্তারের উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি। পক্ষান্তরে আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান পবিত্র কুরআনকে ছেড়ে বানানোতন্ত্র (হারামী তন্ত্র/কুফুরী তন্ত্র) কে ধারণ করে শান্তি শান্তি শান্তি বলে দুনিয়া তোলপাড় করছি। এসব শিক্ষিতরা কত বড় অশিক্ষিত। ইসলামী শিক্ষা না থাকায় তারা মানুষের হক কি এটা বুঝে না। তারা খাও দাও ফুর্তি করো নীতিতে চলতে থাকে। এক সময় এসব নেতারা মানুষের হক নষ্ট করে তুঙ্গে উঠে যায়। নেতা বা মন্ত্রী হয়ে চুরি করতেও দ্বিধাবোধ করে না। আজ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তো কাল বিএনপি। কিন্তু আমাদের (জনগণের) কী হবে?
আপনারা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, ঐসব নেতাদের ভোট দেন, তারা জেনে রাখুন; আপনার ভোট পেয়ে উক্ত নেতারা যেসব অপকর্ম করে তার প্রতিটি পাপের ভার হিস্যানুযায়ী এর একটি ভাগ আপনার আমল নামায় এসে অটোমেটিক জমা হতে থাকবে। হাশরের মাঠে আপনি দেখবেন আপনার আমলনামায় ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হিরোইন, মাদক, চোরাচালান এসবের মামলা, সাথে আছে গরীব মানুষের ফান্ড চুরি, ঘুষ কেলেংকারি, সরকারী সম্পদের অপচয়, সরকারি ক্রয়ে আত্মসাৎ, উল্টাপাল্টা বিচার, একের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর অপরাধসহ শত কোটি অপরাধের মামলা। তখন আপনি বলবেন হে আল্লাহ আমি এসব করিনি। কারণ আমি সরকারি কোন পদে ছিলাম না। আমি এমপি বা মন্ত্রী হইনি। আল্লাহ বলবেন তুমি করনি, কিন্তু তুমি যাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিলে তারা করেছিল। তুমি তা থেকে ভাগ পেয়েছ মাত্র।
তাই, আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের এমন কুশিক্ষা না দিয়ে ইসলামী শিক্ষা দেই যাতে আল্লাহভীতি সৃষ্টি হয়। কারণ তারা দেশের আগামী। আল্লাহভীতিকে ধারণ করে কুরআন ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় তারা দেশের সেবায় এলে সবাই এর কল্যাণ লাভ করবে।
বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ (প্রচলিত সংখ্যা), প্রকৃত সংখ্যা আল্লাহ ই জানেন। দেশের সব মানুষ একরকম নয় এবং তা হবার কথাও নয়। কারণ সবাই একরকম শিক্ষিত নয়। সুশিক্ষিত, স্বশিক্ষিত ও ভালোর ভিতরে লুকিয়ে থাকে কিছু কুশিক্ষিত। শিক্ষাই পাপ যার সেই কুশিক্ষিত। ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবর্জিত শিক্ষার ভিতরে অসৎ সঙ্গের মাধ্যেম কুশিক্ষার প্রভাব ঢুকতে থাকে। কুশিক্ষা থেকে কুকর্ম, অসদাচরণে ডিমে তা দিয়ে এটা একসময় বৃহৎ আকার ধারণ করে। এ সত্য আজ দিবালোকের মতো স্পস্ট। ঐশী আমাদের একমাত্র উদাহরণ নয় এমন হাজারো ঐশী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। সবার খবর ঘটা করে প্রচার হয় না। অনেক পিতামাতা এমন ঐশীদের নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। এর মূলে হলো ধর্মীয় শিক্ষা, আল্লাহ ভীতি ও ধর্মীয় রীতিনীতি পরিহার করার ফল। আমাদের দেশে ধর্মীয় শিক্ষাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে ও ইসলামী মূল্যবোধ, আল্লাহভীতিকে তোয়াক্কা না করে যারা নিজেদের তথাকথিত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন এমনই কিছু লোক গণতন্ত্র গণতন্ত্র করে বাংলার আকাশ বাতাস ভারী করছেন। তারা হয়ে গেছেন বড় বড় নেতা। আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টিসহ আরো কত শত পার্টি। সবাই গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। তাদের ধারণা একমাত্র গণতন্ত্রই মানুষকে শান্তি দিতে পারে। তারা পবিত্র কুরআনকে সেকেলে ও অনুপযুক্ত মনে করে। অথচ এদের বেশিরভাগই নামধারী মুসলমানের সন্তান। এদের অনেকের নামের আগে পাছে আলহাজ্ব, সৈয়দ, রহমান, মোল্লা, উদ্দিন, হোসেন, আহমদ ইত্যাদি লকব লাগানো। পোস্টারে আল্লাহ সর্ব শক্তিমান, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ইত্যাদি জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে আল্লাহ সর্ব শক্তিমান, যে আল্লাহ বালুকণা থেকে শুরু করে ঐ কঠিন আসমান, পাহাড়-পর্বত, প্রাণীকুল সৃষ্টি করে তাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ করছেন সেই আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান আল-কুরআন সেকেলে হয়ে গেল? কুরআনের বিধান মানুষের অনুপযুক্ত হয়ে গেল? এটা কী আল্লাহর সাথে প্রহসন করা নয় কী? এই তত্ত্বের পোস্টমর্টেম করলে দেখা যাবে যে যারা আজ কুরআনকে এমন ভাবছে তারা তাদের পিতামাতার কাছ থেকেই ঠকে এসেছে। পিতামাতা তাদের এমন শিক্ষা দেয়নি যাতে পবিত্র কুরআনের অর্থ বুঝতে সক্ষম হয়। ধরা যাক আমার এমন কঠিন রোগ হয়েছে যে, চিকিৎসার জন্য অবশ্যই জাপান যেতে হবে। জাপানী ডাক্তার আমার রোগ পরীক্ষা করে জাপানী বর্ণমালা ব্যবহার করে একটি প্রেসক্রিপশন করলেন। কিন্তু আমি জাপানী ভাষা কিছুই বুঝি না। তাহলে এখন আমি কী করব? আমার চিকিৎসার প্রয়োজনে অবশ্যই জাপানী ভাষা বুঝে এমন একজনে কাছে গিয়ে ডাক্তার কী কী আদেশ ও নিষেধ করল তা আমাকে জেনে নিতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ ও নিষেধকৃত বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে। আর যদি তা না করে প্রেসক্রিপশনটি বুঝিনি বলে তুচ্ছ জ্ঞানে ফেলে দেই তাহলে আমার আর চিকিৎসা হবে না। অথচ আমরা দুনিয়ার প্রয়োজনে চিকিৎসার স্বার্থে ডাক্তারের উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি। পক্ষান্তরে আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান পবিত্র কুরআনকে ছেড়ে বানানোতন্ত্র (হারামী তন্ত্র/কুফুরী তন্ত্র) কে ধারণ করে শান্তি শান্তি শান্তি বলে দুনিয়া তোলপাড় করছি। এসব শিক্ষিতরা কত বড় অশিক্ষিত। ইসলামী শিক্ষা না থাকায় তারা মানুষের হক কি এটা বুঝে না। তারা খাও দাও ফুর্তি করো নীতিতে চলতে থাকে। এক সময় এসব নেতারা মানুষের হক নষ্ট করে তুঙ্গে উঠে যায়। নেতা বা মন্ত্রী হয়ে চুরি করতেও দ্বিধাবোধ করে না। আজ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তো কাল বিএনপি। কিন্তু আমাদের (জনগণের) কী হবে?
আপনারা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, ঐসব নেতাদের ভোট দেন, তারা জেনে রাখুন; আপনার ভোট পেয়ে উক্ত নেতারা যেসব অপকর্ম করে তার প্রতিটি পাপের ভার হিস্যানুযায়ী এর একটি ভাগ আপনার আমল নামায় এসে অটোমেটিক জমা হতে থাকবে। হাশরের মাঠে আপনি দেখবেন আপনার আমলনামায় ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হিরোইন, মাদক, চোরাচালান এসবের মামলা, সাথে আছে গরীব মানুষের ফান্ড চুরি, ঘুষ কেলেংকারি, সরকারী সম্পদের অপচয়, সরকারি ক্রয়ে আত্মসাৎ, উল্টাপাল্টা বিচার, একের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর অপরাধসহ শত কোটি অপরাধের মামলা। তখন আপনি বলবেন হে আল্লাহ আমি এসব করিনি। কারণ আমি সরকারি কোন পদে ছিলাম না। আমি এমপি বা মন্ত্রী হইনি। আল্লাহ বলবেন তুমি করনি, কিন্তু তুমি যাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিলে তারা করেছিল। তুমি তা থেকে ভাগ পেয়েছ মাত্র।
তাই, আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের এমন কুশিক্ষা না দিয়ে ইসলামী শিক্ষা দেই যাতে আল্লাহভীতি সৃষ্টি হয়। কারণ তারা দেশের আগামী। আল্লাহভীতিকে ধারণ করে কুরআন ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় তারা দেশের সেবায় এলে সবাই এর কল্যাণ লাভ করবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১১/১০/২০১৩আপনারে জানাই হাজার সালাম। খুবই বাস্তব গভীরতা পূর্ণ সমসাময়িক একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার সাথে আমি সহমত পোষন করছি। যে কথা গুলো আপনি তুলে এনেছেন প্রবন্ধে তা বলার জন্য এই সমাজে সত্যি হিম্মতের প্রয়োজন। সময়র এএই কঠিন মুহূর্তে কেউ আজ সত্য বলতে সাহস পায় না। আপনি সেই কাজটি করছেন। তাই আপনাকে জানায়. অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ১১/১০/২০১৩আমাদের ভীতর থেকে নৈতিক মূল্যবোধ দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। যা কারণে আমাদের সমাজের অবস্থা দিনে দিনে খারাপের দিকে যাচ্ছে।
-
সামসুল আলম দোয়েল ১০/১০/২০১৩বাস্তবধর্মী লেখা। আমাদের এ বিষয়ে সজাগ হতে হবে। আরো ভাবনার প্রয়োজন...