ভালোবাসা
এই বৃষ্টি সব মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয় ভুলে যাওয়া ভালবাসার কথা।
আকাশ ঘিরে মেঘ করলেই মনের মধ্যে পুরোনো সেই ডাক...
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
পক্ষীরাজে চেপে
আজ কবিতা লিখলে পরে
লিখব না সংক্ষেপে।
কবিতাটাও বৃষ্টি হবে,
মেঘের পাতায় ছেপে।
বৃষ্টি এসে ছুঁলেই জেগে ওঠে আরো কিছু চাওয়া। যে চাওয়া ভুলে থাকি, ভুলিয়ে রাখি জোর করে। অবুঝ মন আনমনে কামড়ে ফেলে ঠোঁট, হাত চলে যায় নীল মুঠোফোনের দিকে।
‘তোর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি, হারিয়ে গেছে খেই,
তবুও তোকে ভালবাসছি নিজের অজান্তেই...’
এসএমএস টা পাঠাতেই উত্তর এল, ‘কেন ভালবাসছ, অকারণে?’
কী বলি? ভালবাসার কি কারণ হয়? নাকি ভালবাসা কোনো কারণ হয়? যদি হত, তবে তো ভালবাসার কারণ দেখিয়ে অফিস ছুটি নেওয়া যেত দিব্যি! তা তো হয় না।
তুমি বললে আর ভাল না বাসতে। আমিও ঠিক করলাম আর ভালবাসব না।
চেষ্টা করলাম রাগ করতে। রাগ করতে করতেও ভালবেসে ফেললাম!
চেষ্টা করলাম ঘৃণা করতে। ঘৃণা করতে গিয়েও ভালবেসে ফেললাম !
তোমার আর আমার স্বতন্ত্র ইচ্ছার মাঝে গ্রামের মোড়লের মত নাক গলিয়ে দেয় ভালবাসা। কোন ফাঁক গলে ঢুকে পড়ে নানা কথা বোঝাতে থাকে পাড়ার শুভাকাঙ্ক্ষী পিসিমা’র মত। যত বলি, ‘শুনব না। যাও এখান থেকে’, হাজার জোরাজুরিতেও যায় না।
বৃষ্টি এসে যোগায় আরো ইন্ধনঃ
বৃষ্টি ফোঁটা ফোঁটা,
আমার বৃষ্টি বৃষ্টি মন,
ভয় না পেয়ে ভিজতে পারি
বৃষ্টি যতক্ষণ।
বৃষ্টি ধারা ধারা,
আমার বৃষ্টি বৃষ্টি প্রাণ,
আমি করতে পারি স্নান,
বৃষ্টি যতক্ষণ।
বৃষ্টি ছোঁয়া ছোঁয়া,
আমার বৃষ্টি বৃষ্টি চোখ,
বৃষ্টি যদি ভাসাতে চায়,
হোক, তবে তাই হোক !
তোর সঙ্গে ভিজব,
এই আশায় বসে থাকি,
বৃষ্টি কখন শেষ !
আমার এখনো ভেজা বাকি...
জানি তুমি আসবে না। জানি, আর একসাথে ভিজব না। চোখের সামনে কল্পনায় তোমার বিয়ের দৃশ্য ভেবে নি। তোমাকে কল্পনা করি অন্য কারো আলিঙ্গনে। চেষ্টা করি নির্লিপ্ত হতে।
নির্লিপ্ত হতে গিয়েও ভালবেসে ফেলি !
তাই আবার এসএমএস-এ অভিমানের খেলা...
‘নাভির নীচে শাড়ি, কোমর চাঁদের বাঁক/ তোর সাথে তো আড়ি ! তুই এমনি চেয়ে থাক!’
যেমন বুড়ো বয়সে মনে পড়ে মা’র আঁচল ধরে বায়না করার কথা, তেমন ভাবেই মনে পড়ে যায় এই পুরনো অভ্যেস, অভ্যেস এর সময় পেরিয়ে গেছে, তা খেয়াল থাকে না।
তা’হলে ভালবাসা কি সত্যিই অন্ধ? উঁহু, না, ভালবাসা বুঝি তৃতীয় নয়ন, কপালে নয়, ঠিক বুকের মাঝখানটিতে। কেজো চোখের উপর হাত চাপা দিয়ে ভালবাসা জগত দেখায় আপন খেয়ালে।
ভালবাসার হল ঝড়। সে তাকে যে নামেই ডাকা যাক। আবহবিদের খেয়ালে সে আসে না। আবহবিদের খেয়ালে সে চলে না। আবহবিদ বসে বসে নিরীক্ষণ করে। ঝড়ের গতিবিধি নিয়ে মতামত দেয়। আর ঝড় পথ বেছে নেয় নিজের খেয়ালে, যেখানে খুশি যায়, ভাংচুর করে, বৃষ্টি নামায়, ভাসায়, ডোবায়, রাখে, নষ্ট করে...
আমরা গদ্য লিখি, পদ্য লিখি, আপডেট দি ফেসবুক দেওয়ালে -- ভালবাসা কী, আবেগ নাকি বোকামি, দায়িত্ব নাকি পাগলামি...
ভালবাসা আসলে একটি চরিত্র, একটি স্বতন্ত্র চরিত্র, তার নিজের সংলাপ সে নিজেই লেখে, কারো কলমের ধার ধারে না, কারো বুদ্ধির ধার ধারে না। ইচ্ছে হলে ঘুম পাড়ায়, ইচ্ছে হলে রাত জাগায়, ইচ্ছে হলে দুঃখ দেয়, ইচ্ছে হলে রাগ করায়।
তাই আবার এসএমএসঃ
‘কথা ছিল আজকে থেকে অন্য কিছু ভাবার/ বেখেয়ালে তোর দেওয়ালে বার্তা দিলাম আবার !’
আকাশ ঘিরে মেঘ করলেই মনের মধ্যে পুরোনো সেই ডাক...
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
পক্ষীরাজে চেপে
আজ কবিতা লিখলে পরে
লিখব না সংক্ষেপে।
কবিতাটাও বৃষ্টি হবে,
মেঘের পাতায় ছেপে।
বৃষ্টি এসে ছুঁলেই জেগে ওঠে আরো কিছু চাওয়া। যে চাওয়া ভুলে থাকি, ভুলিয়ে রাখি জোর করে। অবুঝ মন আনমনে কামড়ে ফেলে ঠোঁট, হাত চলে যায় নীল মুঠোফোনের দিকে।
‘তোর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি, হারিয়ে গেছে খেই,
তবুও তোকে ভালবাসছি নিজের অজান্তেই...’
এসএমএস টা পাঠাতেই উত্তর এল, ‘কেন ভালবাসছ, অকারণে?’
কী বলি? ভালবাসার কি কারণ হয়? নাকি ভালবাসা কোনো কারণ হয়? যদি হত, তবে তো ভালবাসার কারণ দেখিয়ে অফিস ছুটি নেওয়া যেত দিব্যি! তা তো হয় না।
তুমি বললে আর ভাল না বাসতে। আমিও ঠিক করলাম আর ভালবাসব না।
চেষ্টা করলাম রাগ করতে। রাগ করতে করতেও ভালবেসে ফেললাম!
চেষ্টা করলাম ঘৃণা করতে। ঘৃণা করতে গিয়েও ভালবেসে ফেললাম !
তোমার আর আমার স্বতন্ত্র ইচ্ছার মাঝে গ্রামের মোড়লের মত নাক গলিয়ে দেয় ভালবাসা। কোন ফাঁক গলে ঢুকে পড়ে নানা কথা বোঝাতে থাকে পাড়ার শুভাকাঙ্ক্ষী পিসিমা’র মত। যত বলি, ‘শুনব না। যাও এখান থেকে’, হাজার জোরাজুরিতেও যায় না।
বৃষ্টি এসে যোগায় আরো ইন্ধনঃ
বৃষ্টি ফোঁটা ফোঁটা,
আমার বৃষ্টি বৃষ্টি মন,
ভয় না পেয়ে ভিজতে পারি
বৃষ্টি যতক্ষণ।
বৃষ্টি ধারা ধারা,
আমার বৃষ্টি বৃষ্টি প্রাণ,
আমি করতে পারি স্নান,
বৃষ্টি যতক্ষণ।
বৃষ্টি ছোঁয়া ছোঁয়া,
আমার বৃষ্টি বৃষ্টি চোখ,
বৃষ্টি যদি ভাসাতে চায়,
হোক, তবে তাই হোক !
তোর সঙ্গে ভিজব,
এই আশায় বসে থাকি,
বৃষ্টি কখন শেষ !
আমার এখনো ভেজা বাকি...
জানি তুমি আসবে না। জানি, আর একসাথে ভিজব না। চোখের সামনে কল্পনায় তোমার বিয়ের দৃশ্য ভেবে নি। তোমাকে কল্পনা করি অন্য কারো আলিঙ্গনে। চেষ্টা করি নির্লিপ্ত হতে।
নির্লিপ্ত হতে গিয়েও ভালবেসে ফেলি !
তাই আবার এসএমএস-এ অভিমানের খেলা...
‘নাভির নীচে শাড়ি, কোমর চাঁদের বাঁক/ তোর সাথে তো আড়ি ! তুই এমনি চেয়ে থাক!’
যেমন বুড়ো বয়সে মনে পড়ে মা’র আঁচল ধরে বায়না করার কথা, তেমন ভাবেই মনে পড়ে যায় এই পুরনো অভ্যেস, অভ্যেস এর সময় পেরিয়ে গেছে, তা খেয়াল থাকে না।
তা’হলে ভালবাসা কি সত্যিই অন্ধ? উঁহু, না, ভালবাসা বুঝি তৃতীয় নয়ন, কপালে নয়, ঠিক বুকের মাঝখানটিতে। কেজো চোখের উপর হাত চাপা দিয়ে ভালবাসা জগত দেখায় আপন খেয়ালে।
ভালবাসার হল ঝড়। সে তাকে যে নামেই ডাকা যাক। আবহবিদের খেয়ালে সে আসে না। আবহবিদের খেয়ালে সে চলে না। আবহবিদ বসে বসে নিরীক্ষণ করে। ঝড়ের গতিবিধি নিয়ে মতামত দেয়। আর ঝড় পথ বেছে নেয় নিজের খেয়ালে, যেখানে খুশি যায়, ভাংচুর করে, বৃষ্টি নামায়, ভাসায়, ডোবায়, রাখে, নষ্ট করে...
আমরা গদ্য লিখি, পদ্য লিখি, আপডেট দি ফেসবুক দেওয়ালে -- ভালবাসা কী, আবেগ নাকি বোকামি, দায়িত্ব নাকি পাগলামি...
ভালবাসা আসলে একটি চরিত্র, একটি স্বতন্ত্র চরিত্র, তার নিজের সংলাপ সে নিজেই লেখে, কারো কলমের ধার ধারে না, কারো বুদ্ধির ধার ধারে না। ইচ্ছে হলে ঘুম পাড়ায়, ইচ্ছে হলে রাত জাগায়, ইচ্ছে হলে দুঃখ দেয়, ইচ্ছে হলে রাগ করায়।
তাই আবার এসএমএসঃ
‘কথা ছিল আজকে থেকে অন্য কিছু ভাবার/ বেখেয়ালে তোর দেওয়ালে বার্তা দিলাম আবার !’
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস,বি, (পিটুল) ০৩/০৫/২০১৪Wow hoisa
-
আশিক রহমান ২৬/০৪/২০১৪wowww.. nice status. keep it up dear.
-
debarati ২৫/০৪/২০১৪DARUN