অাবেগীয় রম্য
পলাশ আজকাল নিজেকে বেশ ফিটফাট
রেখে চলে । নিজেকে ওর আজকাল বেশ
matured মনে হয় । ক্লাস এইট
বলে কথা । ক্লাসে পাশের bench এর
নীলাকে দেখলে ওর ভেতরে আজকাল
একটা শিহরণ হয় । মনে হয় কতো আপন,
কতো দিনের চেনা । নীলাও
ইদানীং ওর
দিকে ঘুরে ঘুরে তাকায় ।
হয়তো নীলারও একই ফিলিংস হয় ।
এসব ভাবতে ভাবতে ক্লাসে ঢোকে
পলাশ ।
উফফ্ সেই অনুভূতি । নীলা আসছে ।
হঠাৎ সেই অনুভূতি তে আরও
বাড়তি মাত্রা যোগ
করলো নীলা নিজেই...
-এই... এই শুনছো ।
পলাশ বিশ্বাসই করতে পারছে না ।
ওকেই ডাকছে তো? নীলা এবার ওর
নাম ধরে ডাকলো...
-এই পলাশ ।
-ও আমি?
- এই ক্লাসে পলাশ নামে আর কেউ
আছে? তোমাকেই ডাকছি ।
-ও সরি । খেয়াল করিনি । বলো ।
-একটা কলম দাও না প্লিজ । কলম
আনতে ভুলে গেছি ।
-ও সিওর । দাড়াও । এই নাও ।
একটা দামী কলম ছিলো ওর ।
ওটা দিলো । স্কুল
ছুটি হলে কলমটা পলাশকে ফেরত
দিয়ে নীলা বললো
-Thanks কলমটা দেয়ার জন্য । বাসায়
যেয়ে কলমের ভেতরটা একটু
খুলে দেখো ।
-কেন কি আছে ভেতরে?
-বাসায় যেয়ে দেখো । ওকে?
-ওকে ।
শিমুল বাসায় ঢুকেই
আগে কলমটা খুললো ।
দেখে ভেতরে একটা কাগজ ।
খুলে দেখে সেখানে লেখা-
"এই অসভ্য । প্রতিদিন আমার
দিকে বোকার মতো তাকায়
থাকো কেন? আমার লজ্জা করে না?
কিছু বলার
থাকলে বলতে তো পারো নাকি?"
আহ্ পলাশের কাছে এটা মেঘ
না চাইতেই বৃষ্টি ।
রাতে পলাশ লিখতে বসলো
"বোকা মেয়ে বোঝ না? কেন
তাকিয়ে থাকি? I love u"
ব্যাস একই ভাবে কলম
খুলে কাগজটা ভেতরে ঢুকিয়ে
দিলো পলাশ ।
পরদিন ক্লাসে ঢুকে বসতেই
নীলা হাজির ।
-পলাশ ।
-আরে নীলা । হ্যাঁ বলো ।
-কলম আনতে ভুলে গেছি একটা কলম
দিবা?
পলাশ
বুঝে গেলো নীলা কি চাচ্ছে ।
-সিওর এই নাও ।
ঐ কলমটাই দিলো । স্কুল
শেষে মুচকি হেসে নীলা কলমটা
ফেরত দিলো । বাসায় গিয়ে কলম
খুলে দেখে নীলা লিখেছে I Love
You Too. এভাবেই চলতে থাকে ওদের
কলমী ভালোবাসা । হঠাৎ ছয় মাস পর
অর্থাৎ ক্লাস নাইনের শুরু
থেকেই নীলা উধাও । উধাও
তো পুরোই উধাও ।
পরে জানতে পারলো নীলা অন্য
স্কুলে ভর্তি হয়েছে । অনেক
কেদেছিল পলাশ সেদিন ।
পলাশের এস.এস.সি. পরীক্ষা শেষ ।
খুব আনন্দে আড্ডা মারতেছে ।
হঠাৎ নীলাকে দেখলো । আজ ও
নীলা কে ছেড়ে দেবে না । অনেক
কথা বলার আছে ওকে । মানুষের
ইমোশন নিয়ে খেলা করার অধিকার
ওর নেই । একটু জোর
পায়ে হেটে নীলার
সামনে গিয়ে দাড়ালো । নীলার
মুখটা কেমন কালো হয়ে গেলো । ওর
সাথে একজন লোক আছে ।
-আরে পলাশ তুমি? কেমন আছো ।
আসো পরিচয় করিয়ে দেই এই
যে তোমাদের দুলাভাই ।
রাব্বি
-What? দুলাভাই মানে?
-মানে আমার বর । আচ্ছা পলাশ
আমরা তো একটু ব্যাস্ত । এখন
আসি পরে কথা হবে ।
পলাশ বুঝতেছে না কি হলো এই
মাত্র । শুধু কানে বাজতেছে "এই
যে তোমাদের দুলাভাই"
পরে অবশ্য পলাশ নিজেকে বোঝায় ।
ছোট বেলার আবেগ এসব । এটাতো আর
প্রেম না । প্রেম হবে এবার।
কলেজের ভর্তি ফরম পুরণের সময়
পাশে দাড়ানো কালো ড্রেস
পরা মেয়েটার প্রতি এবার ওর
ফিলিংস টা আরও তীব্র ছিলো
রেখে চলে । নিজেকে ওর আজকাল বেশ
matured মনে হয় । ক্লাস এইট
বলে কথা । ক্লাসে পাশের bench এর
নীলাকে দেখলে ওর ভেতরে আজকাল
একটা শিহরণ হয় । মনে হয় কতো আপন,
কতো দিনের চেনা । নীলাও
ইদানীং ওর
দিকে ঘুরে ঘুরে তাকায় ।
হয়তো নীলারও একই ফিলিংস হয় ।
এসব ভাবতে ভাবতে ক্লাসে ঢোকে
পলাশ ।
উফফ্ সেই অনুভূতি । নীলা আসছে ।
হঠাৎ সেই অনুভূতি তে আরও
বাড়তি মাত্রা যোগ
করলো নীলা নিজেই...
-এই... এই শুনছো ।
পলাশ বিশ্বাসই করতে পারছে না ।
ওকেই ডাকছে তো? নীলা এবার ওর
নাম ধরে ডাকলো...
-এই পলাশ ।
-ও আমি?
- এই ক্লাসে পলাশ নামে আর কেউ
আছে? তোমাকেই ডাকছি ।
-ও সরি । খেয়াল করিনি । বলো ।
-একটা কলম দাও না প্লিজ । কলম
আনতে ভুলে গেছি ।
-ও সিওর । দাড়াও । এই নাও ।
একটা দামী কলম ছিলো ওর ।
ওটা দিলো । স্কুল
ছুটি হলে কলমটা পলাশকে ফেরত
দিয়ে নীলা বললো
-Thanks কলমটা দেয়ার জন্য । বাসায়
যেয়ে কলমের ভেতরটা একটু
খুলে দেখো ।
-কেন কি আছে ভেতরে?
-বাসায় যেয়ে দেখো । ওকে?
-ওকে ।
শিমুল বাসায় ঢুকেই
আগে কলমটা খুললো ।
দেখে ভেতরে একটা কাগজ ।
খুলে দেখে সেখানে লেখা-
"এই অসভ্য । প্রতিদিন আমার
দিকে বোকার মতো তাকায়
থাকো কেন? আমার লজ্জা করে না?
কিছু বলার
থাকলে বলতে তো পারো নাকি?"
আহ্ পলাশের কাছে এটা মেঘ
না চাইতেই বৃষ্টি ।
রাতে পলাশ লিখতে বসলো
"বোকা মেয়ে বোঝ না? কেন
তাকিয়ে থাকি? I love u"
ব্যাস একই ভাবে কলম
খুলে কাগজটা ভেতরে ঢুকিয়ে
দিলো পলাশ ।
পরদিন ক্লাসে ঢুকে বসতেই
নীলা হাজির ।
-পলাশ ।
-আরে নীলা । হ্যাঁ বলো ।
-কলম আনতে ভুলে গেছি একটা কলম
দিবা?
পলাশ
বুঝে গেলো নীলা কি চাচ্ছে ।
-সিওর এই নাও ।
ঐ কলমটাই দিলো । স্কুল
শেষে মুচকি হেসে নীলা কলমটা
ফেরত দিলো । বাসায় গিয়ে কলম
খুলে দেখে নীলা লিখেছে I Love
You Too. এভাবেই চলতে থাকে ওদের
কলমী ভালোবাসা । হঠাৎ ছয় মাস পর
অর্থাৎ ক্লাস নাইনের শুরু
থেকেই নীলা উধাও । উধাও
তো পুরোই উধাও ।
পরে জানতে পারলো নীলা অন্য
স্কুলে ভর্তি হয়েছে । অনেক
কেদেছিল পলাশ সেদিন ।
পলাশের এস.এস.সি. পরীক্ষা শেষ ।
খুব আনন্দে আড্ডা মারতেছে ।
হঠাৎ নীলাকে দেখলো । আজ ও
নীলা কে ছেড়ে দেবে না । অনেক
কথা বলার আছে ওকে । মানুষের
ইমোশন নিয়ে খেলা করার অধিকার
ওর নেই । একটু জোর
পায়ে হেটে নীলার
সামনে গিয়ে দাড়ালো । নীলার
মুখটা কেমন কালো হয়ে গেলো । ওর
সাথে একজন লোক আছে ।
-আরে পলাশ তুমি? কেমন আছো ।
আসো পরিচয় করিয়ে দেই এই
যে তোমাদের দুলাভাই ।
রাব্বি
-What? দুলাভাই মানে?
-মানে আমার বর । আচ্ছা পলাশ
আমরা তো একটু ব্যাস্ত । এখন
আসি পরে কথা হবে ।
পলাশ বুঝতেছে না কি হলো এই
মাত্র । শুধু কানে বাজতেছে "এই
যে তোমাদের দুলাভাই"
পরে অবশ্য পলাশ নিজেকে বোঝায় ।
ছোট বেলার আবেগ এসব । এটাতো আর
প্রেম না । প্রেম হবে এবার।
কলেজের ভর্তি ফরম পুরণের সময়
পাশে দাড়ানো কালো ড্রেস
পরা মেয়েটার প্রতি এবার ওর
ফিলিংস টা আরও তীব্র ছিলো
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেনেসাঁ সাহা ২১/০২/২০১৫বেশ লাগল লেখা ।
-
সহিদুল ইসলাম ১৫/০২/২০১৫চালিয়ে যান ভায়া। বাস, ট্রেন আর মেয়ের জন্য অপেক্ষা করতে নেই।
-
অ ১৪/০২/২০১৫ভালো গল্প ।
-
জহির রহমান ১৪/০২/২০১৫...এভাবে জন্ম নিবে আরেকটি ভালোবাসার গল্প!
ভালো লেগেছে। -
মোঃ সাইফুল ইসলাম ১৪/০২/২০১৫অসামান্য সাবলীল প্রকাশনী খুব ভাল লাগল।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ১৪/০২/২০১৫khub valo @@@khub valo
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৪/০২/২০১৫ভালো লাগলো............