ডিজিটাল ক্রীতদাস
বর্ণবাদ আজকাল আর খুব বেশী উপলুব্ধ হতে দেখি না।
কালো আর সাদার মাঝে পার্থক্য সৃষ্টির মানসিকতা
এখন আর লোকের মাঝে তেমন একটা চোখে পড়ে না।
আধুনিকতার ছোয়ায় মানুষ ডিজিটাল হচ্ছে দিন দিন।
তবে এই পৃথিবীতে এখনও এমন কিছু মানুষের অস্তিত্ব থেকে গেছে,
যারা আধুনিক সভ্যতার কাছে ছোটলোক নিচূজাত হিসাবে পরিচিত।
তোমাদের আধুনিকতাই অভিহিত করেছে তাদেরকে
ছোটলোক নিচূ শ্রেণী ইত্যাদি নামে ব্যবহৃত পদবীতে।
মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা শুনেছি আমি দেখিনি বাস্তবে,
এখনও শরীরের লোম শিউরে ওঠে ইতিহাস দিচ্ছে তার সাক্ষী।
যেখানে নিষ্পাপ শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত
সেখানে মধ্যযুগীয় বর্বরতা নিজেই তো মরে লজ্জায়!
নীল চাষের উপমা কেন আজো টানছ বারে বারে?
যখন কিস্তির নামে ঘরের চালের টিন খুলে নেয়
সমাজ কল্যাণের নামে বেপরোয়া সুদের ব্যাপারী!
সাদাসিধে গৃহিণীর পরনের শাড়ি খুলে নিতে চায়
মানব সেবার নামে ভয়ানক রক্তচোষা অর্থলোভী এনজিও।
হিরোশিমা নাগাসাকির মর্মান্তিক বিস্ফোরণের কাহিনী শুনে
এখন আর চমকে ওঠে না যান্ত্রিক নগরে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম।
প্রকৃত পক্ষে মায়ের গর্ভে থাকতেই ওরা অভ্যাস করে নিয়েছে
ভেজালে অভ্যস্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাঝে কিভাবে টিকে থাকতে হয়।
চোখ মেলে তাকালেই চারিদিকে দেখতে পাই
কোমর সোজা করার ক্ষমতা হারানো সুশিক্ষায় শিক্ষিত জর্জরিতদের
বাড়িওয়ালার ভয়ে পেছন দরজা দিয়ে বেরিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে
পাবলিক বাসের রড ধরে ঝুলে থাকা মলিন মুখের ডিজিটাল ক্রীতদাস।
কালো আর সাদার মাঝে পার্থক্য সৃষ্টির মানসিকতা
এখন আর লোকের মাঝে তেমন একটা চোখে পড়ে না।
আধুনিকতার ছোয়ায় মানুষ ডিজিটাল হচ্ছে দিন দিন।
তবে এই পৃথিবীতে এখনও এমন কিছু মানুষের অস্তিত্ব থেকে গেছে,
যারা আধুনিক সভ্যতার কাছে ছোটলোক নিচূজাত হিসাবে পরিচিত।
তোমাদের আধুনিকতাই অভিহিত করেছে তাদেরকে
ছোটলোক নিচূ শ্রেণী ইত্যাদি নামে ব্যবহৃত পদবীতে।
মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা শুনেছি আমি দেখিনি বাস্তবে,
এখনও শরীরের লোম শিউরে ওঠে ইতিহাস দিচ্ছে তার সাক্ষী।
যেখানে নিষ্পাপ শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত
সেখানে মধ্যযুগীয় বর্বরতা নিজেই তো মরে লজ্জায়!
নীল চাষের উপমা কেন আজো টানছ বারে বারে?
যখন কিস্তির নামে ঘরের চালের টিন খুলে নেয়
সমাজ কল্যাণের নামে বেপরোয়া সুদের ব্যাপারী!
সাদাসিধে গৃহিণীর পরনের শাড়ি খুলে নিতে চায়
মানব সেবার নামে ভয়ানক রক্তচোষা অর্থলোভী এনজিও।
হিরোশিমা নাগাসাকির মর্মান্তিক বিস্ফোরণের কাহিনী শুনে
এখন আর চমকে ওঠে না যান্ত্রিক নগরে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম।
প্রকৃত পক্ষে মায়ের গর্ভে থাকতেই ওরা অভ্যাস করে নিয়েছে
ভেজালে অভ্যস্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাঝে কিভাবে টিকে থাকতে হয়।
চোখ মেলে তাকালেই চারিদিকে দেখতে পাই
কোমর সোজা করার ক্ষমতা হারানো সুশিক্ষায় শিক্ষিত জর্জরিতদের
বাড়িওয়ালার ভয়ে পেছন দরজা দিয়ে বেরিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে
পাবলিক বাসের রড ধরে ঝুলে থাকা মলিন মুখের ডিজিটাল ক্রীতদাস।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তরুণ কান্তি ২২/০৫/২০১৮অসাধারণ বর্ণনা ।