অদেখা প্রেম এবং অবশেষে
রোযার ঈদের দিন। মিনহাজ ভাই এসে বসে আছে। বিপ্লবকে নিয়ে একজায়গায় যাবে। বিপ্লব বলেছিল কোথায় যাবেন ভাই, কিন্তু মিনহাজ বলতে চায়না। বলেছে পরে বলবে। মিনহাজ বিপ্লবের সিনিয়র বন্ধু। কোথাও গেলে তাকে নিয়ে যায়। বিপ্লব যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিল। ওর ভিতরেও একটা রোমঞ্চকর অনুভূতি হতে লাগল। কিন্তু প্রকাশ করলো না। যাইহোক, দুজনে মিলে বাইরে বের হল। বিপ্লব বলল-ভাই আপনি আসলে কোথায় যাবেন। সত্যি কথা বলতে আপনার সমস্যা কোথায়। মিনহাজ বলল-চল, গাড়িতে যেতে যেতে বলবো। মিনহাজ বলল-আসলে আমরা এক মেয়ের বাসায় যাবো। প্রায় আমাকে বলে ওদের বাসায় যেতে, কিন্তু সময় পাইনা। আজ ভাবলাম সময় আছে বেরিয়ে আসি। বিপ্লব বলল- মেয়ের সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে কিভাবে? আর ওদের বাসা আপনি কিভাবে চিনবেন? মিনহাজ বলল- ওদের বাসার ঠিকানা ফোন করে যেনে নিবো। আর এতো কিছু জানার তোর দরকার কি। দেখ আমি কি করি। বিপ্লবের কাছে ব্যাপারটা কেমন জানি মনে হচ্ছে। মিনহাজ ভাই, মেয়েটাকেতো আপনি কখনও দেখেন নাই। যদি আমরা কোন বিপদে পরি। সে বলল- আরে না, কিছুই হবে না। পরবর্তীতে ঐ মেয়ের কাছ থেকে বাসার ঠিকানা নিয়ে ওরা দুজন বাসায় গিয়ে পৌঁছল। কিন্তু বাসার গেটে তালা মারা ছিল। তারা আবার মেয়েটিকে ফোন দিল। জানালো যে তারা ওর বাড়ির নিচে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটি চার তলা থেকে উঁকি মারলো। ভিতরে চলে গেল। আবার আসলো, নিচে চাবি ফেলল। মিনহাজ ভাইতো খুব খুঁশি। আজ মেয়েটার সাথে সামনাসামনি কথা বলবে। মিনহাজ একটা বুদ্ধি করলো, বিপ্লবকে বলল তুই বলবি আমি শ্রাবন (মিনহাজের ছদ্ম নাম, যা ফোনে ব্যবহার করতো)। বিপ্লব বলল, অসম্ভব। আমি পারবো না। কিন্তু মিনহাজের চাপে তাকে শ্রাবন সাজতে হল। ওরা যখন মেয়েটার সম্মূথীন হল, তখন তাদের মাথায় যেন বাজ পড়লো। মেয়েটি ওদের থেকে দশ বছরের বড় হবে এবং অদ্ভূদ চেহারা। বিপ্লব একবার মিনহাজের দিকে তাকায়, মিনহাজ একবার বিপ্লবের দিকে তাকায়। ওরা না পারছে বসতে, না পারছে বেরিয়ে আসতে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জমাতুল ইসলাম পরাগ ২৫/১০/২০১৪
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২১/১০/২০১৪খুবই সুন্দর কমন গল্প। ভালো লাগলো।
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২০/১০/২০১৪মোবাইল ফোনের অপকারিতা...
-
মেহেদী হাসান (নয়ন) ২০/১০/২০১৪valoyto.. amar ak sire er jibone o amon goteche
অভিজ্ঞতাকে কি গল্পের আওতায় নিয়ে আসা যায়?