একটি ভৌতিক ঘটনা (একটি সত্য কাহিনী)
পৃথিবীতে অনেক ঘটনাইতো ঘটে যার কোন ব্যাখ্যা হয় না। যা নিয়ে গবেষণা করেও কোন ফল পাওয়া যায় না। বিশেষ করে দুচোখে যা দেখা যায় না তাতে বিশ্বাসের পরিমাণ কিঞ্চিত কম থাকে। আবার এটা সত্য যে, বিদ্যুত দেখা যায় না কিন্তু তাকে স্পর্ষ করলে কিংবা ঘরে বাতি-পাখা চালালে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। হাওয়া দেখা যায় না কিন্তু এর স্পর্ষতা অস্তিত্বর সন্ধান দেয়। যাইহোক আমি অদৃশ্যে বিশ্বাস করি। এর অস্তিত্ব বিশ্বাস করি। তবু বিশ্বাসের পরিমাণ কিঞ্চিত কম ছিল। কিন্তু একটি ঘটনা দেখার পর অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাসটি তীব্র হয়েছে। ঘটনাটা বলি- গত রমজানের কথা। বিশ রমজানের দিন। আমার সুমন্দীর স্ত্রী তারাবি নামায পড়ছিল। নামায প্রায় শেষ হবে, আর এক রাকআত আছে। কিন্তু উনি সিজদায় গিয়ে আর উঠছিলেন না। আমার শাশুরী আম্মা নামায শেষ করে ভাবীকে ডাকতে গেল। কিন্তু ভাবী সিজদা থেকে আর উঠছিল না। প্রায় আধা ঘণ্টা এরকমভাবে ছিল। সবাই মিলে উনাকে সিজদা থেকে উঠালো। বিছনায় শোয়ালো। এক অভূতপূর্ণ ঘটনা ঘটলো। ভাবীর মুখ থেকে গোঙ্গানোর শব্দ আসছিল এবং চোখ থুলার পর সাদা অংশ ছাড়া কোন মনি দেখা যাচ্ছিল না। সবাই এ দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেল। ভাবী যেন স্বাভাবিক হয় এ জন্য সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করলো। কিন্তু কোন লাভ হলো না। বরঞ্চ সবাই আরো অদ্ভূদ ঘটনার সম্মূক্ষীণ হলো। ভাবী অদ্ভূদভাবে একবার কাঁদে, একবার হাসে। হাসি-কান্না তিনভাবে করছিল। কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছিল না। কি যে ভয়ানক দৃশ্য। না দেখলে বুঝা যাবে না। ভাবী কোন কথা বলছিল না। শুধু হাসি-কান্না এবং গোঙ্গানীর শব্দ করছিল। প্রায় অনেকক্ষণ ধরে এ অবস্থা চলছিল। পরে যথন কোন কিছুতে কাজ হচ্ছিল না, তখন পাশের মসজিদ থেকে একজন হুজুর এনে চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এরকম প্রায় তিনজন হুজুর আনা হয়েছিল কিন্তু কেউ কোন কিছু করতে পারেনি। পরবর্তীতে একজন অভিজ্ঞ হুজুরকে আনা হলো, যিনি এর আগে এরকম ঘটনার সমাধান দিয়েছেন। ঐ হুজুর ভাবীকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করেছিল, কিন্তু তিনি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন না। 'তার প্রশ্নের ধরণ এরকম ছিল- তুমি কে? তুমি কি চাও? কোন জায়গা থেকে এসেছ?' যাইহোক, ভাবী শুধু হাসতেছিল। হুজুর বিরক্ত হয়ে বলেছিল-তুমি কি বোবা, কথা বলতে পারো না। তখন ভাবী রাগ করে বলেছিল- চুপ বেয়াদব। তখন হুজুর সুযোগ পেয়ে প্রশ্ন করলো তাহলে তুমি কথা বলতে পারো। তাহলে তুমি এখন বলো, তুমি কে? তোমার নাম কি? তখন ভাবীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো- আ-মা-র নাম ঝুমুর। বলেই ভাবী হাসতে শুরু করলো। যে কন্ঠে ভাবী কথা বলেছিল সেটা ভাবীর কন্ঠ না। কণ্ঠটা নাকে বাজে। ভয়ানক কণ্ঠ। হুজুর আবার বলেছিল-তোমরা কয়জন? ওকে কেন ধরেছো? কোন উত্তর নেই। আবার হুজুর বলার পর সে কণ্ঠ বলেছিল-আমরা তিনজন। ওকে বাগানে পেয়েছি। ও দুপুরবেলা বাগানে গিয়ে আমাদের বিরক্ত করেছিল। তাই ওকে ধরেছি। হুজুর বলেছিল-তোমরা ওর কাছে কি চাও? তারা বলেছিল-আমরা ঝাড়ু চাই। হুজুর বলল-ঠিক আছে। তোমরা ওকে ছেড়ে দাও। কিন্তু ওরা ছাড়তে চায় না। পরে ছাড়তে রাজী হয়। পরে ঐদিন রাত্রীবেলা ভাবীকে বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরীমুক্ত করা হয়েছিল। এই সমস্ত ঘটনা যা ঘটেছে তা ভাবী বলতে পারবে না। উনি মনে করেছেন তার নামাজ এইমাত্র শেষ হলো। কিন্তু এর ভিতরে অনেক ঘটনা ঘটে গেল। যা চির সত্য হয়ে রইল। হুজুর বাড়ি বন্ধ করে দিয়েছেন, যেন পরবর্তীতে আর কোন সমস্যা না হয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২৮/০৭/২০১৫ঘটনাটা ঠিক গল্পের মত। সকলে ভালো থাকুন।
-
আবু সঈদ আহমেদ ২২/১০/২০১৪এটা যে কোন মানসিক রোগ নয় সেটা কীভাবে বুঝলেন?
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ২২/১০/২০১৪উদ্ভট!!!!!!!!!!
বিজ্ঞানের যুগে এসব উদ্ভট কাহিনী দিয়ে মানুষকে আর বিভ্রান্ত করবেন না। -
একনিষ্ঠ অনুগত ২১/১০/২০১৪এমন অনেক সময়ই ঘটে।। আমি দেখেছিলাম একবার...
-
মেহেদী হাসান (নয়ন) ২০/১০/২০১৪লিখতে থাকেন
-
জমাতুল ইসলাম পরাগ ১৯/১০/২০১৪দারুণভাবে লিখেছেন
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ১৯/১০/২০১৪কি দুর্ধর্ষ ভাবনা। অবাক হলাম লেখনীতে। অসাধারন অনুভুতিময়। ভাল লাগল।
-
আফরান মোল্লা ১৮/১০/২০১৪আসলে অনেক কিছুই এখনো আমাদের অজানাই রয়ে গেল!!