মন তোমায় দিতে চায়
যে হৃদয় হৃৎপিন্ডের অলিন্দে রেখেছি তোমায়,
সে কি দিবে? বিচলিত মন হাজারো কল্পনায়।
ডুবরি সেজে, সিন্ধু ছেঁচে আনবো মুক্তার মালা।
সোনার পাহাড় ভেঙ্গে পরাবো হাতে বালা।
রামধনুর সাত রংয়ে তোমার ছবি আঁকবো নূরানি,
জোনাকির আলোতে ভরাবো অপরূপ দেহ খানি।
দিতে চাই তোমায় আমি রাজকুমারীর সাজ,
মাথায় পরাতে চাই স্বর্ণ মুকুটের তাজ।
শ্বেত পাথরে বানাবো তোমার পায়ের নূপুর,
গান শুনাবো কোয়েলের মত মিষ্টি মধুর।
মায়াময়ী হস্ত অঙ্গুলিতে পরাবো হীরকের রিং,
মন ভোলাতে গীটারটা বাজাবো টিং টিং টিং।
চাঁদের হাসি তোমায় আমি দিতে চাই উপহার,
দিতে চাই তারাদের ঝিলমিল আলোর সমাহার।
মণি দিয়ে বানাবো তোমার কানের দুল,
রঙ্গীন প্রজাপতিতে সাজাবো মেঘ বরন চুল।
পড়ীর সাথে দোল খাওয়াবো পূর্ণিমার রাতে,
মায়াবী পুতুল হয়ে খেলবো তোমার সাথে।
ফুল দানিতে সাজিয়ে দেখবো সকাল সাঁঝে,
স্বর্ণ রথে করাবো ভ্রমণ গোটা বিশ্ব মাঝে।
এসবের কোনটাই তোমায় দিতে পারিনা,
মন মাঝারে দিবারাতি শুধু করি কল্পনা।
সুপারম্যান নই আমি, নই রূপকথার নায়ক,
রক্ত মাংসে গড়া এক অসহায় মানব।
তরতাজা হৃদয়ে তোমার জন্য বেঁধেছি এক বাসা,
যেথায় আছে অমৃতে ভরা শুধু ভালোবাসা।
ইহকাল পরকাল কভু করবো না নিরাশা,
তোমায় দিবো শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা।
>>>>>>><<<<<<<
..........................................
কবিতাটির প্রাসঙ্গিকতাঃ- আজ কবির তৃ্তীয় বিবাহ বার্ষিকী।
আজ থেকে তিন বছর আগে আজকের এই দিনটিতে জাতি, ধর্ম,
সমাজ, আইন ও প্রকৃতি কে সাক্ষী রেখে বিশাল আয়োজন আর
সমারোহের মাধ্যমে কবি ও তার প্রিয়তমা পবিত্র বন্ধনে একে অপরের হয়েছিলো।
কিন্তু নিয়তির পরিহাসে ঠিক দেড় বছর পরেই কবির হাসি-খুশি-সুখি
জীবনে নেমে আসে আঁধারের ঘনঘটা। জীবনের ঝর, তুফানে সবকিছু
হারিয়ে কবি আজ বড় অসহায়। আজকের এই দিনটিতে প্রিয়জনদের
অনেকেই অনেক কিছু দেয়। কিন্তু প্রিয়তমাকে দেওয়ার মত কবির
কাছে কিছুই নেই। তাই কবি এই কবিতাটি প্রিয়তমা জীবন সঙ্গিনীর
জন্য এই শুভ দিনে উপহার স্বরুপ উৎস্বর্গ করলেন।
******************
সে কি দিবে? বিচলিত মন হাজারো কল্পনায়।
ডুবরি সেজে, সিন্ধু ছেঁচে আনবো মুক্তার মালা।
সোনার পাহাড় ভেঙ্গে পরাবো হাতে বালা।
রামধনুর সাত রংয়ে তোমার ছবি আঁকবো নূরানি,
জোনাকির আলোতে ভরাবো অপরূপ দেহ খানি।
দিতে চাই তোমায় আমি রাজকুমারীর সাজ,
মাথায় পরাতে চাই স্বর্ণ মুকুটের তাজ।
শ্বেত পাথরে বানাবো তোমার পায়ের নূপুর,
গান শুনাবো কোয়েলের মত মিষ্টি মধুর।
মায়াময়ী হস্ত অঙ্গুলিতে পরাবো হীরকের রিং,
মন ভোলাতে গীটারটা বাজাবো টিং টিং টিং।
চাঁদের হাসি তোমায় আমি দিতে চাই উপহার,
দিতে চাই তারাদের ঝিলমিল আলোর সমাহার।
মণি দিয়ে বানাবো তোমার কানের দুল,
রঙ্গীন প্রজাপতিতে সাজাবো মেঘ বরন চুল।
পড়ীর সাথে দোল খাওয়াবো পূর্ণিমার রাতে,
মায়াবী পুতুল হয়ে খেলবো তোমার সাথে।
ফুল দানিতে সাজিয়ে দেখবো সকাল সাঁঝে,
স্বর্ণ রথে করাবো ভ্রমণ গোটা বিশ্ব মাঝে।
এসবের কোনটাই তোমায় দিতে পারিনা,
মন মাঝারে দিবারাতি শুধু করি কল্পনা।
সুপারম্যান নই আমি, নই রূপকথার নায়ক,
রক্ত মাংসে গড়া এক অসহায় মানব।
তরতাজা হৃদয়ে তোমার জন্য বেঁধেছি এক বাসা,
যেথায় আছে অমৃতে ভরা শুধু ভালোবাসা।
ইহকাল পরকাল কভু করবো না নিরাশা,
তোমায় দিবো শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা।
>>>>>>><<<<<<<
..........................................
কবিতাটির প্রাসঙ্গিকতাঃ- আজ কবির তৃ্তীয় বিবাহ বার্ষিকী।
আজ থেকে তিন বছর আগে আজকের এই দিনটিতে জাতি, ধর্ম,
সমাজ, আইন ও প্রকৃতি কে সাক্ষী রেখে বিশাল আয়োজন আর
সমারোহের মাধ্যমে কবি ও তার প্রিয়তমা পবিত্র বন্ধনে একে অপরের হয়েছিলো।
কিন্তু নিয়তির পরিহাসে ঠিক দেড় বছর পরেই কবির হাসি-খুশি-সুখি
জীবনে নেমে আসে আঁধারের ঘনঘটা। জীবনের ঝর, তুফানে সবকিছু
হারিয়ে কবি আজ বড় অসহায়। আজকের এই দিনটিতে প্রিয়জনদের
অনেকেই অনেক কিছু দেয়। কিন্তু প্রিয়তমাকে দেওয়ার মত কবির
কাছে কিছুই নেই। তাই কবি এই কবিতাটি প্রিয়তমা জীবন সঙ্গিনীর
জন্য এই শুভ দিনে উপহার স্বরুপ উৎস্বর্গ করলেন।
******************
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৭/১০/২০১৭এরকম অসাধারন লেখার সাথে দিন দিন আরো আরো বেশী পরিচিত হতে চাই ।।
-
নাজিবুল হাসান মোল্লা ২১/১০/২০১৭ভালো লেখা। keep it up
-
সুমন দাস। ২০/১০/২০১৭অনেক ভালো লাগল
-
কাজী জুবেরী মোস্তাক ২০/১০/২০১৭খুব খুব খুবই ভালো লাগলো
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২০/১০/২০১৭সুন্দর,
খুব ভালো লাগল।
অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয়কবি।,