জেলে ও জলপড়ী ( শেষাংশ)
"পুঁটিমাছ, পুঁটিমাছ" বলে ডাকতেই নদীর জল ফুলে উঠল, আয়নার মত
চক চক করতে লাগল, ঝর্ণা ধারার মত চঞ্চল হয়ে ছুটতে লাগলো, চাঁদের জোছনায় ঝলমলিয়ে
উঠল নদীর্ জল আর সেই জলে ভেসে উঠল পুঁটিমাছ রুপি জলপড়ী। পুঁটিমাছ বলল "জেলে
কেনো ডাকছো? কি চাই তোমার?" "পুঁটিমাছ্ তুমিতো বলেছ আমি তোমার কাছে যা চাইবো
তাই দিবে, আমার্ বাড়ীতে একটা দানাও খাবার নেই তাই কিছু খাবার ব্যবস্থা করে দাও
পুঁটিমাছ।" "ঠিক আছে তুমি বাড়ী যাও তোমার বাড়ীতে ভালো ভালো খবারের আয়োজন হয়েগেছে।"
জেলে বাড়ী ফিরে এসে অবাক, ঠিকা বাড়ীতে ভালো ভালো খাবারে বসে ছেলে, মেয়ে আর স্ত্রী
খাচ্ছে আর হাসাহাসি করছে, স্ত্রী জেলেকে আদর করে ভালো ভালো খাবার খাওয়ালো।
পরের দিন স্ত্রী "আজকে যাও পুঁটিমাছকে বলো আমাদের যেন সুন্দর রাজমহলের মত
একখানা বাড়ী করে দেয়।" জেলে যথারিতি তাই করলো পুঁটিমাছের কাছে গিয়ে চাইতেই
সুন্দর রাজমহল হয়েগেলো। তারপরের দিন স্ত্রী "আজকে গিয়ে বলো আমাদের
যেন প্রচুর টাকা দিয়ে ধনি করে দেয়।" জেলে আবার পুঁটিমাছের কাছে চাওয়াতেই প্রচুর টাকার
মালিক হয়ে ধনি হয়ে যায়। এই ভাবে যা লাগে এই জগতে যা কিছু প্রয়োজনীয় আছে
স্ত্রী জেলের কাছে বায়না ধরে আর জেলে পুটি মাছের কাছে গিয়ে চাইলেই তা পুরন হয়ে যায়।
এই ভাবে যখন সব জাগতিক বস্তুর প্রয়োজন মিটে গেলো আর কোন কিছুর প্রয়োজন
থাকলো না তখন একরাতে সৌ্খিন পালং-এ মখমলের বিছানায় শুয়ে শুয়ে জেলের কাছে স্ত্রীর
আবদার "তুমি এবার পুঁটিমাছকে গিয়ে বলো সে যেন আমাদের জীবনে সব সময়ের জন্য
দিন করে দেয়, কখনো যেন রাত না হয়, আমাকে না এই রাত আর ভালো লাগে না।"
কি করা যায় জেলে নিরুপায়, গিন্নীর আদেশ পালন করতেই হবে।
জেলে নদীর ধারে গিয়ে "পুঁটিমাছ পুঁটিমাছ" বলে ডাকতেই সেই অলৌ্কিক বৈচিত্রময়
পরিবেশে পুঁটিমাছের আগমন হয়- "জেলে তুমি আর কি চাও?" জেলে বলল "পুঁটিমাছ তুমি
আমার জীবনে সবসময়ের জন্য দিন করে দাও কখনো যেন রাত না হয়।" জেলের এই কথা
বলার সঙ্গে সঙ্গে সেই বৈচিত্রময় দূশ্য পরিবর্তিত হয়ে এক ভয়ংকর রুপ ধারন করল-
নদীর জল নীল গরলে পরিণত হল, সূর্যের গায়ে গ্রহণ লেগে আঁধার ঘনিয়ে এলো, চারিদিকে
পাখিদের আর্তনাদে শোকের ছায়া নেমে আসলো, এই দৃশ্যে জেলে অস্থির হয়ে উঠল। পুঁটিমাছ বলল-
"জেলে তুমি বাড়ী যাও, তুমি আগে যেমন ছিলে ঠিক তেমন হয়ে গেছো!" একথা বলেই
পুঁটিমাছ অদৃশ্য হয়ে গেলো।জেলে পাগলের মত বাড়ীর উদ্যেশে ছুটলো, বাড়ী এসে দেখলো
পুঁটিমাছের কথাই সত্য হয়ে গেছে, সে আগে যেমন ছিলো সব কিছুই ঠিক তেমন হয়ে গেছে।
***** সমাপ্ত *****
চক চক করতে লাগল, ঝর্ণা ধারার মত চঞ্চল হয়ে ছুটতে লাগলো, চাঁদের জোছনায় ঝলমলিয়ে
উঠল নদীর্ জল আর সেই জলে ভেসে উঠল পুঁটিমাছ রুপি জলপড়ী। পুঁটিমাছ বলল "জেলে
কেনো ডাকছো? কি চাই তোমার?" "পুঁটিমাছ্ তুমিতো বলেছ আমি তোমার কাছে যা চাইবো
তাই দিবে, আমার্ বাড়ীতে একটা দানাও খাবার নেই তাই কিছু খাবার ব্যবস্থা করে দাও
পুঁটিমাছ।" "ঠিক আছে তুমি বাড়ী যাও তোমার বাড়ীতে ভালো ভালো খবারের আয়োজন হয়েগেছে।"
জেলে বাড়ী ফিরে এসে অবাক, ঠিকা বাড়ীতে ভালো ভালো খাবারে বসে ছেলে, মেয়ে আর স্ত্রী
খাচ্ছে আর হাসাহাসি করছে, স্ত্রী জেলেকে আদর করে ভালো ভালো খাবার খাওয়ালো।
পরের দিন স্ত্রী "আজকে যাও পুঁটিমাছকে বলো আমাদের যেন সুন্দর রাজমহলের মত
একখানা বাড়ী করে দেয়।" জেলে যথারিতি তাই করলো পুঁটিমাছের কাছে গিয়ে চাইতেই
সুন্দর রাজমহল হয়েগেলো। তারপরের দিন স্ত্রী "আজকে গিয়ে বলো আমাদের
যেন প্রচুর টাকা দিয়ে ধনি করে দেয়।" জেলে আবার পুঁটিমাছের কাছে চাওয়াতেই প্রচুর টাকার
মালিক হয়ে ধনি হয়ে যায়। এই ভাবে যা লাগে এই জগতে যা কিছু প্রয়োজনীয় আছে
স্ত্রী জেলের কাছে বায়না ধরে আর জেলে পুটি মাছের কাছে গিয়ে চাইলেই তা পুরন হয়ে যায়।
এই ভাবে যখন সব জাগতিক বস্তুর প্রয়োজন মিটে গেলো আর কোন কিছুর প্রয়োজন
থাকলো না তখন একরাতে সৌ্খিন পালং-এ মখমলের বিছানায় শুয়ে শুয়ে জেলের কাছে স্ত্রীর
আবদার "তুমি এবার পুঁটিমাছকে গিয়ে বলো সে যেন আমাদের জীবনে সব সময়ের জন্য
দিন করে দেয়, কখনো যেন রাত না হয়, আমাকে না এই রাত আর ভালো লাগে না।"
কি করা যায় জেলে নিরুপায়, গিন্নীর আদেশ পালন করতেই হবে।
জেলে নদীর ধারে গিয়ে "পুঁটিমাছ পুঁটিমাছ" বলে ডাকতেই সেই অলৌ্কিক বৈচিত্রময়
পরিবেশে পুঁটিমাছের আগমন হয়- "জেলে তুমি আর কি চাও?" জেলে বলল "পুঁটিমাছ তুমি
আমার জীবনে সবসময়ের জন্য দিন করে দাও কখনো যেন রাত না হয়।" জেলের এই কথা
বলার সঙ্গে সঙ্গে সেই বৈচিত্রময় দূশ্য পরিবর্তিত হয়ে এক ভয়ংকর রুপ ধারন করল-
নদীর জল নীল গরলে পরিণত হল, সূর্যের গায়ে গ্রহণ লেগে আঁধার ঘনিয়ে এলো, চারিদিকে
পাখিদের আর্তনাদে শোকের ছায়া নেমে আসলো, এই দৃশ্যে জেলে অস্থির হয়ে উঠল। পুঁটিমাছ বলল-
"জেলে তুমি বাড়ী যাও, তুমি আগে যেমন ছিলে ঠিক তেমন হয়ে গেছো!" একথা বলেই
পুঁটিমাছ অদৃশ্য হয়ে গেলো।জেলে পাগলের মত বাড়ীর উদ্যেশে ছুটলো, বাড়ী এসে দেখলো
পুঁটিমাছের কথাই সত্য হয়ে গেছে, সে আগে যেমন ছিলো সব কিছুই ঠিক তেমন হয়ে গেছে।
***** সমাপ্ত *****
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।