জেলে ও জলপড়ী ( প্রথম অংশ )
একদা এক গরিব, অসহায় দুখি জেলে কষ্টে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে জীবন কাটাতো। রোজকার মতো একদিন জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যায় জেলে, কিন্তু নিয়তের পরিহাস সারাদিন কোন মাছ ধরতে পারলো না, সূর্যাস্তের সময় বাড়ী ফিরবে, শেষ বারের মত জাল ফেলল জলে, জাল টেনে ডাঙ্গায় উঠাতেই দেখতে পেল একটি পুঁটিমাছ। ধপধপে সাদা বরফের মত রং, পাখনা গুলি ঝাউ পাতার মতো হাওয়ায় দুলছিলো, হীরার মতো জ্বল জ্বল করছিলো চোখ দুটি, আঁশ গুলি এক একটি মতির তৈরী আর শরীরের গঠন ছিলো নৌকার মত তীক্ষ্ণ।
"শেষ বেলায় একটা পুঁটিমাছ! যাক এটা নিয়েই বাড়ী যাই" এই বলে জেলে পুঁটিমাছকে ধরতে গেলে মাছটি অঝোর নয়নে কাঁদতে আরম্ভ করল। পুঁটিমাছের কান্নায় নদীর জল ফ্যানা হতে লাগলো, জলোচ্ছাসে নদীর জল নদীর পাহাড়ে আছরে আছরে পরতে লাগলো, গাছের পাতা ঝর ঝর করে পরতে থাকলো, কষ্টে সূর্যের
দম বন্ধ হয়ে আসছে, চন্দ্রমা যেন গোধূলিতে লটালটি করছে, এক অজানা আওয়াজ আকাশ থেকে নির্গত হচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে- "আমাকে বাঁচাও।" এই অলোকিক বৈচিত্রময় দৃশ্যে জেলের শরীরে শিহরণের সৃষ্টি হয় শুরু হয় তার গোটা শরীরে ভূমিকম্প । জেলে হতবাক হয়ে পুঁটিমাছর দিকে চেয়ে থাকে। পুঁটিমাছটি অঝোর নয়নে, করুণার সুরে জেলের কাছে প্রার্থনা করতে লাগলো- "জেলে তুমি আমাকে ছেরে দাও,পরিবর্তে তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিবো।" পুঁটিমাছের কথায় হেসে বলল- "তুমি একটা পুঁটিমাছ তুমি আবার আমাকে কি দিবে?" বিনয়ীর সুরে পুঁটিমাছ- "তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তোমার যা প্রয়োজন হবে নদীর ধারে এসে পুঁটিমাছ পুঁটিমাছ বলে ডাকলেই আমি চলে আসবো, তখন তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিবো।" জেলে এবার ভাবল যে একটা পুঁটিমাছ দিয়ে আর কি হবে তারপর পুঁটিমাছ এতোই যখন অনুরোধ করছে তাই পুঁটিমাছকে জলে ছেরে দিয়ে জেলে বাড়ী চলে গেলো। আসলে পুঁটিমাছটি কোন মাছ ছিলো না সেটি ছিলো পুঁটিমাছ রুপি জলপড়ী।
স্ত্রী দাঁত চিবিয়ে বলে উঠল- "সারা দিনে কতগুলি মাছ ধরেছ?" "আজকে একটাও মাছ ধরতে পারিনি গো গিন্নী।" "একটা মাছো ধরতে পারোনি! তুমি কি মাছ ধরছিলে নাকি মাছদের সঙ্গে পীড়িত করছিলে শুনি।" "আসার সময় একটা পুঁটিমাছ পেলাম তাও মাছটির আকুতি-মিনতিতে ছেরে দিয়েছি।" স্ত্রী এবার আরো বেশি রেগে গিয়ে- "ছেরে দিয়েছো কেনো? এখন খাবে কি বাড়ীতে একটা দানাও কিছু খাবার নেই!" জেলে এবার অলৌ্কিক ভাবে হেসে বলল "গীন্নি পুঁটিমাছটির কথা শুনলে তুমিও অবাক হবে, বলে- " জেলে তুমি আমাকে ছেরে দাও পরিবর্তে তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিবো।" "কি এই রকম বলেছে? তাহলে তুমি এখনি যাও আর গিয়ে বলো আমাদের বড়ীতে খাবার নেই, যাতে ভালো ভালো খাবার ব্যবস্থা করে দেয়।" কি করা যায়, জেলে নিরুপায়, গিন্নীর আদেশ পালন করতেই হবে। তাই জেলে আবার রাত্রেই রওনা হল নদীর ধারে পুঁটিমাছের কাছে।
( বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই কালকে আবার শুনাবো বাকি অংশ)
"শেষ বেলায় একটা পুঁটিমাছ! যাক এটা নিয়েই বাড়ী যাই" এই বলে জেলে পুঁটিমাছকে ধরতে গেলে মাছটি অঝোর নয়নে কাঁদতে আরম্ভ করল। পুঁটিমাছের কান্নায় নদীর জল ফ্যানা হতে লাগলো, জলোচ্ছাসে নদীর জল নদীর পাহাড়ে আছরে আছরে পরতে লাগলো, গাছের পাতা ঝর ঝর করে পরতে থাকলো, কষ্টে সূর্যের
দম বন্ধ হয়ে আসছে, চন্দ্রমা যেন গোধূলিতে লটালটি করছে, এক অজানা আওয়াজ আকাশ থেকে নির্গত হচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে- "আমাকে বাঁচাও।" এই অলোকিক বৈচিত্রময় দৃশ্যে জেলের শরীরে শিহরণের সৃষ্টি হয় শুরু হয় তার গোটা শরীরে ভূমিকম্প । জেলে হতবাক হয়ে পুঁটিমাছর দিকে চেয়ে থাকে। পুঁটিমাছটি অঝোর নয়নে, করুণার সুরে জেলের কাছে প্রার্থনা করতে লাগলো- "জেলে তুমি আমাকে ছেরে দাও,পরিবর্তে তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিবো।" পুঁটিমাছের কথায় হেসে বলল- "তুমি একটা পুঁটিমাছ তুমি আবার আমাকে কি দিবে?" বিনয়ীর সুরে পুঁটিমাছ- "তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তোমার যা প্রয়োজন হবে নদীর ধারে এসে পুঁটিমাছ পুঁটিমাছ বলে ডাকলেই আমি চলে আসবো, তখন তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিবো।" জেলে এবার ভাবল যে একটা পুঁটিমাছ দিয়ে আর কি হবে তারপর পুঁটিমাছ এতোই যখন অনুরোধ করছে তাই পুঁটিমাছকে জলে ছেরে দিয়ে জেলে বাড়ী চলে গেলো। আসলে পুঁটিমাছটি কোন মাছ ছিলো না সেটি ছিলো পুঁটিমাছ রুপি জলপড়ী।
স্ত্রী দাঁত চিবিয়ে বলে উঠল- "সারা দিনে কতগুলি মাছ ধরেছ?" "আজকে একটাও মাছ ধরতে পারিনি গো গিন্নী।" "একটা মাছো ধরতে পারোনি! তুমি কি মাছ ধরছিলে নাকি মাছদের সঙ্গে পীড়িত করছিলে শুনি।" "আসার সময় একটা পুঁটিমাছ পেলাম তাও মাছটির আকুতি-মিনতিতে ছেরে দিয়েছি।" স্ত্রী এবার আরো বেশি রেগে গিয়ে- "ছেরে দিয়েছো কেনো? এখন খাবে কি বাড়ীতে একটা দানাও কিছু খাবার নেই!" জেলে এবার অলৌ্কিক ভাবে হেসে বলল "গীন্নি পুঁটিমাছটির কথা শুনলে তুমিও অবাক হবে, বলে- " জেলে তুমি আমাকে ছেরে দাও পরিবর্তে তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিবো।" "কি এই রকম বলেছে? তাহলে তুমি এখনি যাও আর গিয়ে বলো আমাদের বড়ীতে খাবার নেই, যাতে ভালো ভালো খাবার ব্যবস্থা করে দেয়।" কি করা যায়, জেলে নিরুপায়, গিন্নীর আদেশ পালন করতেই হবে। তাই জেলে আবার রাত্রেই রওনা হল নদীর ধারে পুঁটিমাছের কাছে।
( বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই কালকে আবার শুনাবো বাকি অংশ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১২/১০/২০১৭বাহ!
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১২/১০/২০১৭মুগ্ধ হলাম