কে তুমি
কে তুমি নন্দিনী, স্বতরুপা, মোহিনী নাকি দামিনি?
চিনিনি, জানিনি তোমায় আমি, তুমি কি রুপকথার নায়িকা-
নাকি সাগর পার দ্বীপান্তর বাসিনী!
আমার রঙ্গীন জীবন যখন প্রবেশ করছিল আঁধারের সন্ধিক্ষণে,
হঠাৎ করে তোমার আগমন, আমার এই কৌতূহল জীবনে।
এই তো সেদিন এসেছিলে তুমি মোর কার্যালয়ে,
যেদিন বেজেছিলো মোর হৃদয়ের সীঁতার আবিরাম অজানা সুরে সুরে।
সেদিন দেখিনু প্রথম, আলতো হাসিমাখা চন্দ্রমুখি মুখটি তোমার-
কি দেখিনু হায়, রাত ভোর হয়ে যায়, তবু নিদ্রাহীন দুই চক্ষু আমার।
দিন আসে দিন যায়, নিয়তির লিখনে মোদের হল পরিচয়-
জোয়ার ভাঁটার টানে, সাগর নদীর মতো মিলে গেলো দুটি মাসুম হৃদয়।
এজগতে জাতিভেদ করে নিষ্ঠুরতা,
সবাই শুধু নিজের বড়াই- ভূলে গেছে বিধাতা।
মোদের মাঝেও দুই সমাজে ছিল হিংসা আর ঘৃণার হাতছানি,
সমাজের কণ্ঠরোধে হল দুই পরিবারের মানহানী।
হাজার বাধা বৈরিতার মাঝে, তুমি দিলে মোর হাতে তোমারি হাতখানি
চিরকাল ধরে-রবে মোর সাথে, হয়ে মোর জীবন সঙ্গীনি।
যখন তুমি এলে মোর ঘরে, দুহাত তুলে বললাম বিধাতার দরবারে,
হে প্রভূ যা চেয়েছিলাম তুমি তাই দিলে, মোর নিঃসঙ্গ জীবন মাঝারে।
তোমায় পেয়ে দেখলাম স্বপ্ন, আঁকলাম কল্পনার ছবি!
আমি হবো রথ আর তুমি মোর জীবনের রথী।
ভাবলাম হায়, পৃথিবীতে যেথায় আছে বড় বড় সুখ,
সব তোমার পাদুকা তলে এনে ঘুচবো জীবনের সব দুখ।
আমি পারিনি, আমি যে যেতে পারিনি,
স্বপ্নের আঁকা পথ গুলিতে আমি যে যেতে পারিনি!
যে স্বপ্ন ছিলো মোর বড়ো রঙ্গীন, নিশি নয় শুধু দিন আর দিন।
তবে বিধাতার লেখনিতে ছিল আন্য কিছু,
তাইতো অন্ধকারের ঘনঘটা নিল মোর পিছু পিছু।
হঠাৎ করে দিবালোকে এক দৈত্য রোগের হল আবির্ভাব,
যেটা ছিল মোর রঙ্গীন জীবনের বড়ো অভিশাপ।
জীবন-মরনের সাথে যখন যুদ্ধ করেছি দিবারাতি,
তখন পাশেতে কেউ নেই শুধু তুমি ছিলে হয়ে মোর সাথী।
দেখেছো অঝোর ন্য়নে,
দুঃখ কষ্টকে লুকিয়ে রেখেছো হৃদ্য়ের অন্তরালে।
মোর জীবনে এসে তুমি হলে বড় দুখিনী,
কষ্ট ময় জীবন তবু তুমি আমার যোগিনী।
দিন গেলো, মাস গেলো, এলো ফের বছরের নতুন দিন,
তবু মোর জীবনে ফোঁটেনি কোন পুষ্প রঙ্গীন।
শুধু আঁধারের ঘনঘটা আর চিচকাধুনির হাতছানি,
জীবনের হতাশায় চোক্ষ খুললেই দেখতে পাই তোমারই মুখখানি।
একে একে হায় সবাই ছেরে চলে যায়, যতছিল মোর আপনজন,
শুধু তুমি পাশে আছো মোর কখনো করনি গমন।
তাইতো বলি কে তুমি? নন্দিনী!
তুমি যে আমার জীবন সঙ্গীনি।
কে তুমি? স্বতরুপা!
তুমি যে আমার স্বপ্নে আঁকা কল্পনা।
কে তুমি? মোহিনী!
তুমি যে আমার হৃদয়ের দ্বীপান্তর বাসিনী।
কে তুমি? দামিনী!
তুমি যে আমার শীতল সাগরের নারী বিদ্রোহিনী।
কি বলবো তোমায়, আমি যে আজো বুঝতে পারিনি!
তাই বলি-
কে তুমি?
.....................
.....................
কবি বন্ধু এবং অন্যান্য লেখক ও পাঠক
বন্ধুদের কাছে আমার সবিনয় নিবেদন -
এই লেখাটি পড়ার পরে ভালো মন্দ যাই
হোক দয়া করে আপনার মহামূল্যবান
মতামত জানাবেন, কেননা আপনার
মহামূল্যবান মতামত আমার আগামী
দিনের ফসলে অনুখাদ্য স্বরুপ।
ধন্যবাদ!
চিনিনি, জানিনি তোমায় আমি, তুমি কি রুপকথার নায়িকা-
নাকি সাগর পার দ্বীপান্তর বাসিনী!
আমার রঙ্গীন জীবন যখন প্রবেশ করছিল আঁধারের সন্ধিক্ষণে,
হঠাৎ করে তোমার আগমন, আমার এই কৌতূহল জীবনে।
এই তো সেদিন এসেছিলে তুমি মোর কার্যালয়ে,
যেদিন বেজেছিলো মোর হৃদয়ের সীঁতার আবিরাম অজানা সুরে সুরে।
সেদিন দেখিনু প্রথম, আলতো হাসিমাখা চন্দ্রমুখি মুখটি তোমার-
কি দেখিনু হায়, রাত ভোর হয়ে যায়, তবু নিদ্রাহীন দুই চক্ষু আমার।
দিন আসে দিন যায়, নিয়তির লিখনে মোদের হল পরিচয়-
জোয়ার ভাঁটার টানে, সাগর নদীর মতো মিলে গেলো দুটি মাসুম হৃদয়।
এজগতে জাতিভেদ করে নিষ্ঠুরতা,
সবাই শুধু নিজের বড়াই- ভূলে গেছে বিধাতা।
মোদের মাঝেও দুই সমাজে ছিল হিংসা আর ঘৃণার হাতছানি,
সমাজের কণ্ঠরোধে হল দুই পরিবারের মানহানী।
হাজার বাধা বৈরিতার মাঝে, তুমি দিলে মোর হাতে তোমারি হাতখানি
চিরকাল ধরে-রবে মোর সাথে, হয়ে মোর জীবন সঙ্গীনি।
যখন তুমি এলে মোর ঘরে, দুহাত তুলে বললাম বিধাতার দরবারে,
হে প্রভূ যা চেয়েছিলাম তুমি তাই দিলে, মোর নিঃসঙ্গ জীবন মাঝারে।
তোমায় পেয়ে দেখলাম স্বপ্ন, আঁকলাম কল্পনার ছবি!
আমি হবো রথ আর তুমি মোর জীবনের রথী।
ভাবলাম হায়, পৃথিবীতে যেথায় আছে বড় বড় সুখ,
সব তোমার পাদুকা তলে এনে ঘুচবো জীবনের সব দুখ।
আমি পারিনি, আমি যে যেতে পারিনি,
স্বপ্নের আঁকা পথ গুলিতে আমি যে যেতে পারিনি!
যে স্বপ্ন ছিলো মোর বড়ো রঙ্গীন, নিশি নয় শুধু দিন আর দিন।
তবে বিধাতার লেখনিতে ছিল আন্য কিছু,
তাইতো অন্ধকারের ঘনঘটা নিল মোর পিছু পিছু।
হঠাৎ করে দিবালোকে এক দৈত্য রোগের হল আবির্ভাব,
যেটা ছিল মোর রঙ্গীন জীবনের বড়ো অভিশাপ।
জীবন-মরনের সাথে যখন যুদ্ধ করেছি দিবারাতি,
তখন পাশেতে কেউ নেই শুধু তুমি ছিলে হয়ে মোর সাথী।
দেখেছো অঝোর ন্য়নে,
দুঃখ কষ্টকে লুকিয়ে রেখেছো হৃদ্য়ের অন্তরালে।
মোর জীবনে এসে তুমি হলে বড় দুখিনী,
কষ্ট ময় জীবন তবু তুমি আমার যোগিনী।
দিন গেলো, মাস গেলো, এলো ফের বছরের নতুন দিন,
তবু মোর জীবনে ফোঁটেনি কোন পুষ্প রঙ্গীন।
শুধু আঁধারের ঘনঘটা আর চিচকাধুনির হাতছানি,
জীবনের হতাশায় চোক্ষ খুললেই দেখতে পাই তোমারই মুখখানি।
একে একে হায় সবাই ছেরে চলে যায়, যতছিল মোর আপনজন,
শুধু তুমি পাশে আছো মোর কখনো করনি গমন।
তাইতো বলি কে তুমি? নন্দিনী!
তুমি যে আমার জীবন সঙ্গীনি।
কে তুমি? স্বতরুপা!
তুমি যে আমার স্বপ্নে আঁকা কল্পনা।
কে তুমি? মোহিনী!
তুমি যে আমার হৃদয়ের দ্বীপান্তর বাসিনী।
কে তুমি? দামিনী!
তুমি যে আমার শীতল সাগরের নারী বিদ্রোহিনী।
কি বলবো তোমায়, আমি যে আজো বুঝতে পারিনি!
তাই বলি-
কে তুমি?
.....................
.....................
কবি বন্ধু এবং অন্যান্য লেখক ও পাঠক
বন্ধুদের কাছে আমার সবিনয় নিবেদন -
এই লেখাটি পড়ার পরে ভালো মন্দ যাই
হোক দয়া করে আপনার মহামূল্যবান
মতামত জানাবেন, কেননা আপনার
মহামূল্যবান মতামত আমার আগামী
দিনের ফসলে অনুখাদ্য স্বরুপ।
ধন্যবাদ!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুক্তপুরুষ ২৪/০৯/২০১৭
-
সমির প্রামাণিক ২৪/০৯/২০১৭সুন্দর হয়েছে। তবে আর একটু ছোটো হলে বোধ হয় ভালো হত! এটা একদম নিজের মত। আর আপনি মত চেয়েছেন বলেই বলা।
শুভেচ্ছা রইলো। -
রুনা লায়লা ২৪/০৯/২০১৭বেশ সুন্দর লিখেছেন প্রিয় কবি।
শুভেচ্ছা কবিকে। -
আজাদ আলী ২৪/০৯/২০১৭Thank you sir. I like your criticize so if you...............
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৪/০৯/২০১৭অ ভি ন ব
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২৪/০৯/২০১৭অ ন ব দ্য।
দারুণভাবে ফুটে উঠেছে তার কল্পনাপ্রিয় মুখখানি।
অসাধারণ লেখনী ভঙ্গী।
শুভকামন রইল💜