অরণ্য চাই
দিন শেষে ফিরে এসে পড়াশোনা, মধ্যরাত পেরিয়ে ক্লান্তির কাছে আত্মসমর্পণ, কাকডাকা ভোরে জেগে উঠে কুঁচকানো ভ্রু নিয়ে জামার ভাঁজগুলো সমান করার চেষ্টা। তারপর আবার বেরিয়ে পরা। পৃথিবী গুড়ো গুড়ো হয়ে স্তরীভূত হয় আমার জুতোয়। আমি তাকে ঝেড়ে ফেলি আবর্জনা বলে। জুতোর তলা ক্ষয় হয়। এভাবেই চলছিল। কিন্তু এরই মাঝে চলে এলি তুই। প্রতি হেমন্তের শেষেই তুই আসিস। আমাকে এলোমেলো, রুক্ষ আর দিশেহারা করে যাস। সংসার আমাকে ছাড়তে চায় নাকি আমি সংসারকে ! সে তর্ক গত হয়েছে অনেক আগে। প্রতিবারের মত এবারেও- তোকে দেখে আমাতে ভর করেছে বৈরাগ্য। বৈরাগ্য আমার জন্য নয়, সংসারও আমার জন্য নয়। আমার প্রয়োজন একটুখানি অরণ্য। ফেনীল সমুদ্রের তটে উলটে থাকা বিধ্বস্ত নৌকার মত, একটুখানি অরণ্য।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৭/১০/২০১৯অরণ্য হল সঠিক বানান।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৩/১২/২০১৪লেখার ভিতর ভাবটা বেশ ভালো লাগলো।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ২৯/১১/২০১৪ভাব বর্ণনায় বেশ সুন্দর উপস্থাপনাই এট। কিন্তু কবি, তার আগমনে যে অরন্য ক্ষণিকের তরে বিরান হয়ে যায়!
শুভেচ্ছা রইল।