জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু কথা
যদি আপনার সন্তানের চেহারার গঠন আগে থেকেই নির্ধারণ করতে পারেন আপনি নিজেই, তাহলে কেমন হবে ব্যাপারটা? চমকে যাবেন না, কারণ এটা কোন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অতি কল্পনা নয়। বর্তমান বিশ্বে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যে, আপনি চাইলে কেবল আপনার সন্তানের চেহারার গঠনই নয়, বরং শারীরিক সুস্থতাও আগে থেকেই নিশ্চিত করতে পারেন বলে অনেক বিজ্ঞানীরা দাবী করছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োগ আপনি দেখতে পাবেন আপনার আশেপাশেই। আপনি আপনার প্রতিবেলায় খাবারের মেনুতে যে সকল হাইব্রিড মাছ অথবা বিভিন্ন হাইব্রিড সবজী রাখছেন এগুলো সবই আপনি পাচ্ছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কল্যাণে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবচেয়ে বড় সফলতা হলো “ক্লোন ভেড়া ডলির” জন্ম দান। ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের সাথে সাথেই শুরু হয় মানব জিনের উপর ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেষ্টা। এর কিছুদিনের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা দাবী করতে শুরু করেন যে, মানুষেরও ক্লোন করা সম্ভব। ক্লোনিং প্রযুক্তি হচ্ছে এমন এক প্রযুক্তি, যার দ্বারা মানুষ বা অন্য কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর যেকোন একটি কোষের ডি.এন.এ. এর গঠন প্রণালী পর্যালেচনা করার মাধ্যমে ঐ মানুষ বা প্রাণীর হুবহু প্রতিলিপি তৈরী করা সম্ভব।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসা শাস্ত্রেও যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন কিছু জেনেটিক রোগ সারানো সম্ভব হচ্ছে, যেসব রোগ সারানোর কথা আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও আপনি বা আমি কল্পনাও করতে পারতাম না। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এইডস, ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি গুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
নিঃসন্তান দম্পতিরা এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই দেখতে পারছেন সন্তান লাভ করার স্বপ্ন। যে সকল নিঃসন্তান দম্পতি বিভিন্ন জৈবিক কারণে কখনোই সন্তান লাভ করতে পারতেন না, তারাও এখন "টেস্টটিউব বেবী" লাভ করতে পারেন অনায়াসে। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে যথেষ্ট বিস্তৃত পরিসরে। এ সকল শিশুকে টেস্টটিউব বেবী বলা হলেও, এই শিশু বড় হয় তার মায়ের উদরেই। এক্ষেত্রে কেবল ভ্রুণটিকেই তৈরী করা হয় টেস্টটিউবে।
কিন্তু মানব ক্লোনিংকে বিজ্ঞানীরা যতই সহজ বা উপকারী পদ্ধতি বলে দাবী করেন না কেন, বিভিন্ন নৈতিক কারণে কোন দেশের সরকারই মানব ক্লোনিং এর অনুমতি দিচ্ছে না। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিসর যেভাবে বাড়ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আপনার সন্তানের চেহারা ও দৈহিক গঠন হবে আপনারই পছন্দ অনুযায়ী। সুতরাং আর দেরী না করে এখনই আপনি মনে মনে ঠিক করে ফেলতে পারেন আপনার সন্তানের চেহারাটি কেমন হবে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োগ আপনি দেখতে পাবেন আপনার আশেপাশেই। আপনি আপনার প্রতিবেলায় খাবারের মেনুতে যে সকল হাইব্রিড মাছ অথবা বিভিন্ন হাইব্রিড সবজী রাখছেন এগুলো সবই আপনি পাচ্ছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কল্যাণে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবচেয়ে বড় সফলতা হলো “ক্লোন ভেড়া ডলির” জন্ম দান। ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের সাথে সাথেই শুরু হয় মানব জিনের উপর ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেষ্টা। এর কিছুদিনের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা দাবী করতে শুরু করেন যে, মানুষেরও ক্লোন করা সম্ভব। ক্লোনিং প্রযুক্তি হচ্ছে এমন এক প্রযুক্তি, যার দ্বারা মানুষ বা অন্য কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর যেকোন একটি কোষের ডি.এন.এ. এর গঠন প্রণালী পর্যালেচনা করার মাধ্যমে ঐ মানুষ বা প্রাণীর হুবহু প্রতিলিপি তৈরী করা সম্ভব।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসা শাস্ত্রেও যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন কিছু জেনেটিক রোগ সারানো সম্ভব হচ্ছে, যেসব রোগ সারানোর কথা আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও আপনি বা আমি কল্পনাও করতে পারতাম না। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এইডস, ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি গুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
নিঃসন্তান দম্পতিরা এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই দেখতে পারছেন সন্তান লাভ করার স্বপ্ন। যে সকল নিঃসন্তান দম্পতি বিভিন্ন জৈবিক কারণে কখনোই সন্তান লাভ করতে পারতেন না, তারাও এখন "টেস্টটিউব বেবী" লাভ করতে পারেন অনায়াসে। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে যথেষ্ট বিস্তৃত পরিসরে। এ সকল শিশুকে টেস্টটিউব বেবী বলা হলেও, এই শিশু বড় হয় তার মায়ের উদরেই। এক্ষেত্রে কেবল ভ্রুণটিকেই তৈরী করা হয় টেস্টটিউবে।
কিন্তু মানব ক্লোনিংকে বিজ্ঞানীরা যতই সহজ বা উপকারী পদ্ধতি বলে দাবী করেন না কেন, বিভিন্ন নৈতিক কারণে কোন দেশের সরকারই মানব ক্লোনিং এর অনুমতি দিচ্ছে না। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিসর যেভাবে বাড়ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আপনার সন্তানের চেহারা ও দৈহিক গঠন হবে আপনারই পছন্দ অনুযায়ী। সুতরাং আর দেরী না করে এখনই আপনি মনে মনে ঠিক করে ফেলতে পারেন আপনার সন্তানের চেহারাটি কেমন হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রসেনজিৎ রায় ০৯/০৮/২০১৪শিক্ষনীয়, জানলাম নতুন কিছু। ধন্যবাদ।
-
অনিক সেনগুপ্ত ২০/০৭/২০১৪মানব ক্লোনিং কিন্তু অপরাধকেও বাড়াতে সক্ষম ।
-
suman ০৪/১০/২০১৩চমতকার তথ্যবহুল লেখা ...
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ০১/১০/২০১৩আমার মতই চাই
-
ইব্রাহীম রাসেল ২৬/০৯/২০১৩--খুব ভালো লিখেছেন, পড়ে ভালো লাগলো--
-
নাজমুন নাহার ২৬/০৯/২০১৩জেনে খুব ভাল লাগলো ।সবচাইতে বড় কথা মরণব্যাধীগুলো থেকে মানুষের
মুক্তিলাভ । এইডস ক্যান্সার থেকে যদি মুক্তি পাওয়া যায় সেটা অনেক
বড় পাওয়া । -
Înšigniã Āvî ২৬/০৯/২০১৩অনেক কিছু জানলাম.......
ভাল লাগল,