www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পৃথিবী রক্ষার দায়িত্ব আপনারই

আপনি যদি আপনার নিজের পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে সচেতন একজন মানুষ হন, তাহলে বর্তমানকালে গ্লোবাল ওয়ার্মিং একটি সুপরিচিত ধারণা। সাম্প্রতিককালে “গ্রীন হাউস ইফেক্ট”, “গ্লোবাল ওয়ার্মিং” তথা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর ধারণা বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ভাবে আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু এই দুটি ধারণা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। অনেকের মনেই এই ধরণের প্রশ্ন আসতে পারে যে, গ্রীন হাউস ইফেক্ট এর সাথে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির সম্পর্ক কী? গ্রীন হাউস হচ্ছে মেরু অঞ্চলে গাছ বাঁচিয়ে রাখার জন্য তৈরি এক বিশেষ ধরণের কাঁচের ঘর। এই ঘরের ভিতর দিনের বেলায় সূর্যালোক প্রবেশ করে যে তাপ উৎপন্ন করে, তা ঘরের তাপ কুপরিবাহী কাচের দেয়ালের কারণে ঘরের ভেতরেই আটকে থাকে। এভাবেই তাপকে বন্দী করে বাঁচিয়ে রাখা হয় মেরু অঞ্চলের গাছগুলোকে। পৃথিবীতে যদি কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান বেড়ে যায়, তবে মেরু অঞ্চলের গ্রীন হাউস এর কাঁচের দেয়ালের মতই বাতাসের অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড সূর্যের তাপ ধরে রাখে। ফলে সূর্যাস্তের পরেও তাপ বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবী পুরোপুরি শীতল হতে পারে না। এভাবে অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অ¯ক্সাইডের মাধ্যমে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যায় প্রতিদিন। সম্প্রতি গাছপালা ব্যাপক হারে কেটে ফেলার কারণে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান বেড়ে হয়েছে আগের প্রায় দ্বিগুণ। ফলশ্রুতিতে অতিরিক্ত এই কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাধ্যমে পৃথিবীর সামগ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন। এর পরিণাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা প্রাথমিক ভাবে বোঝা কঠিন। এই অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মেরু প্রদেশের বরফে গলন শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যেই সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় এক ফুট। মেরু প্রদেশের গ্রীন হাউসের সাথে মিল রেখে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়ার নাম দেয়া হয়েছে “গ্রীন হাউস ইফেক্ট”। এব্যাপারে যদি এই মুহূর্তে কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৃথিবীর মোট ভূ-খন্ডের ১৭% সমুদ্রের নীচে তলিয়ে যাবে। এই আশঙ্কার কারণে সম্প্রতি ইন্টারগভার্ণমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তা গ্রীন হাউস ইফেক্ট প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই (IPCC) এই ব্যাপারে প্রতিটি দেশের সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশ অধিদপ্তর গ্রীন হাউস ইফেক্ট প্রতিরোধের জন্য সারা পৃথিবীর মানুষকে বৃক্ষরোপণের আহবান জানিয়েছে। সম্প্রতি ইন্টারগভার্ণমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) এর বিজ্ঞানীরা আমেরিকান সরকারের সহযোগিতায় দুটি সেটেলাইটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশ দূষণকে পর্যবেক্ষণ করতে পারছে। সুতরাং পৃথিবী নামের এই বাসভূমিটিকে যদি বাসযোগ্য রাখতে চান, তাহলে আজই শুরু করুন যতবেশী সম্ভব বৃক্ষরোপণ।

----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৬৯৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২২/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • Înšigniã Āvî ২২/০৯/২০১৩
    অসাধারণ....
    পৃথিবীকে বাচাতে গেলে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব নিতে হবে,
 
Quantcast