ইংরেজি শিক্ষক এখন ডিকশনারী
“ডিকশনারী” শব্দটি শুনলেই আর সবার মতো নিশ্চই আপনার কল্পনায়ও ভেসে ওঠে হাজার হাজার শব্দ সম্বলিত একটি মোটা বইয়ের প্রতিচ্ছবি। যেকোন ভাষা শেখার জন্য ডিকশনারীর অবদান আজ আর কারও অজানা নয়। কিন্তু এই ডিকশনারী ব্যবহারে রয়েছে কিছু অসুবিধা। যেমন, সবচেয়ে বড় অসুবিধাটি হচ্ছে ডিকশনারীর বিশাল আকৃতি ও ওজন। বিশাল আকৃতি ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে ডিকশনারী সবসময় ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এছাড়াও ডিকশনারী থেকে কোন শব্দ খুঁজে বের করার জটিল প্রক্রিয়াটিতে অনেকেই বিরক্তি বোধ করেন। এধরণের আরও অনেক সমস্যার সমাধান করার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ডিকশনারীর অত্যাধুনিক সংস্করণ “ডিজিটাল ডিকশনারী”। যার আকৃতি ও ওজন আপনার মোবাইল ফোনটির চেয়ে কম বৈ বেশি হবে না। ডিজিটাল ডিকশনারীর প্রধান সুবিধাগুলো হচ্ছে, এটি থেকে যেকোন শব্দ বের করতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। এখানে শব্দের লিখিত অর্থের সাথেসাথে শব্দের সঠিক উচ্চারণ সম্পর্কেও জানা যায় এই ডিকশনারীর অভ্যন্তরে রেকর্ডকৃত ডিজিটাল কন্ঠস্বরের মাধ্যমে। এই ডিজিটাল ডিকশনারীতে আপনি পেতে পারেন একই সাথে একটি শব্দের ইংরেজি থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ইংরেজি এবং ইংরেজি থেকে ইংরেজি এধরণের সকল অর্থ। ইংরেজি গ্রামারে দুর্বল ব্যাক্তিদের জন্য এই ডিকশনারী খুবই উপযোগী। কারণ, এই ডিকশনারীটিতে রয়েছে ইংরেজি গ্রামারের সকল শাখার উদাহরণসহ বিস্তারিত বর্ণনা। মুসলমান ব্যবহারকারীদের জন্য এই ডিকশনারীতে রয়েছে, আরবি উচ্চারণ এবং ইংরেজি ও বাংলা অর্থসহ কুরআনের সর্বশেষ খন্ডের ডিজিটাল ভার্সন। ডিজিটাল এই ডিকশনারীকে আপনি ডিজিটাল ডায়রী অথবা পকেট ক্যালেন্ডার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন কারণ, এতে রয়েছে ১৯৮০ সাল থেকে ২০৪৯ সাল পর্যন্ত ক্যালেন্ডার। মেট্রিক পদ্ধতির সকল এককের রূপান্তরের অতি সরল ফাংশন রয়েছে এই ডিজিটাল ডিকশনারীতে। এছাড়াও রয়েছে এলার্ম ঘড়ি। যার মাধ্যমে আপনি কেবল দৈনন্দিন প্রয়োজনগুলোই নয় বরং কয়েক বছর পরের কোন প্রয়োজন সম্পর্কেও এলার্ম দিয়ে রাখতে পারবেন আজই। এই ডিকশনারীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক ইধপশ খরমযঃ প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে আপনি অন্ধকারেও এই ডিকশনারী ব্যবহার করতে পারবেন। স্পোকেন ইংলিশের বর্তমান প্রয়োজনীয়তার দিকে লক্ষ্য রেখে এই ডিকশনারীতে ৩৬ ধরণের পরিস্থিতির ইংরেজি কথপোকথন সংযোজন করা হয়েছে। সর্বোপরি আপনার ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় ডিজিটাল ডিকশনারী রাখতে পারে এক অনন্য ভূমিকা। বর্ণনা শুনে নিশ্চই ভাবছেন এই ডিজিটাল ডিকশনারীর দাম মধ্যবিত্ত শ্রেনীর সাধ্যের বাইরে? কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটি মোটেই এরকম নয়। বাংলাদেশের বাজারে ডিজিটাল ডিকশনারীর দাম মাত্র ৪,৪০০ টাকা। পকেটে বহনযোগ্য, রিচার্জেবল ব্যাটারী সম্বলিত বহুগুণে গুণান্বিত এই ডিকশনারী বাংলাদেশের ছাত্রসমাজে ইতিমধ্যেই বেশ সারা ফেলেছে।অদূর ভবিষ্যতেই এই ডিকশনারী সর্বস্তরের শিক্ষিত মানুষের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সালমান মাহফুজ ২২/০৯/২০১৩বেশ প্রয়োজনীয় পোস্ট ।
-
Înšigniã Āvî ২২/০৯/২০১৩দারুন
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২২/০৯/২০১৩জ্ঞানগভ লেখা