চিরকাল বেঁচে থাকুন অনলাইনে
জন্মিলে মরিতে হইবে -এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু মৃত্যুর পরও মানুষ বেঁচে থাকে তাদের কর্মে। আপনিও বেঁচে থাকতে পারেন আপনার অনলাইন কর্মকান্ডের মাধ্যমে। অবাক হয়েছেন নিশ্চই? এত অবাক হবার কিছুই নেই। আপনি যদি চান, তবে বিভিন্ন সামাজিক ওয়েবসাইট যেমন, ফেসবুক, টুইটার, মাইস্পেস ইত্যাদি আপনার মৃত্যুর পরও সংরক্ষণ করবে আপনার দেয়া যাবতীয় তথ্যাবলী। কিছু অনলাইন গেমের সাইটও এধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আপনি চাইলে, আপনার মৃত্যুর পরও আপনার মাইস্পেস বা ফেসবুক ওয়ালে নিয়মিত লিখতে পারবে আপনার বন্ধুরা।
এবছরের ২০ই মে তারিখে পালিত হয় “ডিজিটাল মৃত্যু দিবস” নামে এক বিশেষ দিবস। এই দিবসেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, প্রতিটি মানুষের সকল ডিজিটাল তথ্যাবলী তার ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরিগনিত হওয়া উচিত। কোন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষেরই তার গ্রাহকদের এই ডিজিটাল সম্পত্তির উপর কোন অধিকার নেই। তাই সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির মৃত্যুর পরও তার এই ডিজিটাল সম্পত্তির কোন ক্ষতি সাধন বা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এই দিবসে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এমনকি কিছু কিছু ওয়েবসাইট এই সকল সম্পত্তির অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে এগুলো বিক্রয় করার সুযোগও দিচ্ছে তাদের গ্রাহকদের।
“এনট্রাসটেড” নামের একটি কোম্পানীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেসি ডেভিস মনে করেন, মানুষের ডিজিটাল সম্পত্তির মূল্য নির্ধারিত হয় দুই ভাবে, অর্থনৈতিক মূল্য এবং আবেগীয় মূল্য। দুই ধরনের মূল্যেরই সমান গুরুত্ব রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এ ব্যাপারে মাইস্পেস এর একজন মুখপাত্র জানান যে, তারা কখনোই কোন ব্যাক্তির একাউন্ট বন্ধ করেন না। তবে যদি কোন মৃত গ্রাহকের পারিবারিক সদস্যরা ঐ ব্যাক্তির একাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার অনুরোধ জানায়, তবে মাইস্পেস, ঐ ব্যাক্তির পরিবারের সম্মানে তার একাউন্টটি অবশ্যই বন্ধ করে দেবে। এ ব্যাপারে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানান, এধরনের পরিস্থিতি ফেসবুকের জন্য নতুন নয়। কারণ, ফেসবুকের ৪০০ মিলিয়ন গ্রাহকের মধ্যে মৃত্যু একটি দৈনন্দিন ঘটনা। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে মৃতব্যাক্তির একাউন্টের গুরুত্বও কোন অংশে কম নয় বরং জীবিত গ্রাহকদের একাউন্টের চেয়ে, মৃত গ্রাহকদের একাউন্টের ব্যাপারে নেয়া হয় বাড়তি কিছু সতর্কতা। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে যদি তাদের কোন গ্রাহকের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছায়, তবে তারা ঐ গ্রাহকের প্রোফাইল থেকে তার সাথে যোগাযোগের ঠিকানাটি মুছে দেয়। কিন্তু ঐ একাউন্টের অন্যান্য সকল সুবিধাদি বহাল থাকে। মৃতব্যাক্তির বন্ধুরা আগের মতই তার ওয়ালে লিখতে পারে ও জানাতে পারে যেকোন ধরনের শুভকামনা। সামাজিক ওয়েবসাইটগুলোর এই উদ্দোগ সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপুল সমর্থণ লাভ করেছে। ২০ই মে তে নেয়া এই উদ্দোগের প্রেক্ষিতে প্রত্যেক গ্রাহকই এখন চেষ্টা করছেন তাদের একাউন্ট প্রোফাইলে যত বেশি সম্ভব তথ্যবলী সংযুক্ত করতে। যেন তাদের মৃত্যুর পরও এসকল তথ্য পৃথিবীতে থেকে যায়। সুতরাং আপনি যদি মৃত্যুর পরও অনলাইন সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে থাকতে চান, নীল আকাশ ও ফুরফুরে বাতাস সমৃদ্ধ এই ধরণীতে তাহলে আজই আপনার অনলাইন প্রোফাইলকে করে তুলুন যত বেশি সম্ভব সমৃদ্ধ।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
এবছরের ২০ই মে তারিখে পালিত হয় “ডিজিটাল মৃত্যু দিবস” নামে এক বিশেষ দিবস। এই দিবসেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, প্রতিটি মানুষের সকল ডিজিটাল তথ্যাবলী তার ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরিগনিত হওয়া উচিত। কোন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষেরই তার গ্রাহকদের এই ডিজিটাল সম্পত্তির উপর কোন অধিকার নেই। তাই সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির মৃত্যুর পরও তার এই ডিজিটাল সম্পত্তির কোন ক্ষতি সাধন বা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এই দিবসে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এমনকি কিছু কিছু ওয়েবসাইট এই সকল সম্পত্তির অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে এগুলো বিক্রয় করার সুযোগও দিচ্ছে তাদের গ্রাহকদের।
“এনট্রাসটেড” নামের একটি কোম্পানীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেসি ডেভিস মনে করেন, মানুষের ডিজিটাল সম্পত্তির মূল্য নির্ধারিত হয় দুই ভাবে, অর্থনৈতিক মূল্য এবং আবেগীয় মূল্য। দুই ধরনের মূল্যেরই সমান গুরুত্ব রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এ ব্যাপারে মাইস্পেস এর একজন মুখপাত্র জানান যে, তারা কখনোই কোন ব্যাক্তির একাউন্ট বন্ধ করেন না। তবে যদি কোন মৃত গ্রাহকের পারিবারিক সদস্যরা ঐ ব্যাক্তির একাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার অনুরোধ জানায়, তবে মাইস্পেস, ঐ ব্যাক্তির পরিবারের সম্মানে তার একাউন্টটি অবশ্যই বন্ধ করে দেবে। এ ব্যাপারে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানান, এধরনের পরিস্থিতি ফেসবুকের জন্য নতুন নয়। কারণ, ফেসবুকের ৪০০ মিলিয়ন গ্রাহকের মধ্যে মৃত্যু একটি দৈনন্দিন ঘটনা। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে মৃতব্যাক্তির একাউন্টের গুরুত্বও কোন অংশে কম নয় বরং জীবিত গ্রাহকদের একাউন্টের চেয়ে, মৃত গ্রাহকদের একাউন্টের ব্যাপারে নেয়া হয় বাড়তি কিছু সতর্কতা। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে যদি তাদের কোন গ্রাহকের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছায়, তবে তারা ঐ গ্রাহকের প্রোফাইল থেকে তার সাথে যোগাযোগের ঠিকানাটি মুছে দেয়। কিন্তু ঐ একাউন্টের অন্যান্য সকল সুবিধাদি বহাল থাকে। মৃতব্যাক্তির বন্ধুরা আগের মতই তার ওয়ালে লিখতে পারে ও জানাতে পারে যেকোন ধরনের শুভকামনা। সামাজিক ওয়েবসাইটগুলোর এই উদ্দোগ সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপুল সমর্থণ লাভ করেছে। ২০ই মে তে নেয়া এই উদ্দোগের প্রেক্ষিতে প্রত্যেক গ্রাহকই এখন চেষ্টা করছেন তাদের একাউন্ট প্রোফাইলে যত বেশি সম্ভব তথ্যবলী সংযুক্ত করতে। যেন তাদের মৃত্যুর পরও এসকল তথ্য পৃথিবীতে থেকে যায়। সুতরাং আপনি যদি মৃত্যুর পরও অনলাইন সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে থাকতে চান, নীল আকাশ ও ফুরফুরে বাতাস সমৃদ্ধ এই ধরণীতে তাহলে আজই আপনার অনলাইন প্রোফাইলকে করে তুলুন যত বেশি সম্ভব সমৃদ্ধ।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২১/০৯/২০১৩আলোক ভাই যেখানে হাত দেয় সেখানেই আলোকিত করে দেয়
-
Înšigniã Āvî ২১/০৯/২০১৩দারুন কিছু জানানোর অনেক ধন্যবাদ,
ভবিষ্যতে আরও এরকম নতুন তথ্য পাবার আশা রাখি। -
রোদের ছায়া ২১/০৯/২০১৩ফেসবুকে আমাদের এক্জন পরিচিত ব্যক্তির একাউনট বেশ ভালো ভাবেই বেঁচে আছে আজ প্রায় দুই বছর হল । অনেকেই দেখেছি তার জন্মদিন, মৃত্যু দিনে তাঁর অয়াল এ অনেক কিছু পোস্ট করে, বিষয়টা বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছে ।
-
নাজমুন নাহার ২১/০৯/২০১৩জেনে ভীষন ভাল লাগলো ।ধন্যবাদ ।
-
সাইফুল মনোয়ার নিশাদ ২১/০৯/২০১৩আজব একটা ব্যপার, মানুষ মরে গেলেও তার একাউন্ট জীবিত থাকবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট এর জন্য