আর নয় লোডশেডিং
বাসায় অথবা অফিসে যেখানেই আপনি থাকুন না কেন বলুন তো কোন জিনিসটি ছাড়া আপনি হয়ে পড়বেন সম্পূর্ণ পঙ্গু? নিশ্চই পেরেছেন? হ্যা ঠিকই পেরেছেন। এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদানটি হচ্ছে বিদ্যুৎ। কিন্তু এই বিদ্যুৎ আমরা কোথা হতে পাই তা আপনি জানেন কি? বিদ্যুতের রযেছে নানা ধরনের উৎস। সর্বপ্রথম বিদ্যুৎ আবিষ্কৃত হয় অ্যাম্বার গাছের শক্ত হয়ে যাওয়া আঁঠার সাথে রেশম কাপড়ের ঘর্ষণের মাধ্যমে। কালের বিবর্তণে আরও বিভিন্ন উৎস ঘুরে বর্তমানে বিদ্যুতের সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎস হচ্ছে জল বা পানি। আপনি আপনার বাসায় যে বিদ্যুতের মাধ্যমে আপনার শখের রঙ্গীন টেলিভিশনটি চালাচ্ছেন তাই হচ্ছে জলবিদ্যুৎ। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা বিদ্যুতের উৎস হিসেবে ব্যবহার করছেন সকল শক্তির উৎস সূর্যকে। কিন্তু সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি এতটাই ব্যায়বহুল যে, তা কোন দেশেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে নি।
কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানী মাইকেল গ্রেজেল এবছরই ফেললেন সেই যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ এতটাই কমে যাবে যে, আপনি এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন আপনার বাসায় বর্তমানে ব্যবহৃত জলবিদ্যুতের চেয়ে কম খরচে। প্রতিভাবান এই বিজ্ঞানী এমন একটি বৈদ্যুতিক কোষ আবিষ্কার করেছেন যা সূর্যের আলো থেকে সম্পূর্ণ সয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে সক্ষম। এই নতুন সেলের নাম দেয়া হয়েছে “গ্রেজেল সেল”। এই নতুন সেল তৈরীর জন্য গ্রেজেল ব্যবহার করেছেন কিছু অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। সেগুলো হচ্ছে- ইলেক্ট্রনিক পেপার, চীপ অর্গানিক সোলার সেল, ইলুমিনেটিং ওয়াল পেপার ও A.R.M. 32 bit RISC microprossesor। এই সেল প্রতি ৫ ঘন্টার চার্জে ৪৮ ঘন্টা বিরতিহীন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে বলে মাইকেল গ্রেজেল দাবী করেন। চলতি বছরেই এই নতুন আবিষ্কার লাভ করেছে নানা স্বীকৃতি। একে বাজারজাত করার জন্য মাইকেল গ্রেজেলের কর্মরত প্রতিষ্ঠান লওসেন ফেডারেল টেকনোলজী ফিনল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে লাভ করেছে ৮,০০,০০০ ইউরো। ২০১৫ সালের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বের বাজারে গ্রেজেল সেল জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে লওসেন ফেডারেল টেকনোলজীর একজন মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেন। স্বল্প খরচের কারণে এই নতুন আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ সেল তৃতীয় বিশ্বের পাশপাশি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করানোর জন্য আগামী বছর থেকে লওসেন ফেডারেল টেকনোলজী বিশ্বের ৩২ টি দেশে এই সেল উৎপাদন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। গ্রেজেল সেল ব্যবহারের মাধ্যমেই কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানী মাইকেল গ্রেজেল এবছরই ফেললেন সেই যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ এতটাই কমে যাবে যে, আপনি এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন আপনার বাসায় বর্তমানে ব্যবহৃত জলবিদ্যুতের চেয়ে কম খরচে। প্রতিভাবান এই বিজ্ঞানী এমন একটি বৈদ্যুতিক কোষ আবিষ্কার করেছেন যা সূর্যের আলো থেকে সম্পূর্ণ সয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে সক্ষম। এই নতুন সেলের নাম দেয়া হয়েছে “গ্রেজেল সেল”। এই নতুন সেল তৈরীর জন্য গ্রেজেল ব্যবহার করেছেন কিছু অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। সেগুলো হচ্ছে- ইলেক্ট্রনিক পেপার, চীপ অর্গানিক সোলার সেল, ইলুমিনেটিং ওয়াল পেপার ও A.R.M. 32 bit RISC microprossesor। এই সেল প্রতি ৫ ঘন্টার চার্জে ৪৮ ঘন্টা বিরতিহীন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে বলে মাইকেল গ্রেজেল দাবী করেন। চলতি বছরেই এই নতুন আবিষ্কার লাভ করেছে নানা স্বীকৃতি। একে বাজারজাত করার জন্য মাইকেল গ্রেজেলের কর্মরত প্রতিষ্ঠান লওসেন ফেডারেল টেকনোলজী ফিনল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে লাভ করেছে ৮,০০,০০০ ইউরো। ২০১৫ সালের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বের বাজারে গ্রেজেল সেল জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে লওসেন ফেডারেল টেকনোলজীর একজন মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেন। স্বল্প খরচের কারণে এই নতুন আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ সেল তৃতীয় বিশ্বের পাশপাশি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করানোর জন্য আগামী বছর থেকে লওসেন ফেডারেল টেকনোলজী বিশ্বের ৩২ টি দেশে এই সেল উৎপাদন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। গ্রেজেল সেল ব্যবহারের মাধ্যমেই কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২১/০৯/২০১৩সচেতন ধমী লেখা আলোক ভাই
-
নাজমুন নাহার ২১/০৯/২০১৩দারুন তো ! বিদ্যূতের ব্যায় কমবে আবার ২৪ ঘন্টা বিদ্যুত থাকবে ।অসাধারণ ব্যপার । কবে যে আসবে এই সুবিধা ! অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি । শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
-
Înšigniã Āvî ২১/০৯/২০১৩বাহ.....দারুন
নতুন কিছু জানলাম