মাথার উপরের কিছু অবাক ব্যাপার
আকাশের মিটমিট করা তারাগুলো কি আপনাকে ভাবায় ? কখনো কি এই তারাগুলো সম্পর্কে জানার ইচ্ছা জাগে আপনার মনে ? আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের প্রকৃতি বিশ্লেষনের যে বিদ্যা মানুষ আয়ত্ব করেছে, তার নাম জ্যোতির্বিদ্যা। এই জ্যোতির্বিদ্যা আমাদেরকে মহাকাশ সম্পর্কে এমন সব চমকপ্রদ তথ্যাবলী সরবরাহ করছে, যেগুলো যেকোন বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষের মনেই সৃষ্টি করে নিদারুণ বিস্ময়। এমনই একটি বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রহের অস্তিত্ব। অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রহ হচ্ছে এমন এক গ্রহ, যা পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি অবস্থান করার পরেও পৃথিবী থেকে আমরা একে দেখতে পাই না। কোন গ্রহ ও পৃথিবীর মাঝখানে যদি অন্য আরেকটি গ্রহ স্থায়ী আড়াল তৈরি করে, তাহলে ঐ গ্রহ থেকে কোন আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে না, ফলে আমরা গ্রহটিকে দেখতে পাই না। এভাবেই অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রহের সৃষ্টি হয়। এ ধরণের গ্রহ সম্পর্কে সর্বপ্রথম ধারণা দেন গ্যালিলিও নামের একজন ভদ্রলোক। এই ভদ্রলোক জ্যোতির্বিদ্যায় তাঁর অবদানের মাধ্যমে পার হয়ে এসেছেন কালের গণ্ডী । প্রথম অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রহ আবিষ্কৃত হয় জ্যোতির্বিদ্যা চর্চা শুরুর কয়েক শতক কেটে যাওয়ার পর। এর আগে অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রহের অস্তিত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে কেবল তাত্ত্বিকভাবে সত্যি ছিলো। আমাদের দৃষ্টিসীমার ভেতরেই অর্থাৎ মেঘমুক্ত রাতের আকাশে তাকালে আপনি মহাকাশের যতটুকু দেখতে পান তার মধ্যেই বর্তমানে অর্ধশতাধিক গ্রহ চিহ্নিত করা হয়েছে যা থেকে কোন আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় না। অর্থাৎ এদেরকে আমরা দেখতে পাই না। অবাক হয়েছেন ? মহাকাশে প্রতিনিয়ত ঘটে এরকম বিস্ময়কর অসংখ্য ঘটনা। এমনই আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে “পালসার” এর অস্তিত্ব। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে হঠাৎ হঠাৎ লক্ষ্যনীয় কিছু তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কারণ খুঁজে পচ্ছিলেন না। এরপর গত শতাব্দীতে “পালসার” আবিষ্কারের মাধ্যমে এই তেজস্ক্রিয় বিকিরণ রহস্যের সমাধান হয়। পালসার হচ্ছে এমন এক জ্যোতিষ্ক যাতে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর নিয়মিত বিষ্ফোরণ ঘটে। এই বিষ্ফোরণের মাধ্যমেই কিছু অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তা মহাকাশে ছড়িয়ে পরে। যা ধরা পড়ে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণরত কৃত্রিম উপগ্রহগুলোতে। বিজ্ঞানের জ্যোতির্বিদ্যা নামের শাখাটি আপনাকে দিতে পারে এধরণের অসংখ্য মাথা ঘুড়িয়ে দেয়ার মতো তথ্য।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
----- এই লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে । তারিখ মনে না থাকায় উল্লেখ করা গেলনা । সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে তথ্যটি উল্লেখ করে রাখলাম ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৩/১২/২০১৪হমমম। ভালো তথ্য। বাট এই সাবজেক্ট টা কেনো যেনো সব সময় আমার কাছে কঠিন লাগতো..........
-
Înšigniã Āvî ২১/০৯/২০১৩বাহ....
খুব ভাল লাগলো জেনে