রংধনুর গল্প
🌈রংধনুর গল্প🌈
বিষণ্ন আকাশের কান্না শেষে সূর্য্যি মামা যখন মেঘের পর্দা ঠেলে বের হয়, তার ঠিক উলটো দিকে ভেসে উঠে রঙিন ঝালর, রংধনু; আনন্দের সংবাদ নিয়ে। চারদিক আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠে। এই রংধনুর তো সাতটা রং, একসাথে দল বেধেঁ পুরো আকাশকে এক দূর্লভ সৌন্দর্যে সাজিয়ে দেয়।
কেমন হবে যদি এমনই এক রংধনু একটা ছোট্ট ঘর বাঁধার স্বপ্নকে সাজিয়ে দেয়? একটা দূর্লভ সুখি পরিবার তৈরি করে?
একটা ছোট্ট চিলেকোঠার ঘরে এক দম্পতির কোল আলো করে এলো রংধনুর প্রথম সদস্য, "নীল" 💙, বড় ছেলে হিসেবে অসাধারন, দায়িত্ববান, বাবা মায়ের খুনসুটি রাগ মিটানো থেকে শুরু করে বাবার কাজে, মায়ের রান্না- বান্না সংসারের সব কাজেই সে হাজির।
দ্বিতীয় সন্তান হলো "সবুজ"💚 প্রাণোচ্ছল, সজীব, প্রকৃতির রং-ই যেন তার মনের রং, কবিতা লিখে, গান গায়, ছোট্ট করে বাগানও করেছে, মায়ের জন্যে প্রতিদিন সবজি এনে দেয়, বাবার প্রিয় খেলা গল্ফ, তাতেও সবুজ খুব আগ্রহী, বাবার সাথে গল্ফ ক্লাবেও যায়।
তৃতীয় রংধনু সদস্য হলো একটা রাজকন্যা, সুন্দরী কমলা, 🧡 গায়ের রং অবিকল বাবার মতো,দেখতে মায়ের মতো। কমলা সুন্দরী মানেই যে নাচে গানে পটু এখানে তা নয়, একেবারেই ভিন্ন এক কমলা সুন্দরী, ইসলামী বিধিবিধানের অনুসরনে যার জীবন গড়া, পরিপূর্ণ পর্দাশীল,নামাজী, কুরআন হাদিস নিয়ে পড়ালেখা করা আর এ বিষয়ে বাবা মাকে সাহায্য করায় সে দক্ষ। সাংসারিক কাজেও সে পটু।
দ্বিতীয় যে রংধনুর রাজকন্যা তার নাম " হলুদ"💛, সবার আদরের হলুদিয়া পাখি, বাবামায়ের চতুর্থ সন্তান। একটু ব্যতিক্রম,অস্থির। পড়ালেখাতেই সারাদিন মহাব্যস্ত থাকে কিন্তু রেজাল্ট ভালো হয় না, তার মন,চিন্তাধারা পাখির মতো চঞ্চল,কোথায় যে হারিয়ে যায়! অন্য কাজকর্মও তাই ঠিক মতো করতে পারে না।
একদিন তাদের মা আবার সন্তানসম্ভবা হল। কিন্তু এবার সে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার জানালো এবার যে কোনো একজনকে বাঁচানো যাবে। বাবা তো তার দীর্ঘদিনের পথচলা প্রিয়সঙ্গিনীকে আগের মতোই ভালোবাসে! সেই ভালোবাসার টানেই ডাক্তারকে অনুরোধ করলো যে করেই হোক তার রাণীকেই যেন বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। অবশেষে আল্লাহর অশেষ দয়ায় মা সন্তান উভয়েই সুস্থ জীবন ফিরে পেলো। এতো কষ্টের পর এই সন্তানটি আাসায় বাবা তার নাম দিল আকাশি 💧 যেন আকাশ কালো করে অবিশ্রান্ত বর্ষণের পর তার আগমন। সবাই-ই তাকে খুব ভালোবাসে,আদর করে।
কিন্তু রাজা মহাশয়ের মনে অদ্ভুত খেয়াল হলো, পরপর তিনটি রাজকন্যা এলো,এখন রাজপুত্র তো চাই-ই, হার মানলো রাণী। কোল আলো করে সবাইকে চমক লাগিয়ে এবার আসলো যমজ সন্তান, কাঙ্খিত রাজপুত্রের সাথে আরেকটি রাজকন্যা! বাবা ভেবে ছেলের নাম দিল "লাল"❤️ মেয়ের নাম " বেগুনি"💜।
লাল পা টিপে টিপে যতো বড় হতে লাগলো, ততো হতে লাগলো দুষ্ট। সবসময় দুষ্টামি করতো আর মায়ের মার খেতো। মা প্রায়ই বলতো " বাবার সব দুষ্টামি পেয়েছে ছেলেটা"।
কিন্তু বেগুনি যেন মু্দ্রার ওপিঠ। সবচেয়ে লক্ষী মেয়ে, সবার নয়নমণি, শান্ত, নম্র।
এ হলো ছোট্ট চিলেকোঠার ঘরে এক রাজা রানী আর তাদের রংধনু রাজ্য গড়ে তোলার গল্প, যেখানে ছোট্ট ঘর, ছোট্ট সংসার রংধনুর সাতটি রংয়ে রঙিন হয়ে দূর্লভ স্বর্গীয় রূপ তৈরি হয়েছিল।
বিষণ্ন আকাশের কান্না শেষে সূর্য্যি মামা যখন মেঘের পর্দা ঠেলে বের হয়, তার ঠিক উলটো দিকে ভেসে উঠে রঙিন ঝালর, রংধনু; আনন্দের সংবাদ নিয়ে। চারদিক আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠে। এই রংধনুর তো সাতটা রং, একসাথে দল বেধেঁ পুরো আকাশকে এক দূর্লভ সৌন্দর্যে সাজিয়ে দেয়।
কেমন হবে যদি এমনই এক রংধনু একটা ছোট্ট ঘর বাঁধার স্বপ্নকে সাজিয়ে দেয়? একটা দূর্লভ সুখি পরিবার তৈরি করে?
একটা ছোট্ট চিলেকোঠার ঘরে এক দম্পতির কোল আলো করে এলো রংধনুর প্রথম সদস্য, "নীল" 💙, বড় ছেলে হিসেবে অসাধারন, দায়িত্ববান, বাবা মায়ের খুনসুটি রাগ মিটানো থেকে শুরু করে বাবার কাজে, মায়ের রান্না- বান্না সংসারের সব কাজেই সে হাজির।
দ্বিতীয় সন্তান হলো "সবুজ"💚 প্রাণোচ্ছল, সজীব, প্রকৃতির রং-ই যেন তার মনের রং, কবিতা লিখে, গান গায়, ছোট্ট করে বাগানও করেছে, মায়ের জন্যে প্রতিদিন সবজি এনে দেয়, বাবার প্রিয় খেলা গল্ফ, তাতেও সবুজ খুব আগ্রহী, বাবার সাথে গল্ফ ক্লাবেও যায়।
তৃতীয় রংধনু সদস্য হলো একটা রাজকন্যা, সুন্দরী কমলা, 🧡 গায়ের রং অবিকল বাবার মতো,দেখতে মায়ের মতো। কমলা সুন্দরী মানেই যে নাচে গানে পটু এখানে তা নয়, একেবারেই ভিন্ন এক কমলা সুন্দরী, ইসলামী বিধিবিধানের অনুসরনে যার জীবন গড়া, পরিপূর্ণ পর্দাশীল,নামাজী, কুরআন হাদিস নিয়ে পড়ালেখা করা আর এ বিষয়ে বাবা মাকে সাহায্য করায় সে দক্ষ। সাংসারিক কাজেও সে পটু।
দ্বিতীয় যে রংধনুর রাজকন্যা তার নাম " হলুদ"💛, সবার আদরের হলুদিয়া পাখি, বাবামায়ের চতুর্থ সন্তান। একটু ব্যতিক্রম,অস্থির। পড়ালেখাতেই সারাদিন মহাব্যস্ত থাকে কিন্তু রেজাল্ট ভালো হয় না, তার মন,চিন্তাধারা পাখির মতো চঞ্চল,কোথায় যে হারিয়ে যায়! অন্য কাজকর্মও তাই ঠিক মতো করতে পারে না।
একদিন তাদের মা আবার সন্তানসম্ভবা হল। কিন্তু এবার সে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার জানালো এবার যে কোনো একজনকে বাঁচানো যাবে। বাবা তো তার দীর্ঘদিনের পথচলা প্রিয়সঙ্গিনীকে আগের মতোই ভালোবাসে! সেই ভালোবাসার টানেই ডাক্তারকে অনুরোধ করলো যে করেই হোক তার রাণীকেই যেন বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। অবশেষে আল্লাহর অশেষ দয়ায় মা সন্তান উভয়েই সুস্থ জীবন ফিরে পেলো। এতো কষ্টের পর এই সন্তানটি আাসায় বাবা তার নাম দিল আকাশি 💧 যেন আকাশ কালো করে অবিশ্রান্ত বর্ষণের পর তার আগমন। সবাই-ই তাকে খুব ভালোবাসে,আদর করে।
কিন্তু রাজা মহাশয়ের মনে অদ্ভুত খেয়াল হলো, পরপর তিনটি রাজকন্যা এলো,এখন রাজপুত্র তো চাই-ই, হার মানলো রাণী। কোল আলো করে সবাইকে চমক লাগিয়ে এবার আসলো যমজ সন্তান, কাঙ্খিত রাজপুত্রের সাথে আরেকটি রাজকন্যা! বাবা ভেবে ছেলের নাম দিল "লাল"❤️ মেয়ের নাম " বেগুনি"💜।
লাল পা টিপে টিপে যতো বড় হতে লাগলো, ততো হতে লাগলো দুষ্ট। সবসময় দুষ্টামি করতো আর মায়ের মার খেতো। মা প্রায়ই বলতো " বাবার সব দুষ্টামি পেয়েছে ছেলেটা"।
কিন্তু বেগুনি যেন মু্দ্রার ওপিঠ। সবচেয়ে লক্ষী মেয়ে, সবার নয়নমণি, শান্ত, নম্র।
এ হলো ছোট্ট চিলেকোঠার ঘরে এক রাজা রানী আর তাদের রংধনু রাজ্য গড়ে তোলার গল্প, যেখানে ছোট্ট ঘর, ছোট্ট সংসার রংধনুর সাতটি রংয়ে রঙিন হয়ে দূর্লভ স্বর্গীয় রূপ তৈরি হয়েছিল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৪/০৪/২০২২চমৎকার গল্প
-
শুভজিৎ বিশ্বাস ২৪/০২/২০২২বেশ
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ১১/০২/২০২১সুন্দর
-
তরুন ইউসুফ ০৮/০২/২০২১সুন্দর
-
এম এম হোসেন ০৭/০২/২০২১জটিল
-
ফয়জুল মহী ০৫/০২/২০২১Excellent
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৫/০২/২০২১nice