বেকার জীবন
"বছর দুয়েক আগে অনার্স পাশ করেছিলাম
একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে,
সিজিপিএ খুব একটা বেশি না, তিন এর উপরে।
এর মধ্যে কতশত চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে যে আবেদন করেছিলাম তাহার হিসাব নেই,
অবশ্য পাঁচ ছয়টা চাকরির কনফার্ম
লেটার ও পেয়েছিলাম
কিন্তুু তাহার বেতন কাচাঁমালের ব্যবসার মতো।
আগে সিগারেট খেতাম না
এখন দিব্বি সিগারেট খাই ,
অনেকরাত অবধি জাগি।
প্রেমিকা আর আগের মত ফোন দেয় না
ফোন দিলেই বলে আর কতদিন চলবে এভাবে ?
কিছু তো একটা করো।
তার কথা গুলো রুদ্ধশ্বাসের মতো কানে বাজে
তবুও তাঁকে দুই একটা কবিতার লাইন শুনিয়ে দেই।
পরিবারের মানুষগুলো আমার আশায়
বসে থেকে থেকে বড় ক্লান্ত হয়ে গেছে,
প্রতিশ্রুতির দেয়ালে এখন আর আমার ছবি আঁকে না,
আমি বড় বিমূর্তরূপের মানুষ হয়ে গেছি তাদের কাছে,দিব্বি অভিশাপ দেয় চোখ সঁপে চোখে
তবুও বেহায়ার মতো
ঘুরে বেড়াই এখানে, ওখানে, সেখানে,
অভিশপ্ত পাপীদের মতো বেঁচে থাকা নরককুণ্ডে।
দুই একটা টিউশনি করাই
হাতে অল্প কয়েকটা টাকা পাই
সিগারেট বিল, মোবাইল বিল, হাত
খরচের বিল দিতেই ফুরিয়ে যায়,
নুন আনতে পান্তা, পান্তা আনতে নুন ফুরানোর মতো ।
বন্ধু বান্ধব আগের মতো আমায় সঙ্গ দিতে ডাকে না,
চায়ের দোকানে দেখা হলে আর
বসতে বলে না,
তারা এখন ভালো চাকরি করে, ভালো বেতন
পায়, তাই তাদের সাথে বসার যোগ্যতায় যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি,
তবুও দিন কেটে যাচ্ছে, বয়ে চলেছে সময়ের খেলাপথ
প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে কিছুদিন
পরেই বিয়ে।
তার বাবা স্পট জানিয়ে দিয়েছেন
কোন বেকার ছেলের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দিবেন না।
সোডিয়াম বাতির আলো চুষে খেয়ে খেয়ে একদিন হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় বহুদূরের দেশে।
পরিবার ছেড়ে এখন আমি ছোট্ট একটা শহরে থাকি
বন্ধু বান্ধবের গানডি পেড়িয়ে আজ ছাব্বিশ
বছরে পা দিয়েছি,
এখন আমি একাকীত্বের মাঝে নিজের পৃথিবীর সাঁজাই
নিজের গল্প বাধি নীল সেলে
কবিতা লিখি আর বলি ধুর ছাই,
কিছু কিছু মানুষ বুঝি এমন ই হয় ?
তবুও মূল্যহীন কবিতারা বড় হয়
ডাইরির পাতায় পাতায় ।একদিন বহুদিন পরে খবরের কাগজে ছাঁপা হয়,
চোখ মেলে দু-একবার দেখি।
এখনো শত শত
চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করি
চাকরির জন্য কল আপ লেটার ও
আসে কিন্তুু বেতন নগন্য হওয়ায় এখনো উদ্ভ্রান্ত মানুষের মতো ছুটে চলি পৃথিবীর কোলাহলে,
শহরের বেদনাবিদ্ধ প্রশান্ত প্রান্তরে কনক্রিটের বেড়াজালে।
প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে দুই মাস আগেই,
কিছুদিন আগে ফোন করেছিল,
সে এখনো আগের মতই আছে,
ফোন দিয়েই বলে, আমাকে তো হারিয়েছ
নিজেকে হারিয়ে ফেল না
যেটা চলে গেছে সেটা ফিরে চেয় না, পাবে না
লক্ষ্য খুজে নিতে হবে তোমাকেই
কেউ লক্ষ্য খুজে দিবেনা ।
চুপ করে থেকে থেকে দিন দিন সাগরের মতো শীতল
পাহাড়ের মতো স্থির ,
বোবার মতো বধির হয়ে যাচ্ছি।
যারা মিশে গেছে কুয়াশায়
নিভে গেছে আঁধারে ,
চলে গেছে বহুদুরে ,সীমানার ওপারে
তারাইতো আমার আকাশ ছিল,
তারাইতো চলে গেল, কি করবো আমি একলা বয়ে ?
সেদিন ই তার সাথে শেষ কথা হয়,
আর কখনো কোনদিন ফোন করেনি ।
আমি আজ ভীন দেশের পথিক,
ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াই পথে ঘাটে,
শহরের অলিগলির আনাচে কানাচে,
তারপর মাস কয়েক পরে হঠাৎ দাদা ঠাকুরের
সাথে দেখা।
দাদা ঠাকুর অনেক বড় চাকরী করেন
অনেক নাম জস প্রতিপত্তির মালিক তিনি।
আমার সাথে আগে প্রতিদিন চা খেতেন
এখানে দাঁড়িয়ে, এভাবেই চিনি তাঁকে ।
তারপর চা চা খেতে আমার কুশল জানতেই
অকপটে বেড়িয়ে গেল সব কথা ।
দাদা ঠাকুর আমার মুখের দিকে চেয়ে
বলেছিল তুমি অনেক বড় বোকা ।
সেদিনই দাদা ঠাকুরের সাথে বড় শহরে চলে আসি
দাদা ঠাকুরের কম্পানিতে চাকরি করি
ভালো বেতন পাই ।
হতাশা গুলো দিন দিন হারিয়ে যেতে থাকে।
হঠাৎ একদিন বিবর্ণ ঘূর্ণিপাকে
প্রেমিকার সাথে দেখা হয়ে যায়
দেখা হয়ে যায় চিরচেনা বন্ধুবান্ধবের সাথে,
আমার পরিবারের মানুষ গুলোর সাথে।
আমরা কেউ থেমে থাকিনা
শুধু থেমে থাকে কিছু কিছু বাস্তবতা,
তার মতো করে আমাদেরকে সাথে নিয়ে।
একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে,
সিজিপিএ খুব একটা বেশি না, তিন এর উপরে।
এর মধ্যে কতশত চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে যে আবেদন করেছিলাম তাহার হিসাব নেই,
অবশ্য পাঁচ ছয়টা চাকরির কনফার্ম
লেটার ও পেয়েছিলাম
কিন্তুু তাহার বেতন কাচাঁমালের ব্যবসার মতো।
আগে সিগারেট খেতাম না
এখন দিব্বি সিগারেট খাই ,
অনেকরাত অবধি জাগি।
প্রেমিকা আর আগের মত ফোন দেয় না
ফোন দিলেই বলে আর কতদিন চলবে এভাবে ?
কিছু তো একটা করো।
তার কথা গুলো রুদ্ধশ্বাসের মতো কানে বাজে
তবুও তাঁকে দুই একটা কবিতার লাইন শুনিয়ে দেই।
পরিবারের মানুষগুলো আমার আশায়
বসে থেকে থেকে বড় ক্লান্ত হয়ে গেছে,
প্রতিশ্রুতির দেয়ালে এখন আর আমার ছবি আঁকে না,
আমি বড় বিমূর্তরূপের মানুষ হয়ে গেছি তাদের কাছে,দিব্বি অভিশাপ দেয় চোখ সঁপে চোখে
তবুও বেহায়ার মতো
ঘুরে বেড়াই এখানে, ওখানে, সেখানে,
অভিশপ্ত পাপীদের মতো বেঁচে থাকা নরককুণ্ডে।
দুই একটা টিউশনি করাই
হাতে অল্প কয়েকটা টাকা পাই
সিগারেট বিল, মোবাইল বিল, হাত
খরচের বিল দিতেই ফুরিয়ে যায়,
নুন আনতে পান্তা, পান্তা আনতে নুন ফুরানোর মতো ।
বন্ধু বান্ধব আগের মতো আমায় সঙ্গ দিতে ডাকে না,
চায়ের দোকানে দেখা হলে আর
বসতে বলে না,
তারা এখন ভালো চাকরি করে, ভালো বেতন
পায়, তাই তাদের সাথে বসার যোগ্যতায় যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি,
তবুও দিন কেটে যাচ্ছে, বয়ে চলেছে সময়ের খেলাপথ
প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে কিছুদিন
পরেই বিয়ে।
তার বাবা স্পট জানিয়ে দিয়েছেন
কোন বেকার ছেলের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দিবেন না।
সোডিয়াম বাতির আলো চুষে খেয়ে খেয়ে একদিন হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় বহুদূরের দেশে।
পরিবার ছেড়ে এখন আমি ছোট্ট একটা শহরে থাকি
বন্ধু বান্ধবের গানডি পেড়িয়ে আজ ছাব্বিশ
বছরে পা দিয়েছি,
এখন আমি একাকীত্বের মাঝে নিজের পৃথিবীর সাঁজাই
নিজের গল্প বাধি নীল সেলে
কবিতা লিখি আর বলি ধুর ছাই,
কিছু কিছু মানুষ বুঝি এমন ই হয় ?
তবুও মূল্যহীন কবিতারা বড় হয়
ডাইরির পাতায় পাতায় ।একদিন বহুদিন পরে খবরের কাগজে ছাঁপা হয়,
চোখ মেলে দু-একবার দেখি।
এখনো শত শত
চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করি
চাকরির জন্য কল আপ লেটার ও
আসে কিন্তুু বেতন নগন্য হওয়ায় এখনো উদ্ভ্রান্ত মানুষের মতো ছুটে চলি পৃথিবীর কোলাহলে,
শহরের বেদনাবিদ্ধ প্রশান্ত প্রান্তরে কনক্রিটের বেড়াজালে।
প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে দুই মাস আগেই,
কিছুদিন আগে ফোন করেছিল,
সে এখনো আগের মতই আছে,
ফোন দিয়েই বলে, আমাকে তো হারিয়েছ
নিজেকে হারিয়ে ফেল না
যেটা চলে গেছে সেটা ফিরে চেয় না, পাবে না
লক্ষ্য খুজে নিতে হবে তোমাকেই
কেউ লক্ষ্য খুজে দিবেনা ।
চুপ করে থেকে থেকে দিন দিন সাগরের মতো শীতল
পাহাড়ের মতো স্থির ,
বোবার মতো বধির হয়ে যাচ্ছি।
যারা মিশে গেছে কুয়াশায়
নিভে গেছে আঁধারে ,
চলে গেছে বহুদুরে ,সীমানার ওপারে
তারাইতো আমার আকাশ ছিল,
তারাইতো চলে গেল, কি করবো আমি একলা বয়ে ?
সেদিন ই তার সাথে শেষ কথা হয়,
আর কখনো কোনদিন ফোন করেনি ।
আমি আজ ভীন দেশের পথিক,
ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াই পথে ঘাটে,
শহরের অলিগলির আনাচে কানাচে,
তারপর মাস কয়েক পরে হঠাৎ দাদা ঠাকুরের
সাথে দেখা।
দাদা ঠাকুর অনেক বড় চাকরী করেন
অনেক নাম জস প্রতিপত্তির মালিক তিনি।
আমার সাথে আগে প্রতিদিন চা খেতেন
এখানে দাঁড়িয়ে, এভাবেই চিনি তাঁকে ।
তারপর চা চা খেতে আমার কুশল জানতেই
অকপটে বেড়িয়ে গেল সব কথা ।
দাদা ঠাকুর আমার মুখের দিকে চেয়ে
বলেছিল তুমি অনেক বড় বোকা ।
সেদিনই দাদা ঠাকুরের সাথে বড় শহরে চলে আসি
দাদা ঠাকুরের কম্পানিতে চাকরি করি
ভালো বেতন পাই ।
হতাশা গুলো দিন দিন হারিয়ে যেতে থাকে।
হঠাৎ একদিন বিবর্ণ ঘূর্ণিপাকে
প্রেমিকার সাথে দেখা হয়ে যায়
দেখা হয়ে যায় চিরচেনা বন্ধুবান্ধবের সাথে,
আমার পরিবারের মানুষ গুলোর সাথে।
আমরা কেউ থেমে থাকিনা
শুধু থেমে থাকে কিছু কিছু বাস্তবতা,
তার মতো করে আমাদেরকে সাথে নিয়ে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রইস উদ্দিন খান আকাশ ০৫/০৩/২০১৬খুব সুন্দর একটি কবিতা
-
হাসান কাবীর ০৪/০৩/২০১৬আপনার লেখার হাত ভালো, আরো লিখুন।
-
পরশ ০৩/০৩/২০১৬হতাশ হবেন না ভাই। বেকারদের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে হতাশ না হওয়া
-
হৃদয় ভৌমিক ০৩/০৩/২০১৬সুন্দর বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে কবিতায় -শুভেচ্ছা রইলো -
-
মাহাবুব ০২/০৩/২০১৬বেশ ভালো, সময়,বাস্তবতা, শুভেচ্ছা কবি।
-
পরশ ০২/০৩/২০১৬ভাল