পোড়াবাড়ি
পোড়া মাটির গন্ধ ধসে ধসে
ভুতুড়ে জায়গাটা করবস্থান হয়ে গেছে
দরকার না হলে কেউ আসেনা এখানে।
আমি প্রায় আসি, কেন জানি এখানকার মাটি ,
এখনকার গন্ধ ,নির্জন অরণ্য, কাটপোড়া বৃক্ষ আমার আত্মার সাথে মিশে গেছে। বেলা শেষে কোন মানুষকে কোনদিন দেখা যায়না যায়নি এখানে । পাড়ার লোকেরা আমাকে অন্য গ্রহের মানুষ বলেই জানে।
যেদিন থেকে পরিবারের সদ্য ফোঁটা ফুল গুলোকে আগুনের তেলে ভেঁজে সুইয়ে দিয়েছি চাপা চাপা মাটির নিচে। সেদিন থেকে প্রিয় অখাদ্য জায়টাকে আমার বড় বেশি আপন হয়েছে। শুনেছি এখানে নাকি ভয়ঙ্কর কোন নারীর দেখা পাওয়া যায় অমাবস্যা রাতে।
আরো ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর অদ্ভুত কান্ড ঘটে। একবার ওই ভয়ঙ্কর নারীর সাথে দেখা হলে মন্দ হতো না।
কতটা রাত কাটালাম পোড়াবাবাড়ির মাস্তুলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। একবার কে জেন আমায় বলেছিলো ঘুমা ঘুমা শান্তি মতো ঘুমিয়ে নে নিঃশ্বাস ফুরিয়ে
যাবার আগে। সেদিন থেকে আমি আর ঘুমাইনি কোন রাত জেঁগে থাকতাম কারণ আবার বড় দেখতে ইচ্ছে হয় ওই নারীকে। ওই নারী নাকি আমার বউয়ের দেখতে ছিলো। লোকে বলে ওই নারীই নাকি আমার হারানো ধরনী। আমার বউটা অতীতে কোথায় হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর খুঁজে পাইনি কখনো। ওই পোড়া বাড়িতে মাঝে মাঝে কেন জানি আসতো তা কেবলই ও নিজেই জানতো।
যখন বাড়ি ফিরতো চোখ মুখ লাল থাকতো কি অদ্ভুত ভয়ানক মানুষের মতো।
আজ চারটা বছর পর অমাবশ্যার প্রহর। চারিদিকে শিয়ালের হু হু ডাক। মাতাল বাতাস। চারদিকে কি ভয়ানক অন্ধকার। নিজের হাত বাড়িয়ে দিলেও কল্পনা করতে হয়। ছাঁদে দাড়িয়ে দাড়িয়ে জঙ্গলে ঘটে যাওয়া দৃশ্য ভালোই লাগছে। ভুতেরা বুঝি এমনি হয়?
ওরাও গল্প করে,আড্ডা দেয়, স্বপ্ন দেখে, উৎসব করে?
ওদের জীবনটা সুন্দর।
হঠাৎ কে জেন আমার কাঁধে শীতল হাতের স্পর্শ দিলো,
পিছনে ফিরে দেখি শূন্যে আগুন ভাসছে।
হতবাক হয়ে আগুনে হাত রাখলাম, হাত পুরে যাচ্ছে কিন্তুু কোন কষ্ট হচ্ছে না।
কে যেন আমার শরীর থেকে চামড়া গুলো ছিড়ে খাচ্ছে। তবুও আমি বাকরুদ্ধ। শ্বাস প্রশ্বাস চলছে, বহুদিন ঘুমাই নি। কেন জানি ঘুম পাচ্ছে। চিরনিদ্রায় সহিত শয়ানে নিমজ্জিত হচ্ছে আত্মা। আমি যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি পৃথিবী থেকে অন্য গ্রহে।
হঠাৎ কে যেন আমাকে ছাঁদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। একটা চিৎকার কোন এক নারীর কণ্ঠে । তারপর সকালে জলন্ত রোদের চোখে নিরামিষ আলোর সজ্জায় জীবত হই। জেঁগে দেখি পোড়া মাটির উঠোন থেকে আমার বাসার করিডোরে।
সেই নারীকে এখনো খুঁজি সেই পোড়া মাটির বাড়িতে,
প্রতিটি অমাবস্যায়। প্রতিটি অমাবস্যায় আমি অজ্ঞান হই ,একই ভাবে আমি ঘুম থেকে জেগে উঁঠি আমার বাসার বিছানায়। সেই নারীর কণ্ঠ শুনতে পাই সেই রাতে, ঠিক যেন আমার বউয়ের কণ্ঠের মতো, মরুক্ষীর মতো।
ভুতুড়ে জায়গাটা করবস্থান হয়ে গেছে
দরকার না হলে কেউ আসেনা এখানে।
আমি প্রায় আসি, কেন জানি এখানকার মাটি ,
এখনকার গন্ধ ,নির্জন অরণ্য, কাটপোড়া বৃক্ষ আমার আত্মার সাথে মিশে গেছে। বেলা শেষে কোন মানুষকে কোনদিন দেখা যায়না যায়নি এখানে । পাড়ার লোকেরা আমাকে অন্য গ্রহের মানুষ বলেই জানে।
যেদিন থেকে পরিবারের সদ্য ফোঁটা ফুল গুলোকে আগুনের তেলে ভেঁজে সুইয়ে দিয়েছি চাপা চাপা মাটির নিচে। সেদিন থেকে প্রিয় অখাদ্য জায়টাকে আমার বড় বেশি আপন হয়েছে। শুনেছি এখানে নাকি ভয়ঙ্কর কোন নারীর দেখা পাওয়া যায় অমাবস্যা রাতে।
আরো ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর অদ্ভুত কান্ড ঘটে। একবার ওই ভয়ঙ্কর নারীর সাথে দেখা হলে মন্দ হতো না।
কতটা রাত কাটালাম পোড়াবাবাড়ির মাস্তুলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। একবার কে জেন আমায় বলেছিলো ঘুমা ঘুমা শান্তি মতো ঘুমিয়ে নে নিঃশ্বাস ফুরিয়ে
যাবার আগে। সেদিন থেকে আমি আর ঘুমাইনি কোন রাত জেঁগে থাকতাম কারণ আবার বড় দেখতে ইচ্ছে হয় ওই নারীকে। ওই নারী নাকি আমার বউয়ের দেখতে ছিলো। লোকে বলে ওই নারীই নাকি আমার হারানো ধরনী। আমার বউটা অতীতে কোথায় হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর খুঁজে পাইনি কখনো। ওই পোড়া বাড়িতে মাঝে মাঝে কেন জানি আসতো তা কেবলই ও নিজেই জানতো।
যখন বাড়ি ফিরতো চোখ মুখ লাল থাকতো কি অদ্ভুত ভয়ানক মানুষের মতো।
আজ চারটা বছর পর অমাবশ্যার প্রহর। চারিদিকে শিয়ালের হু হু ডাক। মাতাল বাতাস। চারদিকে কি ভয়ানক অন্ধকার। নিজের হাত বাড়িয়ে দিলেও কল্পনা করতে হয়। ছাঁদে দাড়িয়ে দাড়িয়ে জঙ্গলে ঘটে যাওয়া দৃশ্য ভালোই লাগছে। ভুতেরা বুঝি এমনি হয়?
ওরাও গল্প করে,আড্ডা দেয়, স্বপ্ন দেখে, উৎসব করে?
ওদের জীবনটা সুন্দর।
হঠাৎ কে জেন আমার কাঁধে শীতল হাতের স্পর্শ দিলো,
পিছনে ফিরে দেখি শূন্যে আগুন ভাসছে।
হতবাক হয়ে আগুনে হাত রাখলাম, হাত পুরে যাচ্ছে কিন্তুু কোন কষ্ট হচ্ছে না।
কে যেন আমার শরীর থেকে চামড়া গুলো ছিড়ে খাচ্ছে। তবুও আমি বাকরুদ্ধ। শ্বাস প্রশ্বাস চলছে, বহুদিন ঘুমাই নি। কেন জানি ঘুম পাচ্ছে। চিরনিদ্রায় সহিত শয়ানে নিমজ্জিত হচ্ছে আত্মা। আমি যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি পৃথিবী থেকে অন্য গ্রহে।
হঠাৎ কে যেন আমাকে ছাঁদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। একটা চিৎকার কোন এক নারীর কণ্ঠে । তারপর সকালে জলন্ত রোদের চোখে নিরামিষ আলোর সজ্জায় জীবত হই। জেঁগে দেখি পোড়া মাটির উঠোন থেকে আমার বাসার করিডোরে।
সেই নারীকে এখনো খুঁজি সেই পোড়া মাটির বাড়িতে,
প্রতিটি অমাবস্যায়। প্রতিটি অমাবস্যায় আমি অজ্ঞান হই ,একই ভাবে আমি ঘুম থেকে জেগে উঁঠি আমার বাসার বিছানায়। সেই নারীর কণ্ঠ শুনতে পাই সেই রাতে, ঠিক যেন আমার বউয়ের কণ্ঠের মতো, মরুক্ষীর মতো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ধ্রুব রাসেল ১৭/০২/২০১৬ভাল লাগলো। অসাধারণ লিখেন আপনি।