তোমার বিয়ে অতঃপর আমি
রাতের পর সকাল, সকালের পর সন্ধ্যা,
আবার ফিরে আসে রাত্রি, দিন চলে যায়।
দিন, সপ্তাহ, মাস গড়িয়ে বছর পেরিয়ে যাবে,
সবকিছুর বদলের সাথে সাথে তোমার জীবনটাও বদলে যাবে।
চিরন্তন নিয়মের রেশ ধরে তোমার জীবনেও আসবে এক বিশাল মধুর উৎসব।
অনেক লোক মিলে কোলাহল করবে আনন্দে,
বাজবে নানান বাদ্যযন্ত্র, সাথে মিলন সানাইয়ের সুর।
কেউ রং, কেউবা আবির নিয়ে ছুটোছুটি করবে,
আতশবাজি থাকবে আবার কারো হাতে হাতে।
খাওয়া দাওয়ার আয়োজন, বিরাট ধুমধাম,
সবাই খাবে, করে তোমার গুনকীর্তন নাম।
সখিরা গায়ে হলুদ মেখে, সাজাবে তোমায় এক নতুন সাজে,
নতুন করে দু'হাত ভরা কাঁকন, কানে জোড়া দুল,
নাসিকায় আপেল পাথর, গলায় সোনার হার।
পায়ে নুপুর, কপালে টিপ, মাথায় দিয়ে টায়রা,
সাজবে তুমি ভবের মাঝে রুপের রানী পায়রা।
সুগন্ধী তেল মাখানো লম্বা কালো কেশে, জড়ানো হবে বিজরী জরীন ফিতে।
দু'টি বেনী মিলিয়ে সৌরভময়ী ফুলে, একটি বিনোদ খোঁপা।
তুমি পড়বে বরের দেয়া, লাল বেনারশী শাড়ী,
চোখে কাজল, ওষ্ঠে চন্দন স্নো।
পাউডারসহ নানারকম সাজে ভরিয়ে দিবে তোমার দেহ।
এমনিতেই তুমি সুন্দরী, তার উপর পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য্যকে এক করে সাজবে,
তখন দুয়ারে আগন্তুক, মাথায় মুকুট,
কিছু ধর্মীয় আর সামাজিক আচার অনুষ্ঠান পালন শেষে,
গোটা কয়েক অ-মুখস্ত মন্ত্র পড়ার পর,
তার হাতখানি তোমার কোমল হাতের উপর,
নিয়ে যাবে তোমায় তার বাড়ী, তোমার নতুন ঘরে।
সেই বিদায় লগ্নে কত লোকজন তোমাদের দু'জনকে দেখবে নতুন করে।
পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আর পরিবার পরিচিতের স্নেহ-মায়া ছেড়ে,
চলে যাবে তুমি, স্বামী দেবতার হাত ধরে।
যাবার সময় পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে,
তোমার চোখে দু'ফোটা অশ্রুর বৃষ্টি ঝরবে।
তোমার কাজল কালো চোখের ভ্র বেয়ে পড়বে মাটিতে।
সেদিনকার সেই দিনে আমার আলোকময় স্বপ্ন অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যাবে।
তুমি আমায় হতে দুরে সরে যাবে, বহুদুরে।
হ্যা, স্ব শরীরে তুমি দুরে সরে যাবে ঠিকই,
কিন্তু আমার কাব্যে, আমার গানে, আমার সুরের মাঝে,
যেভাবে তোমাকে জড়িয়ে নিয়েছি, সে বন্ধন ছিন্ন হবার নয়।
আমার প্রতিটি লেখায় লিখেছি তোমার নাম,
হৃদয়পটে একেঁছি তোমার ছবি,
হয়ত তুমি হয়ে যাবে মোর অচেনা,
কিন্তু আমার লিখনীতে তুমি হয়ে উঠবে, আমার চির চেনা তুমি।।
আবার ফিরে আসে রাত্রি, দিন চলে যায়।
দিন, সপ্তাহ, মাস গড়িয়ে বছর পেরিয়ে যাবে,
সবকিছুর বদলের সাথে সাথে তোমার জীবনটাও বদলে যাবে।
চিরন্তন নিয়মের রেশ ধরে তোমার জীবনেও আসবে এক বিশাল মধুর উৎসব।
অনেক লোক মিলে কোলাহল করবে আনন্দে,
বাজবে নানান বাদ্যযন্ত্র, সাথে মিলন সানাইয়ের সুর।
কেউ রং, কেউবা আবির নিয়ে ছুটোছুটি করবে,
আতশবাজি থাকবে আবার কারো হাতে হাতে।
খাওয়া দাওয়ার আয়োজন, বিরাট ধুমধাম,
সবাই খাবে, করে তোমার গুনকীর্তন নাম।
সখিরা গায়ে হলুদ মেখে, সাজাবে তোমায় এক নতুন সাজে,
নতুন করে দু'হাত ভরা কাঁকন, কানে জোড়া দুল,
নাসিকায় আপেল পাথর, গলায় সোনার হার।
পায়ে নুপুর, কপালে টিপ, মাথায় দিয়ে টায়রা,
সাজবে তুমি ভবের মাঝে রুপের রানী পায়রা।
সুগন্ধী তেল মাখানো লম্বা কালো কেশে, জড়ানো হবে বিজরী জরীন ফিতে।
দু'টি বেনী মিলিয়ে সৌরভময়ী ফুলে, একটি বিনোদ খোঁপা।
তুমি পড়বে বরের দেয়া, লাল বেনারশী শাড়ী,
চোখে কাজল, ওষ্ঠে চন্দন স্নো।
পাউডারসহ নানারকম সাজে ভরিয়ে দিবে তোমার দেহ।
এমনিতেই তুমি সুন্দরী, তার উপর পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য্যকে এক করে সাজবে,
তখন দুয়ারে আগন্তুক, মাথায় মুকুট,
কিছু ধর্মীয় আর সামাজিক আচার অনুষ্ঠান পালন শেষে,
গোটা কয়েক অ-মুখস্ত মন্ত্র পড়ার পর,
তার হাতখানি তোমার কোমল হাতের উপর,
নিয়ে যাবে তোমায় তার বাড়ী, তোমার নতুন ঘরে।
সেই বিদায় লগ্নে কত লোকজন তোমাদের দু'জনকে দেখবে নতুন করে।
পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আর পরিবার পরিচিতের স্নেহ-মায়া ছেড়ে,
চলে যাবে তুমি, স্বামী দেবতার হাত ধরে।
যাবার সময় পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে,
তোমার চোখে দু'ফোটা অশ্রুর বৃষ্টি ঝরবে।
তোমার কাজল কালো চোখের ভ্র বেয়ে পড়বে মাটিতে।
সেদিনকার সেই দিনে আমার আলোকময় স্বপ্ন অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যাবে।
তুমি আমায় হতে দুরে সরে যাবে, বহুদুরে।
হ্যা, স্ব শরীরে তুমি দুরে সরে যাবে ঠিকই,
কিন্তু আমার কাব্যে, আমার গানে, আমার সুরের মাঝে,
যেভাবে তোমাকে জড়িয়ে নিয়েছি, সে বন্ধন ছিন্ন হবার নয়।
আমার প্রতিটি লেখায় লিখেছি তোমার নাম,
হৃদয়পটে একেঁছি তোমার ছবি,
হয়ত তুমি হয়ে যাবে মোর অচেনা,
কিন্তু আমার লিখনীতে তুমি হয়ে উঠবে, আমার চির চেনা তুমি।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।