মন ফড়িং-এর গল্প
বর্ষার ছুটিতে স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে|শরৎ বাবু তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি চলে এলেন| কলকাতা থেকে গ্রামের বাড়ি অনেক দূর তাও প্রায় পঞ্চাশ মাইলের কাছাকাছি| শরৎবাবুর যদিও আসতে খুব একটা উৎসাহ ছিল না, তবু তাঁকে ছেলেমেয়েদের জন্য বাধ্য হয়ে আসতে হল| গ্রামে শরৎ বাবুর মা আর কাকারা থাকেন| শরৎ তার মাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কলকাতায় থাকার জন্য, কিন্তু তাঁর মা গ্রাম ছেড়ে যেতে চায়নি| আসলে তিনি তাঁর গ্রামকে একটু বড্ড বেশী ভালবেসে ফেলেছিলেন| তাই তিনি গ্রামেই থেকে গিয়েছিলেন| শরৎবাবু মাসে মাসে তাঁর মাকে টাকা পাঠাতেন|
শরৎবাবুর এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে তাঁর ছেলের নাম অঙ্কন এবং মেয়ের নাম রিম্পা| অঙ্কন একটু শান্ত, আর রিম্পার কথা বলার নয়| যেমন দুরন্ত, তেমন জেদি আর তেমন মিষ্টিও| সকলেই তার দুষ্টুমিকেই যেন ভালোবাসতো|
একদিন সন্ধ্যে বেলায় রিমঝিম ধারাতে বৃষ্টি পড়তে লাগল, কিন্তু থামার নাম নেই| রিম্পা আর অঙ্কন চুপ করে বসে আছে ঠাকুমার পাশে| রিম্পার হঠাৎ গল্প শুনতে ইচ্ছে হল| আর তাকে কে আটকায় সে বারবার ঠাকুমাকে জ্বালাতে লাগলো| ঠাকুমা একটা গল্প বলো না গো| ঠাকুমা গল্প বলতে না চাইলে, রিম্পা ভীষণ জোরে চিৎকার করতে লাগলো| এবার ঠাকুমা আর গল্প না বলে থাকতে পারলেন না| তাঁকে গল্প বলতেই হোলো|
ঠাকুমা বললেন তোরা বসে শোন আমি তোদের একটা "মন ফড়িং-এর গল্প" বলব| মাঝে কিন্তু আমাকে বকাবি না| রিম্পা বলল বেশ ঠিক আছে গল্পোটা তো বলো আগে, তাহলে আমি চুপ করে থাকবো| ঠাকুমা বললেন তবে শোন..... আমরা যখন খুব ছোটো তখন পাঠশালা বলে কিছু ছিলনা| আমরা তখন একটা গাছ তলাতে পড়তে যেতাম| আর তালপাতার খাতায় লিখতাম| একদিন আমি পড়তে গেছি তখন কেউ আসেনি| আমি একাই বসে আছি| বিকেল আর শেষ হতে চলেছে একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে| কেউ পড়তে আসছে না| অনেকক্ষণ বসে থাকার পর আমি আমার মাষ্টার মশায়ের ঘরে এসে জানতে পারলাম, স্যার-এর শরীরটা ভাল নেই| তাই সবাই এসে ঘুরে গেছে| আমিও বইটা নিয়ে পালিয়ে যাবার জন্য উঠলাম| যেতে যেতে ভাবলাম আজ স্যার-এর বাগান বাড়িতে পাকা জাম খেয়ে যাবো| গোলাপ জাম আর কি মিষ্টি| তাই বাড়ি না গিয়ে বাগানে চলে গেলাম| রিম্পা হঠাৎ বলে উঠল ঠাকুমা তাহলে তুমিও পড়াশুনা বাদ দিয়ে বেড়াতে যেতে| তখন কোনো দোষ নেই| আর আমরা গেলেই তখন তুমি বাবার কানে আমাদের জন্য ফুসমন্তর দাও| ঠাকুমা এবার রেগে গিয়ে বললেন তুই চুপ করবি, না হলে কিন্তু আমি গল্পটাই আর বলব না, খুদ পাকা নেয়ে তুই| রিম্পা বলল আর বকবোনা ঠাকুমা তারপর কি বল বলো| তারপর লাঠিতে বেরিয়ে বেরিয়ে অনেক জাম পারলাম| হঠাৎ আমার চোখ পড়ল একটা ঝোপের দিকে| দেখলাম, সেখানে কিছু একটা চক চক করছে| ভয়ে ভয়ে অনেক কষ্টে সেখানে গেলাম| দেখলাম একটা সাদা পাথর পড়ে আছে আর খুব চকচক করছে| খুব ভয় হল আমার পাথরটাকে দেখে| আস্তে আস্তে আর ভয়ে ভয়ে পাথরটাকে কুড়োলাম| কিন্তু পাথরটা হাতে নেবার পর ভয়টা অনেকটা কমে গেল| বুঝলাম আর কিছু হবে না| পাথরটাকে আমি বাড়ি নিয়ে এলাম,আর খুব যত্নে রেখে দিলাম| আস্তে আস্তে পাথরটা আমার প্রিয় হয়ে গেল| সবসময় এটাকে হাতে করে নিয়েই ঘুরতাম| একদিন পাথরটা আমার হাত থেকে পড়ে গেলো, আমি অনেক যত্নে সেতাকে কুড়িয়ে বাড়িতেই রেখে দিলাম| আর কোথাও এটাকে নিয়ে যেতাম না| আমার খাটের মাথার উপর রাখা থাকতো| পূর্ণিমার রাতে একটা অবাস্তব ঘটনা ঘটলো| চাঁদের আলো জানালা দিয়ে এসে পড়েছে আমার ঘরটাতে | চাঁদের আলোতে পাথরটা যেনো ভাসছে, আমি ভয়ে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদতে লাগলাম| হঠাৎ পাথরটা থেকে একটা ফড়িং বের হল, সে আমাকে কাঁদতে দেখে বলল মা কাঁদছিস কেন? আমি কিছুই বলতে পারলাম না, শুধু চুপ করে বসেই থাকলাম| তখন ফড়িংটা বলল, ভয় পাসনা মা আমি তোকে আজ চাঁদের দেশে নিয়ে যাব| যাবি তুই? আমি বললাম না, আমি কোথাও যাব না| তুমি যদি রাক্ষস হও তাহলে আমাকে মেরে খেয়ে নেবে| ফড়িংটা অনেকক্ষণ হেসে বলল বোকা মেয়ে তুই আমার কত বড় উপকার করেছিস জানিস| আমি ওই জঙ্গলটাতে পড়েছিলাম, তুই আমাকে তুলে এনেছিস যত্ন করেছিস| আমি তখন বললাম আমি তো একটা পাথরকে কুড়িয়ে এনেছি, তোমাকে তো আনিনি| তখন মন ফড়িংটা বলল হ্যাঁরে ওই পাথরটাতো আমিই ছিলাম| আমাকে একটা বুড়ো জাদুকর অভিশাপ দিয়ে পাথর বানিয়ে দিয়েছিল| তবে আমি কিন্তু জাদুকরের কোনো ক্ষতি করিনি শুধু তার একটা বাগান ছিল সেই বাগানে আমি রোজ এসে বসে থাকতাম| জাদুকর আমাকে অনেকদিন বারণ করেছিল তাও আসতাম, বাগানটা ছেড়ে যেতে আমার মোটেও ইচ্ছে হত না| তাই ভাবলাম যা হবে হোক আমি বাগান ছেড়ে যাবনা| একদিন আবার জাদুকর আমাকে সেখানে দেখতে পেলো, আর জাদু দিয়ে আমাকে পাথর বানিয়ে দিল| আর বলল যতদিন না চাঁদের আলো তোর মাথার উপর পড়বে ততদিন তুই পাথর হয়ে থাকবি| আমি ভাবলাম সেটা আর এমনকি ব্যাপার কিছু দিন পড়েই তো পূর্ণিমা, তখন সব ঠিক হয়ে যাবে| কিন্তু পূর্ণিমা এল, চাঁদের আলো পড়ল কিন্তু আমার মাথার উপর পড়ল না| ঝোপের মধ্যে আলোয় প্রবেশ করলো না| এমন করে কত পূর্ণিমা অমাবস্যা পার হয়ে গেল| আমি তেমন পাথর হয়েই রইলাম| আজ তুই আমাকে মুক্তি দিলি মা, বল তোর কি চাই? আমি তখন এতই বোকা ছিলাম কি নেব বুঝতে না পেরে একটা পুতুল চেয়ে বসলাম | বলা মাত্রই একটা পুতুল সে আমার হাতে দিয়ে উধাও হয়ে গেল আর তাঁকে কোনোদিন দেখিনি|
তবে অনেকে বলে ওটা একটা মনফড়িং চাঁদে থাকে, আর মাঝে মাঝে পৃথিবীতে ঘুরতে আসে|
এবার রিম্পা বলল ঠাকুমা, চাঁদ থেকে পৃথিবীতে কি সত্যি করেই আসা যায়? যায় বই কি| আগে তো এমন অনেক ঘটনা ঘটতো রে ঠাকুমা বললেন| এবার অঙ্কন বললো ঠাকুমা ঐ মন ফড়িং তোমাকে যে পুতুলটা দিয়েছিল ওটা আমাকে দেখাবে| ঠাকুমা বললেন ধুর পাগল ওটাতো একটা গল্প ছিল| সত্যি করে কি এমন হয় নাকি|
শরৎবাবুর এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে তাঁর ছেলের নাম অঙ্কন এবং মেয়ের নাম রিম্পা| অঙ্কন একটু শান্ত, আর রিম্পার কথা বলার নয়| যেমন দুরন্ত, তেমন জেদি আর তেমন মিষ্টিও| সকলেই তার দুষ্টুমিকেই যেন ভালোবাসতো|
একদিন সন্ধ্যে বেলায় রিমঝিম ধারাতে বৃষ্টি পড়তে লাগল, কিন্তু থামার নাম নেই| রিম্পা আর অঙ্কন চুপ করে বসে আছে ঠাকুমার পাশে| রিম্পার হঠাৎ গল্প শুনতে ইচ্ছে হল| আর তাকে কে আটকায় সে বারবার ঠাকুমাকে জ্বালাতে লাগলো| ঠাকুমা একটা গল্প বলো না গো| ঠাকুমা গল্প বলতে না চাইলে, রিম্পা ভীষণ জোরে চিৎকার করতে লাগলো| এবার ঠাকুমা আর গল্প না বলে থাকতে পারলেন না| তাঁকে গল্প বলতেই হোলো|
ঠাকুমা বললেন তোরা বসে শোন আমি তোদের একটা "মন ফড়িং-এর গল্প" বলব| মাঝে কিন্তু আমাকে বকাবি না| রিম্পা বলল বেশ ঠিক আছে গল্পোটা তো বলো আগে, তাহলে আমি চুপ করে থাকবো| ঠাকুমা বললেন তবে শোন..... আমরা যখন খুব ছোটো তখন পাঠশালা বলে কিছু ছিলনা| আমরা তখন একটা গাছ তলাতে পড়তে যেতাম| আর তালপাতার খাতায় লিখতাম| একদিন আমি পড়তে গেছি তখন কেউ আসেনি| আমি একাই বসে আছি| বিকেল আর শেষ হতে চলেছে একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে| কেউ পড়তে আসছে না| অনেকক্ষণ বসে থাকার পর আমি আমার মাষ্টার মশায়ের ঘরে এসে জানতে পারলাম, স্যার-এর শরীরটা ভাল নেই| তাই সবাই এসে ঘুরে গেছে| আমিও বইটা নিয়ে পালিয়ে যাবার জন্য উঠলাম| যেতে যেতে ভাবলাম আজ স্যার-এর বাগান বাড়িতে পাকা জাম খেয়ে যাবো| গোলাপ জাম আর কি মিষ্টি| তাই বাড়ি না গিয়ে বাগানে চলে গেলাম| রিম্পা হঠাৎ বলে উঠল ঠাকুমা তাহলে তুমিও পড়াশুনা বাদ দিয়ে বেড়াতে যেতে| তখন কোনো দোষ নেই| আর আমরা গেলেই তখন তুমি বাবার কানে আমাদের জন্য ফুসমন্তর দাও| ঠাকুমা এবার রেগে গিয়ে বললেন তুই চুপ করবি, না হলে কিন্তু আমি গল্পটাই আর বলব না, খুদ পাকা নেয়ে তুই| রিম্পা বলল আর বকবোনা ঠাকুমা তারপর কি বল বলো| তারপর লাঠিতে বেরিয়ে বেরিয়ে অনেক জাম পারলাম| হঠাৎ আমার চোখ পড়ল একটা ঝোপের দিকে| দেখলাম, সেখানে কিছু একটা চক চক করছে| ভয়ে ভয়ে অনেক কষ্টে সেখানে গেলাম| দেখলাম একটা সাদা পাথর পড়ে আছে আর খুব চকচক করছে| খুব ভয় হল আমার পাথরটাকে দেখে| আস্তে আস্তে আর ভয়ে ভয়ে পাথরটাকে কুড়োলাম| কিন্তু পাথরটা হাতে নেবার পর ভয়টা অনেকটা কমে গেল| বুঝলাম আর কিছু হবে না| পাথরটাকে আমি বাড়ি নিয়ে এলাম,আর খুব যত্নে রেখে দিলাম| আস্তে আস্তে পাথরটা আমার প্রিয় হয়ে গেল| সবসময় এটাকে হাতে করে নিয়েই ঘুরতাম| একদিন পাথরটা আমার হাত থেকে পড়ে গেলো, আমি অনেক যত্নে সেতাকে কুড়িয়ে বাড়িতেই রেখে দিলাম| আর কোথাও এটাকে নিয়ে যেতাম না| আমার খাটের মাথার উপর রাখা থাকতো| পূর্ণিমার রাতে একটা অবাস্তব ঘটনা ঘটলো| চাঁদের আলো জানালা দিয়ে এসে পড়েছে আমার ঘরটাতে | চাঁদের আলোতে পাথরটা যেনো ভাসছে, আমি ভয়ে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদতে লাগলাম| হঠাৎ পাথরটা থেকে একটা ফড়িং বের হল, সে আমাকে কাঁদতে দেখে বলল মা কাঁদছিস কেন? আমি কিছুই বলতে পারলাম না, শুধু চুপ করে বসেই থাকলাম| তখন ফড়িংটা বলল, ভয় পাসনা মা আমি তোকে আজ চাঁদের দেশে নিয়ে যাব| যাবি তুই? আমি বললাম না, আমি কোথাও যাব না| তুমি যদি রাক্ষস হও তাহলে আমাকে মেরে খেয়ে নেবে| ফড়িংটা অনেকক্ষণ হেসে বলল বোকা মেয়ে তুই আমার কত বড় উপকার করেছিস জানিস| আমি ওই জঙ্গলটাতে পড়েছিলাম, তুই আমাকে তুলে এনেছিস যত্ন করেছিস| আমি তখন বললাম আমি তো একটা পাথরকে কুড়িয়ে এনেছি, তোমাকে তো আনিনি| তখন মন ফড়িংটা বলল হ্যাঁরে ওই পাথরটাতো আমিই ছিলাম| আমাকে একটা বুড়ো জাদুকর অভিশাপ দিয়ে পাথর বানিয়ে দিয়েছিল| তবে আমি কিন্তু জাদুকরের কোনো ক্ষতি করিনি শুধু তার একটা বাগান ছিল সেই বাগানে আমি রোজ এসে বসে থাকতাম| জাদুকর আমাকে অনেকদিন বারণ করেছিল তাও আসতাম, বাগানটা ছেড়ে যেতে আমার মোটেও ইচ্ছে হত না| তাই ভাবলাম যা হবে হোক আমি বাগান ছেড়ে যাবনা| একদিন আবার জাদুকর আমাকে সেখানে দেখতে পেলো, আর জাদু দিয়ে আমাকে পাথর বানিয়ে দিল| আর বলল যতদিন না চাঁদের আলো তোর মাথার উপর পড়বে ততদিন তুই পাথর হয়ে থাকবি| আমি ভাবলাম সেটা আর এমনকি ব্যাপার কিছু দিন পড়েই তো পূর্ণিমা, তখন সব ঠিক হয়ে যাবে| কিন্তু পূর্ণিমা এল, চাঁদের আলো পড়ল কিন্তু আমার মাথার উপর পড়ল না| ঝোপের মধ্যে আলোয় প্রবেশ করলো না| এমন করে কত পূর্ণিমা অমাবস্যা পার হয়ে গেল| আমি তেমন পাথর হয়েই রইলাম| আজ তুই আমাকে মুক্তি দিলি মা, বল তোর কি চাই? আমি তখন এতই বোকা ছিলাম কি নেব বুঝতে না পেরে একটা পুতুল চেয়ে বসলাম | বলা মাত্রই একটা পুতুল সে আমার হাতে দিয়ে উধাও হয়ে গেল আর তাঁকে কোনোদিন দেখিনি|
তবে অনেকে বলে ওটা একটা মনফড়িং চাঁদে থাকে, আর মাঝে মাঝে পৃথিবীতে ঘুরতে আসে|
এবার রিম্পা বলল ঠাকুমা, চাঁদ থেকে পৃথিবীতে কি সত্যি করেই আসা যায়? যায় বই কি| আগে তো এমন অনেক ঘটনা ঘটতো রে ঠাকুমা বললেন| এবার অঙ্কন বললো ঠাকুমা ঐ মন ফড়িং তোমাকে যে পুতুলটা দিয়েছিল ওটা আমাকে দেখাবে| ঠাকুমা বললেন ধুর পাগল ওটাতো একটা গল্প ছিল| সত্যি করে কি এমন হয় নাকি|
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নির্ঝর ২৫/০২/২০১৬সুন্দর
-
মাহাবুব ১৯/০২/২০১৬সুন্দর লেখা, এগিয়ে যান।
আশা করি আরো ভালো হবে। -
দেবব্রত সান্যাল ১৫/০২/২০১৬গল্পটি থেকে কিছু রূপক ধর্মী মাত্রার আশা ছিল, পূর্ণ হলো না।
একটি অনুরোধ, প্রকাশ করার আগে একবার পড়ে দেখুন।
ভীষণ, অমাবস্যা ইত্যাদি ঠিক করে নিন। বাংলায় জাদুগর নয় জাদুকর বলে।