আপনি কি ফ্রস্ট এবং নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধে আছেন
এই গ্রীষ্মের দুপুরে বাহিরের তাপ সহ্য করে ঘরে ঢুকতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য তাই ফ্রিজ আমার জন্য একটি অমূল্যধন। তাই এর যত্ন নেয়ার বেলায়ও আমি কোনো কমতি রাখিনা। তবে আমার রান্নাঘরে পূর্বে যে ফ্রিজটি ছিল সেটা পরিষ্কার করা ছিল খুবই ঝামেলাপূর্ণ কারণ এর ডিপ অংশে বরফ জমে খুব খারাপ অবস্থা হতো বরফের কারণে মাছ, মাংসও কম রাখা যেত তখন আসলে বুঝতেই পারিনি যে আমার কেনা সেই ফ্রিজটি ফ্রস্ট ফ্রিজ ছিল।
বুঝার পর তাই আর দেরি না করে কিনে ফেলেছি হিটাচির অরিজিনাল নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এই বিষয়টি এখনোও আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারিনা যে ফ্রস্ট এবং নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে কি পার্থক্য। আজ আমার ব্লগটি তাদের জন্য যারা ফ্রিজ কিনতে গেলে ফ্রস্ট এবং নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধে ভুগেন।
চলুন তাহলে প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ফ্রস্ট এবং নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ কি এবং এর বৈশিষ্টগুলো:
ফ্রিজ সাধারণত দুই ধরনের হয়— ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট।
ফ্রস্ট: এই ফ্রিজ দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। গ্রামাঞ্চলে যেখানে টানা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না, সেখানে এই ফ্রিজ কাজে আসবে। তবে এই ফ্রিজ ব্যবহারের সমস্যা হচ্ছে—বরফ সরাতে হয় বারবার।
ফ্রস্ট ফ্রিজের বৈশিষ্ট্য—
১. ডিপে রাখা খাবার জমে যায়
২. খাবার ব্যবহারের আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে
৩. ডিপে জমা বরফ মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করতে হয়
৪. বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরও ৫-৬ ঘণ্টা খাবার ভালো থাকে
৫. বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কম
নন-ফ্রস্ট: এই ফ্রিজে ততটা বরফ জমবে না। শহরে ব্যবহারের জন্য ভালো। তুলনামূলক ঝামেলাহীন।
নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের বৈশিষ্ট্য—
১. ডিপে কোনো বরফ জমবে না
২. মাংস, মাছ বের করে সঙ্গে সঙ্গেই ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে
৩. বিদ্যুৎ চলে গেলে ১ থেকে ২ ঘণ্টা খাবার ভালো থাকবে
৪. বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা বেশি।
এখন ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের পাশাপাশি ‘সেমি ফ্রস্ট’ ফ্রিজও পাওয়া যায়। এই ফ্রিজে হালকা বরফ জমে। খাবারও ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে।
অনেক ফ্রিজারের দেয়ালে এখন লিকুইড ফোম ব্যবহার করা হয়। এতে ভেতরে কোনো ফাঁকা জায়গা না থাকায় অনেকক্ষণ ঠাণ্ডা ধরে রাখতে পারে।
বাজারে ১০০ থেকে ৪০০ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রিজ পাওয়া গেলেও ঈদের আগে বেশি বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ২০০ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এই ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রিজগুলোই মধ্যম আয়ের মানুষের বেশি পছন্দ। WALTON, RANGS, VISION, MINISTER - এর মতো দেশীয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি SAMSUNG, HITACHI, SINGER, LG, SHARP সহ আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজও বিক্রি হচ্ছে বেশ।
কি এবার আইডিয়া পেলেন তো ফ্রস্ট এবং নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ সম্পর্কে? তো কোনটি আপনার জন্য ভালো তা বুঝতেই পাচ্ছেন নিশ্চই!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেদওয়ান আহমেদ বর্ণ ১২/০৭/২০২১অনিন্দ্যসুন্দর
-
কল্পনা বিলাসী ১৭/১০/২০২০দরকারী পোষ্ট
-
জানবক্স খান ০১/০৭/২০২০আরো একটু পরিষ্কার ধারনা পেলাম।
-
নাজমুল হোসেন নয়ন ২১/০৬/২০২০ভালো লাগল
-
সেলিম রেজা সাগর ০৯/০৫/২০২০অসাধারণ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ১৪/০৩/২০২০বেশ
-
... ০৩/০৩/২০২০অজানাকে জানা হলো। ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা।
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৭/১১/২০১৯জানা হল
-
দীপঙ্কর বেরা ১৩/১১/২০১৯জানলাম
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০২/০৯/২০১৯অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন।
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ২৭/০৬/২০১৯দরকারী কথা জানলাম , ধন্যবাদ ।
-
আনাস খান ১৯/০৬/২০১৯thanks
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৪/০৫/২০১৯গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট,খুবই দরকারী।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/০৫/২০১৯গরিবের জন্য ফ্রস্ট ফ্রিজ-ই ভালো। কারণ, বিদ্যুৎ খরচ কম।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০২/০৫/২০১৯সবাই উপকৃত হবেন